ফকিহ-এর নিরঙ্কুশ শাসন-কর্তৃত্ব জিজ্ঞাসা ও জবাব

ফকিহ-এর নিরঙ্কুশ শাসন-কর্তৃত্ব জিজ্ঞাসা ও জবাব0%

ফকিহ-এর নিরঙ্কুশ শাসন-কর্তৃত্ব জিজ্ঞাসা ও জবাব লেখক:
: নূর হোসেন মজিদী
প্রকাশক: -
বিভাগ: ধর্ম এবং মাযহাব

ফকিহ-এর নিরঙ্কুশ শাসন-কর্তৃত্ব জিজ্ঞাসা ও জবাব

লেখক: আলী শীরাযী
: নূর হোসেন মজিদী
প্রকাশক: -
বিভাগ:

ভিজিট: 14173
ডাউনলোড: 2982

পাঠকের মতামত:

ফকিহ-এর নিরঙ্কুশ শাসন-কর্তৃত্ব জিজ্ঞাসা ও জবাব
বইয়ের বিভাগ অনুসন্ধান
  • শুরু
  • পূর্বের
  • 20 /
  • পরের
  • শেষ
  •  
  • ডাউনলোড HTML
  • ডাউনলোড Word
  • ডাউনলোড PDF
  • ভিজিট: 14173 / ডাউনলোড: 2982
সাইজ সাইজ সাইজ
ফকিহ-এর নিরঙ্কুশ শাসন-কর্তৃত্ব জিজ্ঞাসা ও জবাব

ফকিহ-এর নিরঙ্কুশ শাসন-কর্তৃত্ব জিজ্ঞাসা ও জবাব

লেখক:
প্রকাশক: -
বাংলা

অন্ত্যটীকা :

১.এর মানে এ নয় যে,প্রতিটি আইনেই তার স্বাক্ষর থাকতে হবে এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতিটি কাজের জন্যই স্বতন্ত্রভাবে তার নিকট থেকে অনুমতি নিতে হবে। বাস্তবতার দৃষ্টিতেও একজন মানুষের পক্ষে এত কাজ সম্পাদন সম্ভব নয়। বরং এর মানে হচ্ছে এই যে,নীতিগতভাবে সকল রাষ্ট্রীয় কাজ তার পক্ষ থেকেই সম্পাদন করা হবে এবং তিনি সব কিছুর প্রতি দৃষ্টি রাখবেন। প্রত্যেকেই তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে এবং যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি কারো কোনো কাজে আপত্তি না করেন ততক্ষণ পর্যন্ত সে কাজে তার অনুমোদন বা অনুমতি আছে বলে গণ্য হবে। তিনি যদি কখনো কারো কোনো কাজে দ্বিমত করেন বা হস্তক্ষেপ করেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই তার মতই কার্যকর হবে। এটাই হচ্ছে এ তত্ত্বের প্রায়োগিক দিক। -অনুবাদক

২.ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানে এ ধারণার প্রায়োগিক দিক একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাস্তব রূপ লাভ করে। তা হচ্ছে,নির্বাচিতব্য পদগুলোতে কারো নির্বাচন প্রার্থী হওয়ার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট মানদণ্ড রাখা হয়েছে যার আলোকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কাউকে প্রার্থী হবার অনুমতি দেয়া হয়। (বলা বাহুল্য যে,সব দেশেই এ ব্যাপারে কতক মানদণ্ড রয়েছে,যেমন ঃ ফৌজদারী অপরাধে শাস্তি প্রাপ্তদেরকে একটি সুনির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রার্থী হতে না দেয়া।) এর মানে হচ্ছে,যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের সকলেই ঐ দায়িত্বের জন্য উপযুক্ত,অতএব,তাদের মধ্য থেকে যিনিই নির্বাচিত হোন না কেন তার নির্বাচনে ও দায়িত্ব গ্রহণে মুজতাহিদ শাসকের অনুমোদন রয়েছে বলে গণ্য হবে। -অনুবাদক

৩.প্রাথমিক পর্যায়ের বা প্রথম স্তরের হুকুম সমূহ (احکام اولية ) একটি ফিক্বহী পরিভাষা। এর মানে হচ্ছে ইসলামের মৌলিকতম বিধান যার অবস্থান শাখা-প্রশাখাগত হুকুম সমূহের উর্ধে এবং এ কারণে কোনো শাখাগত হুকুমের সাথে তার সাংঘর্ষিকতা দেখা দিলে মৌলিক বিধানই কার্যকর হবে। উদাহরণ স্বরূপ,ইসলামের দৃষ্টিতে ব্যক্তির জীবন সম্মানীত এবং ব্যক্তির সম্পদের ওপর তার অধিকার নিরঙ্কুশ। কিন্তু ইসলামী হুকুমাতের হেফাযত ও কল্যাণ তার চেয়েও অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে রাষ্ট্রের প্রয়োজনে অপরিহার্য বিবেচিত হলে ইসলামী শাসক তাকে যুদ্ধে পাঠাতে পারবে যা তার জীবনকে হুমকির সম্মুখীন করে এবং তার বৈধ সম্পদ হুকুম দখল,বাযেয়াফত বা জাতীয়করণ করতে পারবে। অন্যদিকে ইসলামী হুকুমাত প্রয়োজন বোধে ইসলামের কোনো অকাট্য বিধানের কার্যকরীকরণ সাময়িকভাবে সুনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত রেখে বা সীমাবদ্ধ করে রাষ্ট্রীয় বিধান জারী করতে পারে যা কেবল ঐ বিশেষ সময়ে বা ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে এবং সংশ্লিষ্ট পরিস্থিতির অবসান ঘটলে বা আইনটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে উক্ত রাষ্ট্রীয় আইনটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে এবং মূল বিধানটি কার্যকর হবে। এ ক্ষেত্রে উক্ত রাষ্ট্রীয় আইনটি দ্বিতীয় স্তরের হুকুম (حکم ثانوية ) বলে গণ্য হবে। উদাহরণ স্বরূপ,শরীয়তের মূল বিধান অনুযায়ী যে সব নর-নারীর মধ্যে বিবাহ বৈধ প্রয়োজনে ইসলামী হুকুমত তাদের বিবাহে বাধা দিতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ,ইসলামী রাষ্ট্র শত্রুভাবাপন্ন দেশের নাগরিকের সাথে অনির্দিষ্ট কালের জন্য এবং যুদ্ধকালে সাময়িকভাবে যে কোনো ভিনদেশী নাগরিকের সাথে ইসলামী রাষ্ট্রের নাগরিকের বিবাহ নিষিদ্ধ করতে পারে। -অনুবাদক

৪.শিয়া ও সুন্নী উভয় মাযহাবের আক্বিদাহ্ অনুযায়ী,বিশ্ব যুলুম-অত্যাচার,অবিচার ও অন্যায়-অনাচারে পূর্ণ হয়ে যাবার পর মানবতাকে মুক্তি দানের লক্ষ্যে হযরত রাসূলে আকরাম (সা.)-এর বংশে একজন মুক্তিদাতার আবির্ভাব হবে; তিনি হযরত ইমাম মাহ্দী (আ.) নামে সুপরিচিত হবেন। তিনি যুলুম-অত্যাচার,অবিচার ও অন্যায়-অনাচারের অবসান ঘটিয়ে বিশ্বব্যাপী ইসলামী হুকুমাত প্রতিষ্ঠা করবেন এবং তখন বিশ্ব সুবিচার ও নেয়ামতে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। শিয়া মাযহাবের আক্বিদাহ্ অনুযায়ী,আহলে বাইতের ধারাবাহিকতায় আগত দ্বাদশ ইমামই (জন্ম হিজরী ২৫৫ সাল) হচ্ছেন হযরত ইমাম মাহ্দী (আ.); আল্লাহ্ তা আলা হযরত খিজির (আ.)-এর ন্যায় তাকে দীর্ঘজীবী করেছেন এবং আল্লাহর ইচ্ছায় তিনি আত্মগোপনরত অবস্থায় আছেন। তিনি স্বীয় পরিচয় গোপন রেখে জনসমাজে বিচরণ করছেন,তবে স্বীয় মতামত দিয়ে সমাজকে,বিশেষ করে সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রভাবিত করছেন। উপযুক্ত সময়ে তিনি আত্মপ্রকাশ এবং মুসলমানদের নেতৃত্ব ও শাসন-কর্তৃত্ব গ্রহণ করবেন,এরপর ইসলামী বিশ্ববিপ্লবে নেতৃত্ব দেবেন। তার এখন থেকে হাজার বছরেরও বেশী কাল পূর্বে জন্মগ্রহণ ও দীর্ঘজীবী হওয়ার ধারণা অবশ্য আহলে সুন্নাতের ওলামায়ে কেরামের নিকট গৃহীত হয় নি। তাদের ধারণা,তিনি এখনো জন্মগ্রহণ করেন নি। অবশ্য আহলে সুন্নাতের তথ্যসূত্র সমূহেও হযরত ইমাম মাহ্দী (আ.)-এর আত্মপ্রকাশ,মুসলমানদের নেতৃত্ব ও শাসন-কর্তৃত্ব গ্রহণ এবং ইসলামী বিশ্ববিপ্লবে নেতৃত্ব প্রদানের কথা আছে; তার আত্মপ্রকাশপূর্ব জীবন সম্পর্কে কিছুই বলা হয় নি। এ থেকে আত্মপ্রকাশের পূর্বে তার জনসমাজে অপরিচিত থাকার ধারণাই প্রমাণিত হয়,তা তার সে জীবন পঞ্চাশ,একশ বা হাজার বছর বা তার চেয়েও বেশী -যা-ই হোক না কেন। তবে হযরত ইমাম মাহ্দী (আ.) জন্মগ্রহণ করেছেন কি করেন নি - সে বিতর্কের ফয়সালার ওপর বেলায়াতে ফকীহ্ বা মুজতাহিদের শাসনের অপরিহাযতা নির্ভরশীল নয়। কারণ,উভয় অবস্থায়ই ইমাম (আ.)-এর আত্মপ্রকাশের পূর্বে মুসলমানরা মুজতাহিদের শাসনের মুখাপেক্ষী। -অনুবাদক

৫.জনগণ কর্তৃক গৃহীত হওয়ার শর্ত সম্পর্কে উল্লেখ করতে হয় যে,নবী-রাসূলগণ (আ.) এবং সেই সাথে শিয়া মাযহাবের আক্বিদাহ্ অনুযায়ী বারো জন নিষ্পাপ ইমাম (আ.) আল্লাহ্ তা আলার পক্ষ থেকে মানুষের পথপ্রদর্শন ও নেতৃত্বের জন্য মনোনীত। আর যে ব্যক্তি কাউকে আল্লাহ্ তা আলার পক্ষ থেকে মনোনীত পথপ্রদর্শক ও নেতা হিসেবে জানে তার পক্ষে ঐ ব্যক্তিকে শাসক হিসেবে গণ্য না করে অন্য কাউকে শাসক হিসেবে গণ্য করা সম্ভব নয়। অতএব,সে সর্বাবস্থায়ই খোদায়ী নেতৃত্বের নিকট আত্মসমর্পিত থাকবে। তবে বাস্তবে গোটা সমাজের ওপর খোদায়ী নেতৃত্বের শাসন-কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার বিষয়টি খোদায়ী বিধানে ব্যাপক জনগোষ্ঠী কর্তৃক স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাকে নেতা ও শাসক রূপে গ্রহণের শর্তাধীন রাখা হয়েছে। কারণ,পরম জ্ঞানী আল্লাহ্ তা আলা জোর-জবরদস্তি ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে খোদায়ী শাসন প্রতিষ্ঠাকে উচিৎ গণ্য করেন নি। এ কারণে দেখা যায় যে,অধিকাংশ নবী-রাসূলই (আ.) রাষ্ট্রক্ষমতা পরিচালনার সুযোগ পান নি। তবে রাষ্ট্র ও প্রশাসন খোদায়ী নেতৃত্বের হাতে থাকা ও না থাকা -এ দুই অবস্থায় তার সাথে মু মিনের সম্পর্কে বিন্দুমাত্র পার্থক্য হতে পারে না। উভয় অবস্থায়ই খোদায়ী নেতৃত্বই মু মিনের শাসক; রাষ্ট্র ও প্রশাসনে তার নিয়ন্ত্রণ না থাকা অবস্থায় সে রাষ্ট্র ও প্রশাসনের সাথে মু মিনের সম্পর্ক ও আচরণ খোদায়ী নেতৃত্বের নির্দেশ ও অনুমতি দ্বারা নির্ধারিত হবে। এ ব্যাপারে নবী-রাসূল (আ.),মা ছূম ইমাম (আ.) ও নায়েবে নবী বা মুজতাহিদের সাথে মু মিনের সম্পর্কে কোনোই পার্থক্য হতে পারে না। কোনো ব্যক্তির মধ্যে যখন কারো প্রকৃত নায়েবে নবী হওয়ার ব্যাপারে প্রত্যয় সৃষ্টি হয় তখন তার আদেশ ও অনুমতিকে নবী-রাসূল (আ.)-এর আদেশ ও অনুমতির তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ গণ্য করার কোনোই অবকাশ থাকে না। -অনুবাদক

৬.ফকিহ শাসক আল্লাহ্ তা আলার পক্ষ থেকে মনোনীত হওয়ার কথাটি অত্র গ্রন্থে এর পর আরো বহু বার উল্লিখিত হয়েছে। কারো কাছে হয়তো এটিকে ভাবাবেগমূলক ও ভাবাবেগ সৃষ্টির উদ্দেশ্য প্রণোদিত কথা বলে মনে হতে পারে। কারণ,নবী-রাসূলগণ (আ.) আল্লাহ্ তা আলার পক্ষ থেকে মনোনীত এবং তা তাদেরকে অবগত করা হয়,অতঃপর তারা নিজেদেরকে নবী বলে দাবী করে সমাজে দ্বীনের দাওয়াত প্রদান করেন। অনুরূপভাবে,শিয়া মাযহাবের আক্বিদাহ্ অনুযায়ী,মা ছূম ইমামগণও (আ.) ইমাম হিসেবে আল্লাহ্ তা আলার পক্ষ থেকে মনোনীত ও হযরত রাসূলে আকরাম (সা.)-এর মাধ্যমে ঘোষিত এবং তারা নিজেরাও তা জানতেন ও নিজেদেরকে ইমাম বলে দাবী করতেন। কিন্তু কোনো ফকিহ শাসকের নাম সুনির্দিষ্টভাবে আল্লাহ্ তা আলার পক্ষ থেকে মনোনীত শাসক হিসেবে দ্বীনের কোনো সূত্রে (কোরআন-হাদীছে) উল্লিখিত নেই এবং তিনি নিজেও তা জানেন না বলে নিজেকে খোদায়ী শাসক হিসেবে দাবী করেন না,বরং বিশেষজ্ঞগণ তাকে চিহ্নিত ও পরিচয় করিয়ে দেন। তাই প্রশ্ন উঠতে পারে,এমতাবস্থায় তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে শাসক হিসেবে মনোনীত - এরূপ অকাট্য ধারণা পোষণের ভিত্তি কী?

এর ভিত্তি দু টি বিষয়। প্রথমতঃ আল্লাহ্ তা আলা কোনো যুগে তার বান্দাহ্দেরকে প্রত্যক্ষভাবে নেতৃত্ব দানকারী তার মনোনীত নেতা ও শাসক থেকে বঞ্চিত রাখবেন - বিচারবুদ্ধি এটা মানতে পারে না। শিয়া মাযহাবের আক্বিদাহ্ অনুযায়ীও,হযরত ইমাম মাহ্দী (আ.) সমাজে বিচরণ করলেও তিনি যেহেতু প্রত্যক্ষভাবে ও স্বীয় পরিচয় সহকারে নেতৃত্ব দিচ্ছেন না সেহেতু প্রত্যক্ষ খোদায়ী নেতৃত্বের উক্ত প্রয়োজন থেকেই যাচ্ছে। উল্লেখ্য,আহলে সুন্নাতের মধ্যেও প্রত্যেক যুগ বা শতাব্দীতে মুজাদ্দিদের অস্তিত্ব থাকার বিশ্বাস বিদ্যমান রয়েছে। যদিও সে বিশ্বাস পুরোপুরি আক্বায়েদী ভিত্তি লাভ করে নি,তবে এ ধরনের বিশ্বাসের উদ্ভব খোদায়ী পথপ্রদর্শক ও নেতৃত্বের অপরিহার্য প্রয়োজনীয়তাকেই নির্দেশ করে। দ্বিতীয়তঃ ফকিহ নেতা কর্তৃক নিজেকে নেতা ও শাসক হিসেবে দাবী না করা এবং অন্য মুজতাহিদগণ কর্তৃক তাকে নিজেদের মধ্যে এ দায়িত্বের জন্যে যোগ্যতম রূপে চিহ্নিত করা থেকেই প্রমাণিত হয় যে,তিনিই আল্লাহ্ তা আলা কর্তৃক মনোনীত শাসক। কারণ,তার পক্ষ থেকে প্রার্থিতা ও দাবী না থাকা এবং বিশেষজ্ঞগণ তথা মুজতাহিদগণ কর্তৃক ইখলাছের সাথে খোদায়ী নেতৃত্বকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাতে গিয়ে তাকে চিহ্নিত করা থেকেই প্রমাণিত হয় যে,তিনিই এ দায়িত্বের জন্য উপযুক্ততম ব্যক্তি। আর উপযুক্ততম ব্যক্তি আল্লাহ্ তা আলার মনোনীত শাসক নন,অন্য কেউ হবেন এবং বিশেষজ্ঞগণ ইখলাছের সাথে অনুসন্ধান করেও তাকে চিহ্নিত করতে পারবেন না এটা অসম্ভব ব্যাপার। শুধু তা-ই নয়,মানুষ যখন নিঃস্বার্থভাবে ও ইখলাছের সাথে চেষ্টা করেও পথ খুঁজে না পায় তখন সে আল্লাহর কাছে সাহায্য ও পথনির্দেশ কামনা করে এবং এমতাবস্থায় আল্লাহ্ তা আলা তার অন্তরে সঠিক পথের সন্ধান জাগ্রত করে দেন। অতএব,যে কোনো দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখা হোক না কেন,এভাবে খুঁজে বের করা শাসক যে আল্লাহ্ তা আলার পছন্দনীয় শাসক তাতে সন্দেহের অবকাশ থাকতে পারে না। -অনুবাদক

৭.জনগণের দ্বারা বিশেষজ্ঞগণ নির্বাচিত হন এবং তারা মুজতাহিদ শাসককে চিহ্নিত ও জনসমক্ষে পরিচিত করিয়ে দেন - এ কারণে অনেকে এ কাজটিকে পরোক্ষ নির্বাচন বলে মনে করতে পারেন। কিন্তু নির্বাচনের সাথে এ কাজের মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। কারণ,নির্বাচিত বিশেষজ্ঞগণ ইলেক্টোরাল কলেজের ন্যায় কোনো সুনির্দিষ্ট প্রার্থীর পক্ষে জনগণের রায় নিয়ে আসেন না । বরং এ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ বিশেষজ্ঞদের ওপর তাদের আস্থার কথা ঘোষণা করে,কিন্তু তাদের পক্ষে আদৌ ধারণা করা সম্ভব নয় যে,বিশেষজ্ঞগণ কাকে শাসক হিসেবে চিহ্নিত করবেন। কারণ,খোদায়ী শাসকের সকল বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে এবং এ বৈশিষ্ট্যের বিচারে সর্বোত্তম ব্যক্তি কে সে সম্পর্কে সাধারণ জনগণের অকাট্য ধারণা থাকে না; থাকলে তারাই খোদায়ী শাসককে চিহ্নিত করতে পারতো,বিশেষজ্ঞদের ওপর এ কাজের দায়িত্ব দিতে হতো না। এ কারণেই এমনও হতে পারে যে,খোদায়ী শাসকের বৈশিষ্ট্যের অধিকারী দু জন মুজতাহিদের মধ্যে যিনি বেশী জনপ্রিয় তথা জনগণের ভোটে নির্বাচিত করলে যিনি নির্বাচিত হতেন বিশেষজ্ঞগণ তাকে নির্বাচিত না করে বিশেষজ্ঞত্বের দৃষ্টিতে অপর জনকে যোগ্যতম লক্ষ্য করে তঁকেই শাসক হিসেবে চিহ্নিত ও জনগণের সামনে পরিচিত করিয়ে দেবেন। -অনুবাদক

৮.মেহ্দী বাযারগানকে। -অনুবাদক

৯.নারাক্বী নামে বেশ কয়েক জন ইসলামী মনীষী ছিলেন; তাদের মধ্যে আহমদ নারাক্বী ও মোহাম্মাদ নারাক্বী সমধিক খ্যাত। অত্র গ্রন্থে পরবর্তীতে আয়াতুল্লাহ্ মোল্লা আহমদ নারাক্বীর মতামত উদ্ধৃত করা হয়েছে যা থেকে সুস্পষ্ট যে,এখানে তার কথাই বলা হয়েছে - যিনি হিজরী ১১৮৫ সালে জন্মগ্রহণ ও ১২৪৫ সালে ইন্তেকাল করেন। তার পুরো নাম আহমাদ বিন মাহ্দী বিন আবি যার আল-কাশানী। তিনি ইজতিমা উল আমরে ওয়ান্-নাহ্ই , আসাসুল্ আহ্কাম্ প্রভৃতি অনেকগুলো মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেন।- অনুবাদক

১০.আবদুল ফাত্তাহ্ বিন আলী আল-হুসাইনী আল-মারাগ্বী। ওফাত হিজরী ১২৭৪ সাল। তিনি আল-আনাভীন্,কিতাবুল্ বাই প্রভৃতি অনেকগুলো মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেন। -অনুবাদক

১১.মোহাম্মাদ হোসেন বিন আবদুল করীম আন্-নায়ীনী। জন্ম ১২৭৭ ও ওফাত ১৩৫৫ হিজরী সাল। - অনুবাদক

১২.অনুসরণের কেন্দ্রবিন্দু তথা দ্বীনী বিষয়ে,বিশেষতঃ ফিকাহর ক্ষেত্রে যে প্রাজ্ঞ বহুদর্শী মুজতাহিদের অনুসরণ করা হয় তাকে মারজা-এ তাক্বলীদ (مرجع تقليد ) বলা হয়। সাধারণ জনগণ আলেমদের মতামতের ভিত্তিতে কাউকে মারজা-এ তাক্বলীদ হিসেবে গ্রহণ করে। কোনো মারজার ইন্তেকালের পরে তার অনুসারী আলেমগণ অনুরূপ যোগ্যতা সম্পন্ন অন্য কোনো আলেমের বা আলেমদের অনুসরণ করেন এবং জনগণও তাদেরই অনুসরণ করে। যেহেতু মারজা বেছে নেয়া হয় গুণাবলী ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সেহেতু নতুন মারজা কদাচিৎ মরহূম মারজা র শিষ্যদের মধ্য থেকে হন; সাধারণতঃ তারা পূর্ব থেকে মারজা হিসেবে আছেন এমন কারো অনুসরণ করেন বা এরূপ যোগ্যতা সম্পন্ন নতুন কাউকে বেছে নেন। মারজার পদ উত্তরাধিকার ভিত্তিক নয়। - অনুবাদক

১৩.শিয়া মাযহাবের রেওয়ায়েত অনুযায়ী হযরত ইমাম মাহ্দী (আ.)-এর আত্মগোপনরত অবস্থা দু টি পর্যায়ে বিভক্ত যাকে যথাক্রমে সংক্ষিপ্ত ও দীর্ঘ আত্মগোপন হিসেবে উল্লেখ করা হয়। রেওয়ায়েত অনুযায়ী তিনি হিজরী ২৬২ বা ২৬৫ সালে (সাত বা দশ বছর বয়সে) সমকালীন শাসকগোষ্ঠীর বিষদৃষ্টি থেকে নিজেকে লোকচক্ষুর অন্তরালে নিয়ে যান এবং তার মরহূম পিতা হযরত ইমাম হাসান আসকারী (আ.)-এর চার জন বিশিষ্ট শিষ্যের মাধ্যমে শিয়া মাযহাবের অনুসারীদের সাথে যোগাযোগ রাখেন ও দিকনির্দেশনা প্রদান অব্যাহত রাখেন। এ সময়টাকেই বলা হয় সংক্ষিপ্ত আত্মগোপনের যুগ। এ যুগের মেয়াদ ৭৪ বছর। উক্ত চার ব্যক্তির মধ্যকার সর্বশেষ ব্যক্তির ইন্তেকালের পর আর হযরত ইমাম মাহ্দী (আ.)কে তার পরিচয় সহ চেনার মতো আর কোনো লোক অবশিষ্ট থাকে নি; এ সময় থেকেই তার দীর্ঘ আত্মগোপন যুগের সূচনা। -অনুবাদক

১৪.শেখ ছাদুক শিয়া মাযহাবের অনুসারী প্রাথমিক যুগের সর্বাধিক খ্যাতনামা মনীষীদের অন্যতম। তার ওফাত হিজরী ৩২৯ সালে তার পুরো নাম আবুল হাসান আলী বিন আল-হুসাইন্ বিন মূসা বিন বাবাভাইহ্। তার সর্বাধিক বিখ্যাত গ্রন্থ হাদীছ সংকলন মান্ লা ইয়াহযুরুল ফাক্বীহ্ । -অনুবাদক

১৫.আল্লামা জা ফার বিন খাযার আল-জানাজী আন্-নাজাফী; কাশেফুল গ্বেত্বা নামে সমধিক পরিচিত। ওফাত হিজরী ১২২৭ সাল। তার সর্বাধিক বিখ্যাত গ্রন্থ কাশেফুল গ্বেত্বায়ে আন্ খাফীয়াতে মুব্হামাতেশ্ শারি আতেল্ গ্বাররা । - অনুবাদক

১৬.মোহাম্মাদ বিন মোহাম্মাদ তাক্বী আত্-ত্বাবাত্বাবায়ী আন্-নাজাফী। তিনি বাহরুল্ উলূম্ নামে খ্যাত। ওফাত হিজরী ১৩২৬ সাল। -অনুবাদ

১৭.আয়াতুল্লাহ্ সাইয়েদ হাসান মোদাররেস (জন্ম ১৮৭০ খৃস্টাব্দ) বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিককার ইরানের শ্রেষ্ঠ আলেম ও রাজনৈতিক নেতা। তিনি বৃটিশ এজেন্ট রেজা খানের ক্ষমতা দখলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। এ কারণে রেজা খানের নির্দেশে তাকে নির্বাসিত ও পরে হত্যা করা হয় (১৯৩৮ খৃস্টাব্দ)। - অনুবাদক

১৮.ওফাত ১৯৬২ খৃস্টাব্দ। তিনি হযরত ইমাম খোমেইনী (রহ্ঃ)-এর অব্যবহিত পূর্বে সমগ্র শিয়া জগতের কেন্দ্রীয় ধর্মীয় নেতা (মারজা-এ তাক্বলীদ) ছিলেন। - অনুবাদক

১৯.ইসলামের ইতিহাসের প্রথম দিককার শতাব্দী সমূহের শীর্ষস্থানীয় মনীষী ওলামায়ে কেরামকে ওলামায়ে মোতক্বাদ্দেমীন্ (পূর্বসূরি ওলামা) এবং সম্প্রতিক দু -এক শতাব্দী কালের শীর্ষস্থানীয় মনীষী ওলামায়ে কেরামকে ওলামায়ে মোতাআখ্খেরীন্ (সাম্প্রতিক ওলামা) বলা হয়। -অনুবাদক

২০.আয়াতুল্লাহ্ মোহাম্মাদ হাসান শীরাযী; মীর্যায়ে শীরাযী নামে সমধিক পরিচিত। তার জন্ম ইরানের শীরাযে। জীবনকাল ১৮১৪ থেকে ১৮৯৫ খৃস্টাব্দ। তিনি ইরাকের নাজাফের দ্বীনী শিক্ষাকেন্দ্রে শিক্ষকতা করতেন এবং শিয়া জগতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় মারজা-এ তাক্বলীদ ছিলেন। ১৮৮৮ সালে ইরানের শাহ্ নাছিরুদ্দীন একটি বৃটিশ কোম্পানীকে ৫০ বছরের জন্য ইরানে তামাক উৎপাদন ও ব্যবসায়ের একচেটিয়া অধিকার প্রদান করে চুক্তি সম্পাদন করলে আলেম সমাজের নেতৃত্বে জনগণ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় এবং মীর্যায়ে শীরাযী উক্ত চুক্তির প্রেক্ষিতে তামাক সংশ্লিষ্ট সকল কাজকে হারাম বলে ফতোয়া দেন ও মওজুদ তামাক ধ্বংস করার নির্দেশ দেন। জনগণ তার রায় অনুযায়ী কাজ করে। ফলে শাহ্ উক্ত চুক্তি বাতিল করতে বাধ্য হন এবং এরপর মীর্যায়ে শীরাযীও তার ফতোয়ার কার্যকরিতার সমাপ্তি ঘোষণা করেন। - অনুবাদ

২১.তাক্বলীদী বিষয় মানে অন্ধভাবে অনুসরণীয় বিষয়। অর্থাৎ এমন বিষয় যে ব্যাপারে বিশেষজ্ঞত্ব অর্জন বা বিশেষজ্ঞের ওপর অন্ধভাবে আস্থা স্থাপন ব্যতীত কেবল বিচারবুদ্ধির (আক্বল্) দ্বারা সঠিক ধারণায় উপনীত হওয়া বা করণীয় নির্ধারণ করা সম্ভবপর নয়। আর যে বিষয়ে বিচারবুদ্ধির বিশ্লেষণের মাধ্যমে সঠিক ধারণায় উপনীত হওয়া যায় তা হচ্ছে গায়রে তাক্বলীদী; এরূপ ক্ষেত্রে অন্যের অন্ধ অনুসরণ সঙ্গত নয়। -অনুবাদক

২২.হুজ্জাত্ (حجة ) মানে বিচারবুদ্ধির বা উদ্ধৃতিযোগ্য এমন দলীল যার পরে সংশ্লিষ্ট বিষয় অকাট্যভাবে প্রমাণিত হওয়ার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট শ্রোতা বা পাঠকের মনে আর বিন্দুমাত্রও সংশয় থাকে না,তা সে শ্রোতা বা পাঠক বাহ্যিকভাবে তা গ্রহণ করুক বা না-ই করুক। বিশেষ করে শ্রোতা বা পাঠকের অবস্থা বিবেচনা করে এভাবে কোনো বিষয়কে প্রমাণ করাকে বলা হয় এত্মামে হুজ্জাত্ (اتمام حجة - হুজ্জাত্ সম্পূর্ণকরণ)। - অনুবাদক

২৩.এখানে দ্বীনী মৌল নীতিমালার অন্যতম নবুওয়াত সংক্রান্ত আলোচনার একটি প্রাসঙ্গিক বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। তা হচ্ছে,তাওহীদ,আখেরাত ও নবুওয়াত - এ তিনটি মৌলিক বিষয়ের মধ্যে তাওহীদ ও আখেরাত সংক্রান্ত ধারণা এমন বিষয় যে,যে কোনো সুস্থ বিচারবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ তাতে উপনীত হয় (কার্যতঃ সে তা স্বীকার করুক বা না-ই করুক)। কিন্তু বিচারবুদ্ধির পক্ষে কোনো নবীর নবুওয়াতের সত্যতায় উপনীত হওয়া তার নিকট নবীর পরিচয় ও দাওয়াত সঠিকভাবে পৌঁছার ওপর নির্ভরশীল। এ কারণে কোনো ব্যক্তি নবীর নবুওয়াতের সত্যতায় উপনীত হতে না পারলে তার জন্য বিচারবুদ্ধির রায় অনুযায়ী আমল করা অপরিহার্য। তাই বলা হয়েছে,যার কোনো নবী নেই,তার নবী আক্বল। এ কারণেই,কোরআন মজীদে আহলে নাজাত (পরকালীন মুক্তির অধিকারী) হওয়ার জন্য তাওহীদ ও আখেরাতে ঈমান পোষণ ও উত্তম কর্ম সম্পাদনকে শর্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে (সূরাহ্ আল-বাক্বারাহ্ ঃ ৬২),নবুওয়াতে মুহাম্মাদীতে ঈমানকে শর্ত করা হয় নি। কিন্তু যে ব্যক্তির নিকট নবীর নবী হওয়ার বিষয়টি অকাট্যভাবে সুস্পষ্ট হয়ে গেছে তার জন্যে নবীর প্রতি ঈমান আনা ও তার অনুসরণ ব্যতীত মুক্তি পাওয়ার কোনোই সম্ভাবনা নেই। কারণ,এরূপ ব্যক্তি নিঃসন্দেহে মুনাফিক পর্যায়ভুক্ত। -অনুবাদক

২৪.এখানে হাদীছ বুঝানোই লক্ষ্য। - অনুবাদক

২৫.সমকালীন ইরানের অন্যতম ইসলামী চিন্তাবিদ । - অনুবাদক

২৬.তার পুরো নাম মুহাম্মাদ বিন আল-হাসান আল-হুর আল- আমুলী। তার জন্ম ১০৩২ ও ওফাত ১১০৪ হিজরী সালে। তার সংকলিত ওয়াসালেুশ শীয়া শিয়া মাযহাবের সর্বাধিক বিখ্যাত ও বহুল ব্যবহৃত হাদীছ গ্রন্থ সমূহের অন্যতম। - অনুবাদক

২৭.আয়াতুল্লাহ্ ইউসুফ ছানে ঈ সমকালীন ইরানী মুজতাহিদগণের অন্যতম এবং কোমের দ্বীনী শিক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষক। তিনি ইসলামী বিপ্লবোত্তর ইরানের এটর্নি জেনারেল হিসেবে বহু বছর দায়িত্ব পালন করেন। - অনুবাদক

২৮.আয়াতুল্লাহ্ আবদুল্লাহ্ জাওয়াদী অমোলী কোমের দ্বীনী শিক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষক এবং সমকালীন ইরানের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় আরেফ,মুজতাহিদ মনীষী ও মুফাসসির। হযরত ইমাম খোমেইনী (রহ্ঃ) তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভের নিকট ইসলামের দাওয়াত দিয়ে পত্র সহ যে তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল প্রেরণ করেন আয়াতুল্লাহ্ জাওয়াদী অমোলী তার নেতৃত্ব দেন। - অনুবাদক

২৯.আয়াতুল্লাহ্ মোহাম্মাদ তাকী মেসবাহ্ ইয়াযদী সমকালীন ইরানের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় মুজতাহিদ মনীষী ও বহু মূল্যবান  গ্রন্থ প্রণেতা,কোমের দ্বীনী শিক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষক এবং নেতৃত্ব সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ পরিষদের সদস্য। -অনুবাদক

৩০.মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াকুব আর-রাযী আল-কুলাইনী। ওফাত হিজরী ৩২৮ সাল। তার সংকলিত আল-কাফী ফীল্-হাদীছ্ শিয়া মাযহাবের সবচেয়ে বিখ্যাত হাদীছ গ্রন্থ। -অনুবাদক

৩১.খাজা নাছিরুদ্দীন মোহাম্মাদ বিন মোহাম্মাদ আল-জাহরুদী। জন্ম ৫৯৭ ও ওফাত ৬৭৩ হিজরী সাল। তিনি বহু সংখ্যক গ্রন্থ রচনা করেছেন। ইতিহাসবিদ হিসেবেও তার খ্যাতি আছে। - অনুবাদক

৩২.আহমাদ বিন মুহাম্মাদ আল-মুকাদ্দাস আরদেবিলী। ওফাত জিরী ৯৯৩ সাল। বহু গ্রন্থ প্রণেতা খ্যাতনামা মনীষী। -অনুবাদক

৩৩.আয়াতুল্লাহ্ মোরতাযা মোতাহ্হারী সমকালীন ইরানের সব চেয়ে বড় ইসলামী চিন্তাবিদ ও বহু গ্রন্থ প্রণেতা এবং হযরত ইমাম খোমেইনী (রহ্ঃ)-এর ঘনিষ্ঠ শিষ্য। তিনি ইরানে ইসলামী বিপ্লবের বিজয়ের বছর খানেক পরে ১৯৮০ সালে মুনাফিকদের হাতে শহীদ হন। - অনুবাদক

৩৪.শেখ মুফীদ শিয়া মাযহাবের প্রথম যুগের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় মনীষী। তার বিখ্যাত গ্রন্থ কিতাবুল ইরশাদ । -অনুবাদক

৩৫.পুরো নাম মুহাম্মাদ রেযা বিন আল-হাসান্ আল-হুসাইনী আল-হিল্লী আল-আ রাজী। ওফাত হিজরী ১১৫১ সালে। তিনি শিয়া জগতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় মনীষী ছিলেন। - অনুবাদক

৩৬.আবু আবদুল্লাহ্ শামসুদ্দীন মুহাম্মাদ বিন জামালুদ্দীন মাক্কী আন্-নাব্তী আল-জুজাইনী আশ্-শাহীদ আল-আমুলী। হিজরী ৭৮৬ সালে শহীদ হন। তিনি শিয়া মাযহাবের শীর্ষস্থানীয় মনীষীদের অন্যতম এবং বহু গ্রন্থের প্রণেতা। - অনুবাদক

৩৭.আয়াতুল্লাহ্ সাইয়েদ আবুল কাসেম খুয়ী - যিনি ইরাকের নাজাফে বসবাস ও সেখানকার দ্বীনী শিক্ষাকেন্দ্রে শিক্ষকতা করতেন। সমকালীন শীর্ষস্থানীয় মনীষীগণের অন্যতম। - অনুবাদ

৩৮.আল্লামা সাইয়েদ মোহাম্মাদ হোসেন বিন মোহাম্মাদ আত্-তাবরীযী আল-ক্বাযী তাবাতাবায়ী। সমকালীন ইরানের সব চাইতে খ্যতনামা মুফাসসির। তার লেখা তাফসীর আল-মীযান ফী তাফসীরেল কোরআন অত্যন্ত সুপরিচিত। - অনুবাদক

৩৯.যেহেতু তিনি শিয়া মাযহাবের অনুসারী শ্রোতাদের সম্বোধন করে কথা বলছিলেন এবং তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসন করতে চাচ্ছিলেন এ কারণে তিনি এভাবে অভিমত ব্যক্ত করেন। কিন্তু তার এ কথার অর্থ কখনোই এ নয় যে,বেলায়াতে ফকীহ্ আহলে সুন্নাতের বিষয় নয়। এটি যে আহলে সুন্নাতেরও বিষয় তথা সকল মুসলমানের জন্য অপরিহার্য বিষয় তা অনুবাদকের ভূমিকায় সুস্পষ্ট ও অকাট্যভাবে উল্লেখ করা হয়েছে । - অনুবাদক

৪০.ইউসুফ বিন হাসান আল-মামেক্বানী এফ্তেখারী। তার অন্য বিখ্যত গ্রন্থ ওয়াসিলাতুন্ নেজাহ্ । - অনুবাদক

৪১.বৃহত্তর সিরিয়ার প্রাচীন নাম যার মধ্যে বর্তমান সিরিয়া,লেবানন,ফিলিস্তিন ও জর্দান অন্তর্ভুক্ত ছিলো। - অনুবাদক

৪২.সূরাহ্ আত্-তাওবাহ : ১২২।

৪৩.আয়াতুল্লাহ্ হোসেন আলী মোন্তাযেরীকে। - অনুবাদক