আধ্যাত্মিক বিস্ময় : শেইখ রজব আলী খাইয়্যাত

আধ্যাত্মিক বিস্ময় : শেইখ রজব আলী খাইয়্যাত0%

আধ্যাত্মিক বিস্ময় : শেইখ রজব আলী খাইয়্যাত লেখক:
: মুহাম্মদ ইরফানুল হক
প্রকাশক: ওয়াইজম্যান পাবলিকেশনস
বিভাগ: দর্শন এবং আধ্যাত্মিকতা

আধ্যাত্মিক বিস্ময় : শেইখ রজব আলী খাইয়্যাত

লেখক: মুহাম্মাদ রেইশাহরি
: মুহাম্মদ ইরফানুল হক
প্রকাশক: ওয়াইজম্যান পাবলিকেশনস
বিভাগ:

ভিজিট: 27055
ডাউনলোড: 4747

পাঠকের মতামত:

আধ্যাত্মিক বিস্ময় : শেইখ রজব আলী খাইয়্যাত
বইয়ের বিভাগ অনুসন্ধান
  • শুরু
  • পূর্বের
  • 34 /
  • পরের
  • শেষ
  •  
  • ডাউনলোড HTML
  • ডাউনলোড Word
  • ডাউনলোড PDF
  • ভিজিট: 27055 / ডাউনলোড: 4747
সাইজ সাইজ সাইজ
আধ্যাত্মিক বিস্ময় : শেইখ রজব আলী খাইয়্যাত

আধ্যাত্মিক বিস্ময় : শেইখ রজব আলী খাইয়্যাত

লেখক:
প্রকাশক: ওয়াইজম্যান পাবলিকেশনস
বাংলা

তথ্যসূত্র :

1. বালামের পরিণতি হওয়ার হুমকি 2য় অধ্যায় , 2য় অংশ।

2. রাবি আল আবরার 2 : 535।

3. মীযান আল-হিকমাহ , খণ্ড -4 , 1628 : 5478।

4. প্রাগুক্ত , খণ্ড-5 , 2058 : 7209।

5. প্রাগুক্ত , খণ্ড-5 , 2060 : 7223।

6. মীযান আল- হিকমাহ , খণ্ড-5 , 2060 : 7218।

7. প্রাগুক্ত , খণ্ড-5 , 2058 : 7202।

8. দেখুন মীযান আল-হিকমাহ , খণ্ড-1 , 40 : 16।

9. প্রাগুক্ত , খণ্ড-13 , 6306 : 20191।

10. প্রাগুক্ত , খণ্ড-13 , 6306 : 20194।

11. এক শাহী সমান 5 দিনার।

12. এক আব্বাসী সমান 4 শাহী।

13. এক দিনার সমান 1 পয়সা।

14. সারমা-এ-সোখান , খণ্ড-1 , 611-613 (সংক্ষিপ্ত)।

15. মীযান আল-হিকমাহ , খণ্ড-1 , 22 : 1।

16. শেইখের দুই সন্তান যারা ইন্তেকাল করেছে।

17. এক গাধা বোঝাই সমান 300 কিলোগ্রাম।

18. কোরআনের অনুবাদ , আব্দুল্লাহ ইউসূফ আলী , নুতন সংস্করণ , 1989।

19. বর্ণনাকারী তরীকতের নাম উল্লেখ করতে বারণ করেছেন।

20. রেই শহরের কাছে একটি পাহাড় , যেখানে বিবি শাহরবানুর (ইমাম হুসাইন আঃ-এর স্ত্রী) কবর রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়।

21. মীযান আল-হিকমাহ , খণ্ড-3 , 1436 : 1040 , এবং আল ইলম ওয়াল হিকমাহ ফীল কিতাব অধ্যায়-4 , অংশ-3 : 4 ,2 , আল ইখলাস।

22. তিনি বর্তমানে ফারসী ভাষা ও সাহিত্য একাডেমীর একজন সদস্য এবং 1954 সনের মাঝামাঝি তাকে হযরত শেইখের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন তারই বন্ধু ডঃ আব্দুল আলী গুইয়া। তিনি শেইখের কথায় গভীরভাবে মুগ্ধ হন এবং একই দিনে তাকে তার শিষ্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং তাকে একটি বিশেষ যিকর শিক্ষা দেয়া হয়। ডঃ গুইয়া বিশ্বাস করতেন যে শেইখ ডঃ ফারযামকে বিশেষ অনুকুল্য দান করেছিলেন এবং তাকে যোগ্য ও প্রতিভাবান পেয়েছিলেন।

23. আমরা বাকিতে বিক্রয় করি , এমনকি আপনার কাছেও , তৃতীয় অধ্যায় , প্রথম ভাগ দেখুন।

24. লেপ ও কম্বলে মোড়া একটি বর্গাকার টেবিল যার নীচে জ্বলন্ত কয়লার পাত্র রাখা হয় পা ও শরীর গরম রাখার জন্য।

25. তিনি পৃথিবীকে আজুস বা ডাইনী বুড়ি বলে সম্বোধন করতেন। দেখুন তৃতীয় অধ্যায় , তৃতীয় ভাগ , আল্লাহর প্রতি ভালোবাসার পথে চোরা গর্ত

26. লেখককে তা ইমাম খোমেইনি (রঃ)-এর কথা স্মরণ করিয়ে দেয় যার বরকতময় জীবন শেষ হয় প্রতিদিন দোয়া-ই- আহাদ (বায়াতের দোয়া) তেলাওয়াত করার মাধ্যমে , যে দোয়া সম্পর্কে ইমাম সাদিক (আঃ) বলেছেন : যে ব্যক্তি এ বায়াত চল্লিশ সকাল পড়বে সে আমাদের ক্বায়েম -এর সাহায্যকারীদের মর্যাদাভুক্ত হবে এবং যদি সে হযরতের পুনরাগমনের পূর্বেই ইন্তেকাল করে তাহলে আল্লাহ তাকে কবর থেকে উঠাবেন হযরতের খেদমত করার জন্য। এছাড়া মাফাতিহুল জিনান দেখুন।

27. দেখুন যে অন্তরে সবকিছু উপস্থিত , 3য় অধ্যায় , তৃতীয় ভাগ।

28. শেইখের একজন ভক্ত বলেন : তিনি মোল্লা আহমাদ নারাক্বীর তাক্বদীস এবং গাযালীর কিমিয়ায়ে সা আদাত পড়তে বলতেন।

29. দেখুন তুমি মেজাজ হারাও খুব দ্রুত , 3য় অধ্যায় , দ্বিতীয় ভাগ।

30. আরবী হরফের গাণিতিক সারণি।

31. সাহিফায়ে সাজ্জাদিয়ায় ইমাম যয়নুল আবেদীন (আঃ)-এর 37নং দোয়া এবং কৃতজ্ঞদের মোনাজাত -এ কথার সমর্থন করে।

32. এমনকি এ কথাও বলা যায় যে সত্য স্বপড়ব সম্মানিত শেইখ থেকে এ বইতে উল্লেখিত বিভিনড়ব বিষয়কে সমর্থন করে।

33. মীযান আল-হিকমাহ , খণ্ড-8 , 3714 : 12748।

34. বর্ণিত আছে যে তিনি হাজ্ব আগা নুরুল্লাহ ইসফাহানির ভাই ছিলেন যিনি আগা নাজাফি ইসফাহানি হিসাবে পরিচিত। তিনি রেযা শাহর শাসনামলে তেহরানের বাজারে সাইয়্যেদ আযিযুল্লাহ মসজিদ -এর ইমাম ছিলেন। তার খোতবা সম্পর্কে শেইখ রজব আলী খাইয়্যাত বলেছেনঃ তার মিম্বার (খোতবা) আল্লাহ প্রেমিক তৈরী করে। রেযা খানের বিরোধিতার কারণে তাকে ইসফাহানে নির্বাসন দেয়া হয় এবং সেখানে তাকে শহীদ করা হয় এবং তাকে দাফন করা হয়েছিলো তাখত-ই-ফুলাদ কবরস্থানে। ডঃ আবুল হাসান শেইখ বলেনঃ একবার হযরত শেইখ এবং আমি তাখত-ই-ফুলাদ কবরস্থানে গেলাম। আমরা একটি কবরের পাশে বসে পড়লাম। হযরত শেইখ বললেনঃ এখানে যাকে দাফন করা হয়েছে তিনি ছিলেন আমার উস্তাদ।

হুজ্জাতুল ইসলাম কারিমি উদ্ধৃতি দিয়েছেন আয়াতুল্লাহ কাযিম আস্সার-এর। যিনি আয়াতুল্লাহ মির্যা জামাল ইসফাহানির একটি আশ্চর্য কারামাহ বর্ণনা করেছেন যা তিনি পেয়েছিলেন আমিরুল মুমিনীন আলী (আঃ) থেকে।

হযরত আয়াতুল্লাহ আস্সার ছিলেন শহীদ মোতাহহারি ইসলামি মাদ্রাসার (আগে নাম ছিলো সিপাহসালার) এক মহান শিক্ষক এবং আমি এবং শেইখ কারাম আলী কারিমি মাদ্রাসায় ছয় বছরের কোর্স তার সাথে এবং আরো কিছু শিক্ষকের সাথে শেষ করি। মির্যা জামাল ইসফাহানির প্রথম কারামা (অলৌকিক ক্ষমতা) সম্পর্কে আমাদেরকে বলেছিলেন আমাদের আসফার (দর্শন)-এর শিক্ষক আয়াতুল্লাহ আস্সার। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বললেনঃ হযরত আয়াতুল্লাহ হাজ্ব আগা জামাল ইসফাহানি (রঃ)-কে রেযা খান পাহলভি তেহরানে নির্বাসন দিয়েছিলেন এবং তিনি ছিলেন বাজারে হাজ্ব সাইয়্যেদ আযীযুল্লাহ মসজিদের ইমাম , তিনি মারভি মাদ্রাসার শিক্ষকতা করতেন। মাদ্রাসায় তার শিক্ষা এত আকর্ষণীয় ও এত মূল্যবান বিষয়পূর্ণ ছিলো যে তার ক্লাসে সবসময় পণ্ডিত ব্যক্তিবর্গ ও জ্ঞানী ছাত্রদের উপচে পড়া ভিড় লেগে থাকতো। এতে এমন হলো যে কিছু মসজিদের ইমাম তার প্রতি ঈর্ষাপরায়ন হয়ে পড়লো।

অতএব তারা (মসজিদের ইমামরা) একটি সভা করল এবং সেখানে ঘোষণা দিলো যে তিনি (আয়াতুল্লাহ ইসফাহানি) একজন অজ্ঞ ব্যক্তি এবং তিনি তার পাশে জড়ো হওয়া আলেমদের ধোঁকা দিয়েছেন। তারা একদিন তাকে তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করলোঃ দর্শন , ফিক্বহ এবং উসূল। আমাকে দায়িত্ব দেয়া হলো তাকে দর্শন শাস্ত্রে (আসফার) পরীক্ষা করবার জন্য এবং অন্য দুইজন যাদের নাম আমি মনে করতে পারছি না তাদের দায়িত্ব ছিলো তাকে ফিক্বহ ও উসূল শাস্ত্র বিষয়ে পরীক্ষা করার। আমরা তিনজন তার ক্লাসে যোগ দেয়ার জন্য , ভিনড়ব ভিনড়ব জায়গায় বসার জন্য এবং আমাদের প্রত্যেকে পাঠদানের সময় তাকে প্রশড়ব করার প্রস্তুতি নিলাম।

আমি (আসসার) আসফার-এর একটি কপি আমার সাথে নিলাম। যখন হাজ্ব আগা জামাল ইসফাহানি দর্শনের একটি দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাখ্যা করছিলেন আমি আসফার থেকে একটি প্রশড়ব তুলে ধরলাম তার দৃষ্টিভঙ্গিতে ভুল ধরে। তিনি আমার দিকে তাকালেন এবং বললেন আমি তোমার প্রশেড়বর উত্তর এভাবে দিবো না। তুমি আসফার -এর যে কোন জায়গা খুলো (ইস্তেখারার মত) এবং পৃষ্ঠার প্রথম লাইনটি পড়।

আমি তাই করলাম এবং পৃষ্ঠার প্রথম বাক্যটি পড়লাম। তিনি বললেনঃ যথেষ্ট হয়েছে এরপর তিনি পুরো পৃষ্ঠাটি লাইনের পর লাইন স্মৃতিশক্তি থেকে বলে গেলেন এবং তা অনুবাদ করলেন। এরপর তিনি বললেনঃ তুমি এখানে এসেছো আমাকে পরীক্ষা করতে ? আমার নিজের কিছুই নেই ; আমার যা আছে (তা আমাকে দিয়েছেন) মুত্তাকীদের মাওলা , আলী ইবনে আবি তালিব (আঃ) ।

এরপর হাজ্ব আগা জামাল আমিরুল মুমিনীন আলী (আঃ)-এর মোজেযার একটি বর্ণনা করেন- আমি নাজাফে চল্লিশ বছর ধরে পড়াশোনা করলাম এবং ইজতিহাদের যোগ্যতা এবং উচ্চমানের বৃত্তি লাভ করলাম। আমার বাবা কিছু পণ্ডিত ব্যক্তি ও ব্যাবসায়ীকে ইসফাহান থেকে নাজাফে পাঠালেন আমাকে ইসফাহানে ফেরত নিয়ে আসতে এবং চেয়ারম্যান ও প্রধান শিক্ষক হিসাবে মাদ্রাসা পরিচালনা করার জন্য। যে রাতের পর আমাদের নাজাফ ছেড়ে ইরান যাওয়ার কথা সে রাতে আমার হঠাৎ করে টাইফয়েড জ্বর শুরু হলো এবং আমি চল্লিশ দিনের জন্য অজ্ঞান পড়ে রইলাম। যখন আমার জ্ঞান ফিরে এলো , আমি দেখলাম যে ছোট কাল থেকে আমি তখন পর্যন্ত যা শিখেছি সব ভুলে গেছি ; আমার সমস্ত অর্জিত জ্ঞান স্মৃতি থেকে মুছে গেছে। আমি মানসিক ভাবে খুবই ভেঙ্গে পড়লাম এবং আমির আল মুমিনীন আলী (আঃ) এর (মাযারে) কাছে গেলাম এবং কানড়বাকাটি শুরু করলাম। আমার মাওলাকে বললামঃ হে আমার মনিব , চল্লিশ বছর ধরে আমি আপনার বিশাল জ্ঞান (ঐশী জ্ঞান) থেকে মূল্যবান খোরাক অর্জন করেছিলাম। কিন্তু এখন আমি বাড়িতে ফেরত যেতে চাই আমার এখন শূন্য হাত । আপনিতো দয়ার সাগর। (মরহুম আস্সার বর্ণনা করার সময় কাঁদছিলেন) এরপর মরহুম আয়াতুল্লাহ হাজ্ব আগা জামাল বললেনঃ আমি এত কানড়বাকাটি ও বিলাপ করলাম যে আমি তন্দ্রা অনুভব করলাম ও ঘুমিয়ে পড়লাম। [আমার ঘুমের ভিতরে] আমি মাওলা আলী (আঃ) কে দেখলাম যিনি তাঁর আঙ্গুলের মাথায় মধু নিয়ে আমার মুখের ভিতর দিলেন এবং আমার গায়ে হাত বুলিয়ে দিলেন। এরপর আমার ঘুম ভেঙ্গে গেলো। যখন আমি বাসায় ফেরত এলাম আমি দেখলাম আমি ছোট কাল থেকে এখন পর্যন্ত যা শিখেছি সব মনে করতে পারছি।

এরপর হাজ্ব আগা জামাল কাঁদলেন এবং বললেনঃ জনাব , আমার নিজের কিছুই নেই। আমি যা জানি তার মালিক হলেন আমার মাওলা এবং ইমাম আমির আল মুমিনীন আলী (আঃ)। আপনারা আসুন এবং আমাকে পরীক্ষা করুন ; আমি সবগুলো পাঠ্য বই অন্তর দিয়ে জানি আল্লাহর (সুবহানাহু ওয়া তায়ালার) অনুগ্রহে এবং আমির আল মুমিনীন আলী (আঃ)- এর দানে। জনাব আস্সার কাঁদছিলেন এবং বললেনঃ যখন হাজ্ব আগা জামাল এই ঘটনা বললেন , সমাবেশ থেকে একটি শোরগোল শোনা গেলো , এবং আমি উঠে দাঁড়ালাম এবং তার কাছে গেলাম তার স্যান্ডেল দু টো বরকত হিসেবে আমার চোখে স্পর্শ করার জন্য।

35.কামেল সাধক ও সংগ্রামী আলেম শেইখ মোহাম্মাদ তাক্বী বাফক্বি ইয়াযদি রেযা খানের সাথে কাশফ-ই-হিজাব (ইরানী মুসলিম মহিলাদের বোরখা পড়া নিষিদ্ধ করে রেযা খানের আদেশ) বিষয়ে বিরোধিতায় লিপ্ত হওয়ার কারণে হযরত মাসুমাহ (আঃ)-এর পবিত্র মাজার প্রাঙ্গনে স্বেচ্ছাচারি রাজা তাকে মারধর করে এবং তাকে রেই শহরে নির্বাসন দেয়া হয়। তিনি সেখানে তার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত থাকেন। যারা এ আধ্যাত্মিক জ্ঞানসম্পনড়ব আলেমের ঘনিষ্ট সাথী ছিলেন তারা তার অনেক কারামাহর কথা বর্ণনা করেছেন। তার চাকর মরহুম শেইখ ইসমাইল আমাকে (লেখককে) বলেছেনঃ তার জীবনের শেষ বছরগুলোতে শেইখ (বাক্বফি) তার বাড়ী থেকে বাইরে বেরোতে পারতেন না অসুস্থতার কারণে। একবার তিনি আমাকে বললেনঃ যখন তুমি হযরত শাহ আব্দুল আযীম-এর (মাযারে) কাছে যিয়ারাতে যাও তুমি কি তিনজন ইমাম যাদেহ র (ইমাম (আঃ)- এর নাতি) যিয়ারাত কর অথবা ইমামযাদেহ তাহিরকে সালাম দাও তার কবরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ? সে যুগে পবিত্র মাযারের উনড়বয়ন করা হয় নি তখনও এবং ইমামযাদেহ তাহির-এর মাযার মূল জায়গা থেকে একটু দূরে ছিলো। আমি বললাম , আমি ইমামযাদেহ তাহির-এর কাছে যিয়ারাতের জন্য যাই না , বরং শুধু তার মাযারের বাইরে দাঁড়িয়ে যিয়ারাত করি। শেইখ বললেনঃ এটি সৌজন্য নয়। তুমি তিনজন সম্মানিত ব্যক্তির দর্শনে গেছো অথচ দু জনের সাক্ষাত করেছো কাছ থেকে এবং একজনকে দূরে থেকে ? এটি অসম্মান হিসেবে বিবেচিত। এরপর যখন যিয়ারাতের জন্য যাবে হযরত তাহির (আঃ)-এর মাযারের ভিতরে প্রবেশ করবে এবং তোমার যিয়ারাত পড়বে তখন তাকে আমার শ্রদ্ধাও পৌঁছে দিবে। শেইখ ইসমাইল বললেনঃ যেভাবে শেইখ বলেছিলেন , আমি হযরত তাহির (আঃ)-এর মাযারে প্রবেশ করলাম। মাযারের ভিতর কেউ ছিলো না ; আমি শেইখের আদেশ স্মরণ করলাম ; আমি যখন বলতে যাবো যে তিনি তার শ্রদ্ধা পাঠিয়েছেন হঠাৎ কবর থেকে এ কথাটি আমি শুনতে পেলাম লাব্বায়েক , লাব্বায়েক , লাব্বায়েক (আমি এখানে)।

ইমাম খোমেইনি (রঃ) তার ব্যক্তিগত পাঠ দানের বৈঠকগুলোতে প্রায়ই তার ছাত্রদেরকে উৎসাহিত করতেন মরহুম বাফক্বির সাথে সাক্ষাত করতে যিনি নির্বাসনে ছিলেন , বলতেনঃ কত আনন্দের এক কাজে দ্বিগুণ প্রশান্তি লাভ , যিয়ারাতে শাহ আব্দুল আযীম এবং প্রিয় শেইখ বাফক্বির সাক্ষাত লাভ।

36. উল্লেখ্য যে একই আয়াত সূরা ইউসূফে উল্লেখ করা হয়েছে , 22নং আয়াতে , ইসতাওয়া শব্দটি ছাড়া।

37. শেইখ এ বিষয়ে আরো কিছু দিক উল্লেখ করেছেন যা উল্লেখ করা হয়েছে তৃতীয় ভাগের প্রথম অধ্যায়ঃ বিশেষ দিক নির্দেশনা।

38. এ ঘটনাটি ঘটে যখন শেইখের বয়স 23।

39. এ হাদীসগুলো সম্পর্কে আরো জানতে হলে দেখুন : মীযান আল-হিকমাহ , খণ্ড-10 , 4988 : 3390-1।

40. মীযান আল-হিকমাহ , খণ্ড-10 , 4988 : 16942।

41. প্রাগুক্ত , খণ্ড-10 , 4990 : 16956।

42. প্রাগুক্ত , খণ্ড-10 , 4988 : 16950।

43. নাহজুল বালাগা , খোতবা নং-222।

44. যারা আমাদের পথে সংগ্রাম করে - নিশ্চয়ই আমরা তাদেরকে আমাদের পথে পরিচালিত করবো। - সূরা আল মূলকঃ 69।

45. মীযান আল হিকমাহ , খণ্ড-4 , 1602 : 5359।

46. প্রাগুক্তঃ খণ্ড-4 , 1602 : 5360।

47. তিনি ওলিয়ে ফক্বীহর প্রতিনিধি এবং দামেস্কে মসজিদে যায়নাবিয়্যাহর জুম আর ইমাম ছিলেন। তিনি শেইখ সম্পর্কে পরবর্তী ঘটনাটিও বর্ণনা করেছিলেন।

48. এ ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন আয়াতুল্লাহ ফাহরি। এ ঘটনাটি তার অন্য দুই ভক্ত সামান্য পার্থক্যসহ বর্ণনা করেছেন।

49. তাফসীরগুলোতে আছে বালাম-ই-বাউর একজন পণ্ডিত ছিলো যার দোয়াগুলো কবুল হতো। তার ছিলো বারো হাজার শিষ্য , কিন্তু তার নফসের কামনা বাসনার কারণে সে তখনকার স্বেচ্ছাচারী শাসককে সাহায্য করতে এগিয়ে যায় , তা ঐ পর্যন্ত যে সে প্রস্তুত হয়ে যায় মূসা (আঃ)-এর সেনাবাহিনীকে অভিশাপ দেয়ার জন্য। তাকে কুকুর-এর সাথে তুলনা করা হয়েছে কোরআনে- তার উদাহরণ হলো একটি কুকুর-এর মত , যদি তুমি তাকে আক্রমণ কর সে তার জিহবা বের করে রাখে অথবা তাকে যদি কিছু না কর , (তখনও) সে জিহবা বের করে রাখে। (সূরা আল আরাফঃ 176)। এছাড়া দেখুন- তাফসীর আল-মীযান , খণ্ড-8 , 339 ; তাফসীর-ই-কুম্মী , খণ্ড-1 , পৃষ্ঠা 248 ; মুনিয়াত আল মুরিদ-151 পৃষ্ঠা।

50. বাতেনী পর্দায় ঢাকা এবং আত্মার অন্ধকার।

51. মীযান আল-হিকমাহ , খণ্ড-10 , 4856 : 3330।

52. আল কাফী , খণ্ড-2 , 352 : 7 ; মীযান আল-হিকমাহ , খণ্ড-10 , 4858 : 16627।

53. বিহার আল-আনওয়ার , খণ্ড-58 , 39।

54. মুহাজ আল-দাওয়াত , 68 ; বিহার আল-আনওয়ার , খণ্ড-85 , 214।

55. বিখ্যাত আলেমদের একজন আয়াতুল্লাহ কুহিস্তানির সাথে সাক্ষাত করতে হযরত শেইখ প্রায়ই যেতেন। যার সম্পর্কে শেইখ বলেছিলেন : জনাব কুহিস্তানি থেকে একটি নূর বেরিয়ে আকাশের দিকে উঠে গেছে। একদিন এক সাক্ষাতে মরহুম আয়াতুল্লাহ কুহিস্তানি হযরত শেইখকে রাস্তার পাশে এগিয়ে দিতে এলেন - তার বাড়ী থেকে প্রায় 1 কিলোমিটার দূরে তাকে বিদায় জানাবার জন্য। কয়েক বছর পর যখন আয়াতুল্লাহ কুহিস্তানি সম্পর্কে শেইখের কথা তাকে জানানো হলো তিনি বিনয়ের সাথে বললেন : সেই দিনগুলোতে আমরা বিভিনড়ব যিক্র করতাম।

এখানে আয়াতুল্লাহ কুহিস্তানি সম্পর্কে একটি অলৌকিক ঘটনা বর্ণনা করা যথাযথ হবে। হাজ্ব সাইয়্যেদ কাসিম সুজাই নামে একজন সুবক্তা ও ধর্ম প্রচারক আমাকে (লেখককে) বলেছেনঃ রাশতের একজন ধর্মপ্রচারক আগা সাদরাই ইশকিওয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হলেন। তাকে রাশত থেকে তেহরানে স্থানান্তর করা হয় এবং আবান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একদিন মরহুম ফালসাফি আমাকে ডাকলেন এবং আমাকে বললেন তার সাথে হাসপাতালে একসাথে তাকে দেখতে যেতে। যখন আমরা সেখানে গেলাম , সালাম বিনিময়ের পর আগা ফালসাফি তাকে জিজ্ঞেস করলেন- আপনার আর্থিক অবস্থা কেমন ?

তিনি উত্তর দিলেন- সাইয়্যেদ আল শুহাদা ইমাম হোসেইন (আঃ)-এর পক্ষ থেকে দান আমাদেরকে চালিয়ে নিচ্ছে।

তিনি বললেন আমরা সবাই সাইয়্যেদ আল শুহাদা র দান উপভোগ করছি। এতে আগা সাদরাই বললেনঃ আমাদের ঘটনা একটু ভিনড়ব। আগা সাদরাই ব্যাখ্যা করলেনঃ আমার একটি চা বাগান রয়েছে যা সাইয়্যেদ আল শুহাদা আমাকে দিয়েছেন এবং এর ফসল আমার বৃদ্ধ বয়সে ও অবসর জীবনে ভরণপোষণ জোগায়। আগা ফালসাফি জিজ্ঞেস করলেনঃ আপনি কীভাবে জানেন যে তা সাইয়্যেদ আল শুহাদা দান করেছেন ? তিনি বললেনঃ আমি এ বাগানটি বিক্রি করার জন্য প্রাথমিক একটি চুক্তি করেছিলাম। দু দিন পর যখন সেখানে আমি আয়াতুল্লাহ কুহিস্তানির সাথে সাক্ষাত করতে গেলাম। যখন আমি প্রবেশ করলাম তিনি বললেনঃ সাদরাই , কেন তুমি আতিয়্যেহ মুলুকানেহ (বাদশাহী দান) বিক্রি করে দিচ্ছো ? আমি তাকে বললামঃ আগা , শাহের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই ; তিনি বললেনঃ আমি তা বুঝাচ্ছি না , আমি বলছি ইমাম সাইয়্যেদ আল শুহাদার (ইমাম হোসেইন (আঃ)-এর কথা। তোমার কি মনে আছে যখন তুমি একজন যুবক ছিলে এবং তুমি সাইয়্যেদ আল শুহাদার মাযার যিয়ারাতে গিয়েছিলে এবং তাঁর যারিহর ফোকর দিয়ে ফিসফিস করে বলেছিলে হে ইমাম সাইয়্যেদ আল শুহাদা , আমাকে একটি উপকার করুন যেন আমি অবসর গ্রহণের পর আপনার দানের উপর বেঁচে থাকতে পারি ? এ বাগানটি তোমার সেই অনুরোধের উত্তর , কেন তুমি এটি বিক্রি করছো ?

আমি তার (আয়াতুল্লাহ কুহিস্তানির) হাতে চুমু দিলাম। তার বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলাম , একটি গাড়ি করে রাশতে ফেরত এলাম এবং প্রাথমিক চুক্তিটি ছিড়েঁ ফেললাম। তখন থেকে আমার ভরণপোষণ এ পর্যন্ত চলে আসছে এ বাগানের মাধ্যমেই।

আমি (সুজাই) এতে খুবই মুগ্ধ হলাম। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম তার সাথে সাক্ষাত করবো (কিন্তু পারি নি)। তখন ছিলো হজ্বের সময় এবং আমাকে হজ্ব কাফেলার আলেম হিসাবে নিয়োগ দেয়া হলো। আমাদের কাফেলায় ডঃ তাহমাসবি নামে একজন ডাক্তার ছিলেন। আমি তাকে বললাম আমি আগা কুহিস্তানির সাথে সাক্ষাত করতে চেয়েছি কিন্তু তখনও পর্যন্ত পারি নি। তিনি বললেন তিনি তার চিকিৎসক। আমি খুব খুশী হলাম এবং তাকে বললাম ওয়াদা করতে যেন ইরান ফেরত এসে তিনি আমাকে তার কাছে নিয়ে যান। তিনি বললেন যখন তিনি ইরান ছেড়ে এসেছেন তিনি (আয়াতুল্লাহ কুহিস্তানি) খুবই অসুস্থ ছিলেন।

আমি খুবই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলাম যতক্ষণ পর্যন্ত না মক্কা থেকে আরাফাতে পৌঁছালাম । সেখানে আমি নিঃশব্দে দোয়ায়ে আরাফা পড়তে শুরু করলাম , এর বিষয়বস্তু ও অর্থের উপর গভীরভাবে ভাবছিলাম। যখন আমি এ কথাটিতে পৌঁছালাম আমিয়াত আইনুন লা তারাক (সে চোখ অন্ধ হয়ে যাক যে আপনাকে দেখে না) আমার হৃদয় ভেঙ্গে গেলো , আমার গাল বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়তে লাগলো। আমি বললাম , হে আল্লাহ , আমার কাছে মূল্যবান কিছু নেই যা আমি তোমাকে দিতে পারি। কিন্তু একটি জিনিস আমার অবশ্যই আছে এবং তাহলো আমার সিয়াদাত (সৈয়দ বংশ-নবী বংশ) আমি তা শপথের মাধ্যমে আপনার জন্য উৎসর্গ করছি ; আমি আমার পূর্বপুরুষদের অধিকার ও মর্যাদার উসিলা দিচ্ছি আপনার এ দাস আয়াতুল্লাহ কুহিস্তানিকে আরোগ্য দান করুন।

আমরা যখন ইরান ফেরত এলাম , আমি আয়াতুল্লাহ কুহিস্তানির সাক্ষাতে যেতে পারি নি। আমি মাশহাদে গেলাম। তখন রাত 11:30 বাজে। তখন দার আল সিয়াদাতে (ইমাম রেযা (আঃ)-এর পবিত্র মাযারের সামনের ছাউনি) আমি একজন বৃদ্ধ লোককে আসতে দেখলাম আরো দুই ব্যক্তির সাহায্য নিয়ে যারা তার বাহু ধরেছিলো। আমি জিজ্ঞেস করলাম তিনি কে , তারা উত্তর দিলো আগা কুহিস্তানি। আমি উনাকে আগে দেখি নি। তার হাতে চুমু দেয়ার জন্য নীচু হলাম। আমি যখন নীচু হলাম তিনি তার হাত আমার ডান কাঁধের উপর রাখলেন এবং বললেনঃ সুজাই , আল্লাহ যেন তোমাকে দীর্ঘ বরকতময় জীবন দান করেন। আরাফাতে তোমার দোয়া আমার কাছে পৌঁছেছে (আমাকে রক্ষা করেছে)। আমার শরীর ঘেমে গেলো তা শুনে। আমি সেখানেই বসে পড়লাম। আমার স্ত্রী জিজ্ঞেস করলো- কী হয়েছে ? আমি বললাম- কিছু না কিছুক্ষণ আমাকে বসে থাকতে দাও । আমি সেখানে প্রায় আধা ঘন্টা বসে রইলাম।

আগা রাই শাহরি , একমাত্র আল্লাহ দেখছিলেন আরাফাতে এবং কেউ সেখানে ছিলো না যখন আমি আল্লাহর কাছে তার জন্য দোয়া করছিলাম। তার কাছ থেকে এটি ছিলো অলৌকিক ঘটনা। আমি তার জন্য সম্পূর্ণ নির্জন জায়গায় দোয়া করেছি , আর আমার চোখ থেকে এক ফোটা পানি আমার হাতে ধরা দোয়ার বইতে পড়েছিলো। তিনি ইমাম রেযা (আঃ)-এর পবিত্র মাযারে দাঁড়িয়ে বললেন তিনি আমার দোয়া পেয়েছেন (যা তার জন্য ছিলো) যা আরাফাতে করেছি। এটি ছিলো আমার জীবনে একটি আশ্চর্য ঘটনা।

56. মাফাতিহুল জিনান , মুনাজাত আল-যাকিরীন , মুনাজাত নং-15।

57. মীযান আল-হিকমাহ , খণ্ড-2 , 960 : 3159।

58. এ ধরনের ঘটনার একটি উদাহরণ আমার (বর্ণনাকারীর) কাছে বর্ণনা করা হয়েছে পবিত্র মক্কায় আমার প্রথম গমনে। দেখুন একমাত্র জায়গা যেখানে তারা ভালোবাসা প্রদর্শন করলো। নবম অধ্যায় , তৃতীয় ভাগ।

59. মীযান আল-হিকমাহ , খণ্ড-10 , 4988 : 16945।

60. তেহরানের একজন বিখ্যাত ধর্মপ্রচারক যিনি ছিলেন পরহেযগার ও পবিত্র।

61. ইরানে আধ্যাত্মবাদ- এর সর্বশেষ ইতিহাসের উপর দু টি গবেষণা কর্ম -এর লেখক মানুচেহর সাদুকি 103 পৃষ্ঠায় একটি নোট শিরোনামে লিখেছেন : আমি জনাব মুদাররেসিকে বলতে শুনেছি , তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে সায়েন্স ফ্যাকাল্টিতে পড়াশোনার সময় তিনি এবং বেশ কয়েকজন প্রফেসর হযরত শেইখ রজব আলী খাইয়্যাতের সাপ্তাহিক বৈঠকে যোগ দিতেন। তিনি মাঝে মাঝে হযরত শেইখকে পদার্থ বিজ্ঞানের কিছু কঠিন প্রশড়ব করতেন , যেমন ম্যাগনেটিক ফিল্ড , ইত্যাদি। শেইখ বলতেন : আমি জিজ্ঞাসা করবো এবং (আপনাকে) উত্তর দিবো , এরপর তিনি তার মাথা নীচু করে চুপ করে থাকতেন এবং পরে মাথা তুলে সঠিক উত্তরটি দিতেন।

62. তিনি ইরানে রসায়ন শাস্ত্রের পিতা বলে পরিচিত।

63. রেই শহরের কাছে একটি পাহাড়ের নাম।

64. যানজান-এর জুমার ইমাম মরহুম আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ মাহমুদ- এর জামাতা।

65. মীযান আল হিকমাহ , খণ্ড-2 , 662 : 2213।

66. ইমাম খোমেইনী (রঃ)- এর শিক্ষক।

67. মীযান আল-হিকমাহ , খণ্ড-1 , 222 : 850।

68. তিনি তার পুত্রকে উপদেশ দিয়েছিলেন : তুমি অবশ্যই শোকানুষ্ঠানগুলোর শেষ দিনটিতে যোগ দিতে ভুলবে না , যেহেতু হযরত ফাতেমা যাহরা (আঃ) সেখানে উপস্থিত থাকেন।

69. মরহুম মুহসিন ফায়েদ সুপরিচিত মোল্লা মুহসিন ফায়েদ কাশানি নামে (1006-1091 হি) এবং তিনি তার সময়ে ছিলেন নেতৃস্থানীয় পণ্ডিত , দার্শনিক , সূফী , তাফসীরকারক এবং 11শ হিজরী শতকের কবিদের একজন।

70. প্রেমে কষ্ট পাওয়া একটিমাত্র ঘটনার বেশী নয় এবং তা এত আশ্চর্য যে তুমি যার কাছ থেকেই তা শুনবে , মনে হবে তা বলা হয়নি (কবি হাফিয)।

71. তোমার সত্তাকে পায়ের নীচে ফেলো , (এর বদলে) মাশুককে জড়িয়ে ধরো , তাঁর সাথে মিলিত হওয়ার কাবা পর্যন্ত , তুমি মাত্র এক পা দূরে আছো।

72. দেখুন দোয়ায়ে ইয়াসতাশির পড়ো , 6ষ্ঠ অধ্যায় , তৃতীয় ভাগ ।

73. বলা হয় যে শেইখ বলেছেন , আমি বেশ ক জন পণ্ডিত ও আধ্যাত্মিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করেছি কেন আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন , আমি সন্তোষজনক উত্তর পাই নি। যতক্ষণ না আমি আয়াতুল্লাহ মোহাম্মাদ শাহ অবাদিকে এ প্রশড়ব করলাম। তিনি বললেন : আল্লাহ মানুষকে বানিয়েছিলেন তাঁর প্রতিনিধি। (সূরা বাকারাহঃ 30)

74. শারহ-ই- আসমা-ই-হুসনা , খণ্ড-1 , 139: 202 ; রাসায়েল-ই-কারাকি , খণ্ড-3 , 962।

75. বিহার আল-আনওয়ার , খণ্ড-105 , মাক্বাম-ই-ইমাম আলী (আঃ) , খণ্ড-3 , 185 , সামান্য পার্থক্য সহকারে।

76. এক মিটার একশত তোমান হিসাবে কাপড়ের দাম শেইখের আমলে ছিলো অত্যন্ত চড়া।

77. নাহজুল বালাগা , খোতবাঃ 108।

78. নাহজুল বালাগা , উপদেশ : 147।

79. প্রাগুক্ত।

80. খিসাল , 616 : 10 , বিহার আল-আনওয়ার , 70 ,350 : 47।

81. হায়দার আলী তেহরানির পিতা , একজন কবি যার উপাধি ছিলো মুজিযা । (শেইখের সাথে তার ঘটনার বর্ণনা দেয়া হয়েছে। দেখুন বিনয় 5ম অধ্যায় ,প্রথম ভাগ , ও বাবা যেন কোন মূর্তিতে পরিণত না হয় 2য় অধ্যায় , তৃতীয় ভাগ।)

82. আখুন্দ মোল্লা মোহাম্মাদ বাক্বির ছিলেন আখুন্দ মির্যা জানি ক্বাযভিনির পুত্র। তিনি ছিলেন ক্বাযভিনের মোত্তাকি ও মুজাহিদ পণ্ডিত। তিনি 1290হি। 1873 সনে জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনি ছিলেন আয়াতুল্লাহ উযমা আখুন্দ খুরাসানি (আল কিফায়ার লেখক) , হাজ্ব শেইখ মোল্লা ফাতহুল্লাহ খুরাসানি এবং হাজ্ব মোহাম্মাদ হাদি তেহরানির (নাজাফে আশরাফে) ছাত্র। এছাড়া দেখুন গানজিনে-ই-দানিশমানদান , খণ্ড-9 , 219।

83. মীযান আল-হিকমাহ , খণ্ড-3 , 1343।

84. প্রাগুক্ত , খণ্ড-3 , 1344 : 4520।

85. ওয়াসাইল আল-শিয়া , খণ্ড-24 ,পৃষ্ঠা-16 তাহরির আল ওয়াসিলা , পৃষ্ঠা-151 ;সংখ্যা-20।

86. আল-কাফি , খণ্ড-6 , 229 : 7 ; তাহযীব আল আহকাম , খণ্ড- 9 , 80 : 341।

87. আয়াতুল্লাহ ফাহরী উদ্ধৃতি দিয়েছেন সাইয়্যেদ মোহাম্মাদ রিফা কাশাফির , তিনি

বলেছেন- আমাদের পাড়ায় এক কসাই বাস করতো যার পুত্রের ভীষণ পেট ব্যাথা হলো। সে আগা কাশফির কাছে সাহায্য চাইলে তিনি তাকে হযরত শেইখের কাছে পাঠালেন। তিনি তাকে বললেন- তুমি এক বাছুরকে জবাই করেছো তার মায়ের সামনে। তাই তোমার এ সন্তান সুস্থ হবে না।

88. বিহার আল-আনওয়ার , খণ্ড-80 , 202।

89. আমরা মোনাজাত-ই-শাবানিয়াতে পড়ি-

হে আল্লাহ , আমাকে তাদের একজন করুন যাদের আপনি ডাক দেন এবং তারা আপনাকে সাড়া দেয় , আপনি তাদের দিকে তাকান এবং তারা আপনার মর্যাদা দেখে অজ্ঞান হয়ে যায় , এবং আপনি তাদের সাথে গোপনে কথা বলেন এবং তারা প্রকাশ্যে আপনার জন্য কাজ করে।

90. সূরা আল-জাসিয়াতে বলা হয়েছে :

) أَفَرَأَيْتَ مَنِ اتَّخَذَ إِلَهَهُ هَوَاهُ وَأَضَلَّهُ اللَّهُ عَلَى عِلْمٍ(

তুমি কি তাকে দেখেছো যে তার নিজের কামনা বাসনাকে ইলাহ

বানিয়েছে , (তাকে এমন) জেনে আল্লাহ তাকে পথভ্রষ্টতায় ফেলে রেখেছেন। (সূরা আল- জাসিয়াঃ 23)।

91. প্রথম দলটি সম্পর্কে এ আয়াতে বলা হয়েছে-

) وَقَالُوا لَا تَذَرُنَّ آلِهَتَكُمْ وَلَا تَذَرُنَّ وَدًّا وَلَا سُوَاعًا وَلَا يَغُوثَ وَيَعُوقَ وَنَسْرًا(

তারা (পরস্পরকে) বলেছে তোমাদের ইলাহদের পরিত্যাগ করো না , পরিত্যাগ করো না ওয়াদকে , না সুয়াকে , না ইয়াগুত বা ইয়াউক্ব বা নসরকে । (সূরা নূহঃ 23)।

দ্বিতীয় দলটি সম্পর্কে বলা হয়েছে-

) أَنِ اعْبُدُوا اللَّهَ وَاجْتَنِبُوا الطَّاغُوتَ(

আল্লাহর দাসত্ব কর এবং তাগুতকে (বিদ্রোহী , খারাপ) বর্জন করো। (সূরা আল নাহল : 36)।

তৃতীয় দলটি সম্পর্কে বলা হয়েছে-

) أَرَأَيْتَ مَنِ اتَّخَذَ إِلَهَهُ هَوَاهُ(

তুমি কি তাদের দেখেছো যে তার নিজের কামনা বাসনাকে (অথবা ঝোঁক) ইলাহ হিসেবে নিয়েছে ? (সূরা আল ফোরক্বান : 43)।

92. দেখুন ইয়া আল্লাহ কথার জবাবে একটি পয়সা , 6ষ্ঠ অধ্যায় , তৃতীয় ভাগ।

93. সাহিফা-ই-নূর , অধ্যায়-22 , 348।

94. মাফাতিহুল জিনান , দোয়া-ই-আবু হামযা সুমালি।

95. মীযান আল-হিকমাহ , খণ্ড-6 , 2724 : 9316।

96. বিহার আল-আনওয়ার খণ্ড- 90 , 160 ; মাফাতিহুল জিনান ; সাহিফা-ই-সাজ্জাদিয়া , 9ম অধ্যায় , 77 : 248।

97. বিহার আল-আনওয়ার , খণ্ড- 95 , 99।

98. সাহিফা-ই-সাজ্জাদিয়া , পৃষ্ঠা- 75।

99. মাওয়াইয আল-আদাদিয়্যাহ , 419।

100 ইরশাদ আল - ক্বুলুব , 171 ।

101. ডঃ ফারযামের কথা অনুযায়ী এ কবিতাটি কাযার আমলের বিখ্যাত কবি মোল্লা বিমান আলী রাজি কেরমানির লেখা। বলা হয় প্রথম লাইনটি ফাতহ আলী শাহ কাযার বলেছিলেন এবং তাকে দ্বিতীয় লাইনটি বলতে বলেন , তখন তিনি তৎক্ষণাৎ দ্বিতীয় লাইনটি রচনা করেন।

102. তেহরানের বিখ্যাত জ্ঞানী ব্যক্তিত্ব এবং বোরহান মাদরাসা ইলমিয়ার প্রতিষ্ঠাতা , রেই শহরে অবস্থিত হযরত আব্দুল আযীম আল হাসানির পবিত্র মাযারের পাশেই অবস্থিত।

103. ফার্সী সাহিত্যে মথ হলো প্রেমের প্রতীক , যা তার জীবন বিসর্জন দেয় মাশুকের পথে।

104. আল্লাহ প্রেমের মৌলিক শর্ত সম্পর্কে আরো জানতে হলে পড়ুন মোহাম্মাদ রেই শাহরির লেখা আল মাহাব্বাবা ফী আল কিতাব ওয়া আল সুনড়বাহ , সম্পাদনা ও প্রকাশনা দারুল হাদীস ক্বোম , ইরান।

105. তানবিহ আল- খাওয়াতির ,খণ্ড-1 , পৃষ্ঠা 52।

106. নাহজুল বালাগা , খোতবা নং 91।

107. মাফাতিহ আল-জিনান , দুয়া-ই আবু হামযা সুমালি।

108. মীযান আল-হিকমাহ , খণ্ড-2 , 960 : 3162।

109. প্রাগুক্ত , খণ্ড-2 , 960 : 3164।

110. প্রাগুক্ত , 960 : 3163।

111. তানবিহ আল-খাওয়াতির , খণ্ড-1 , পৃষ্ঠা-146 , মীযান আল-হিকমাহ , খণ্ড-4 , 1744 : 6010।

112. এর অর্থ তারা তাদের প্রতিদিনের সমস্যার সমাধানে আসে।

113. খাজা নাসির আল-দ্বীন তুসী এ বিষয়ে বলেন যে , একজন ব্যক্তি তাওহীদে তখনই পৌঁছাবে যখন সে তার অস্তিত্ব এবং অনস্তিত্ব দু টোই হারাবে এবং এ দুই অবস্থাকে অতিক্রম করবে। যতক্ষণ সে অস্তিত্ব এবং অনস্তিত্বের মাঝে দুলবে , হয় সে এ পৃথিবীর লোক অথবা সে আখেরাতের। তিনি বলেন , আল্লাহ ছাড়া যা দেখ সবই মূর্তি। সেগুলোকে চূর্ণ বিচূর্ণ কর। তাই আল্লাহ ছাড়া কিছু চাওয়া হচ্ছে মূর্তিপূজা। যেমন , আখিরাত , বেহেশত , আল্লাহর সন্তষ্টি এবং আল্লাহর নৈকট্য। কারণ , তৌহিদের সন্ধানকারীর জন্য এগুলো শোভা পায় না। যে বাস্তবে আল্লাহকে জানে সে আল্লাহ ছাড়া আর কিছু চায় না। দেখুন তাওয়াল্লাহ ওয়া তার্বারা এর রিসালা , পরিশিষ্ট আখলাক্ব-ই-মুহ্তাশামি , পৃষ্ঠা-569।

114. আল-কাফী , খণ্ড-1 , 11 : 3।

115. মীযান আল-হিকমাহ , খণ্ড-7 , 3418 : 11647।

116. একটি হাসীসে কুদসীতে আছে : হে মানুষ , প্রত্যেকে তোমাকে চায় তার জন্য এবং আমি তোমাকে চাই তোমার জন্য। তাই আমার কাছ থেকে পালিও না। আল মাওয়াইয আল-আদাদিয়্যাহ , 420।

117. হাফিয।

118. মীযান আল-হিকমাহ , খণ্ড-10 , 4984 : 16931।

119. প্রাগুক্ত , খণ্ড-10 , 4684 : 16930।

120. দেখুন আল্লাহর কাছে যাওয়ার পথ। ষষ্ঠ অধ্যায় , তৃতীয় ভাগ।

121. আল-কাফী , খণ্ড-2 , 164 : 6

122. প্রাগুক্ত , 164 : 7

123. ইরশাদ আল-ক্বুলুব , 199।

124. মীযান আল-হিকমাহ , খণ্ড- 13 , 6578 : 20999।

125. দেখুন বস্তুগত ও আধ্যাত্মিক নেয়ামত।

126. বিহার আল-আনওয়ার , খণ্ড- 82 , 197 ; আল ওয়াফি , 5 : 784 , রওদাতুল মুত্তাকিন , 3 : 195। খাজা নাসির আল-দ্বীন তুসী-র আলখাক্ব মুহতাশামি , 12 : 122।

127. দেখুন ইমাম খোমেইনীর (রঃ) পথ নির্দেশনা তার সন্তান হাজ্ব আহমাদ আগার (রঃ) প্রতি , 7ম অধ্যায় , তৃতীয় ভাগ।

128. ইমাম আল সাজ্জাদ (আঃ) , সাহিফা-ই-সাজ্জাদিয়া , 15।

129. দেখুন অন্তরের চোখ খোলা , 3য় অধ্যায় , তৃতীয় ভাগ।

130. যেমনটি উল্লে্যখ আছে দোয়া-ই-আরাফাতে- যে আপনাকে পেয়েছে তার কিসের অভাব ?

131. দেখুন আল্লাহর জন্য খাওয়া এবং বিশ্রাম নেয়া , 4র্থ অধ্যায় , তৃতীয় ভাগ।

132. মীযান আল-হিকমাহ , খণ্ড- 4 , 1866 : 6491 এবং 6493।

133. মীযান আল-হিকমাহ , খণ্ড-4 , 1856 : 6454।

134. প্রাগুক্ত।

135. প্রাগুক্ত , খণ্ড-4 , 1846 : 6394।

136. প্রাগুক্ত , খণ্ড-4 , 1850 : 6427।

137. প্রাগুক্ত , খণ্ড-4 , 1850 : 6418।

138. প্রাগুক্ত , খণ্ড-4 , 1850 : 6419।

139. প্রাগুক্ত , খণ্ড-4 , 1848 : 6399।

140. প্রাগুক্ত , খণ্ড-4 , 1848 : 6403।

141. প্রাগুক্ত , খণ্ড-4 , 1850 : 6422।

142. প্রাগুক্ত , খণ্ড-4 , 1842 : 6435।

143. মীযান আল হিকমাহ , আল যিকর , সামারাত আল যিকর।

144. দোয়া-ই হযরত ইদরিস (আঃ) -এ এটি পাওয়া যায়। দেখুন মিসবাহ আল মুতাহাজ্জিদ , পৃষ্ঠা- 601।

145. দশ শাহির একটি কয়েন সমান দুই রিয়ালের এক চতুর্থাংশ।

146. দেখুন কীভাবে একত্ববাদের বাস্তবতায় পৌঁছানো যায় , 2য় অধ্যায় , তৃতীয় ভাগ।

147. মীযান আল-হিকমাহ , খণ্ড-4 , 1658 : 5599 ।

148. মীযান আল-হিকমাহ , খণ্ড-8 , 3688 : 12635।

149. মীযান আল-হিকমাহ , খণ্ড-1 , 428 : 1555।

150. প্রাগুক্ত , খণ্ড-8 , 6452 : 20664।

151. আল-কাফী , খণ্ড-4 , 18 : 2।

152. তিনি ছিলেন শেইখের ঘনিষ্ট শিষ্যদের একজন। শেইখ ইন্তেকাল করার সময় তাকে মরহুম সুহাইলি (রঃ) বুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন।

153. দেখুন আল্লাহকে ভালোবাসার পথ তৃতীয় ভাগ , তৃতীয় অধ্যায় , ।

154. মীযান আল-হিকমাহ , খণ্ড-8 , 3686 : 2674।

155. মীযান আল-হিকমাহ , খণ্ড-7 , 3092 : 10535।

156. প্রাগুক্ত , খণ্ড-7 , 3124 : 10669।

157. প্রাগুক্ত , খণ্ড-7 , 3116 : 10635।

158. শেইখের একজন শিষ্য বলেন যেঃ আয়াতুল্লাহ শাহ আবাদির মতই শেইখ রুকু ও সিজদার যিকর তিনবার বলতেন।

159. মীযান আল-হিকমাহ , খণ্ড-7 , 3130:10685।

160. দেখুন বড় পরিবারের কারণে বেকার ব্যক্তির জটিলতায় থাকা - 7ম অধ্যায় , তৃতীয় ভাগ।

161. হজ্জ যাত্রীদের জন্য ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে ইমাম খোমেইনী (রঃ)-এর বাণী , 29 আগষ্ট 1984।

162. প্রাগুক্ত , 03 অক্টোবর , 1979।

163. প্রাগুক্ত , 7 আগষ্ট 1986 ।

164. প্রাগুক্ত।

165. প্রাগুক্ত।

166. প্রাগুক্ত।

167. প্রাগুক্ত।

168. হাজ্বীদের ও আলেমদের উদ্দেশ্যে ইমাম খোমেইনী (রঃ)- এর কথা , 30 সেপ্টেম্বর 1979।

169. মীযান আল-হিকমাহ , খণ্ড-4 , 1572 : 5225 , গুরার আল হিকাম , 10162 , নাহজুল বালাগাতে অনুরূপ , উপদেশ নং 82।

170. মীযান আল-হিকমাহ , খণ্ড-4 , 1672 : 5223 , বিহার আল আনওয়ার , খণ্ড-90 , 392 : 60।

171. সাহিফা-ই-সাজ্জাদিয়া : 247।

172. তাক্বদীস-এর মসনাভী : 215।

173. মরহুম সুহাইলি বলেছেন : আমার প্রিয় মাওলা বলে তিনি ইমাম আল আসর , আল মাহদী (আঃ) কে বুঝিয়েছেন যিনি তাকে সে মুহূর্তে দেখতে এসেছিলেন।

174. সাহিফা-ই-সাজ্জাদিয়ার 21নং দোয়াতে আছে- এবং আমাকে নৈকট্য দিন আপনার সাথে। আপনার বন্ধুদের সাথে এবং আপনাকে যারা মানে তাদের সাথে।

175. দেখুন 4র্থ অধ্যায় , প্রথম ভাগ।

176. বর্ণনাকারী হলেন আয়াতুল্লাহ হায়েরি।

177. আয়াতুল্লাহ হাজ্ব আগা মূসা যানজানির (সমকালের একজন মারজা র) পিতা।

178. অথবা এরকম কথা।

179. সির-ই- দিলবারান , 206-214।

180. ভুলে যাওয়া নৈতিক গুণাবলী , 2য় অধ্যায় , তৃতীয় ভাগ , পৃষ্ঠা-149।