পথ চলার বাতি

পথ চলার বাতি0%

পথ চলার বাতি লেখক:
: মুহাম্মদ ইরফানুল হক
প্রকাশক: ওয়াইজম্যান পাবলিকেশনস
বিভাগ: চরিত্র গঠনমূলক বই

পথ চলার বাতি

লেখক: আবু আবদিল্লাহ ইমাম জাফর ইবনে মুহাম্মদ আস-সাদিক্ব (আ.)
: মুহাম্মদ ইরফানুল হক
প্রকাশক: ওয়াইজম্যান পাবলিকেশনস
বিভাগ:

ভিজিট: 11089
ডাউনলোড: 2903

পাঠকের মতামত:

পথ চলার বাতি
বইয়ের বিভাগ অনুসন্ধান
  • শুরু
  • পূর্বের
  • 61 /
  • পরের
  • শেষ
  •  
  • ডাউনলোড HTML
  • ডাউনলোড Word
  • ডাউনলোড PDF
  • ভিজিট: 11089 / ডাউনলোড: 2903
সাইজ সাইজ সাইজ
পথ চলার বাতি

পথ চলার বাতি

লেখক:
প্রকাশক: ওয়াইজম্যান পাবলিকেশনস
বাংলা

বিরত থাকা

বিরত থাকা হলো আখেরাতের চাবি এবং জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি। এর ভেতরে আছে যা কিছু আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার দিক থেকে তোমার মনোযোগ কেড়ে নেয় কোন দুঃখ ছাড়া সেসব পরিত্যাগ করে গর্ব বোধ না করা , বা তা পরিত্যাগ করার কারণে স্বস্তি লাভের অপেক্ষা না করা এবং তার জন্য কোন প্রশংসা না খোঁজা। নিশ্চয়ই বিরত থাকা অর্থ হচ্ছে এসব জিনিসকে ব্যক্তি সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় মনে করেঃ সে মনে করে এগুলো তার পাশ কাটিয়ে যাওয়া তার জন্য স্বস্তি ও আরাম , এবং তাদের উপস্থিতি তার জন্য দুর্ভোগ ; এভাবে সে সবসময় দুর্ভোগ থেকে পালায় এবং যা তাকে স্বাচ্ছন্দ্য ও স্বস্তি এনে দেয় তার সাথে লেগে থাকে। যে ব্যক্তি বিরত থাকে সে আখেরাতকে বেছে নিয়েছে। সে বেছে নিয়েছে শক্তি ও এ পৃথিবীর বদলে মর্যাদাশূন্যতাকে , বিশ্রামের বদলে সংগ্রামকে , ভর পেটের বদলে ক্ষুধাকে , তার কল্যাণ যা আসবে নিকট পরীক্ষার পর দেরীতে এবং ভ্রুক্ষেপহীনতার বদলে স্মরণকে। তার সত্তা এ পৃথিবীতে আর তার অন্তর আখেরাতে।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ‘‘ এ পৃথিবীর ভালোবাসা প্রত্যেক ভুলের ঝর্না’’ এবং অন্য জায়গায় বলেছেনঃ‘‘ এ পৃথিবী একটি লাশ , যে একে চায় সে একটি কুকুরের মত।’’ তুমি কি দেখো না তা কীভাবে তা ভালোবাসে যা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা ঘৃণা করেন ? এ ভুলের চেয়ে বড় অপরাধ আর কী আছে ?

রাসূলুল্লাহর (সা.) পরিবারের একজন বলেছেনঃ‘‘ যদি এ সম্পূর্ণ পৃথিবী একটি শিশুর মুখের ভেতরে একটি লোকমা হতো তাহলে আমরা তার উপরে করুণা করতাম। তাহলে তার অবস্থা কী যে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার সীমানাকে পিছনে ছুঁড়ে ফেলে এ পৃথিবীকে চায় ও আকাঙ্ক্ষা করে ? যদি এ পৃথিবীতে থাকার জায়গা ভালো হতো তাহলে তা তোমাকে করুণা করতো না , না তোমার ডাকে সাড়া দিতো এবং না তোমাকে প্রস্থানের সময় বিদায় সম্বর্ধনা জানাতো।’’

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ‘‘ যখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এই পৃথিবী সৃষ্টি করলেন তিনি একে আদেশ করলেন তাকে মানার জন্য এবং সে তার রবকে মান্য করলো। তিনি একে বললেনঃ তার বিরোধিতা করো যে তোমাকে চায় এবং তাকে সফলতা দাও যে তোমার বিরোধিতা করে।’’ এটি তাই করে যা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা একে করতে দায়িত্ব দিয়েছেন এবং তিনি যা এর প্রকৃতির উপরে ছাপ মেরে দিয়েছেন।

এ পৃথিবীর একটি বর্ণনা

এ পৃথিবী একটি দেহের মত যার মাথা হচ্ছে অহংকার , যার চোখগুলো হচ্ছে সম্পদের তীব্র লালসা , যার কানগুলো হচ্ছে লোভ , যার জিহবা হচ্ছে প্রতারণা , যার হাত হচ্ছে আশা , যার পাগুলো হচ্ছে আত্ম-অহংকার , যার অন্তর হচ্ছে উদাসীন , যার সত্তা হচ্ছে ধ্বংস , যার উৎপাদিত পণ্য হলো চিরতরে হারিয়ে যাওয়া। যে একে ভালোবাসে এটি তাকে অহংকার এনে দেয় , যে একে পছন্দ করে তাকে সম্পদের তীব্র লোভ এনে দেয় , যে একে চায় তাকে লোভ এনে দেয় এবং যে একে প্রশংসা করে তাকে মোনাফেক্বীর পোষাক পরিয়ে দেয়। যে একে আশা করে তাকে আত্ম-অহংকারের শক্তি এনে দেয় ; যে এর উপর নির্ভর করে তার ভিতরে উদাসীনতা সৃষ্টি করে। যে এর ভালোকে প্রশংসা করে এটি তাকে লোভ দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে , কিন্তু ঐসব ভালো তার জন্য টিকে থাকে না। যে ব্যক্তি একে জমা করে এবং একে নিয়ে কৃপণতা করে এটি তাকে ফেরত পাঠায় তার নিজ ঠিকানায় যা হলো জাহান্নামের আগুন।

পরিচ্ছেদ-18

কাজ করায় অনীহা

যে ব্যক্তি কাজ করতে অনীহা বোধ করে সে কাজ শুদ্ধ করতে ব্যর্থ হয় , যদি এমনও হয় সে ভালো কাজ করে ; আর যে ব্যক্তি সেচ্ছায় কাজ করে সে শুদ্ধ , সে ভুল করলেও। অনীহাপূর্ণ ব্যক্তি শেষ পর্যন্ত ঘৃণা কুড়ায় এবং কাজ করার সময় সে মানসিক ক্লান্তি , পরিশ্রম এবং দুর্দশায় পড়ে। অনীহাপূর্ণ ব্যক্তির বাইরের সত্তা লোক দেখানো এবং তার অভ্যন্তরীন সত্তা হলো কপটতাঃ এগুলো তার পাখা যা দিয়ে সে উড়ে। অনীহাপূর্ণ ব্যক্তির ভেতরে কখনোই সৎকর্মশীলদের কোন গুণাবলী থাকে না , আর না থাকে বিশ্বাসীদের কোন নিদর্শন , সে যেখানেই থাকুক।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তাঁর রাসূলকে (সা.) বলেছেনঃ

) ق ُلْ مَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ وَمَا أَنَا مِنَ الْمُتَكَلِّفِينَ(

বলো , আমি এর জন্য কোন পুরস্কার চাই না ; না আমি তাদের একজন যারা অনীহা নিয়ে কাজ করে।’’ (সূরা সাদঃ 86)

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ‘‘ আমরা নবীরা (সা.) ভয়ের সাথে সচেতন , আমানত বহনকারী , আমরা অনীহাপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করি।’’ তাই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালাকে ভয় করো এবং কাজে অনীহাকে বিদায় করে দাও এবং এটি তোমার উপর বিশ্বাসের চিহ্ন এঁকে দেবে। তা নিয়ে ব্যস্ত থেকো না যার পোষাক হচ্ছে দুঃখ-কষ্ট এবং খাবার নিয়ে যা শেষ পর্যন্ত খালি হয়ে যাবে , কোন বাসস্থান নিয়ে যার শেষ হচ্ছে ধ্বংস , সম্পদ নিয়ে যার শেষ হলো অন্য কেউ এর উত্তরাধিকারী হবে , সাথীদের নিয়ে শেষ পর্যন্ত যাদের কাছ থেকে অবশ্যই ছুটি নিতে হবে , সম্মান নিয়ে যার শেষে আছে মর্যাদাশূন্যতা , আনুগত্য নিয়ে যার শেষ হলো পরিত্যক্ত হওয়া অথবা একটি জীবন নিয়ে যার শেষ হলো দুঃখ।

ধোঁকা

যে ব্যক্তি ধোঁকা খেলো সে এ পৃথিবীতে হতভাগ্য এবং আখেরাতে প্রতারিত , কারণ সে উত্তমকে বিক্রি করেছে অধমের বিনিময়ে। নিজেকে প্রশংসার চোখে দেখো না। কোন কোন সময় তুমি প্রতারিত হতে পারো তোমার সম্পত্তি ও শারীরিক স্বাস্থ্যের কারণে এ ভেবে যে তুমি চিরদিন টিকে থাকবে। কোন কোন সময় তুমি ধোঁকা খাও তোমার দীর্ঘ জীবন , তোমার সন্তান-সন্ততি এবং বন্ধুদের কারণে যেন তুমি এগুলোর কারণে রক্ষা পাবে। কোন কোন সময় তুমি ধোঁকা খাও তোমার সৌন্দর্য্য দেখে এবং তোমার জন্মের সময় পারিপার্শ্বিক অবস্থা নিয়ে , যা তোমাকে আশা ও আকাঙ্ক্ষা জোগায় এত সহজেই যে তুমি ভাবো তুমি সত্যবাদী ও তোমার লক্ষ্য অর্জনে সফল । কোন কোন সময় তুমি ধোঁকা খাও অন্যদের সামনে তোমার ইবাদাতের ত্রুটিগুলো নিয়ে দুঃখ করে , কিন্তু আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা জানেন ঠিক এর উল্টোটি আছে তোমার অন্তরে। কোন কোন সময় তুমি নিজেকে ইবাদাত করতে বাধ্য কর অনীহা থাকাকালে ; অথচ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা চান ইখলাস (আন্তরিকতা)। মাঝে মাঝে তুমি মনে কর তুমি আল্লাহকে ডাকছো অথচ তুমি ডাকছো অন্যকে । কখনো তুমি মনে কর তুমি লোকজনকে ভালো উপদেশ দিচ্ছো অথচ তোমার প্রকৃত উদ্দেশ্য হচ্ছে যে তারা তোমার প্রতি মাথা নত করুক। কোন কোন সময় তুমি নিজেকে দোষারোপ কর অথচ প্রকৃতপক্ষে তুমি নিজের প্রশংসা করছো।

জেনে রাখো তুমি তখনই শুধু ধোঁকা ও আকাঙ্ক্ষার অন্ধকার থেকে বের হয়ে আসবে যখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার প্রতি ফিরবে আন্তরিক ভাবে অনুতপ্ত হয়ে , তাঁর বিষয়ে তুমি যা কিছু জানো তার দিকে এবং তোমার নিজের ভেতরের সেই ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করতে পারবে যা তোমার বুদ্ধি ও জ্ঞানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এবং যা ঈমান , আইন (শারীয়াহ) , রাসূল (সা.)-এর সূন্নাহ এবং হেদায়াতের ইমামরা সহ্য করেন না।

যদি তুমি তোমার বর্তমান অবস্থা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকো , তাহলে তোমার চেয়ে জ্ঞান ও কাজকর্মে বেশী হতভাগ্য আর নেই ; না আছে কারও এর চেয়ে অর্থহীন জীবন। তুমি ক্বিয়ামাতের দিনে উত্তরাধিকার হিসাবে শুধু দুঃখই পাবে।

মোনাফিক্বদের বর্ণনা

মোনাফিক্ব আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার রহমত থেকে বহু দূরে থাকার কারণে সন্তুষ্ট থাকে , কারণ তার বাইরের কর্মকান্ড ইসলামী আইন অনুযায়ী থাকে , কিন্তু এর পরেও সে ভ্রুক্ষেপহীন এবং নিষ্ফল টিটকারী করে এবং তার অন্তরে এর সত্যতার সীমালংঘন করে ।

মোনাফেক্বীর চিহ্ন হচ্ছে মিথ্যাকে কিছু মনে না করা , প্রতারণা , ঔদ্ধত্য , মিথ্যা দাবী , আন্তরিকতাহীনতা , নির্বুদ্ধিতা , ভুল এবং বিনয়ের অভাব , অবাধ্যতাকে হালকা করে দেখানো , বিশ্বাসীরা যেন বিশ্বাস হারায় তা চাওয়া , এবং বিশ্বাসে দুর্দশাকে হালকা করে দেখানো , অহংকার , প্রশংসা , প্রেমের প্রশংসা , প্রশংসাকে ভালোবাসা , ঈর্ষা , আখেরাতের চাইতে পৃথিবীকে এবং খারাপকে ভালোর চাইতে পছন্দ করা , অপবাদ দেয়াতে উস্কানী দেয়া , আনন্দ-ফুর্তিকে ভালোবাসা , কথায় যারা শঠ তাদের সাথে লেনদেন করা , উদ্ধত লোকদের ভালো কাজ এড়িয়ে যাওয়াতে সাহায্য করা , যারা ভালো কাজ করে তাদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা , মোনাফিক্ব যে খারাপ কাজ করে তাকে ভালো মনে করা এবং অন্যলোক যা ভালো করে তাকে ঘৃণ্য মনে করা এবং এরকম আরো অনেক জিনিস।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা মোনাফিক্বদের বেশ কয়েক জায়গায় বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেনঃ

) و َمِنَ النَّاسِ مَن يَعْبُدُ اللَّـهَ عَلَىٰ حَرْفٍ فَإِنْ أَصَابَهُ خَيْرٌ اطْمَأَنَّ بِهِ وَإِنْ أَصَابَتْهُ فِتْنَةٌ انقَلَبَ عَلَىٰ وَجْهِهِ خَسِرَ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةَ ذَٰلِكَ هُوَ الْخُسْرَانُ الْمُبِينُ(

‘‘ এবং মানুষের মাঝে সে আছে যে আল্লাহর দাসত্ব করে কিনারে দাঁড়িয়ে। এতে যদি তার কোন কল্যাণ হয় সে এতে সন্তুষ্ট থাকে , কিন্তু কোন পরীক্ষা তাকে কষ্ট দিলে সে উল্টো দিকে ফিরে যায় ; সে হারায় এ দুনিয়া ও আখেরাত ; আর এটিতো স্পষ্ট ক্ষতি।’’ (সূরা হাজ্জঃ 11)

তাদের বর্ণনা করে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেনঃ

) و َمِنَ النَّاسِ مَن يَقُولُ آمَنَّا بِاللَّـهِ وَبِالْيَوْمِ الْآخِرِ وَمَا هُم بِمُؤْمِنِينَ ﴿٨﴾ يُخَادِعُونَ اللَّـهَ وَالَّذِينَ آمَنُوا وَمَا يَخْدَعُونَ إِلَّا أَنفُسَهُمْ وَمَا يَشْعُرُونَ ﴿٩﴾ فِي قُلُوبِهِم مَّرَضٌ فَزَادَهُمُ اللَّـهُ مَرَضًا وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ بِمَا كَانُوا يَكْذِبُونَ(

‘‘ কিছু মানুষ আছে যারা বলেঃ আমরা বিশ্বাস করি আল্লাহতে এবং আখেরাতে। কিন্তু তারা মোটেও বিশ্বাসী নয়। তারা চায় আল্লাহ ও বিশ্বাসীদের ধোঁকা দিতে , কিন্তু তারা শুধু নিজেদের ধোঁকা দেয় অথচ তারা তা বোঝে না। তাদের অন্তরগুলোতে একটি রোগ আছে , তাই আল্লাহ তাদের রোগ বৃদ্ধি করে দিয়েছেন।’’ (সূরা বাকারাঃ 8-10)

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ‘‘ মোনাফিক্ব সে , যে প্রতিশ্রুতি দেয়ার পরে তা ভাঙ্গে ; যখন সে কোন কাজ করে সে খারাপ কাজ করে ; যখন সে কথা বলে , সে মিথ্যা বলে ; যখন তাকে বিশ্বাস করা হয় সে বিশ্বাসঘাতকতা করে ; যখন তাকে রিয্ক দেয়া হয় , সে হয় লাগামহীন ; যখন তা স্থগিত রাখা হয় তখন সে তার জীবন নিয়ে অনেক বড় কথা বলে।’’

তিনি আরো বলেছেনঃ‘‘ যে ব্যক্তির গভীরতম সত্তা তার প্রকাশ্য চেহারার বিরোধিতা করে সে মোনাফিক্ব সে যেই হোক , যেখানেই সে থাকুক , যে যুগেই সে বাস করুক এবং যে পদমর্যাদাই তার থাকুক।’’

সঠিক সামাজিক লেনদেন

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার অবাধ্য না হয়ে তাঁর সৃষ্টির সাথে সঠিক আচরণ আসে তাঁর বান্দাহদের উপর তাঁরই নেয়ামতের বৃদ্ধি থেকে। যে ব্যক্তি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার প্রতি অন্তরে বিনয়ী সে প্রকাশ্যে ভালো আচরণ করে।

লোকজনের সাথে ভালো আচরণ করো আললাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার কারণে , এ পৃথিবী থেকে কোন অংশ পাওয়ার জন্য নয় অথবা সম্মানের খোঁজে নয় অথবা লোক দেখানোর জন্য অথবা তোমার খ্যাতি বৃদ্ধির জন্য নয়।

আইনের সীমা লংঘন করো না মর্যাদা ও সুখ্যাতি চেয়ে ; এগুলো তোমাকে কোন লাভ এনে দেবে না এবং তুমি আখেরাত হারাবে কোন লাভ ছাড়াই।

দেয়া ও নেয়া

যে ব্যক্তি দেয়ার চাইতে নেয়াকে বেশী পছন্দ করে সে প্রতারিত হয়েছে , কারণ তার ভ্রুক্ষেপহীন স্বভাবের কারণে সে মনে করে যে , যা এখন তা পরে যা আসবে তার চাইতে উত্তম । বিশ্বাসীর জন্য এটিই শোভা পায় যে যখন সে কিছু নিবে তা সে বৈধভাবে নিবে। যদি সে দেয় তাহলে তা হওয়া উচিত যথার্থ কারণে , বৈধভাবে এবং তার বৈধ সম্পদ থেকে। কত গ্রহণকারীই না তার ঈমানকে ত্যাগ করে , অথচ সে সম্পর্কে খবর রাখে না! যারা দেয় তাদের কত জনই না নিজের উপর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার গযব ডেকে আনে!

বিষয়টি শুধু দেয়া ও নেয়ার প্রশ্ন নয় বরং সে ব্যক্তি রক্ষা পেলো যে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালাকে দেয়া ও নেয়ার সময় ভয় করলো এবং যে সৎকর্মশীলতার রশিকে শক্ত করে ধরে রাখে।

এ বিষয়ে মানুষ দুই শ্রেণীরঃ উচ্চ শ্রেণী ও সাধারন। উচ্চ শ্রেণীর লোকেরা কষ্টকর সতর্কতার সাথে বিবেচনা করে এবং নেয় না যতক্ষণ না সে নিশ্চিত হয় যে তা অনুমোদিত। যদি তা তার কাছে স্পষ্ট না হয় তাহলে সে শুধু তখনই নিবে যখন তা অত্যন্ত জরুরী। সাধারণ ব্যক্তি শুধু বাইরের দিকটি বিবেচনা করে ; সে তা নেয় যা সে দেখে চুরি করা নয় অথবা জবরদস্তির সাথে নেয়া হয় নি এবং বলে , এতে কোন ক্ষতি নেই ; এটি আমার জন্য অনুমোদিত। এখানে বিষয়টি পরিষ্কার যে সে তা নেয় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার রায় থাকার কারণে এবং খরচ করে তাঁর সন্তুষ্টি লাভের জন্য।

পরিচ্ছেদ-19

ভ্রাতৃত্ববোধ

তিনটি জিনিস প্রত্যেক যুগেই বিরল : আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার কারণে ভ্রাতৃত্ব ; একজন ধার্মিক স্নেহশীল স্ত্রী যে তোমাকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার প্রতি বিশ্বাসে সাহায্য করে এবং একজন হেদায়েতপ্রাপ্ত পুত্র সন্তান। যে এ তিনটি জিনিস পায় সে দুই জগতের কল্যাণ লাভ করেছে এবং এ পৃথিবীর ও আখেরাতের পূর্ণ অংশ পেয়েছে। কোন ব্যক্তিকে ভাই হিসাবে নেয়াতে সাবধান থাকো যখন তুমি লোভ , ভয় , ঝোঁক , টাকা-পয়সা , খাবার ও পানির কারণে উদ্যোগী হয়েছো। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার কারণে ও তাকে ভয় করে ভ্রাতৃত্ব খোঁজ করো যদি তা পৃথিবীর আরেক প্রান্তেও হয় এবং যদি তার খোঁজে তোমার সারা জীবনও ব্যয় করে ফেলো। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এ পৃথিবীর উপরে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর পরে তাদের চাইতে ভালো কাউকে রাখেন নি , না তিনি কোন বান্দাহকে দিয়েছেন তাদের খুঁজে পাওয়ার সফলতার মত কোন নেয়ামত। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেছেনঃ

) ال ْأَخِلَّاءُ يَوْمَئِذٍ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ عَدُوٌّ إِلَّا الْمُتَّقِينَ(

‘‘ বন্ধুরা সেদিন হবে পরস্পরের শত্রু শুধু তারা ছাড়া যারা সতর্ক পাহারা দেয় (অন্যায়ের বিরুদ্ধে)। ’’ (সূরা যুখরুফঃ 67)

আমি বিশ্বাস করি আজকাল যদি কেউ ত্রুটিবিহীন বন্ধু খোঁজে তাহলে সে বন্ধুবিহীন অবস্থায় থাকবে। তুমি কি দেখো না আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তাঁর রাসূলের (সা.) উপর প্রথম যে সম্মানের চিহ্ন এঁকে দিয়েছেন , তাহলো একজন বিশ্বস্ত বন্ধু ও সাহায্যকারী ঈমানের দিকে তাদের আহবানের কথা জানাজানি হওয়ার পর। [ইমাম আলী (আ.)]। (অনুবাদক)

একইভাবে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সবচেয়ে বেশী ঐশী মূল্যের যে উপহার তাঁর বন্ধুদের , সমর্থকদের (আউলিয়া) , বিশুদ্ধ বন্ধুদের এবং ওয়াসীদের দিয়েছেন তাহলো তাঁর রাসূলের (সা.) সাহচর্য। এটি প্রমাণ করে যে , আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সম্পর্কে জ্ঞান-এর পরে দুই জগতের মধ্যে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার কারণে সাহচর্য ও তাঁর জন্য ভ্রাতৃত্বের চেয়ে বেশী ঐশী মূল্যের , এর চেয়ে বেশী ভালো অথবা এর চেয়ে বেশী পবিত্র কোন নেয়ামত নেই।

পরামর্শ

ঈমান তোমার কাছে যা দাবী করে সে বিষয়ে পরামর্শ করো তার সাথে যার এ পাঁচটি গুণ আছেঃ বুদ্ধি , জ্ঞান , অভিজ্ঞতা , সৎ উপদেশ এবং তাক্বওয়া (সতর্কতা) । যদি তুমি এ পাঁচটি জিনিস কোন ব্যক্তির ভেতর পাও তাহলে সে সুযোগ কাজে লাগাও , দৃঢ় হও এবং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার উপর নির্ভর করো।

এটি তোমাকে যা সঠিক সেখানে নিয়ে যাবে ।

আর যেসব বিষয় এ পৃথিবীর এবং তা ঈমানের সাথে সম্পর্কিত নয় , এগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নাও এবং এরপর এগুলো সম্পর্কে আর চিন্তা করো না। তাহলে তুমি রিয্ক-এর বরকত এবং আনুগত্যের মিষ্টতা লাভ করবে ।

জ্ঞান অর্জিত হয় আলোচনার মাধ্যমে। বুদ্ধিমান সে যে নুতন জ্ঞান লাভ করে আলোচনার মাধ্যমে এবং তা তাকে তার লক্ষ্য অর্জনে পথ দেখায়। উপযুক্ত পরামর্শদাতার সাথে আলোচনা করা হলো আকাশগুলো ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং এ দু য়ের ধ্বংসের উপর গভীরভাবে ভাবার মত , কেননা ব্যক্তির ভাবনা যত গভীর ও প্রখর হয় এ দু য়ের উপর মারেফাতের নূরের তত গভীরে সে প্রবেশ করে এবং তা তার বুঝকে এবং ইয়াক্বীনকে বৃদ্ধি করে।

তার কাছ থেকে কোন উপদেশ নিও না যাকে তোমার বুদ্ধি সায় দেয় না , যদি সে তার সূক্ষ্ণ আলোচনা ও সুক্ষ্ণ বাছ বিচারের জন্য বিখ্যাতও হয়। যখন তুমি তার কাছ থেকে উপদেশ নাও যাকে তোমার অন্তর বিশ্বাস করে , তাহলে সে যে উপদেশ দেয় তার সাথে দ্বিমত হয়ো না , যদিও তুমি যা চাও তা তার বিপরীতও হয়। নিশ্চয়ই নফস সত্যকে গ্রহণ ও এর বিপরীতকে একত্রে ধারণ করে ; আর তাহলো সে অন্য সত্যগুলোও গ্রহণ করে যা তার কাছে আরো স্পষ্ট। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেছেনঃ

) و َشَاوِرْهُمْ فِي الْأَمْرِ(

‘‘ তাদের সাথে পরামর্শ করো (প্রয়োজনীয়) বিষয়ে।’’ (সূরা আলে ইমরানঃ 159)

এবং আরও বলেছেনঃ

) و َأَمْرُهُمْ شُورَىٰ بَيْنَهُمْ(

‘‘ তাদের নিয়ম হলো তাদের নিজেদের মাঝে পরামর্শ করা।’’ (সূরা শূরাঃ 38)

অর্থাৎ তারা এ বিষয়ে পরামর্শ করে।

সহনশীলতা

সহনশীলতা হচ্ছে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার একটি প্রদীপ যা বহনকারীকে তাঁর (দেয়া) উচ্চ মর্যাদায় নিয়ে যায় , কোন ব্যক্তি সহনশীল হতে পারে না যদি না তাকে মারেফাতের নূর এবং তাওহীদ দেয়া হয়। সহনশীলতার চারটি দিক রয়েছেঃ যখন কোন মানুষকে প্রশংসা করা হয় কিন্তু এরপর তাকে নীচুতে নামানো হয় ; যখন সে সত্যবাদী তখন তাকে মিথ্যাবাদী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয় ; যখন সে মানুষকে সত্যের দিকে ডাকে তখন তাকে তিরস্কার করা হয় ; সে কোন অপরাধ করা ছাড়াই আহত হয় এবং সে যখন তার অধিকার দাবী করে তখন তারা তার বিরোধিতা করে।

যখন এগুলোর প্রত্যেকটিকে তুমি প্রাপ্য অংশ দিয়েছো তখন তুমি লক্ষ্য অর্জন করেছো। যখন তুমি অর্ধেক বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছো এবং তাকে কোন উত্তর দাও নি তখন লোকজন তোমার সাহায্যে এগিয়ে আসবে , কারণ যে ব্যক্তি নির্বোধ লোকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে সে আগুনে কাঠ দেয়।

রাসূল (সা.) বলেছেনঃ‘‘ বিশ্বাসী হচ্ছে পৃথিবীর মাটির মত ; মানুষ তা থেকে উপকারিতা লাভ করে যখন তারা এর উপরে থাকে।’’ যে লোকজনের দুর্ব্যবহার সহ্য করতে পারে না সে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার সস্তুষ্টি অর্জন করতে পারবে না , কারণ তাঁর সন্তুষ্টি সাধারণ মানুষের অপছন্দের সাথে ঘনিষ্টভাবে যুক্ত।

বর্ণিত আছে যে এক ব্যক্তি আহনাফ ইবনে ক্বায়েসকে বললোঃ‘‘ তুমি আমাকে দুঃশিন্তায় ফেলে দিচ্ছো।’’ সে উত্তরে বললোঃ‘‘ আমি তোমার সাথে সহনশীল থাকবো।’’

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ আমাকে পাঠানো হয়েছে সহনশীলতার কেন্দ্র , জ্ঞানের খনি এবং ধৈর্যের বাড়ি হিসেবে।’’ তিনি সত্য বলেছেন যখন বলেছেনঃ‘‘ সত্যিকার সহনশীলতা হলো যখন তুমি কোন ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দাও যখন সে তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে এবং তোমার বিরোধিতা করে অথচ তোমার শক্তি আছে তার উপরে প্রতিশোধ নেয়ার।’’ যেভাবে দোয়াতে বলা হয়েছেঃ‘‘ হে আমার আল্লাহ , আপনি দানে ও সহনশীলতায় খুব বেশী প্রশস্ত আমার কর্মকান্ডের জন্য আমাকে শাস্তি দেয়া এবং আমার ভুলের জন্য আমাকে বেইযযতি করার চেয়ে।’’

অন্যদের উদাহরণ অনুসরণ করা

অন্যের উদাহরণ অনুসরণ করা এর চাইতে বেশী কিছু নয় যা রুহকে দান করা হয়েছিলো তার শুরুতে , যখন সময়ের নূরকে মিশ্রিত করা হয়েছিলো চিরকালের নূরের সাথে। কোন নমুনাকে অনুসরণ করা বাইরের ক্রিয়াকলাপকে গ্রহণ করা বোঝায় না , এটি ধর্মের প্রজ্ঞাবানদের মাঝে আউলিয়া ও ইমামদের (আ.) সাথে পার্থক্য দাবী করে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেছেনঃ

) ي َوْمَ نَدْعُو كُلَّ أُنَاسٍ بِإِمَامِهِمْ(

‘‘ সেদিন আমরা প্রত্যেক জাতিকে তাদের ইমামসহ ডাকবো।’’ (সূরা বনী ইসরাইলঃ 71)

অর্থাৎ যে নিজেকে অস্বীকার করে অন্য কারো [1] অন্তরের অনুসরণ করে সে পবিত্র। অন্য জায়গায় বলেছেনঃ

) ف َإِذَا نُفِخَ فِي الصُّورِ فَلَا أَنسَابَ بَيْنَهُمْ يَوْمَئِذٍ وَلَا يَتَسَاءَلُونَ(

‘‘ যখন শিংগায় ফুঁ দেয়া হবে , সেদিন তাদের নিজেদের মধ্যে আর কোন সম্পর্কের বন্ধন থাকবে না , না তারা কেউ কারও সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে।’’ (সূরা মূমিনূনঃ 101)

আমিরুল মুমিনীন বলেছেনঃ‘‘ আত্মাগুলো এক একটি সৈন্যদল। যারা পরস্পরকে জানে তারা ঘনিষ্ট এবং যারা পরস্পরকে জানে না তারা পরস্পর দ্বিমত পোষণ করে।’’ মুহাম্মাদ ইবন আল-হানাফিয়াকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো কে তাকে ভালো আচরণ শিখিয়েছে। সে বলেছিলোঃ‘‘ আমার রব আমাকে সু-আচরণ শিখিয়েছেন আমার ভিতরে। বুদ্ধিমান ও অন্তর্দৃষ্টি সম্পন্ন লোকদের মাঝে আমি ভালো যা দেখি তাই আমি অনুসরণ করি এবং ব্যবহার করি ; মুর্খলোকদের মাঝে আমি যা ঘৃণ্য দেখি তা আমি এড়িয়ে যাই ও চিরদিনের জন্য পরিত্যাগ করি। আর তা আমাকে জ্ঞানের পথে এনেছে। দৃঢ় বিশ্বাসীর জন্য অন্যদের উদাহরণ অনুসরণ করার চেয়ে নিরাপদ আর কোন পথ নেই , কারণ তা হচ্ছে সবচেয়ে স্পষ্ট পথ এবং ত্রুটিহীন লক্ষ্য।’’ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মুহাম্মাদকে (সা.) বলেছেনঃ

) أ ُولَـٰئِكَ الَّذِينَ هَدَى اللَّـهُ فَبِهُدَاهُمُ اقْتَدِهْ(

‘‘ এরাই তারা যাদের আল্লাহ পথ দেখিয়েছেন। অতএব তাদের হেদায়েত অনুসরণ করো।’’ (সূরা আনআমঃ 90)

অন্য জায়গায় তিনি বলেছেনঃ

) ث ُمَّ أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ أَنِ اتَّبِعْ مِلَّةَ إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ(

‘‘ এরপর তোমার কাছে আমরা ওহী পাঠালামঃ হানিফ (আল্লাহর প্রতি নিবদ্ধ) ইবরাহীমের বিশ্বাসকে আনুসরণ করো।’’ (সূরা নাহলঃ 123)

যদি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার ধর্মতে একটি নমুনার অনুসরণের চাইতে আরও সরল সোজা কোন পথ থাকতো তাহলে তা তিনি তাঁর রাসূল (সা.) এবং তার সমর্থকদের জন্য উল্লেখ করতেন।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন :‘‘ অন্তরে একটি নূর (আলো) আছে যা জ্বলে উঠে শুধু সত্যকে অনুসরণ করলে এবং সত্য পথের দিকে যেতে চাইলে’’ এটি রাসূল (সা.)-এর নূরের একটি অংশ যা বিশ্বাসীদের অন্তরে আমানত দেয়া হয়েছে।