সৃষ্টির পরশমনি

সৃষ্টির পরশমনি 0%

সৃষ্টির পরশমনি লেখক:
: মোহাম্মাদ আলী মোর্ত্তজা
প্রকাশক: বিশ্ব ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্র কোম,ইরান।
বিভাগ: ইমাম মাহদী (আ.)

সৃষ্টির পরশমনি

লেখক: মুহাম্মদ মাহদী হায়েরীপুর,মাহদী ইউসুফিয়ান ও মুহাম্মদ আমীন বালাদাসতিয়ান
: মোহাম্মাদ আলী মোর্ত্তজা
প্রকাশক: বিশ্ব ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্র কোম,ইরান।
বিভাগ:

ভিজিট: 20560
ডাউনলোড: 3371

পাঠকের মতামত:

সৃষ্টির পরশমনি
বইয়ের বিভাগ অনুসন্ধান
  • শুরু
  • পূর্বের
  • 40 /
  • পরের
  • শেষ
  •  
  • ডাউনলোড HTML
  • ডাউনলোড Word
  • ডাউনলোড PDF
  • ভিজিট: 20560 / ডাউনলোড: 3371
সাইজ সাইজ সাইজ
সৃষ্টির পরশমনি

সৃষ্টির পরশমনি

লেখক:
প্রকাশক: বিশ্ব ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্র কোম,ইরান।
বাংলা

তৃতীয় ভাগ :অদৃশ্য ইমামের সুফল

শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে লোক-সমাজ ইমামের আবির্ভাব হতে বঞ্চিত এবং মুসলিম উম্মাহও তাদের ঐশী নেতা ও পবিত্র ইমামের সহচার্য্য থেকে বঞ্চিত। তাহলে তার অদৃশ্যে অবস্থান ,দৃষ্টির অন্তরালে জীবন-যাপন এবং মানুষেল ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকা পৃথিবী তথা বিশ্ববাসীর জন্য কি কাজে আসবে ?এটা কি হতে পারত না ,যে তিনি আবির্ভাবের নিকটবর্তী সময়ে জন্মগ্রহণ করতেন এবং নিজের অদৃশ্যের জন্য তার অনুসারীদের এই দূর্ভোগ পোহাতে হত না ?

এ ধরনের প্রশ্ন ইমাম তথা আল্লাহর হুজ্জাতের মর্যাদা সম্পর্কে জ্ঞান না থাকার কারণেই জন্ম নেয়।

আসলে সৃষ্টিজগতে ইমামের অবস্থান কোথায় ?তার সকল সুফল কি কেবল মাত্র তার প্রকাশ্যে থাকার মধ্যে নিহীত ?তিনি কি শুধুমাত্র মানুষেরই নেতা নাকি তার অস্তিত্ব সৃষ্টির সকল কিছুর জন্য ফলপ্রসূ ?

ইমাম সৃষ্টির কেন্দ্রবিন্দু (কান্ডারী)

শিয়া মাযহাবের দৃষ্টিতে এবং ইসলামী শিক্ষার ভিত্তিতে ইমাম হচ্ছেন সৃষ্টির সকল আস্তিত্বের মাঝে আল্লাহর রহমত পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যম। তিনি হচ্ছেন সৃষ্টিজগতের কেন্দ্রবিন্দু ও মানদণ্ড এবং তিনি না থাকলে পৃথিবী ,মানুষ ,জ্বীন ,ফেরেশতা ,পশু ও জড়বস্তু কিছুরই অস্থিত্ব থাকবে না।

ইমাম জা ফর সাদেক (আ.)-এর কাছে প্রশ্ন করা হল ,ইমাম ব্যতীত পৃথিবীর অস্তিত্ব টিকে থাকতে পারে কি ?

তিনি বললেন: ইমাম না থাকলে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। 66

তিনি যে মানুষের কাছে আল্লাহর বাণী পৌঁছে দেওয়ার এবং তাদেরকে পরিপূর্ণতার দিকে দিকনির্দেশ করার মাধ্যম এবং সকল কল্যাণ ও দয়া তার মাধ্যমেই সবার কাছে পৌঁছে তা একটি অতি স্পষ্ট ও অনিবার্য বিষয়। কেননা ,সৃষ্টির প্রথম থেকেই আল্লাহ তা আলা মানুষকে তার রাসূল এবং পরবর্তীতে তাদের উত্তরাধিকারীদের মাধ্যমে হেদায়াত করে আসছেন। তবে মাসুম ইমামগণের থেকে বর্ণিত হাদীস থেকে বোঝা যায় যে ,পৃথিবীর বুকে পবিত্র ইমামগণের আসার উদ্দেশ্য হচ্চে বৃহৎ থেকে অতি ক্ষুদ্রতম জিনিসের কাছে আল্লাহর রহমত ও বরকত পৌঁছে দেওয়া। আরো স্পষ্টভাবে বলা যায় যে ,প্রত্যেকেই যে রহমত ও বরকত পেয়ে থাকে তা পবিত্র ইমামদের মাধ্যমেই পেয়ে থাকে। তাদের অস্তিত্বও ইমামদের মাধ্যমেই এবং তাদের জীবনের সকল নিয়ামত ও কল্যাণও ইমামদের মাধ্যমে অর্জিত হয়।

যিয়ারতে জামে কাবীরা যা ইমাম পরিচিতির একটি বিশেষ পাঠ সেখানে বর্ণিত হয়েছে:

بکم فتح الله و بکم یختم و بکم یترل الغیث و بکم یمسک السماء ان تقع علی الارض الا باذنه

হে মহান ইমামগণ আল্লাহপাক আপনাদের মাধ্যমেই পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছেন এবং আপনাদের মাধ্যমেই তার সমাপ্তি ঘটাবেন। আপনাদের পবিত্র অস্তিত্বের মাধ্যমেই বৃষ্টি বর্ষিত হয় এবং আপনাদের মাধ্যমেই আকাশ দন্ডায়মান রয়েছে। 67

সুতরাং ইমামের অস্তিত্বের প্রভাব তথা সুফলতা কেবলমাত্র তার আবির্ভাব ও প্রকাশ্যে থাকার মধ্যেই বিদ্যমান নয় বরং শুধুমাত্র তার অস্তিত্বই সকল অস্তিত্বের উৎস স্বরূপ। আল্লাহই এটা চেয়েছেন যে ,ইমামগণ সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ট অস্তিত্ব হিসাবে সকল অস্তিত্বের কাছে আল্লাহর রহমত ও বরকত পৌঁছে দিবেন আর এক্ষেত্রে তার প্রকাশ্য ও অদৃশ্য অবস্থার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। হ্যাঁ প্রত্যেকেই ইমামের অস্তিত্ব থেকে লাভবান হয়ে থাকে এবং ইমাম মাহ্দী ( আ .)- এর অন্তর্ধান তাতে ক োন বাধার সৃষ্টি করে না। আরো মজার ব্যপার হচ্ছে যে ,ইমাম মাহদী ( আ .)- এর কাছে অদৃশ্যকালীন সময়ে আমরা কিভাবে লাভবান হতে পারি সে সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন :

و اما وجه الانتفاع بی فی غیبتی فکا الانتفاع بالشمس اذا غیبتها عن الابصار السحاب

আমার অদৃশ্যের পর আমার থেকে তোমাদের উপকারিতা হচ্ছে সূর্যের ন্যায় যখন তা মেঘের আড়ালে থাকে। 68

ইমামকে সূর্যের সাথে তুলনা করা এবং অদৃশ্যকে মেঘের আড়ালে থাকা সূর্যের সাথে তুলনা করার মধ্যে অনেক গভীরতা রয়েছে যা নিম্নে তুলে ধরা হল:

সৌরজগতে সূর্যের ভূমিকা সবচেয়ে বেশী। তাকে কেন্দ্র করে অন্য সব গ্রহ অনবরত ঘুরছে। অনুরূপভাবে ইমাম মাহদী (আ.)ও সকল সৃষ্টির কেন্দ্রবিন্দু।

ببقائه بقیت الدنیا و بیمنه رزق الوری و بوجوده ثبتت الررض و السماء

তার কারণেই পৃথিবী অস্তিত্বমান এবং তার বরকতেই পৃথিবীর সকলেই রিযিক প্রাপ্ত হয় এবং তার বরকতেই পৃথিবী ও আকাশ প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। 69

সূর্য কখনোই কিরণ দেওয়া থেকে বিরত থাকে না এবং যে যতটুকু তার সাথে সম্পর্ক রাখবে সে ততটুকুই সূর্যের আলো থেকে উপকৃত হতে পারবে। অনুরূপভাবে ইমাম মাহদী (আ.)-এর মাধ্যমেই সকলেই আধ্যাত্মিক ও পার্থিব নিয়ামত গ্রহণ করে থাকে। তবে প্রত্যেকেই তাদের সম্পর্ক অনুযায়ী উপকৃত হবে।

এই সূর্য যদি মেঘের আড়ালেও না থাকে তাহলে অতি ঠান্ডা এবং বিদঘুটে অন্ধকারে পৃথিবী বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে উঠবে। অনুরূপভাবে ইমাম যদি দৃষ্টির অন্তরালেও না থাকতেন তাহলে নানাবিধ সমস্যায় মানুয়ের জীবন ধারণ অসম্ভব হয়ে পড়ত।

শেখ মুফিদ (রহ.)-এর কাছে লেখা ইমাম মাহ্দী (আ.)-এর একটি চিঠিতে শিয়া মাযহাবকে উদ্দেশ্য করে লিখেছিলেন:

انا غیر مهملین لمراعاتکم و لا ناسین لذکرکم ذلک لترل بکم اللاواء و اصطلمکم الاعداء

আমরা কখনোই তোমাদেরকে তোমাদের উপর ছেড়ে দেই নি এবং কখনোই তোমাদেরকে ভুলে যাই নি। যদি তা না হত তাহলে তোমরা অনেক বালা- মুছিবতের সম্মুখিন হতে এবং শত্রুরা তোমাদেরকে ধ্বংস করে ফেলত । 70

সুতরাং ইমামের অস্তিত্বের কিরণ পৃথিবীর উপর পড়ে এবং সকলকে উপকৃত করে। এর মধ্যে মানুষ বিশেষ করে মুসলমানরা এবং আরো বিশেষ করে শিয়ারা বেশী উপকৃত হয়ে থাকে এখানে তার কিছু নমুনা তুলে ধরা হল:

ক) - আশার আলো

জীবনের শ্রেষ্ঠ মূলধনের একটি হচ্ছে আশা বা উদ্দেশ্য। আশাই হচ্ছে বেচেঁ থাকা ,স্বাচ্ছন্দ ও উন্নতির সোপান। আশা নিয়েই মানুষ অগ্রসর হয় এবং পদক্ষেপ গ্রহণ করে। পৃথিবীতে ইমামের অস্তিত্বও আমাদেরকে উজ্বল ও আনন্দঘন ভবিষ্যতের আশা যোগায়। শিয়া মাযহাব চৌদ্দ শত বছরের ইতিহাসে অনবরত বিভিন্ন ধরনের কঠিন বিপদের সম্মুখিন হয়েছে। উজ্বল ভবিষ্যৎ ঈমানদার ও দ্বীনদারদের জন্য এ আশা ও বিশ্বাসই তাদেরকে জীবনের গতিধারা চালিয়ে যেতে এবং কঠিন বিপদের নিকট পরাস্ত না হতে শক্তি যুগিয়েছে। যে ভবিষ্যৎ কাল্পনিক বা রূপকথা নয়। সে ভবিষ্যৎ নিকটবর্তী এবং আরও নিকটবর্তী হতে পারে। কেননা ,যিনি এই বিপ্লবের নেতা তিনি জীবিত এবং সদা প্রস্তুত। প্রস্তুত হতে হবে কেবল অমাদেরকে।

খ) - মাযহাবের প্রতিষ্ঠার জন্যে

প্রতিটি সমাজেরই তার কাঠামো রক্ষা করতে এবং নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে একজন জ্ঞানী নেতার প্রয়োজন। এভাবে সমাজ তার দৃষ্টিভঙ্গি ও নেতৃত্বের মাধ্যমে সঠিক পথে পরিচালিত হবে। নেতার অস্তিত্ব সামাজের মানুষের জন্য এক বিরাট সহায়ক যার মাধ্যমে তারা সুসংঘটিতভাবে তাদের পূর্বার্জিত সাফল্যকে সংরক্ষণ করে ভবিষ্যৎ প্রকল্পকে বাস্তবায়ন করার সাহস পায়। জীবিত ও যোগ্য নেতা ,সমষ্টির মাঝে না থাকলেও সংবিধান ও সামগ্রিক কর্মপদ্ধতি বর্ণনা করার ক্ষেত্রে সামান্যতম অবহেলা করেন না। তাছাড়া বিভিন্ন উপায়ে তিনি ভ্রান্ত পথ সম্পর্কে সতর্ক করে দেন।

যামানার ইমাম (আ.) অদৃশ্যে থাকলেও তার অস্তিত্ব শিয়া মাযহাবকে রক্ষা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তিনি শত্রুদের সকল ষড়যন্ত্র সম্পর্কে অবগত বিধায় বিভিন্নভাবে শিয়া মাযহাবের চিন্তার সীমানাকে রক্ষা করে থাকেন। প্রতারক শত্রুরা যখন বিভন্নভাবে ধর্মের মূলভিত্তি এবং মানুষের বিশ্বাসকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিতে চেষ্টা করে (তখন ইমাম) আলেম ও নির্বাচিত ব্যক্তিদেরকে হেদয়াত ও নির্দেশের মাধ্যমে শত্রুদের প্রবেশ পথ রুদ্ধ করে দেন।

বাহরাইনের শিয়াদের উপর ইমামের দয়া সম্পর্কে আল্লামা মাজলিসী (রহ.) বলেছেন:

প্রাচীনকালে বাহরাইনে একজন নাসেবী (যারা হযরত আলী (আ.)-এর উপর লানত পাঠ করত) হুকুমত করত। তার এক উজির ছিল ,যে হযরত আলী (আ.)-এর সাথে শত্রুতার মাত্রা ছাড়িয়ে ফেলেছিল। একদিন সে বাদশার কাছে একটি কাচাঁ ডালিম নিয়ে গেল যার গায়ে লেখা ছিল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসূলুলাহ ,আবুবকর ,ওমর ,ওছমান এবং আলী - খুলাফায়ে রাসূলুল্লাহ। বাদশা এটা দেখে আশ্চার্যান্বিত হয়ে গেল এবং উজিরকে বলল: এটা শিয়া মাযহাবকে বাতিল প্রমাণ করার জন্য একটি স্পষ্ট ও বলিষ্ট দলিল। তুমি বাহরাইনের শিয়াদের সম্পর্কে কি ধারণা করছ ?উজির উত্তর দিল: আমার মনে হয় তাদের সকলকে ডেকে এটা দেখানো উচিৎ। যদি তারা মেনে নেয় তাহলে তারা তাদের মাযহাবকে পরিত্যাগ করবে । আর যাদি না মানে তাহলে আমরা তাদেরকে তিনিটি পথের যে কোন একটি বেছে নিতে বলব। তারা এটার একটা যুক্তি সংগত উত্তর দিবে ,নইলে জিযিয়া কর দিবে ,অথবা তাদের পুরুষদেরকে হত্যা করা হবে এবং সন্তান ও নারীদেরকে গনিমত হিসাবে বন্দি করে আনা হবে।

বাদশা তার সিদ্ধান্তকে মেনে নিল এবং শিয়া মাযহাবের পণ্ডিতদেরকে ডেকে পাঠাল। অতঃপর ডালিমটা তাদেরকে দেখিয়ে বলল: যদি এটার কোন যুক্তি সংগত দলিল না দেখাতে পারেন তাহলে আপনাদেরকে হত্যা করে আপনাদের সন্তান ও নারীদেরকে গনিমত হিসাবে বন্দি করে আনা হবে। অথবা জিযিয়া কর দিতে হবে। শিয়া মাযহাবের পণ্ডিতরা তিন দিন সময় চাইলেন। তারা একত্রে বসে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছলেন যে ,বাহরাইনে যত বড় আলেম ও পরহেজগার শিয়া আছে তাদের মধ্য থেকে দশ জনকে বাছাই করে তার ভিতর থেকে তিন জনকে বেছে নিয়ে এক জনকে বললেন: আপনি আজ রাত্রে মরুভুমিতে গিয়ে ইমাম যামানার কাছে সাহায্য চাইবেন এবং তার কাছ থেকে মুক্তির পথ জেনে নিবেন। কেননা তিনি হচ্ছেন আমাদের ইমাম এবং অভিভাবক।

ওই ব্যক্তি গেলেন এবং সাহায্য চাইলেন কিন্তু ইমামের সাক্ষাৎ পেলেন না । দ্বিতীয় রাতে আরেক জন গেল সেও ইমামের সাক্ষাৎ পেল না। তৃতীয় এবং শেষ রাতে তৃতীয় ব্যক্তি যার নাম ছিল মুহাম্মদ বিন ঈসা তিনি গেলেন। তিনি অনেক কেঁদে-কেটে ইমামের কাছে সাহায্য চাইলেন। শেষ রাত্রের দিকে সে শূনতে পেল কেউ তাকে বলছেন: হে মুহাম্মদ বিন ঈসা এভাবে মরুভুমিতে এসে কাঁদছ কেন ?মুহাম্মদ বিন ঈসা বলল: আমাকে আমার অবস্থায় থাকতে দিন। তিনি বললেন: হে মুহাম্মদ বিন ঈসা আমিই তোমাদের সাহেবায্ যামান। তোমার মনের কথা বল! মুহাম্মদ বিন ঈসা বলল: আপনি যদি ইমাম যামানা হয়ে থাকেন তাহলে তো আপনি সবই জানেন ,কাজেই আমার কিছুই বলার দরকার নেই । ইমাম বললেন: তুমি ঠিকই বলেছো এবং ওই সমস্যার সমাধান নিতে এখানে এসেছ। সে বলল: হ্যাঁ আপনি আমাদের ইমাম আপনি আমাদেরকে এই বিপদ থেকে রক্ষা করুন। ইমাম বললেন: হে মুহাম্মদ বিন ঈসা! ওই উজিরের বাড়িতে ডালিম গাছ আছে। যখন গাছে নতুন ডালিম ধরা শুরু করে সে মাটি দিয়ে একটি ডালিমের মত ছাচ তৈরী করে অর্ধেক করে তার মধ্যে ওই লেখা গুলো লেখে। অতঃপর ডালিম ছোট থাকা অবস্থায় সেটাকে ছাচের মধ্যে ঢুকিয়ে বেধে রাখে। যেহেতু ডালিমটা ঐ ছাচের মধ্যে বড় হয় ঐ লেখা গুলো ডালিমের উপর ছাপ পড়ে যায়। কালকে বাদশার কাছে গিয়ে বলবে আমি জবাবটা উজিরের বাড়িতে গিয়ে দিব। উজিরের বাড়িতে গিয়ে তার আগেই অমুক কক্ষে যেয়ে একটি সাদা ব্যগ দেখতে পাবে যার মধ্যে একটি মাটির ছাচ আছে। সেটাকে বাদশাকে দেখাবে। আর একটি দলিল হচ্ছে যে ,বাদশাকে বলবে: আমাদের আর একটি মো জেযা হচ্ছে ডালিমটা ভেঙ্গে দেখুন তার মধ্যে ছাই ব্যতীত আর কিছুই পাবে না!

মুহাম্মদ বিন ঈসা তা শূনে খুব খুশি হল এবং শিয়াদের কাছে ফিরে আসল। পরের দিন তারা বাদশার কাছে গেল এবং ইমাম যামান যা বলেছিলেন তা সত্য প্রমাণিত হল।

বাদশা এই মো জেযা দেখে শিয়া হয়ে গেল এবং উজিরকে মৃত্যুদণ্ড দিল । 71

গ) - আত্মশুদ্ধি

পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে:

) وَقُلِ اعْمَلُوا فَسَيَرَى اللَّهُ عَمَلَكُمْ وَرَسُولُهُ (

এবং ( হে রাসূল ) বলুন , তোমরা কর্ম করতে থাক ( কিন্তু জেনে রেখ ) আল্লাহ তো তোমাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করেন এবং তার রাসূল ও মু মিনগণও করেন। 72

হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে কোরআনের এ আয়াতে মু মিন বলতে পবিত্র ইমামগণকেই বুঝানো হয়েছে। 73 সুতরাং মানুষের আমলনামা ইমাম যামানার কাছে পৌঁছে এবং তিনি পর্দার আড়াল থেকে আমাদের কর্মকাণ্ড দেখতে পান । এই সত্যের প্রশিক্ষণগত বড় প্রভাব রয়েছে এবং শিয়া মাযহাবকে নিজেদের কর্মসমূহকে পরিশুদ্ধ করতে আশা যোগায় এবং আল্লাহর হুজ্জাত ভালদেরকে ইমামের মোকাবেলায় গোনাহ থেকে রক্ষা করে। তবে মানুষ যত বেশী ওই পবিত্র ইমামের দিকে লক্ষ্য রাখবে তার অন্তরও তত বেশী পবিত্র হবে এবং এই পবিত্রতা তার কথা ও কর্মেও প্রকাশ পাবে।

ঘ) - জ্ঞান ও চিন্তার আশ্রয়স্থল

পবিত্র ইমামগণ (আ.) সমাজের (মানুষের) প্রকৃত শিক্ষক ও প্রশিক্ষণদাতা এবং জনগণ সর্বদা তাদের দূর্লভ শিক্ষা থেকে উপকৃত হয়ে থাকে। অদৃশ্যকালীন সময়ে যদিও সরাসরি ইমামকে কাছে পাওয়া যায় না এবং সবধরনের সুবিধা তার কাছ থেকে পাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনা কিন্তু ওই ঐশী জ্ঞান ভাণ্ডার বিভিন্নভাবে শিয়াদের চিন্তাগত এবং বুদ্ধিবৃত্তিক সমস্যার সমাধান করে থাকেন । স্বল্পমেয়াদী অদৃশ্যকালীন সময়ে জনগণ এবং আলেমদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব ইমাম চিঠির মাধ্যমে (যা তৌকিয়াত নামে বিশেষ পরিচিত) দিতেন। 74

ইমাম যামানা (আ.) ইসহাক ইবনে ইয়াকুবের চিঠির প্রশ্নের উত্তরে লিখেছিলেন:

আল্লাহ তোমাকে হেদায়াত করুন এবং সঠিক পথে প্রতিষ্ঠিত রাখুন। কিন্তু তুমি আমার চাচার বংশের এবং নিজেদের বংশের কিছু লোকের কথা লিখেছ যারা আমাদের ইমামতকে অস্বীকার করে। জেনে রাখ যে ,আল্লাহর সাথে কারো আত্মিয়তার সম্পর্ক নেই এবং যারা আমাদেরকে অস্বীকার করে তারা আমাদের কিছুই নয়। তাদের শেষ পরিণতি হযরত নুহের ছেলের ন্যায়... । আর তোমার খুমস সম্পর্কে যা জানতে চেয়েছ যতক্ষণ না তা পবিত্র (হালাল) করছ গ্রহণ করব না ।

কিন্তু যে সকল জিনিস আমাদের জন্য পাঠিয়েছ যদি পাক ও হালাল হয় তাহলে তা গ্রহণ করব। যে আমাদের জিনিসকে হালাল মনে করে খাবে সে আগুন খেয়েছে এবং আমার থেকে উপকৃত হওয়া মেঘের আড়ালে সূর্যের মত। আমি পৃথিবীবাসীর মুক্তির উপায় যেভাবে তারকা রাজি আসমানবাসীদের মুক্তির মাধ্যম। যে সকল জিনিসে তোমাদের কোন লাভ নেই তা সম্পর্কে জানতে চেও না এবং তোমাদের কাছে যা চাওয়া হয় নি তার জন্য অযথা কষ্ট করো না। আমার আবির্ভাব তরান্বিত হওয়ার জন্য বেশী বেশী দোয়া করবে। কেননা ,তার মধ্যে তোমাদের কল্যাণ নিহিত রয়েছে। হে ইসহাক বিন ইয়াকুব তোমার প্রতি এবং যারা হেদায়াতের অনুসারী তাদের প্রতি সালাম। 75

গাইবাতে সোগরার পরও শিয়া মাযহাবের আলেমরা নিজেদের নানাবিধ সমস্যাকে ইমামের কাছে বলেছেন এবং তার সমাধানও পেয়েছেন। মোকাদ্দাস আরদেবেলীর এক ছাত্র মীর আল্লাম বলেন:

মধ্য রাত্রে নাজাফে আশরাফে ইমাম আলী (আ.)-এর মাযারে ছিলাম হঠাৎ দেখলাম এক জন লোক রওজা শরীফের দিকে যাচ্ছে ,তার কাছে গিয়ে দেখি তিনি হচ্ছেন শেইখ এবং আমার ওস্তাদ মোল্লা আহমাদ মোকাদ্দাস আরদেবেলী। নিজেকে লুকিয়ে রাখলাম।

তারা রওজার নিকটবর্তী হলেন কিন্তু দরজা বন্ধ ছিল। হঠাৎ দেখলাম দরজা খুলে গেল এবং তারা ঢুকে পড়লেন! কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে আসলেন এবং কুফার দিকে রওনা হলেন।

আমিও তার পিছন পিছন রওনা হলাম যেন আমাকে দেখতে না পান। কুফার মসজিদে প্রবেশ করলেন এবং মেহরাবের কাছে গেলেন যেখানে আমিরুল মু মিনিন আলী (আ.)-কে তলোয়ারের আঘাত হেনেছিল কিছুক্ষণ সেখানে থাকলেন। অতঃপর মসজিদ থেকে বেরিয়ে আবার নাজাফের দিকে রওনা হলেন। আমিও তার পিছু পিছু ছিলাম তিনি মসজিদে হান্নানাতে পৌঁছালেন। হঠাৎ আমার কাশি হল তিনি শব্দ শুনে তাকিয়ে আমাকে চিনতে পারলেন। বললেন: তুমি মীর আল্লাম ?বললাম: হ্যাঁ! বললেন: এখানে কি করছ ?বললাম: আপনি যখন থেকে ইমাম আলী (আ.)-এর রওজায় প্রবেশ করেছেন তারপর থেকে আপনার সাথেই আছি। এই কবরের শপথ দিয়ে বলছি আজকে যা দেখলাম তার রহস্য কি তা আমাকে বলুন!

বললেন: শর্ত হচ্ছে যে ,আমি জীবিত থাকা পর্যন্ত তা কাউকে বলতে পারবে না! তাকে কথা দিলাম তখন বললেন: যখন আমি কোন সমস্যায় পড়ি তখন তার সমাধানের জন্য আমিরুল মু মিনিনের কাছে আসি। আজও একটি সমস্যায় পড়েছিলাম এবং তার সমাধানের জন্য এসেছিলাম।

আসার পর দরজা বন্ধ দেখলাম এবং তুমিতো দেখলেই যে ,তা খুলে গেল। ভিতরে গিয়ে ক্রন্দন করলাম যে ,হে আল্লাহ আমার সমস্যার সমাধান করে দিন হঠাৎ পবিত্র রওজা থেকে আওয়াজ আসল এবং বললেন: কুফার মসজিদে গিয়ে কায়েমের কাছে প্রশ্ন কর। কেননা ,সে হচ্ছে তোমার যামানার ইমাম। অতঃপর কুফার মসজিদে গিয়ে ইমাম মাহ্দীর কাছে প্রশ্ন করলাম এবং তার উত্তর নিয়ে এখন বাড়ি যাচ্ছি। 76

ঙ) - আত্মিক ও অভ্যান্তরীণ হেদায়াত

ইমাম তথা আল্লাহর হুজ্জাতের দায়িত্ব হল জনগণের নেতৃত্ব দান ও হেদায়াত করা এবং যারা হেদায়াতের নূর গ্রহণ করতে প্রস্তুত তাদের পথপ্রদর্শন করা। এই ঐশী দায়িত্ব পালন করার জন্য কখনো তিনি সরাসরি জনগণের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেন এবং নিজ গঠণমূলক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে তাদেরকে সৌভাগ্য ও কল্যাণের পথ নির্দেশ করেন। কখনো আবার ইমামতের শক্তি এবং অদৃশ্য ঐশী ক্ষমতার মাধ্যমে মানুষের অন্তরে প্রভাব বিস্তার করেন। বিশেষ অনুগ্রহের মাধ্যমে তাদের অন্তরসমূহকে ভালর দিকে আকৃষ্ট করেন এবং উন্নতি ও পরিপূর্ণতার পথকে সুগম করেন। এক্ষেত্রে ইমামের বাহ্যিক উপস্থিতি ও সরাসরি যোগাযোগের কোন প্রয়োজন নেই বরং এ পদ্ধতিতে হেদায়াত কেবলমাত্র অভ্যান্তরীণ ও আত্মিকভাবে হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ইমামের করণীয় সম্পর্কে হযরত আলী (আ.) বলেন:

হে আল্লাহ শুধুমাত্র আপনার সৃষ্টিকে আপনার দিকে হেদায়াত করার জন্যই আপনি আপনার হুজ্জাতকে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন ... কখনো তার অস্তিত্ব বাহ্যিকভাবে মানুষের দৃষ্টির অন্তরালে থাকলেও নিঃসন্দেহে তার শিক্ষা ও আদর্শ মু মিনদের মাঝে বিদ্যমান থাকে এবং তারা তার ভিত্তিতেই আমল করে থাকে 77

অদৃশ্য ইমাম এভাবেই বিশ্বজনীন বিপ্লবের জন্য সৈন্য তৈরী করে থাকেন। যাদের সেই যোগ্যতা আছে তারাই ইমামের বিশেষ শিক্ষায় প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকে এবং ইমামের সাথে থেকে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে থাকে। এটা অদৃশ্য ইমামের একটি দায়িত্ব এবং তা তার অস্তিত্বের বরকতেই সংঘটিত হয়ে থাকে।

চ) - বালা মুছিবত হতে মুক্তি

নিঃসন্দেহে নিরাপত্তা হচ্ছে জীবনের সবচেয়ে প্রধান মূলধন। বিভিন্ন ধরণের প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও দুর্ঘটনার কারণে জীবের অস্তিত্ব বিলিন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। কৃত্তিমভাবে এ সকল দুর্ঘটনা কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব কিন্তু আধ্যাত্মিকভাবে তা নিয়ন্ত্রণ করা আরও সহজতর। আমাদের ইমামগণের (আ.) হাদীসে ইমাম তথা আল্লাহর হুজ্জাতের অস্তিত্বকে সৃষ্টিজগতের জন্য নিরাপত্তার মাধ্যম হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ইমাম মাহ্দী (আ.) নিজেই বলেছেন:

و انی لامان لاهل الارض

আমি পৃথিবীর অধিবাসিদের জন্য ( বালা মুছিবত হতে ) নিরাপত্তার কারণ 78

ইমামের কারণেই মানুষ তাদের বিভিন্ন গোনাহের ফলে আল্লাহর কঠিন আযাব থেকে মুক্তি পেয়ে থাকে এবং পৃথিবীও ধ্বংস হওয়া থকে রক্ষা পায়। এ সম্পর্কে কোরআন পাকে বর্ণিত হয়েছে:

) وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُعَذِّبَهُمْ وَأَنْتَ فِيهِمْ وَمَا كَانَ اللَّهُ مُعَذِّبَهُمْ وَهُمْ يَسْتَغْفِرُونَ (

(হে রাসূল) আল্লাহ এমন নহেন যে আপনি তাদের (মুসলমানদের) মধ্যে থাকবেন অথচ তিনি তাদেরকে শাস্তি দিবেন এবং আল্লাহ এমনও নহেন যে ,তারা ক্ষমা প্রার্থনা করবে অথচ তিনি তাদেরকে শাস্তি দিবেন। 79

ইমাম মাহ্দী (আ.) যেহেতু আল্লাহর রহমত ও দয়ার বহিঃপ্রকাশ সুতরাং তিনি তার বিশেষ মহানুভবতার মাধ্যমে কঠিন আযাব ও বিপদকে বিশেষকরে প্রতিটি শিয়াদের থেকে দূর করবেন। যদিও অনেক ক্ষেত্রে শিয়ারা তার দয়া ও রহমতের প্রতি সচেতন না হয়ে থাকে। ইমাম মাহদী (আ.) নিজেকে এভাবে পরিচয় দিচ্ছেন:

انا خاتم الاوصیاء و بی یدفع الله عز و جل البلاء من اهلی و شیعتی

আমি রাসূল ( সা .)- এর শেষ প্রতিনিধি এবং আল্লাহ তা আলা আমার মাধ্যমে আমাদের শিয়াদের সকল বলা - মুছিবত দূর করবেন 80

ইরানের ইসলামী বিপ্লবের প্রারম্ভে এবং 8 বছর চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের সময়ে বারংবার এ দেশ ও জাতির প্রতি ইমামের দয়া ও মহানুভবতা পরিলক্ষিত হয়েছে। আর এভাবেই ইসলামী রাষ্ট্র ,মুসলিম জাতি ও মাহ্দীবাদ দুশমনদের কালো থাবা থেকে মুক্তি পেয়েছে। ফার্সী 1357 সালের তীর মাসের 21 তারিখে ইমাম খোমিনী (রহ.)-এর নির্দেশে রাজতন্ত্রের পতন ,1359 সালে তাবাস মরুমূমিতে আমেরিকার সামরিক হেলিকপ্টারের পতন ,8 বছরের যুদ্ধে দুশমনদের অপারগতা ইত্যাদি তার উজ্জল দৃষ্টান্ত।

ছ) - রহমতের বারিধারা

প্রতিশ্রুত ইমাম মাহ্দী (আ.) ,মুসলমানদের প্রাণকেন্দ্র এবং শিয়াদের আত্মার আত্মিয় সর্বদা মানুষের আবস্থার প্রতি দৃষ্টি রাখেন। ওই দয়ালু সূর্যের অদৃশ্যতা জনগণকে তার সুখকর প্রতিবিম্ব থেকে উপকৃত হতে কখনোই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে না। ওই দ্বীপ্তিময় চন্দ্র সর্বদা শিয়াদের বন্ধু ও সুখ দুঃখের ভাগিদার এবং সাহায্য প্রার্থীদের সাহায্যকারী। কখনো অসুস্থদের মাথায় স্নেহের হাত বুলিয়ে রোগের উপষম ঘটিয়েছেন। কখনো আবার পথ হারা পথিককে পথ দেখিয়েছেন। অসহায়ের সহায়তা করেছেন। কখনো আবার প্রতিক্ষাকারীদের মনে আশার সঞ্চার করেছেন। তিনি যেহেতু আল্লাহর রহমতের বারিধারা তাই মরুভূমির ন্যায় শুষ্ক হৃদয়ে বর্ষিত হন। তিনি শিয়াদের জন্য দোয়া করে তাদের জন্য সবুজ শ্যামল গনিমত উপহার দেন । তিনি আল্লাহর দরবারে প্রার্থনার হাত তুলে আমাদের জন্য মোনাজাত করেন এভাবে :

 یا نور النور یا مدبر الامور یا باعث من فی القبور صل علی محمد و آل محمد و اجعل لی ولشیعتی من الضیق فرجا و من الهم مخرجا و اوسع لنا المنهج و اطلق لنا من عندک ما یفرج و افعل بنا ما انت اهله یا کریم

হে জ্যোতি দানকারী , হে সকল কর্মের নিতি নির্ধারণকারী , হে মৃতদের জীবন দানকারী , রাসূল ( সা .) তার আহলে বাইতের প্রতি দরুদ পাঠ করুন এবং আমার ও আমার শিয়াদের সমস্যার সমাধান করুন। সকল দুঃখ কষ্ট হতে পরিত্রাণ দান করুন। হেদায়াতের পথকে আমাদের জন্য প্রশস্ত করুন। যে পথে আমাদের মুক্তি , আমাদেরকে সেই পথ প্রদর্শন করুন। হে করুনাময় আমাদের প্রতি আপনার করুনা বর্ষণ করুন 81

যা বর্ণিত হয়েছে তা হচ্ছে ইমাম অদৃশ্যে থাকলেও তার সাথে যোগাযোগ রাখা সম্ভব এবং যারা সে যোগ্যতা রাখেন তারা তার সাহচার্য পাওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন।