সৃষ্টির পরশমনি

সৃষ্টির পরশমনি 17%

সৃষ্টির পরশমনি লেখক:
: মোহাম্মাদ আলী মোর্ত্তজা
প্রকাশক: বিশ্ব ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্র কোম,ইরান।
বিভাগ: ইমাম মাহদী (আ.)

সৃষ্টির পরশমনি
  • শুরু
  • পূর্বের
  • 40 /
  • পরের
  • শেষ
  •  
  • ডাউনলোড HTML
  • ডাউনলোড Word
  • ডাউনলোড PDF
  • ভিজিট: 22806 / ডাউনলোড: 4411
সাইজ সাইজ সাইজ
সৃষ্টির পরশমনি

সৃষ্টির পরশমনি

লেখক:
প্রকাশক: বিশ্ব ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্র কোম,ইরান।
বাংলা

প্রথম ভাগ :এক দৃষ্টিতে ইমাম মাহদী (আ .)

শিয়া মাযহাবের শেষ ইমাম এবং রাসূল (সা.)-এর বারতম উত্তরাধিকারী ২২৫ হিজরীর ১৫ই শাবান শুক্রবার প্রভাতে (৮৬৮ খ্রীষ্টাব্দে) ইরাকের সামেররা শহরে জন্মগ্রহণ করেন।

শিয়া মাযহাবের একাদশ ইমাম হযরত হাসান আসকারী (আ.) তার মহান পিতা। মাতা হযরত নারজিস খাতুন। নারজিস খাতুনের পিতা হলেন রোমের যুবরাজ ,আর মাতা আশ্ শামউন সাফার বংশধর হযরত ঈসা (আ.)- এর ওয়াসি এবং নবীগণের বন্ধু হিসাবে পরিচিত। নারজিস খাতুন স্বপ্নের মাধ্যমে ইসলাম গ্রহণ করেন এবং ইমাম হাসান আসকারী (আ.)-এর নির্দেশ অনুযায়ী যুদ্ধের ময়দানে যান এবং সেখানে অন্যান্য মুসলমানদের সাথে বন্দি হন। ইমাম হাদী আন্ নাকী (আ.) একজনকে প্রেরণ করেন এবং সে নারজিস খাতুনকে কিনে সামেররায় ইমামের বাড়িতে নিয়ে আসে।

এসম্পর্কে আরও কয়েকটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল হযরত নারজিস কিছুদিন যাবৎ ইমাম হাদী (আ.)-এর বোন হযরত হাকিমা খাতুনের বাড়িতে ছিলেন এবং তিনি তাকে অনেক কিছু শিক্ষা-দীক্ষা দিয়েছিলেন। হযরত হাকিমা খাতুন নারজিস খাতুনকে অধিক সম্মান করতেন। নারজিস খাতুন হলেন সেই রমনী যার প্রশংসা করে পূর্বেই রাসূল (সা.) ,১০ আলী (আ.) ১১ ও ইমাম জাফর সাদিক (আ.) ১২ হতে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। তাকে সর্বোত্তম দাসী এবং তাদের নেত্রী হিসাবেও উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য যে ইমাম মাহদী (আ.)-এর মাতা আরও কয়েকটি নামে যেমন: সুসান ,রেহানা ,মালিকা এবং সাইকাল (সাকিল) নামে পরিচিত।

নাম ,কুনিয়া ও উপাধি

ইমাম মাহদী (আ.)-এর নাম ও কুনিয়া ১৩ রাসূল (সা.)-এর নাম ও কুনিয়ার অনুরূপ। কিছু সংখ্যক হাদীসে তার আবির্ভাবের পূর্ব পর্যন্ত তাকে নাম ধরে ডাকতে নিষেধ করা হয়েছে।

ইমাম যামানার প্রসিদ্ধ উপাধিসমূহ হচ্ছে: মাহ্দী ,কায়েম ,মুনতাযার ,বাকিয়াতুল্লাহ ,হুজ্জাত ,খালাফে সালেহ ,মানসুর ,সাহেবুল আমর ,সাহেবুয্ যামান এবং ওলী আসর আর সর্বাধিক প্রসিদ্ধ হল মাহ্দী। প্রতিটি উপাধিই মহান ইমাম সম্পর্কে এক বিশেষ বাণীর বার্তাবাহক।

ঐ মহান ইমামকে মাহ্দী বলা হয়েছে। কারণ তিনি নিজে হেদায়াত প্রাপ্ত এবং অন্যদেরকে সঠিক পথে হেদায়াত করবেন। তাকে কায়েম বলা হয়েছে। কেননা তিনি সত্যের জন্য সংগ্রাম করবেন। তাকে মুনতাযার বলা হয়েছে। কেননা সকলেই তার জন্য অপেক্ষা করে আছে। তাকে বাকিয়াতুল্লাহ বলা হয়েছে। কেননা তিনি হচ্ছেন আল্লাহর হুজ্জাত এবং গচ্ছিত শেষ সম্পদ।

হুজ্জাত অর্থাৎ সৃষ্টির প্রতি আল্লাহর স্পষ্ট দলিল এবং খালাফে সালেহ -এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহর ওয়ালিগণের উত্তরাধিকারী। তিনি মানসুর কেননা আল্লাহ তাকে সাহায্য করবেন। তিনি সাহেবুল আমর কেননা ঐশী ন্যায়পরায়ণ সরকার গঠনের দায়িত্ব তার উপর ন্যান্ত হয়েছে। তিনি সাহেবুয্ যামান এবং ওয়ালি আসর কেননা তিনি হচ্ছেন তার সময়ের একছত্র অধিপতি।

জন্মের ঘটনা

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) হতে বহুসংখ্যক হাদীস বর্ণিত হয়েছে যে তার বংশ হতে মাহ্দী নামক একজন ব্যক্তি অভ্যূত্থান করবেন এবং তিনি অত্যাচারের ভিতকে সমূলে উৎপাটন করবেন। অত্যাচারী আব্বাসীয় শাসকরা এঘটনা জানতে পেরে ইমাম মাহদী (আ.)-কে তার জন্মলগ্নেই হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। সুতরাং ইমাম জাওয়াদ (আ.)-এর সময় থেকে মাসুম ইমামগণের জীবন-যাপন কড়া সীমাবদ্ধতার মধ্যে চলে আসে এবং ইমাম হাসান আসকারী (আ.)-এর সময়ে এ পরিস্থিতি চরম পর্যায়ে পৌছায়। এমনকি ইমাম (আ.)-এর গৃহের অতি সামান্য আসা যাওয়ার বিষয়ও শাসকবর্গের নখদর্পনে থাকত। অতএব এমতাবস্থায় শেষ ইমাম তথা ঐশী নবজাতকের জন্ম গোপনে বা লোকচক্ষুর আড়ালে হওয়াটাই বাঞ্চনীয়। ঠিক একারণেই ইমাম হাসান আসকারী (আ.)-এর অতি নিকট আত্মীয়রাও ইমাম মাহদী (আ.)-এর জন্মের ঘটনা সম্পর্কে জানতেন না। এমনকি জন্মের কয়েক ঘন্টা পূর্বেও হযরত নারজিস খাতুনের গর্ভবতী অবস্থা পরিদৃষ্ট ছিল না।

হযরত ইমাম মুহাম্মদ তকী আল জাওয়াদ (আ.)-এর কন্যা হাকিমাহ বলেন যে ,ইমাম হাসান আসকারী (আ.) তাকে বললেন:

ফুপি আম্মা আজকে ১৫ই শাবান ,আমাদের সাথে ইফতার করুন। কেননা ,আজ রাতে (রাতের শেষ ভাগে) আল্লাহ তার বরকতময় হুজ্জাতকে দুনিয়াতে প্রেরণ করবেন।

আমি বললাম: এই বরকতময় নবজাতকের জননী কে ?

ইমাম হাসান আসকারী (আ.) বললেন: নারজিস ।

আমি বললাম: কিন্তু আমি তো তার কোন আলামত দেখছি না!

ইমাম (আ.) বললেন: কল্যাণ এর মধ্যেই নিহিত ,আমি যা বলেছি তা ঘটবেই ইনশা আল্লাহ ।

আমি নারজিস খাতুনের ঘরে প্রবেশ করে সালাম করে বসলাম ,সে আমার পায়ের থেকে জুতা খুলে বলল: শুভ রাত্র হে আমার ,নেত্রী। আমি বললাম: তুমি আমার এবং আমাদের পরিবারের মহারাণী।

নারজিস খাতুন বললেন: না! আমি কোথায় আর এ মর্যাদা কোথায়।

আমি বললাম: হে আমার কন্যা! আল্লাহপাক তোমাকে আজ রাত্রে এমন একটি সন্তান দান করবেন যে দুনিয়া ও আখেরাতের নেতা।

একথা শোনার পর সে বিনয় ও লাজুকতার সাথে বসে পড়ল। আমি নামায-কালাম পড়ে ইফতার করে শুয়ে পড়লাম।

মধ্যরাত্রে উঠে তাহাজ্জুতের নামায পড়লাম। নারজিস ঘুমাচ্ছিল কিন্তু বাচ্চা হওয়ার কোন আলামত দেখতে পেলাম না। নামায শেষে পুনরায় শুয়ে পড়লাম।

কিছুক্ষণ পর ঘুম ভেঙ্গে গেল দেখলাম নারজিস নামায পড়ছে কিন্তু বাচ্চা হওয়ার কোন আলামত দেখতে পেলাম না। তখন আমার সন্দেহ হল ইমাম হয়ত ঠিক বুঝতে পারে নি।

এমন সময় ইমাম হাসান আসকারী তার শোয়ার ঘর থেকে উচ্চস্বরে বললেন ,(আ.)

لا تجعلی یا عمه فإنّ الامر قد قرب

ফুপি আম্মা ব্যস্ত হবেন না বাচ্চা হওয়ার সময় ঘনিয়ে এসেছে।

একথা শোনার পর আমি সুরা সাজদা এবং সুরা ইয়াছিন পড়তে লাগলাম। এর মধ্যে হটাৎ নারজিস লাফিয়ে উঠলে আমি কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম তোমার ব্যথা অনুভব হচ্ছে ?বলল , হ্যাঁ ফুপি।

আমি বললাম: চিন্তার কোন কারণ নেই ধৈর্য ধর ,তোমাকে যে সুসংবাদ দিয়েছিলাম এটা তারই পূর্বাভাস।

অতঃপর আমি ও নারজিস সামান্য ঘুমালাম ,জেগে দেখি সেই চোখের মণি জন্মগ্রহণ করেছে এবং সেজদা করছে। তাকে কোলে নিয়ে দেখলাম সম্পুর্ণ পাক ও পবিত্র কোন ময়লা তার গায়ে নেই। এমন সময় ইমাম হাসান আসকারী (আ.) বললেন , ফুপি আম্মা আমার সন্তানকে আমার কাছে নিয়ে আসুন।

আমি নবজাতককে তার কাছে নিয়ে গেলাম তিনি শিশুটিকে বুকে জড়িয়ে নিলেন এবং নিজের জিহ্বাকে তার মুখে দিলেন এবং চোখে ও কানে হাত বুলালেন এবং বললেন:

تکلم یا ابی

আমার সাথে কথা বল হে আমার পুত্র।

পবিত্র শিশুটি বলল:

اشهد ان لا اله الا الله وحده لا شریک له و اشهد انّ محمد رسول الله

অতঃপর ইমাম আলী (আ.) সহ সকল ইমাম (আ.) গণের উপর দরুদ পাঠ করলেন।

ইমাম হাসান আসকারী (আ.) বললেন: ফুপি! তাকে তার মায়ের কাছে নিয়ে যান সে মাকে সালাম করবে ,তারপর আমার কাছে ফিরিয়ে নিয়ে আসুন।

তাকে তার মায়ের কাছে নিয়ে গেলাম ,সে মাকে সালাম করল নারজিস সালামের উত্তর দিল এবং আবার তাকে তার পিতার কাছে নিয়ে গেলাম।

হাকিমা খাতুন বলেন , পরের দিন আমি ইমাম হাসান আসকারী (আ.)- এর কাছে গিয়ে সালাম করলাম এবং ঘরে ঢুকে নবজাতককে দেখতে পেলাম না। ইমামের কাছে জানতে চাইলাম , ইমাম মাহ্দী কোথায় ,তাকে দেখছিনা কেন ,তার কি হয়েছে ?ইমাম বললেন: ফুপি ,তাকে তার কাছে শপে দিয়েছি যার কাছে হযরত মুসার মাতা মুসা (আ.)-কে শপে দিয়েছিলেন।

হাকিমা খাতুন বলেন , সপ্তম দিনে আবার ইমামের বাসায় গেলাম এবং ইমাম আমাকে বললেন: ফুপি ,আমার সন্তানকে আমার কাছে নিয়ে আসুন! আমি তাকে ইমামের কাছে নিয়ে আসলাম। ইমাম বললেন: হে আমার সন্তান! কথা বল! শিশুটি মুখ খুললেন এবং কালিমা শাহাদত পাঠ করলেন। অতঃপর মহানবী ও তার পবিত্র আহলে বাইতের প্রতি দরুদ পাঠ করলেন। অতঃপর এই আয়াতটি তিলাওয়াত করলেন:

) وَنُرِ‌يدُ أَن نَّمُنَّ عَلَى الَّذِينَ اسْتُضْعِفُوا فِي الْأَرْ‌ضِ وَنَجْعَلَهُمْ أَئِمَّةً وَنَجْعَلَهُمُ الْوَارِ‌ثِينَ وَنُمَكِّنَ لَهُمْ فِي الْأَرْ‌ضِ وَنُرِ‌يَ فِرْ‌عَوْنَ وَهَامَانَ وَجُنُودَهُمَا مِنْهُم مَّا كَانُوا يَحْذَرُ‌ونَ (

আমি ইচ্ছা করলাম পৃথিবীতে যাদেরকে হীনবল করা হয়েছিল ,তাদের প্রতি অনুগ্রহ করতে ,তাদের প্রতি অনুগ্রহ করতে ,তাদেরকে নেতৃত্ব দান করতে এবং উত্তরাধিকারী করতে। এবং তাদেরকে পৃথিবীতে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত করতে ,আর ফিরাউন হামান ও তাদের বাহিনীকে তা দেখিয়ে দিতে যা তাদের নিকট তারা আশঙ্কা করত। ১৪ (সূরা আল কাসাস আয়াত নং ৫ ,৬ )

আকৃতি এবং বৈশিষ্ট্য

রাসূল (সা.) ও তার পবিত্র আহলে বাইত (আ.)-এর বাণীতে ইমাম মাহদী (আ.)-এর আকৃতি ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে তার কিছু এখানে তুলে ধরছি:

তার চেহারা যুবক এবং গৌরবর্ণেও ,কপাল প্রশস্ত ও উজ্বল ,ভ্রু চাঁদের মত ,চোখের রং কালো ও টানা টানা ,টানা নাক ও সুন্দর ,দাঁতগুলো চকচকে। ইমামের ডান চোয়ালে একটি কালো তিল আছে এবং কাধের মাঝে নবীগণের মত চিহ্ন আছে। তার গঠন সুঠাম ও আকর্ষণীয়।

পবিত্র ইমামদের পক্ষ থেকে তার সম্পর্কে যে সকল বৈশিষ্ট্য বর্ণিত হয়েছে তার কিছু এখানে তুলে ধরা হল:

ইমাম মাহদী (আ.) তাহাজ্জুদের নামাজ পড়েন ,সংযমি এবং সাধারণ ,ধৈর্যশীল এবং দয়ালু ,সৎকর্মশীল ও ন্যায়পরায়ণ । তিনি সকল জ্ঞান- বিজ্ঞানের ধনভান্ডার। তার সম্পূর্ণ অস্তিত্ব জুড়ে পবিত্রতা এবং বরকতের ঝর্ণাধারা। তিনি জিহাদী ও সংগ্রামী ,বিশ্বজনীন নেতা ,মহান বিপ্লবী এবং তিনি প্রতিশ্রুত শেষ সংষ্কারক ও মুক্তিদাতা। সেই জ্যোর্তিময় অস্তিত্ব রাসূলের বংশধর ,হযরত ফাতিমাতুয্ যাহরার সন্তান এবং সাইয়্যেদুশ্ শুহাদা হযরত ইমাম হুসাইন (আ.)-এর নবম বংশধর। তিনি মক্কা শরিফে আবির্ভূত হবেন এবং তার হাতে থাকবে রাসূল (সা.)-এর ঝাণ্ডা। তিনি সংগ্রামের মাধ্যমে আল্লাহর দ্বীনকে রক্ষা করবেন ও আল্লাহর শরিয়তকে সারাবীশ্বে প্রচলিত করবেন। এ পৃথিবী অন্যায় অত্যাচারে পরিপূর্ণ হওয়ার পর তিনি তা ন্যায়-নীতিতে পরিপূর্ণ করবেন। ১৫

ইমাম মাহদী (আ.)-এর জীবনি তিনটি অধ্যায়ে বিভক্ত:

গুপ্ত অবস্থা : জন্মের পর থেকে ইমাম হাসান আসকারী (আ.) এর শাহাদত পর্যন্ত তিনি গুপ্ত অবস্থায় জীবন-যাপন করেন।

অদৃশ্যকাল : ইমাম হাসান আসকারী (আ.)-এর শাহাদতের পর থেকে শুরু হয়েছে এবং আল্লাহর নির্দেশে আবির্ভাব হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তা চলতে থাকবে।

আসরে যহুর (আবির্ভাবের সময়): অদৃশ্যকাল শেষ হওয়ার পর মহান আল্লাহর ইচ্ছায় তিনি আবির্ভূত হবেন এবং পৃথিবীকে সুখ-শান্তি ও সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ করবেন। কেউই তার আবির্ভাবের সময়কে জানেন না । ইমাম মাহদী (আ.) নিজেই বলেছেন , যারা তার আবির্ভাবের সময়কে নির্ধারণ করবে তারা মিথ্যাবাদী। ১৬

তথ্যসূত্র :

1 । ইমাম হোসাইনের জন্মের তারিখের ব্যাপারে বিভিন্ন বক্তব্যের উল্লেখ আছে। কিন্তু আমরা আহলে বাইতের অনুসারীদের মাঝে প্রসিদ্ধ তারিখের বর্ণনা করেছি। এলাম আল ওয়ারা ;তাবারসী ,পৃ. 213।

2 । সম্ভবত আসমা বলতে ইয়াযিদ ইবনে সাকান আনসারীর কন্যাকে বুঝানো হয়েছে। আইয়ানুশ শিয়া ,একাদশ অধ্যায় ,পৃ. 167।

3 । আমালী ,তুসী ,1ম খণ্ড ,পৃ. 377।

4 । শাব্বার হাসানের অনুরূপ আর শুবাইর হোসাইনের এবং মুশবির মুহ্সিনের অনুরূপ-হযরত হারুনের পুত্র সন্তানদের নাম ছিল। ইসলামের নবী (সা.) তাঁর সন্তানদের তথা হাসান ,হোসাইন ও মুহ্সিনকে এ নামে নামকরণ করেছেন। তাওজুল আরুস ,3য় খণ্ড ,পৃ. 389। এ তিনটি শব্দ হিব্রু ভাষায় যে অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে আরবী ভাষায় সেই একই অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। লিসানুল আরাব ,6ষ্ঠ খণ্ড ,পৃ. 60।

5 । মায়ানি আল আখবার ,পৃ. 57।

6 । ইসলামী উৎসসমূহে আকিকা সমন্ধে প্রচুর তাগিদ দেয়া হয়েছে এবং সন্তানের সুস্থতার জন্যে অত্যন্ত ফলদায়ক বলে গণ্য করা হয়েছে। ওসায়েলুশশিয়া ,15তম খণ্ড ,পৃ. 143।

7 । আল কাফি ,6ষ্ঠ খণ্ড ,পৃ. 33।

8 । মাকতাল আল খাওয়ারেযমী ,1ম খণ্ড ,পৃ. 146। কামালুদ্দীন ,সাদুক ,পৃ. 152।

9 । সুনানে তিরমিযী ,5ম খণ্ড ,পৃ. 323।

10 । যাখায়েরুল উকবা ,পৃ. 122।

11 । আল ইসাবা ,11তম খণ্ড ,পৃ. 330।

12 । সুনানে তিরমিযী ,5ম খণ্ড ,পৃ. 324। এ বিভাগে আহলে সুন্নাতের গ্রন্থাবলী থেকে রেওয়ায়েত বর্ণনা করা হলো যেন তাদের জন্যে এগুলো সনদ হিসেবে কাজ করে।

13 । আল ইসাবা ,1ম খণ্ড ,পৃ. 333।

14 । তাযকিরাতুল খাওয়াস ,ইবনে জাওযি ,পৃ. 34। আল ইসাবা ,1ম খণ্ড ,পৃ. 133। কোন কোন ঐতিহাসিক এ ঘটনাকে ইমামের দশ বৎসর বয়সে সংঘটিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।

15 । ইরশাদুল মুফিদ ,পৃ. 173।

16 । রিজাল ,কাশশী ,পৃ. 94।

17 । মাকতালে খাওয়ারেযমী ,1ম খণ্ড ,পৃ. 184।

18 । হাজ্বীদের জন্যে যিলহজ্বের অষ্টম দিনে মিনাতে চলে যাওয়া মুস্তাহাব কাজ। তৎকালীন আমলে এ মুস্তাহাব কাজটি আমর করা হতো। কিন্তু আমাদের সময়ে এটাই প্রচলিত যে যিলহজ্বের অষ্টম দিনে সরাসরী আরাফতের ময়দানে চলে যেতে হয়।

19 । কামেল আয যিয়ারাত ,পৃ. 68। মুশিরুর আহযান ,পৃ. 9।

20 । লুহুফ ,পৃ. 53।

21 । কামেল আয যিয়ারাত ,পৃ. 105।

22 । প্রাগুক্ত ,পৃ. 101।

23 । প্রাগুক্ত ,পৃ. 121।

24 । প্রাগুক্ত ,পৃ. 147।

25 । আকদুল ফারিদ ,3য় খণ্ড ,পৃ. 143।

26 । ইরশাদুল মুফিদ ,পৃ. 214।

27 । মানাকিবে শাহরে আশুব ,3য় খণ্ড ,পৃ. 224। উসুদুল গাবা ,2য় খণ্ড ,পৃ. 20।

28 । মরহুম শেখ মুফিদ (রহ.) লাতিফের দু টি অর্থ করেছেন -যা আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম। (ক) সূক্ষ্ম বস্তুর সৃষ্টিকর্তা এবং যার কাজ-কর্ম অত্যন্ত দক্ষতাপূর্ণ ও সূক্ষ্ম , (খ) যিনি তাঁর বান্দাদের মঙ্গল ও দয়া করে থাকেন।

29 । উপরোক্ত দোয়াটি আল্লামা সাইয়্যেদ ইবনে তাউস ইকবাল নামক গ্রন্থের পৃ. 339-350 ,বালাদুল আমিন ;কাফআমি ,পৃ. 251-258 ,বিহারুল আনওয়ার ,98তম খণ্ড ,পৃ. 213 ,মাফাতিহুল জিনান ,মুহাদ্দীসে কোমী এবং আরো অন্যান্য গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। এ দোয়ার আরবী পাঠ্য থেকে উপকৃত হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের মাফাতিহুল জিনানের আরাফাত দিবসে ইমাম হোসাইন (আ.)-এর দোয়া দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি ।

30 । উসদুল গাবা ,2য় খণ্ড ,পৃ. 20।

31 । যিকরুল হোসাইন ,1ম খণ্ড ,পৃ. 152 (রিয়াদুল জিনান ,বোম্বে থেকে প্রকাশিত) ,পৃ.: 241 ,এবং আনসাবুল আশরাফ গ্রন্থদ্বয় থেকে উদ্ধৃত )।

32 । সূরা নাহল : 22।

33 । তাফসীরে আইয়াশী ,2য় খণ্ড ,পৃ. 257।

34 । মানাকিবে শাহরে আশুব ,2য় খণ্ড ,পৃ. 222।

35 । আল ইমামাহ্ ওয়াস সিয়াসাহ্ ,1ম খণ্ড ,পৃ. 253।

36 । সুমুয়ুল মানী ,পৃ. 104-এর পর থেকে ভাবার্থ বর্ণনা করা হয়েছে। 

37 । তোহাফুল উকুল ,পৃ. 244।

38 । তোহাফুল উকুল ,পৃ. 246।

39 । আমালী ,সাদুক ,পৃ. 121।

40 । বিহারুল আনওয়ার ,78 ,পৃ. 126 (ভাবার্থ তুলে ধরা হয়েছে)।

41 । বালাগাতুল হোসাইন ,পৃ. 87। (দইলামীর রচিত ইরশাদুল কুলুব থেকে উদ্ধৃত)।

42 । বিহারুল আনওয়ার ,78তম খণ্ড ,পৃ. 116।

43 । প্রাগুক্ত ,পৃ. 117।

44 । বিহারুল আনওয়ার ,78তম খণ্ড ,পৃ. 117।

45 । বালাগাতুল হোসাইন ,পৃ. 308 ।

46 । প্রাগুক্ত ,পৃ. 307। বিহারুল আনওয়ার ,17তম খণ্ড।

47 । বালাগাতুল হোসাইন ,পৃ. 293।

48 । প্রাগুক্ত ,পৃ. 292।

49 । প্রাগুক্ত ,পৃ. 332।

সূচীপত্র

জন্ম 3

হোসাইন এবং রাসূলুল্লাহ্ (সা.) 4

হোসাইন পিতার সাথে 6

ভাইয়ের সাথে ইমাম হোসাইন 7

মুয়াবিয়ার শাসনামলে ইমাম হোসাইন (আ.) 8

ইমাম হোসাইনের আন্দোলন 10

ইমাম হোসাইন (আ.)-এর আচরণ ও শিষ্টাচার 17

তথ্যসূত্র : 29

তথ্যসূত্র :

1 । ইমাম হোসাইনের জন্মের তারিখের ব্যাপারে বিভিন্ন বক্তব্যের উল্লেখ আছে। কিন্তু আমরা আহলে বাইতের অনুসারীদের মাঝে প্রসিদ্ধ তারিখের বর্ণনা করেছি। এলাম আল ওয়ারা ;তাবারসী ,পৃ. 213।

2 । সম্ভবত আসমা বলতে ইয়াযিদ ইবনে সাকান আনসারীর কন্যাকে বুঝানো হয়েছে। আইয়ানুশ শিয়া ,একাদশ অধ্যায় ,পৃ. 167।

3 । আমালী ,তুসী ,1ম খণ্ড ,পৃ. 377।

4 । শাব্বার হাসানের অনুরূপ আর শুবাইর হোসাইনের এবং মুশবির মুহ্সিনের অনুরূপ-হযরত হারুনের পুত্র সন্তানদের নাম ছিল। ইসলামের নবী (সা.) তাঁর সন্তানদের তথা হাসান ,হোসাইন ও মুহ্সিনকে এ নামে নামকরণ করেছেন। তাওজুল আরুস ,3য় খণ্ড ,পৃ. 389। এ তিনটি শব্দ হিব্রু ভাষায় যে অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে আরবী ভাষায় সেই একই অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। লিসানুল আরাব ,6ষ্ঠ খণ্ড ,পৃ. 60।

5 । মায়ানি আল আখবার ,পৃ. 57।

6 । ইসলামী উৎসসমূহে আকিকা সমন্ধে প্রচুর তাগিদ দেয়া হয়েছে এবং সন্তানের সুস্থতার জন্যে অত্যন্ত ফলদায়ক বলে গণ্য করা হয়েছে। ওসায়েলুশশিয়া ,15তম খণ্ড ,পৃ. 143।

7 । আল কাফি ,6ষ্ঠ খণ্ড ,পৃ. 33।

8 । মাকতাল আল খাওয়ারেযমী ,1ম খণ্ড ,পৃ. 146। কামালুদ্দীন ,সাদুক ,পৃ. 152।

9 । সুনানে তিরমিযী ,5ম খণ্ড ,পৃ. 323।

10 । যাখায়েরুল উকবা ,পৃ. 122।

11 । আল ইসাবা ,11তম খণ্ড ,পৃ. 330।

12 । সুনানে তিরমিযী ,5ম খণ্ড ,পৃ. 324। এ বিভাগে আহলে সুন্নাতের গ্রন্থাবলী থেকে রেওয়ায়েত বর্ণনা করা হলো যেন তাদের জন্যে এগুলো সনদ হিসেবে কাজ করে।

13 । আল ইসাবা ,1ম খণ্ড ,পৃ. 333।

14 । তাযকিরাতুল খাওয়াস ,ইবনে জাওযি ,পৃ. 34। আল ইসাবা ,1ম খণ্ড ,পৃ. 133। কোন কোন ঐতিহাসিক এ ঘটনাকে ইমামের দশ বৎসর বয়সে সংঘটিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।

15 । ইরশাদুল মুফিদ ,পৃ. 173।

16 । রিজাল ,কাশশী ,পৃ. 94।

17 । মাকতালে খাওয়ারেযমী ,1ম খণ্ড ,পৃ. 184।

18 । হাজ্বীদের জন্যে যিলহজ্বের অষ্টম দিনে মিনাতে চলে যাওয়া মুস্তাহাব কাজ। তৎকালীন আমলে এ মুস্তাহাব কাজটি আমর করা হতো। কিন্তু আমাদের সময়ে এটাই প্রচলিত যে যিলহজ্বের অষ্টম দিনে সরাসরী আরাফতের ময়দানে চলে যেতে হয়।

19 । কামেল আয যিয়ারাত ,পৃ. 68। মুশিরুর আহযান ,পৃ. 9।

20 । লুহুফ ,পৃ. 53।

21 । কামেল আয যিয়ারাত ,পৃ. 105।

22 । প্রাগুক্ত ,পৃ. 101।

23 । প্রাগুক্ত ,পৃ. 121।

24 । প্রাগুক্ত ,পৃ. 147।

25 । আকদুল ফারিদ ,3য় খণ্ড ,পৃ. 143।

26 । ইরশাদুল মুফিদ ,পৃ. 214।

27 । মানাকিবে শাহরে আশুব ,3য় খণ্ড ,পৃ. 224। উসুদুল গাবা ,2য় খণ্ড ,পৃ. 20।

28 । মরহুম শেখ মুফিদ (রহ.) লাতিফের দু টি অর্থ করেছেন -যা আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম। (ক) সূক্ষ্ম বস্তুর সৃষ্টিকর্তা এবং যার কাজ-কর্ম অত্যন্ত দক্ষতাপূর্ণ ও সূক্ষ্ম , (খ) যিনি তাঁর বান্দাদের মঙ্গল ও দয়া করে থাকেন।

29 । উপরোক্ত দোয়াটি আল্লামা সাইয়্যেদ ইবনে তাউস ইকবাল নামক গ্রন্থের পৃ. 339-350 ,বালাদুল আমিন ;কাফআমি ,পৃ. 251-258 ,বিহারুল আনওয়ার ,98তম খণ্ড ,পৃ. 213 ,মাফাতিহুল জিনান ,মুহাদ্দীসে কোমী এবং আরো অন্যান্য গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। এ দোয়ার আরবী পাঠ্য থেকে উপকৃত হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের মাফাতিহুল জিনানের আরাফাত দিবসে ইমাম হোসাইন (আ.)-এর দোয়া দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি ।

30 । উসদুল গাবা ,2য় খণ্ড ,পৃ. 20।

31 । যিকরুল হোসাইন ,1ম খণ্ড ,পৃ. 152 (রিয়াদুল জিনান ,বোম্বে থেকে প্রকাশিত) ,পৃ.: 241 ,এবং আনসাবুল আশরাফ গ্রন্থদ্বয় থেকে উদ্ধৃত )।

32 । সূরা নাহল : 22।

33 । তাফসীরে আইয়াশী ,2য় খণ্ড ,পৃ. 257।

34 । মানাকিবে শাহরে আশুব ,2য় খণ্ড ,পৃ. 222।

35 । আল ইমামাহ্ ওয়াস সিয়াসাহ্ ,1ম খণ্ড ,পৃ. 253।

36 । সুমুয়ুল মানী ,পৃ. 104-এর পর থেকে ভাবার্থ বর্ণনা করা হয়েছে। 

37 । তোহাফুল উকুল ,পৃ. 244।

38 । তোহাফুল উকুল ,পৃ. 246।

39 । আমালী ,সাদুক ,পৃ. 121।

40 । বিহারুল আনওয়ার ,78 ,পৃ. 126 (ভাবার্থ তুলে ধরা হয়েছে)।

41 । বালাগাতুল হোসাইন ,পৃ. 87। (দইলামীর রচিত ইরশাদুল কুলুব থেকে উদ্ধৃত)।

42 । বিহারুল আনওয়ার ,78তম খণ্ড ,পৃ. 116।

43 । প্রাগুক্ত ,পৃ. 117।

44 । বিহারুল আনওয়ার ,78তম খণ্ড ,পৃ. 117।

45 । বালাগাতুল হোসাইন ,পৃ. 308 ।

46 । প্রাগুক্ত ,পৃ. 307। বিহারুল আনওয়ার ,17তম খণ্ড।

47 । বালাগাতুল হোসাইন ,পৃ. 293।

48 । প্রাগুক্ত ,পৃ. 292।

49 । প্রাগুক্ত ,পৃ. 332।

সূচীপত্র

জন্ম 3

হোসাইন এবং রাসূলুল্লাহ্ (সা.) 4

হোসাইন পিতার সাথে 6

ভাইয়ের সাথে ইমাম হোসাইন 7

মুয়াবিয়ার শাসনামলে ইমাম হোসাইন (আ.) 8

ইমাম হোসাইনের আন্দোলন 10

ইমাম হোসাইন (আ.)-এর আচরণ ও শিষ্টাচার 17

তথ্যসূত্র : 29


4

5

6

7

8

9

10

11

12

13

14

15

16

17