ইমাম মাহদী (আ.)-এর আত্মপ্রকাশ(আসরে যুহুর)

ইমাম মাহদী (আ.)-এর আত্মপ্রকাশ(আসরে যুহুর)0%

ইমাম মাহদী (আ.)-এর আত্মপ্রকাশ(আসরে যুহুর) লেখক:
: মোহাম্মাদ মুনীর হোসেন খান
প্রকাশক: ইসলামী সেবা দপ্তর,কোম,ইরান
বিভাগ: ইমাম মাহদী (আ.)

ইমাম মাহদী (আ.)-এর আত্মপ্রকাশ(আসরে যুহুর)

লেখক: আল্লামা আলী আল কুরানী
: মোহাম্মাদ মুনীর হোসেন খান
প্রকাশক: ইসলামী সেবা দপ্তর,কোম,ইরান
বিভাগ:

ভিজিট: 81156
ডাউনলোড: 9314

পাঠকের মতামত:

ইমাম মাহদী (আ.)-এর আত্মপ্রকাশ(আসরে যুহুর)
বইয়ের বিভাগ অনুসন্ধান
  • শুরু
  • পূর্বের
  • 62 /
  • পরের
  • শেষ
  •  
  • ডাউনলোড HTML
  • ডাউনলোড Word
  • ডাউনলোড PDF
  • ভিজিট: 81156 / ডাউনলোড: 9314
সাইজ সাইজ সাইজ
ইমাম মাহদী (আ.)-এর আত্মপ্রকাশ(আসরে যুহুর)

ইমাম মাহদী (আ.)-এর আত্মপ্রকাশ(আসরে যুহুর)

লেখক:
প্রকাশক: ইসলামী সেবা দপ্তর,কোম,ইরান
বাংলা

শরীফ বারযানজী

তিনি তার আল ইশাআহ ফী আশরাতিস সাআহ গ্রন্থে লিখেছেন : মাহদী প্রসঙ্গে বর্ণিত হাদীসসমূহের মধ্যে বর্ণনাগত পার্থক্য থাকলেও তা নিতান্ত কম নয় ;তাই মুহাম্মদ ইবনুল হাসান আদ দাস্তরী তার মানাকিবুশ শাফিঈ গ্রন্থে বলেছেন : মাহদী প্রসঙ্গে এবং তিনি যে তার (মহানবীর) আহলে বাইতভুক্ত হবেন এতৎসংক্রান্ত মহানবী (সা.) থেকে বর্ণিত হাদীসসমূহ মুতাওয়াতির বা মুতাওয়াতিরের পর্যায়ে উপনীত হয়েছে ।

আনাস ইবনে সীরীন থেকে বর্ণিত আছে যে ,মাহদী আবু বকর ও উমর অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ । তাকে বলা হলো : হে আনাস! তিনি কি আবু বকর ও উমর অপেক্ষাও শ্রেষ্ঠ ?তিনি বললেন : এমনকি তিনি কতিপয় নবী অপেক্ষাও শ্রেষ্ঠ । আর তার থেকে আরো বর্ণিত আছে : তার (মাহদীর) ওপর আবু বকর ও উমরের শেষ্ঠত্ব নেই । সুয়ূতী আল উরফ আল ওয়ার্দী গ্রন্থে বলেছেন : এটি সনদের দিক থেকে সঠিক (অর্থাৎ মাহদীর ওপর আবু বকর ও উমরের শ্রেষ্ঠত্ব নেই- এ কথা ইবনে সীরীন থেকে প্রকৃতই বর্ণিত হয়েছে) এবং তা প্রথম বাক্যের (মহদী আবু বকর ও উমর অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ) চেয়ে হালকা । তিনি বলেছেন : আমার কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও যুক্তিসংগত হচ্ছে বরং তোমাদের মধ্যকার পঞ্চাশ জনের পুরস্কার ( بل أجر خمسین منکم ) এ হাদীসটি যে বিষয় নির্দেশ করে তার ভিত্তিতে উপরিউক্ত বাক্যদ্বয় (মাহদী আবু বকর ও উমর অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ এবং এমনকি তিনি কতিপয় নবী অপেক্ষাও শ্রেষ্ঠ )ব্যাখ্যা করা । কারণ ,মাহদীর যুগে ফিতনা অত্যন্ত প্রবল হবে ।

আমার মতে আসলে শ্রেষ্ঠত্বের দিক থেকে বিভিন্ন ;আর মহানবী (সা.) কোন ব্যক্তিকে যেভাবে অগ্রাধিকার প্রদান করেছেন এবং শ্রেষ্ঠ বলে প্রতিপন্ন করেছেন সেভাবেই তাকে প্রাধান্য দেয়া ও শ্রেষ্ঠ বলে মনে করা উচিত এবং নিরঙ্কুশভাবে শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান কখনোই সমীচীন হবে না । কারণ ,অনুত্তম ব্যক্তির মধ্যেও কোন কোন গুণ থাকে যা উত্তম ব্যক্তির মধ্যে নেই । ফুতুহাত গ্রন্থে শেখ মুহিউদদ্দীন আরাবী থেকে ইতোমধ্যে বর্ণিত হয়েছে যে ,তিনি বিচার ও ফয়সালা প্রদান করার ক্ষেত্রে নির্ভুল হবেন ;করাণ ,তিনি মহানবী (সা.)-এর পদাঙ্কের অনুসারী হবেন বলে কখনো ভুল করবেন না । নিঃসন্দেহে এটি আবু বকর ও উমরের মধ্যে ছিল না । আর যে নয়টি বৈশিষ্ট্য আগে বর্ণনা করা হয়েছে সেগুলোর সব কয়েকটি তার আগের কোন নেতার মধ্যে সন্নিবেশিত হয় নি । তাই এ সব দিক থেকে তাদের দু জনের ওপর তাকে অগ্রাধিকার প্রদান করা যায় । যদিও তাদের দু জনেরই মহানবী (সা.) এর সাহাবী হওয়া ,ওহী অবলোকন ,ইসলাম ধর্ম গ্রহণের ক্ষেত্রে অগ্রগামিতা প্রভৃতি ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব বিদ্যমান । আর মহান আল্লাহই সবচেয়ে ভালো জানেন ।

শেখ আলী কারী আল মাশরাব আল ওয়ার্দী ফী মাজহাবিল মাহদী নামক গ্রন্থে বলেছেন : আর তার শ্রেষ্ঠত্বের দলিল হচ্ছে মহানবী (সা.) তাকে খালিফাতুল্লাহ (মহান আল্লাহর খলীফা) বলে অভিহিত করেছেন এবং আবু বকরকে কেবল খলিফাতু রাসূলিল্লাহর (রাসূলুল্লাহর খলীফা) বলা হয় । 466

পরিশিষ্ট