ফকিহ-এর নিরঙ্কুশ শাসন-কর্তৃত্ব জিজ্ঞাসা ও জবাব

ফকিহ-এর নিরঙ্কুশ শাসন-কর্তৃত্ব জিজ্ঞাসা ও জবাব0%

ফকিহ-এর নিরঙ্কুশ শাসন-কর্তৃত্ব জিজ্ঞাসা ও জবাব লেখক:
: নূর হোসেন মজিদী
প্রকাশক: -
বিভাগ: ধর্ম এবং মাযহাব

ফকিহ-এর নিরঙ্কুশ শাসন-কর্তৃত্ব জিজ্ঞাসা ও জবাব

লেখক: আলী শীরাযী
: নূর হোসেন মজিদী
প্রকাশক: -
বিভাগ:

ভিজিট: 14196
ডাউনলোড: 3003

পাঠকের মতামত:

ফকিহ-এর নিরঙ্কুশ শাসন-কর্তৃত্ব জিজ্ঞাসা ও জবাব
বইয়ের বিভাগ অনুসন্ধান
  • শুরু
  • পূর্বের
  • 20 /
  • পরের
  • শেষ
  •  
  • ডাউনলোড HTML
  • ডাউনলোড Word
  • ডাউনলোড PDF
  • ভিজিট: 14196 / ডাউনলোড: 3003
সাইজ সাইজ সাইজ
ফকিহ-এর নিরঙ্কুশ শাসন-কর্তৃত্ব জিজ্ঞাসা ও জবাব

ফকিহ-এর নিরঙ্কুশ শাসন-কর্তৃত্ব জিজ্ঞাসা ও জবাব

লেখক:
প্রকাশক: -
বাংলা

বিচারবুদ্ধির দলীল কি বেলায়াতে ফকীহর যথার্থতা প্রমাণ করতে সক্ষম?

জবাবঃ বেলায়াতে ফকীহ্ বা পরিপূর্ণ শর্তাবলীর অধিকারী মুজতাহিদ শাসকের শাসন-কর্তৃত্ব প্রমাণের জন্য যে সব দলীল-প্রমাণ উপস্থাপন করা হয় তা দুই ধরনের ঃ বিচারবুদ্ধির দলীল ও উদ্ধৃতিযোগ্য দলীল। বারো ইমামী শিয়া মাযহাবের অনুসারী উছূল শাস্ত্রে বিশেষজ্ঞ ওলামায়ে কেরামের দৃষ্টিতে শরীয়তের যে কোনো হুকুম প্রমাণের জন্য অবশ্যই কোনো আয়াত বা কোনো হাদীছের দলীল থাকতেই হবে - এটা অপরিহার্য নয়। বরং বিচারবুদ্ধি ও বিচারবুদ্ধির অকাট্য রায় থেকেও ইসলামী ফিকাহর আহ্কামের মধ্যকার কোনো হুকুম পাওয়া সম্ভব হতে পারে এবং তা প্রমাণ করা যেতে পারে।

এখানে বিচারবুদ্ধির দলীল কথাটির মানে হচ্ছে বিচারবুদ্ধির এমন রায় যার সাহায্যে শরয়ী হুকুমে উপনীত হওয়া সম্ভব। আর বিচারবুদ্ধির রায় সংক্রান্ত জ্ঞান থেকে শরয়ী হুকুমের জ্ঞানে উপনীত হওয়া সম্ভব। এ কারণেই শিয়া মাযহাবের অনুসারী ওলামায়ে কেরাম বিচারবুদ্ধির রায়কে হুজ্জাত২২ হিসেবে গণ্য করে থাকেন। আর বিচারবুদ্ধির রায় যে হুজ্জাত - এটা প্রমাণ করার জন্য তারা আক্বল্-এর হজ্জাত হওয়া সম্পর্কিত মুতাওয়াতির হাদীছ সমূহের দলীল পেশ করে থাকেন। এসব হাদীছ ও রেওয়ায়েত থেকে একটি বিষয় অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয় যে, আক্বল্ বা বিচারবুদ্ধি হচ্ছে এমন একটি বিষয় যার সাহায্যে আল্লাহ্ তা আলার ইবাদাত করা হয় এবং এর সাহায্যেই বেহেশত অর্জিত হয়। আর বিচারবুদ্ধির সাহায্যে যে রায় পাওয়া যায় তা হচ্ছে মানুষের অন্তর্লোকে বসবাসকারী পয়গাম্বর২৩ অর্থাৎ আক্বল্ - যা তার নিকট এ রায় পৌঁছে দিয়েছে।

অতএব,ফিক্বহী দৃষ্টিতে বেলায়াতে ফকীহ্ প্রমাণের জন্য বিচারবুদ্ধির দলীল থেকে সাহায্য গ্রহণের মূল্য কোনো দিক থেকেই উদ্ধৃতিযোগ্য দলীল অর্থাৎ কোরআন মজীদের আয়াত এবং হাদীছ ও রেওয়ায়েতের সাহায্যে প্রমাণ করার তুলনায় কম নয়।

বিচারবুদ্ধি যেমন হুকুমাত প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনাকে অপরিহার্য গণ্য করে,তেমনি ইসলামী সমাজে পরিপূর্ণ শর্তাবলীর অধিকারী ন্যায়বান মুজতাহিদ শাসকের উপস্থিতি এবং ইসলামী হুকুমাতের শীর্ষ দায়িত্বে তার অবস্থান একটি অপরিহার্য বিষয়। অতএব,নির্দ্বিধায় বলা যেতে পারে যে,এ বিষয়ে বিচারবুদ্ধিও রায় প্রদান করে। কারণ,ন্যায়বান মুজতাহিদ শাসক ব্যতীত ইসলামী হুকুমাত কোনো অর্থ বহন করে না।

সনদ ও সনদের দ্বারা প্রতিপন্নতার দৃষ্টিকোণ থেকে যারা এ সংক্রান্ত উদ্ধৃতিযোগ্য দলীল সমূহের২৪ মধ্যে ত্রুটি দেখতে পান তারা বিচারবুদ্ধির দৃষ্টিতে বিষয়টির প্রতি সমর্থন জানিয়ে থাকেন। তারা বলেনঃ একটি ইসলামী সমাজে দ্বীনী আহ্কাম বাস্তবায়নের জন্য পরিপূর্ণ শর্তাবলীর অধিকারী মুজতাহিদ শাসকের নেতৃত্বে একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা ও সরকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া গত্যন্তর নেই। তিনি হবেন এমন একজন ফকীহ্ যিনি ফিক্বহী তথ্যসূত্রাদি চিহ্নিত করতে এবং তা ব্যবহার করে সকল বা অধিকাংশ শরয়ী আহ্কাম এবং ইসলামের সাধারণ বিধি-বিধান নির্ণয় করতে সক্ষম।

হযরত ইমাম খোমেইনী (রহ্ঃ) তার বেলায়াতে ফকীহ্ গ্রন্থে বলেনঃ বেলায়াতে ফকীহ্ হচ্ছে ঐ সব বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত একটি বিষয় যেগুলোর যথার্থতার সত্যে উপনীত হওয়ার জন্য বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা থাকাই যথেষ্ট; এজন্য দলীল-প্রমাণ ও যুক্তি উপস্থাপনের তেমন একটা প্রয়োজন নেই। এর মানে হচ্ছে এই যে,যে কেউ ইসলামের আক্বায়েদ ও ইসলামী আহকাম সম্পর্কে এমনকি মোটামুটি ধারণার অধিকারী থাকলেও,যখনই বেলায়াতে ফকীহ্ বিষয়টিতে উপনীত হয় তখনি সে বিষয়টি হৃদয়ঙ্গম করতে পারে,আর সাথে সাথেই সে তার সত্যতা ও যথার্থতায় উপনীত হয় এবং এ বিষয়টিকে একটি অপরিহার্য ও স্বতঃপ্রমাণিত বিষয় রূপে দেখতে পায়।

অন্যদিকে হযরত ইমাম খোমেইনী (রহ্ঃ) বেলায়াতে ফকীহ্ তত্ত্ব প্রমাণের জন্যে অত্যন্ত সুদৃঢ় উদ্ধৃতিযোগ্য দলীলও উপস্থাপন করেছেন। কিন্তু যারা উদ্ধৃতিযোগ্য দলীলের ভিত্তিতে তা গ্রহণ করতে আপত্তি করেন তাদের আপত্তির জবাবে তিনি তার আল-বাই (البيع ) গ্রন্থের দ্বিতীয় খণ্ডে অত্যন্ত চমৎকার ভাষায় মন্তব্য করেনঃ বেলায়াতে ফকীহ্ হচ্ছে (বিচারবুদ্ধির দৃষ্টিতে) অপরিহার্য বিষয় সমূহের অন্যতম; এজন্য কোনো ধরনের যুক্তি ও দলীল-প্রমাণ উপস্থাপন করার প্রয়োজন হয় না।

মরহূম আয়াতুল্লাহ্ আল- উযমা বুরুজার্দীও বেলায়াতে ফকীহ্ প্রমাণের জন্য বিচারবুদ্ধির দলীলের আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। তিনি তার আল-বাদরুয যাহেরফী ছালাতিল্ জুমু আতে ওয়াল্ মুসাফের গ্রন্থের ৫৮ নং পৃষ্ঠায় বলেনঃ সামগ্রিকভাবে (বিচারবুদ্ধির দৃষ্টিতে) নিঃসন্দেহে ন্যায়বান ফকীহ্ জনগণ জড়িত এমন গুরুত্বপূর্ণ কাজকর্মের ক্ষেত্রে মা ছূম ইমামগণের (আ.) পক্ষ থেকে নিয়োজিত,আর এ বিষয়টি (বেলায়াতে ফকীহ্) প্রমাণের জন্য ওমর বিন হানযালাহর মাক্ববুলাহ্ হিসেবে বিখ্যাত রেওয়ায়েতের আশ্রয় গ্রহণ অপরিহার্য নয়,যদিও উক্ত রেওয়ায়েতও এক দৃষ্টিকোণ থেকে এ বিষয়টির সপক্ষে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় সাক্ষ্য দিচ্ছে।

বিচারবুদ্ধির অকাট্য দলীল মানুষের জন্য খোদায়ী আইন-কানুন ও সামাজিক নেতৃত্বের অপরিহার্যতাকে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরে। বিচারবুদ্ধির অকাট্য দলীল ইসলামী সমাজের জন্য শৃঙ্খলাকে অপরিহার্য গণ্য করে এবং একই কারণে তা দ্বীনী হুকুমাত প্রতিষ্ঠার অপরিহার্যতা প্রমাণ করে। বিচারবুদ্ধির যে অকাট্য দলীল নবুওয়াত ও ইমামতের অপরিহার্যতা প্রমাণ করে সেই অভিন্ন দলীলই হযরত ইমাম মাহ্দী (আ.)-এর আত্মগোপনরত থাকার যুগে মানব সমাজের জন্য এমন একজন ব্যক্তির দাবী করে যিনি হবেন ইসলামী আইন-কানুনে বিশেষজ্ঞ,মুজতাহিদ ও আমানতদার - যিনি ইসলামী সমাজের নেতৃত্ব-কর্তৃত্ব ও অভিভাবকত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং ইসলামী আইন-কানুন বাস্তাবায়নের দায়িত্ব পালন করবেন। সে ব্যক্তি হবেন পরিপূর্ণ শর্তাবলীর অধিকারী মুজতাহিদ। বিচারবুদ্ধির এ দলীল পরিপূর্ণ শর্তাবলীর অধিকারী মুজতাহিদ শাসকের শাসন-কর্তৃত্বের মূলনীতিকে সুস্পষ্ট ও অকাট্যভাবে প্রমাণ করে।

অতঃপর প্রশ্ন থেকে যায় যে,কোন্ মুজতাহিদ সমাজের শাসন-কর্তৃত্ব ও অভিভাবকত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন? এটা একটা স্বতন্ত্র বিষয়। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিগণের দায়িত্ব হচ্ছে কোনো একজন সুনির্দিষ্ট মুজতাহিদ ব্যক্তিকে পরিপূর্ণ শর্তাবলীর অধিকারী মুজতাহিদ হিসেবে সাক্ষ্য প্রদান করা। আর তাদের সে সাক্ষ্য সাধারণ জনগণের জন্য অকাট্য দলীল হিসেবে পরিগণিত হবে। জনগণের উচিৎ হবে তাকেই সর্বাধিক জ্ঞানী,পরিপূর্ণ শর্তাবলীর অধিকারী ও সুযোগ্যতম মুজতাহিদ হিসেবে গণ্য করা। তবে এর মানে এ নয় যে,বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিগণ উক্ত মুজতাহিদকে শ্রেষ্ঠতম জ্ঞানীর পদে অধিষ্ঠিত করলেন। বরং প্রকৃত ব্যাপার হলো এই যে,মুজতাহিদ শাসক স্বয়ং আল্লাহ্ তা আলার পক্ষ থেকে মনোনীত; বিশেষজ্ঞগণ তাকে খুঁজে বের করেন ও চিহ্নিত করেন মাত্র। আর এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞত্বের কারণে তারা যখন তাকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হন তখন তারই সাক্ষ্য দেন এবং তাকে পরিপূর্ণ শর্তাবলীর অধিকারী মুজতাহিদ শাসক হিসেবে সমাজের কাছে পরিচিত করিয়ে দেন। বিচারবুদ্ধিও এ পন্থাটিকে গ্রহণ করে এবং সমাজের মানুষের জন্য এ ধরনের মুজতাহিদ শাসকের আদেশ-নিষেধ মেনে চলাকে অপরিহার্য গণ্য করে।

উদ্ধৃতিযোগ্য বিভিন্ন দলীলেও বেলায়াতে ফকীহ্ বিষয়টিকে এমন সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে যে,এর ফলে সুস্থ বিচারবুদ্ধির অধিকারী মানুষ বিচারবুদ্ধিজাত দলীল ও উদ্ধৃতিযোগ্য দলীলের রায়ের ভিত্তিতে বেলায়াতে ফকীহ্ বিষয়টিকে নির্দ্বিধায় মেনে নেয় এবং মুজতাহিদ শাসকের আনুগত্য ও অনুসরণ করতে থাকে।

ইতিপূর্বে যেমন উল্লেখ করা হয়েছে,বেলায়াতে ফকীহ্ বা মুজতাহিদের শাসনের যথার্থতা ও যৌক্তিকতা প্রমাণের জন্য কেবল বিচারবুদ্ধির দলীলই যথেষ্ট। আর সে দলীল এমন পর্যায়ের যে,যারা এ বিষয়টিকে মেনে নিতে আপত্তি করেন বিচারবুদ্ধির দলীল তাদেরকে তার (বিচারবুদ্ধির দলীলের) সামনে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করে এবং তাদেরকে মুজতাহিদ শাসকের আনুগত্য ও অনুসরণে আগ্রহী করে তোলে। এ কারণেই,যারা বেলায়াতে ফকীহকে বিচারবুদ্ধির অকাট্য রায় দ্বারা প্রমাণিত একটি বিষয় বলে মনে করেন এবং বলেন যে,এটি একটি অপরিহার্য বিষয়,তাদের মতে,হযরত ইমাম মাহ্দী (আ.)-এর আত্মগোপনরত থাকার যুগে বেলায়াতে ফকীহ্ বা মুজতাহিদের শাসন হচ্ছে একটি স্বতঃপ্রমাণিত বিষয় এবং এ কারণে তা প্রমাণের জন্য আলাদা কোনো দলীল-প্রমাণের প্রয়োজন নেই। কারণ,জনগণের জন্য রাষ্ট্রের প্রয়োজন রয়েছে এবং রাষ্ট্রের জন্য শাসকের প্রয়োজন রয়েছে। আর এ দায়িত্বের জন্য সর্বোত্তম হচ্ছেন এমন ব্যক্তি যিনি জ্ঞানী,চরিত্রবান,দূরদৃষ্টির অধিকারী ও গুনাহ্ থেকে দূরে অবস্থানকারী।

হযরত ইমাম মাহ্দী (আ.)-এর আত্মগোপনরত থাকার যুগে যে ব্যক্তি মা ছূম ইমামের (আ.) অধিকতর নিকটবর্তী,শাসন ক্ষমতার দায়িত্ব বহনের জন্য তিনি অধিকতর যোগ্য। আর এ ধরনের ব্যক্তি হচ্ছেন যিনি মুজতাহিদ,ইসলাম বিশেষজ্ঞ ও তাকওয়ার অধিকারী এবং জনগণ ও সমাজের সামষ্টিক কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও যোগ্যতা রাখেন। স্বয়ং আল্লাহ্ তা আলাও হযরত ইমাম মাহ্দী (আ.)-এর আত্মগোপনরত থাকার যুগে এ ধরনের ব্যক্তিকে সমাজে ইসলামের সামষ্টিক ও সামাজিক আহকাম বাস্তবায়নের জন্য অনুমতি দিয়েছেন। এ বিষয়ে যারা বিশেষজ্ঞ তাদের দায়িত্ব হচ্ছে এমন ব্যক্তিকে সমাজের নিকট পরিচয় করিয়ে দেয়া,আর জনগণের দায়িত্ব হচ্ছে বিশেষজ্ঞদের রায়ের অনুসরণে তার আনুগত্য করা,তাকে সর্বাত্মকভাবে সাহায্য-সহযাগিতা করা ও তার হুকুম মেনে চলা।

কোনো বিচারবুদ্ধিই এর বিপরীতে রায় প্রদান করে না। আর সুস্থ বিচারবুদ্ধির রায়ের ভিত্তিতে আমাদের যে জ্ঞান হয় তা আমাদেরকে শরয়ী হুকুমে পৌঁছে দেয় এবং সে হুকুম আমাদের জন্য হুজ্জাত বা অকাট্য দলীল। কারণ,বিচারবুদ্ধির রায় এবং বিচারবুদ্ধি আরো যা কিছু পর্যবেক্ষণ করে তা অকাট্য শরয়ী দলীল সমূহের অন্যতম। আর,এটা অত্যন্ত সুস্পষ্ট যে,বিচারবুদ্ধির রায়ের অকাট্য দলীল হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করা সন্দেহবাদী ধ্যান-ধারণার ও সন্দেহবাদী তত্ত্বে বিশ্বাসী হওয়ার নিদর্শন মাত্র।