দ্বীনের মৌলিক ভিত্তিসমূহের উপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা

দ্বীনের মৌলিক ভিত্তিসমূহের উপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা0%

দ্বীনের মৌলিক ভিত্তিসমূহের উপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা লেখক:
: মোঃ মাঈনুদ্দিন তালুকদার
প্রকাশক: শহীদ আল্লামা বাকের সাদর (রহঃ) বিশ্ব সম্মেলন কমিটি,কোম-ইরান।
বিভাগ: নবুয়্যত

দ্বীনের মৌলিক ভিত্তিসমূহের উপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা

লেখক: শহীদ আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ মুহাম্মদ বাকের সাদর (রহঃ)
: মোঃ মাঈনুদ্দিন তালুকদার
প্রকাশক: শহীদ আল্লামা বাকের সাদর (রহঃ) বিশ্ব সম্মেলন কমিটি,কোম-ইরান।
বিভাগ:

ভিজিট: 11452
ডাউনলোড: 2480

পাঠকের মতামত:

দ্বীনের মৌলিক ভিত্তিসমূহের উপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা
বইয়ের বিভাগ অনুসন্ধান
  • শুরু
  • পূর্বের
  • 26 /
  • পরের
  • শেষ
  •  
  • ডাউনলোড HTML
  • ডাউনলোড Word
  • ডাউনলোড PDF
  • ভিজিট: 11452 / ডাউনলোড: 2480
সাইজ সাইজ সাইজ
দ্বীনের মৌলিক ভিত্তিসমূহের উপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা

দ্বীনের মৌলিক ভিত্তিসমূহের উপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা

লেখক:
প্রকাশক: শহীদ আল্লামা বাকের সাদর (রহঃ) বিশ্ব সম্মেলন কমিটি,কোম-ইরান।
বাংলা

image.jpg

দ্বীনের মৌলিক ভিত্তিসমূহের উপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা

মূল : শহীদ আয়াতুল্লাহ্ সাইয়্যেদ মূহাম্মদ বাকের আস সাদর (রহ.)

অনুবাদ : মোঃ মাঈনুদ্দিন তালুকদার

প্রকাশকাল :

১৪ই আশ্বিন,১৪০৮ বঙ্গাব্দ

১০ই রজব,১৪২২ হিজরী

২৯ সেপ্টেম্বর,২০০১ ইংরেজি

প্রকাশনায় :

শহীদ আল্লামা বাকের সাদর (রহঃ) বিশ্ব সম্মেলন কমিটি,কোম-ইরান।

DINER MAULIK VITTI SAMUHER UPAR SANKHIPTA ALOCHANA

Originated From ‘MUZES FEE USULE DIN’ Of Shahid Sayyed Baqer As-Sadr,Traslated Into Bangla By Md. Mainuddin,Published By Kongre-E Shahid Sadr.

সম্মেলন কমিটির বক্তব্য

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

আল হামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন,ওয়াসসালাতু ওয়াসসালামু আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলিহী আত-তাহেরীন।

শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মুসলিম উম্মাহর ভাগ্যাকাশে ছিল দুর্যোগের ঘনঘটা। যার পরিণতিতে বিচ্যুত,অবনতি আর জড়তার আধার উম্মাকে ছেয়ে ফেলেছিল। অবশেষে বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে মুসলিম উম্মার পুনর্জাগরণ শুরু হয়। ইমাম খোমেইনীর (রহ.)নেতৃত্বে ইরানে ইসলামী বিপ্লব সংঘটিত হওয়ার মাধ্যমে তা পরিপুর্ণতা অর্জন করে,ইসলামী শক্তি পুনরায় আবির্ভূত হয়।দীর্ঘদিন সাম্রাজ্যবাদী ও অত্যাচারীদের হাতে শোষিত হওয়ার পর উম্মার ভাগ্যে যে বিপর্যয় ঘটেছিল তা থেকে মুক্ত হয়ে আবার সে শক্তি সঞ্চয় করেছে,মাথা উচু করে দাড়িয়েছে। মুসলিম উম্মার এ পুনর্জাগরণ সাম্রাজ্যবাদীদের চোখের ঘুম কেড়ে নিয়েছে,উপনিবেশবাদী লোলুপ দৃষ্টি পোষণকারীদের আশা আকাঙ্ক্ষার কবর রচনা করেছে।

সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে মুসলিম উম্মার মধ্যে আজ যে নব জাগরণের সৃষ্টি হয়েছে সে ক্ষেত্রে ইমাম খোমেইনী(রহ.)মূখ্য ভূমিকা পালন করেছেন। পাশাপাশি চিন্তাগত ও তত্ত্বগত দিক থেকে উম্মার মধ্যে যে জোয়ার এসেছে সেক্ষেত্রে শহীদ আল্লামা বাকের সাদর নিঃসন্দেহে মৌলিক অবদান রেখেছেন। ইসলামী চিন্তাবিদ হিসেবে তিনি ছিলেন নজিরবিহীন। তার চিন্তাধারা ও লেখনি একদিকে যেমন চিন্তার জগতে নব-দিগন্তের উন্মোচন ঘটিয়েছে অপরদিকে গভীরতা ও ব্যপকতার দিক থেকেও সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তাত্ত্বিকভাবে প্রতিষ্ঠা লাভের উদ্দেশ্যে সমসাময়িক মুসলিম সমাজে অনুপ্রবেশকারী বিভিন্ন চিন্তাধারার পারস্পরিক সংঘাতময় পরিবেশেও তিনি বুদ্ধিজীবি ও চিন্তাবিদদের মহলে ব্যাপকভাবে ইসলামী চিন্তাধারার প্রসার ঘটিয়েছিলেন।

শহীদ আয়াতুল্লাহ বাকের সাদর তার নজিরবিহীন ব্যক্তিত্ব,অসাধারণ যোগ্যতা ও গতিশীল ইসলামী চিন্তাধারার মাধ্যমে আধুনিক বস্তুবাদী দার্শনিক ও চিন্তাবিদদেরকে অত্যন্ত সফলতার সাথে মোকাবিলা করেছেন। বস্তুবাদী সভ্যতার তত্ত্বগত ভিত্তিহীনতা ফুটিয়ে তোলার মাধ্যমে তিনি সবাইকে চিন্তাগত দাসত্বের শৃঙ্খল,(প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের)অন্ধ অনুকরণ ও খোদাবিমুখতা থেকে ফিরিয়ে রাখেন। বাস্তব জীবনে মানব সমাজের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে ইসলামের যে নজিরবিহীন ক্ষমতা রয়েছে তা তিনি ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন। তিনি আরো প্রমাণ করেছেন আধুনিক বিশ্ব যদি ইসলামী বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হয় তাহলে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানবকুলের সৌভাগ্য রচিত হবে,মানব সমাজ কল্যাণ লাভ করবে।

শহীদ আল্লামা বাকের সাদর অত্যন্ত গতিশীল চিন্তাধারার অধিকারী ছিলেন। তার চিন্তাধারা কোন বিশেষ গণ্ডিতে আবদ্ধ ছিলনা,বরং জ্ঞান বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় তিনি বিচরণ করেছেন। ইসলামী অর্থনীতি,তুলনামূলক দর্শন (ইসলামী ও পশ্চাত্য দর্শন),আধুনিক যুক্তিবিদ্যা ইত্যাদি সাম্প্রতিককালে উত্থাপিত বিভিন্ন বিষয়ে তিনি অনায়াসে প্রবেশ করেছেন এবং নতুন নতুন ধারার সৃষ্টি করেছেন। উসূল ও ফেকাহশাস্ত্র,দর্শনশাস্ত্র,যুক্তিবিদ্যা,কালামশাস্ত্র,তাফসীর,ইতিহাস ইত্যাদি ক্লাসিক বিষয়েও পদ্ধতিগত ও বিষয়-বস্তুগত উভয় দিক থেকে নতুন নতুন দিক নির্দেশনা দিয়েছেন এবং চিন্তাগত বিপ্লব ঘটিয়েছেন।

আল্লামা বাকের সাদরের শাহাদতের পর দু দশকেরও বেশী সময় অতিবাহিত হয়েছে,কিন্তু আজও পর্যন্ত বিভিন্ন শিক্ষা ও গবেষণামূলক কার্যক্রমে তার চিন্তাধারার প্রভাব অটুট রয়েছে। যে কোন বিষয় ভিত্তিক পর্যালোচনা এবং গবেষণার ক্ষেত্রে তার রেখে যাওয়া রচনাবলী,বিশেষ করে চিন্তার ক্ষেত্রে তিনি যে নতুন ধারার সৃষ্টি করেছেন তা সবার জন্য মাইল ফলক হয়ে থাকবে।

এ দৃষ্টিকোণ থেকেই শহীদ আল্লামা বাকের সাদর বিশ্ব সম্মেলন পরিচালনা কমিটির প্রধান দায়িত্ব হবে চিন্তাগত ও জ্ঞানগত বিভিন্ন বিষয়ে তার রেখে যাওয়া মূল্যবান রচনাবলীর পুনরুজ্জীবন ও উপযুক্ত সংরক্ষণ। যেহেতু তার রচনাবলী অত্যন্ত ব্যাপক তাই এ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বটি পালনের ক্ষেত্রে দু টি দিকের প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ রাখতে হবেঃ

প্রথমতঃ অত্যন্ত দায়িত্বশীলতা ও সূক্ষ্ণ দৃষ্টিসহকারে পৃথিবীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভাষায় এগুলোর অনুবাদ এবং প্রকাশ।

দ্বিতীয়তঃ অত্যধিকবার প্রকাশিত হওয়া এবং উপযুক্ত পর্যবেক্ষণের অভাবে তার প্রকাশিত অনেক বই যেগুলো আংশিকভাবে বিকৃত হযেছে সেগুলোকে মূল পাণ্ডুলিপির সঙ্গে মিলিয়ে দেখা এবং সংশোধন করা।

সবশেষে আমরা আল্লামা বাকের সাদরের বর্তমান উত্তরাধিকারীদের,বিশেষ করে তার স্বনামধন্য পুত্র জনাব সাইয়্যেদ জাফর সাদর(আল্লাহ তাকে হেফাজত করুন)-এর অবদানের কথা অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। এ বিশ্ব সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়া এবং আল্লামা বাকের সাদরের বিভিন্ন রচনাবলী প্রকাশ ও পুনরুজ্জীবনের ক্ষেত্রে তিনি যে বিশেষ সম্মতি প্রদান করেছেন সেজন্য আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

পরিচালনা কমিটি

শহীদ আল্লামা বাকের সাদর বিশ্ব সম্মেলেন

দীনের মৌলিক ভিত্তিসমূহের উপর

সংক্ষিপ্ত আলোচনা

ভূমিকা

v ১-প্রেরক

v ২-প্রেরিত

v ৩-রিসালাত

 

ভূমিকা

কোন কোন বিশিষ্ট আলেম,আমার অনেক ছাত্র এবং অন্যান্য মুমিন আমার নিকট কামনা করেছেন যে,পূর্ববতী আলেমগণের অনুসরণে ও তাঁদের মহান কীর্তির উপর নির্ভর করে উত্তরোত্তর যে বিষয়টির গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে সে বিষয়টির উপর একটি ভূমিকা লিখব। আর সে বিষয়টি  হলো : পূর্ববর্তী আলেমগণ সাধারণত তাঁদের গবেষণাপত্রের প্রারম্ভে স্রষ্টার অস্তিত্ব ও দীনের মৌলিক ভিত্তিসমূহের প্রমাণের জন্য কখনো কখনো সংক্ষিপ্ত আকারে আবার কখনো বা বিস্তৃতরূপে ভূমিকা লিখতেন। কারণ তাঁদের গবেষণাপত্রসমূহ ইসলামী শরীয়তের হুকুম-আহকাম বর্ণনা করে থাকে,যার জন্য পবিত্র ও মহান আল্লাহ সর্বশেষ নবীকে জগতের রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছেন। আর এ বিষয়টির ব্যাখ্যা প্রকৃতপক্ষে এ মূল ভিত্তিসমূহের বিশ্বাসের উপর নির্ভরশীল। অতএব,প্রেরক আল্লাহ,প্রেরিত নবী এবং তাঁর রিসালাত-যার জন্য তিনি প্রেরিত হয়েছেন-তার প্রতি বিশ্বাস থেকেই বিধি-নিষেধ ও এর প্রয়োজনীয়তার যৌক্তিকতা রূপ পরিগ্রহ করে।

মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের প্রত্যাশায় এবং এ আলোচ্য বিষয়ের অতীব গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে তাঁদের এ আহ্বানে আমি সাড়া প্রদান করলাম। কিন্তু প্রশ্ন হলো : আমি কোন্ পদ্ধতিতে এ ভূমিকা লিখব? আমি কি ফতুয়ায়ে ওয়াযিয়ার মতো যথাসম্ভব সহজ-সরল প্রক্রিয়ায় এ ভূমিকা লিখার চেষ্টা করব,যা ফতুয়ায়ে ওয়াযিহার মতো সর্বসাধারণের জন্য ঐরূপ বোধগম্য হবে যেরূপ কারো জন্য ইসলামী বিধানের কোন হুকুম সহজবোধ্য হয়? তবে লক্ষ্যণীয় যে,প্রকৃতপক্ষে এ কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা ও আল ফতুয়াতুল ওয়াযিহার মধ্যে মৌলিক পার্থক্য বিদ্যমান। কারণ ফতুয়া কোন প্রকার দলিল উপস্থাপন ব্যতীত কেবল গবেষণালব্ধ ও আবিষ্কৃত  বিধিকে তুলে ধরে,অথচ আমাদের আলোচ্য ভূমিকাটির  উপস্থাপনই যথেষ্ট নয়,বরং দীনের মৌলিক ভিত্তির উপর বিশ্বাস স্থাপনের বিধিগত আবশ্যকতার জন্য আমরা এর সপক্ষে যুক্তির অবতরণা করতে বাধ্য। এছাড়া আমাদের এ ভূমিকার  উদ্দেশ্যই হলো দীনের ভিত্তি ও মৌলিক বিষয়সমূহকে প্রতিষ্ঠা করা। আর  যুক্তি বা দলিল উপস্থাপন ব্যতীত তা প্রতিষ্ঠিত হয় না। তবে যুক্তি প্রদর্শনেরও বিভিন্ন স্তর রয়েছে। প্রত্যেক স্তরই,এমনকি সরলতম ও প্রাথমিক স্তরসমূহও (স্ব স্ব ক্ষেত্রে) গ্রাহককে পরিপূর্ণরূপে তুষ্ট করে থাকে। যদি মুক্ত ও নিষ্কলুষ বিবেকের মানুষ হয়,তবে সরলতম ও প্রাথমিক স্তরের  দলিলই প্রজ্ঞাবান সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব প্রমাণের ক্ষেত্রে তার জন্য যথেষ্ট। বিশ্বাস স্থাপনের ক্ষেত্রে কোরআনের এ প্রশ্নই তাকে তুষ্ট করে :

أمْ خُلِقُوا مِنْ غَيْرِ شَيْءٍ أمْ هُمُ الخاَلِقُونَ

উহারা কি স্রষ্টা ব্যতীত সৃষ্ট হইয়াছে,না উহারা নিজেরাই স্রষ্টা?

(সূরা তূর : ৩৫)

কিন্তু গত দু শতাব্দীতে নব নব (জটিল) চিন্তার ফলে মুক্ত ও নির্মল বিবেক আর খুঁজে পাওয়া যায় না। আর এ কারণেই যারা ঐ সকল চিন্তার সংস্পর্শে এসেছে ও ঐগুলো কর্তৃক তাদের বিবেক পরিপূর্ণ হয়ে গেছে তাদের জন্য সরলতম ও প্রাথমিক পর্যায়ের দলিল প্রযোজ্য নয়। তবে যাদের বিবেক এগুলো থেকে মুক্ত তাদের জন্য সরলতম দলিলই যথেষ্ট। অতএব,আমাদেরকে দু টি পথের একটি নির্বাচন করতে হবে-হয় তাদেরকে বিবেচনা করে লিখতে হবে যাদের বিবেক এখনও উল্লিখিত জটিল চিন্তা থেকে মুক্ত এবং সরলতম যুক্তিতেই যারা তুষ্ট হয়। তখন আমাদের বর্ণিত বিষয়বস্তু অধিকাংশ সুস্পষ্ট ফতুয়ার মতোই সহজবোধ্য হবে অথবা তাদের কথা বিবেচনা করে লিখব,যাদের চিন্তা-ভাবনা জটিল বা জটিলতার সীমারেখায় যাঁরা পড়াশুনা করেছেন এবং স্রষ্টা সম্পর্কে  যাঁদের জ্ঞান ও চিন্তার পর্যায় ভিন্ন।

অতএব,আমরা দেখতে পাই যে,আমাদের জন্য দ্বিতীয়টিই উত্তম।

তবে সাধারণত যাতে আমার লেখা বিশ্ববিদ্যালয় ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ছাত্রদের বোধগম্যতার মধ্যে  থাকে,সে চেষ্টাই করেছি। আর এ জন্যই যথাসম্ভব পরিভাষা ও গাণিতিক জটিল শব্দসমূহ পরিহার করার চেষ্টা করেছি। আর সে সাথে চেষ্টা করেছি দূরদর্শী পাঠকবর্গের জন্য বিষয়বস্তুর মানও বজায় রাখার। ফলে কিছু জটিল বিষয়েরও অবতারণা করতে হয়েছে। অতঃপর আরো বিস্তারিত জানার জন্য (যারা আগ্রহী তাদের জন্য) আমাদের অন্যান্য পুস্তকসমূহ পাঠ করার আহবান রইল। তদুপরি,সাধারণ পাঠকবর্গের অধিকারও সংরক্ষণ করা হয়েছে যাতে এ পুস্তক থেকে তাঁরা তাঁদের চিন্তা ও চেতনার প্রবৃদ্ধি লাভে সমর্থ হন,যা তাঁদের জন্য তুষ্টকারী দলিলও বটে।

অতএব,প্রথম ধাপ হলো সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য বৈজ্ঞানিক ও আরোহ যুক্তি পদ্ধতি,যাতে সাধারণ পাঠকবর্গের জন্য সুস্পষ্ট ও যথার্থ দলিল উপস্থাপন করা যায় ।

যাহোক,আমরা প্রথমত প্রেরক (আল্লাহ),দ্বিতীয়ত প্রেরিত (রাসূল) এবং তৃতীয়ত রিসালাত সম্পর্কে আলোচনা করব।

و ما توفيقي الا بالله عليه توكلت واليه انيب

প্রেরক

(আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা)

আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস

আল্লাহর গুণসমূহ