পবিত্র শাবান মাসের ফজিলত ও আমল

পবিত্র শাবান মাসের ফজিলত ও আমল0%

পবিত্র শাবান মাসের ফজিলত ও আমল লেখক:
প্রকাশক: -
বিভাগ: ধর্ম এবং মাযহাব

  • শুরু
  • পূর্বের
  • 11 /
  • পরের
  • শেষ
  •  
  • ডাউনলোড HTML
  • ডাউনলোড Word
  • ডাউনলোড PDF
  • ভিজিট: 5439 / ডাউনলোড: 2313
সাইজ সাইজ সাইজ
পবিত্র শাবান মাসের ফজিলত ও আমল

পবিত্র শাবান মাসের ফজিলত ও আমল

লেখক:
প্রকাশক: -
বাংলা

পবিত্র শাবান মাসের ফজিলত ও আমল

অনুবাদক: মুহম্মদ রিজওয়ানুস সালাম খান

بسم الله الرحمن الرحیم

শুরু করি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময় ও দয়ালু ।

শাবান মাস আমার মাস ॥

বিশ্ব নবী (স.)॥

পবিত্র শাবান মাসের ফজিলত ও আমল

অনুবাদ : মুহম্মদ রিজওয়ানুস সালাম খান (কুম , ইরান)

সম্পাদনা : জনাব মাওলানা আবুল কাসেম সাহেব (কুম , ইরান)

ব্যবস্থাপনায় : নূরুল ইসলাম একাডেমী , চণ্ডীপুর , (পঃ বঃ) , ভারত

কম্পোজ : আঞ্জুমান-এ-তাবেঈন-এ-আহলে বায়েত (আ.) ,চণ্ডীপুর ,

প্রকাশকাল : মহর্রম 1430 , মাঘ: 1415 , জানুয়ারী: 2009

প্রকাশনায় : মাজমা-এ-যাখায়ের-এ-ইসলামী , বাড়ি নং 1 , গলি নং 23 , আযার স্ট্রীট , কুম , ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান ।

গ্রন্থস্বত্ব প্রকাশকের জন্য সংরক্ষিত

قال النبی صلی الله علیه و آله و سلم:

اوّلکم وردوا فی الحوض اوّلکم اسلاما علی بن ابی طالب

হজরত মহানবী (স.) এরশাদ করেছেন:

তোমাদের মধ্যে সবার আগে হাউজে কাওসারে প্রবেশ করবে সেই ব্যক্তি যে সবার আগে ইসলাম গ্রহণ করেছে , আর সে হল হজরত আলী ইবনে আবী তালিব (আ.)।1

بسم الله الرحمن الرحیم

হজরত ইমাম মাহদী (আ.)-এর সুস্থতা কামনার দোওয়া

اللَّهُمَّ کُنْ لِوَلِیِّکَ الحُجَهِ بنِ الحَسَن صَلَواتُکَ علَیهِ و عَلی آبائِهِ فِی هَذِهِ السَّاعَهِ وَ فِی کُلِّ سَاعَهٍ وَلِیّاً وَ حَافِظاً وَ قَائِداً وَ نَاصِراً وَدَلِیلًا وَ عَیْناًحَتَّى تُسْکِنَهُ أَرْضَکَ طَوْعاً وَ تُمَتعَهُ فِیهَا طَوِیلا ".

হে খোদা! তুমি স্বীয় প্রতিনিধি হুজ্জ্বত ইবনুল হাসান এবং তার পবিত্র পূর্ব পুরুষগণের প্রতি অগণিত রহমত বষর্ণ করো এবং এই মুহূর্ত হতে সর্বদা তুমি তাঁর সংরক্ষক , পৃষ্ঠপোষক , সহায়ক , রক্ষক , তথা পথ-প্রদর্শক থেকো এবং তোমার জগৎকে সুদীর্ঘকাল পর্যন্ত অবশিষ্ট রেখো যাতে তোমার প্রতিনিধি তোমার নেয়ামত সমূহ হতে পূর্ণ রূপে লাভবান হতে পারেন।

শাবান মাসের ফজিলত ও মর্যাদা

শাবান মাস খুবই ফজিলত ও কল্যাণের মাস নবী করিম (স.) বলেছেন: শাবান মাস আমার মাস।

হজরত ইমাম মুহম্মদ বাকের (আ.) বলেছেন: রাত সমূহের মধ্যে কদ্বরের রাতের পর 15ই শাবানের রাত হলো সর্বোত্তম রাত।

এই মাসে এমন এক শিশু জন্ম নিয়েছেন যাঁর দ্বারা আল্লাহ তাবারক ও তায়া লা সমস্ত অত্যাচারিতদের সাহায্য করবেন এবং তার মাধ্যমে জমিনকে ইনসাফ ও ন্যায় বিচা রে পরিপূর্ণ করবেন এবং অন্যায় ও অত্যাচারকে নিঃশেষ করবেন।

শাবান মাস রমজান মাসে প্রবেশ করার ভূমিকা , আল্লাহর আতিথ্যে প্রবেশ করার পূর্বে মু মিনদের এই মাস থেকে প্রস্তুতি নেওয়া কর্তব্য।

অতএব আমাদের উচিৎ আল্লাহর সাহায্য কামনার মাধ্যমে ঐক্যন্তিকতার সাথে তাঁর নৈকট্য অর্জন করার জন্য পরিপূর্ণ চেষ্টা করা।

শাবান মাসের আমল

1. রোজা:

রেওয়ায়েতে বর্ণনা হয়েছে আল্লাহর নবী (স.) এই মাসে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রোজা রাখতেন এবং রমজানের রোজার সাথে নিজের রোজাকে মিলিয়ে দিতেন।

হজরত নবী করিম (স.) বলেছেন: শাবান মাস আমার মাস যে এই মাসে একটি রোজা রাখবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

প্রথম ইমাম হজরত আলী (আ.) বলেছেন: শাবান ও রমজান দুই মাসের রোজা রাখা হল আল্লাহর নিকট তওবা করা (ক্ষমা প্রার্থনা ও পুনরায় গুণাহে প্রত্যাবর্তন না করার শপথ করা ও মার্জনা চেয়ে নেওয়ার শামিল।

ষষ্ঠ ইমাম হজরত জাফর সাদিক (আ.) বলেছেন: যখন হজরত নবী করিম (স.) শাবান মাসের (হেলাল) চাঁদ দেখতেন এক ব্যক্তিকে আদেশ দিয়ে বলতেন যে মদীনা বাসিদের কানে এ আহবান পৌঁছে দাও যে , আমি আল্লাহর রসূল (স.)-এর তরফ থেকে এসেছি শাবান মাসের চাঁদ উদয়ের খবর তোমাদের নিকটে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এবং নবী (স.)ও বার্তা দিয়ে পাঠিয়েছেন: জেনে রাখ! শাবান মাস আমার মাস , আল্লাহ তার উপর রহমত বষর্ণ করুন যে এই মাসে আমাকে সাহায্য করবে অর্থাৎ রোজা রাখবে।

প্রথম ইমাম হজরত আলী (আ.) বলেছেন: যখন থেকে রসূল (স.)-এর আহবানকারীর এ আহবান শুনেছি যে ; শাবান মাস আমার মাস আল্লাহ তার উপর রহমত বষর্ণ করুন যে এই মাসে আমাকে সাহায্য করবে অর্থাৎ রোজা রাখবে। তখন থেকে জীবনের শেষ পর্যন্ত কোন দিন এই রোজাগুলি ত্যাগ করেনি।

ষষ্ঠ ইমাম হজরত জাফর সাদিক (আ.) থেকে বর্ণিত হয়েছে তিনি বলেছেন: যে ব্যক্তি শাবান মাসের প্রথম দিনে রোজা রাখবে তার উপর জান্নাত ফরজ আর যে দুদিন রোজা রাখবে আল্লাহ তায়া লা দিবারাত্রি তার প্রতি দৃষ্টি দান করেন আর এই দৃষ্টি জান্নাতে যাওয়া পর্যন্ত অব্যাহত রাখবেন ; যে তিন দিন রোজা রাখবে আল্লাহ তাকে নিজের আরশের নিকট স্থান দেবেন ও জান্নাত প্রদান করবেন।

2. ইস্তেগফার:

প্রতিদিন সত্তর বার এই দোওয়া পড়া:

اَسْتَغْفِرُ اللّهَ وَاَسْئَلُهُ التَّوْبَةَ

উচ্চারণ: আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আস আ লুহু ত-তাওবা

প্রতিদিন সত্তর বার এই দোওয়া পড়া:

اَسْتَغْفِرُاللّهَ الَّذى لا اِلهَ اِلاّ هُوَ الرَّحْمنُ الرَّحیمُ الْحَىُّ الْقَیّوُمُ وَ اَتُوبُ اِلَیْهِ

উচ্চারণ: আস্তাগফিরুল্লাহাল লাযী লা ইলাহা ইল্লা হুয়ার রাহমানির রহীম আল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম ওয়া আতু বু ইলাইহি।

রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে: যে ব্যক্তি প্রতিদিন এই মাসে সত্তর বার ইস্তিগফার করবে অন্য মাসে সত্তর হাজার বার ইস্তিগফার করার সমতুল্য।

তাওবা কি ভাবে করা উচিত:

রেওয়ায়েতে হজরত নবী করিম (স.) থেকে বর্ণি ত হয়েছে যে , হজরত রসূল (স.) একদা জ্বিলক্বাদা মাসের সোমবার নিজের গৃহ থেকে বের হয়ে বললেন:

হে জনগণ! তোমাদের মধ্যে কে তাওবা করতে চায় ? বর্ণনা কারী বলেন: আমরা সকলেই মিলে ব ললাম আমরা সকলে তাওবা করতে চাই।

অতপর হজরত নবী করিম (স.) বললেন: গোসল করবে , ও জু করবে , চার রাকআত (দুই দুই রাকআত করে) নামাজ পড়বে , প্রতি রাকআতে একবার সূরা আল-হা মদ , তিনবার সূরা তৌহীদ (কুলহু আল্লাহু) এবং একবার একবার করে সূরা নাস (কূল আয়ূজোবি রব্বিন্নাস) ও সূরা ফালাক্ব (কুল আয়ূজোবি রব্বিল ফালা ক্ব) পড়বে অতপর সত্তর বার ইস্তিগফার করবে এবং ইস্তিগফারের পর এই বাক্যকে মিলিয়ে পড়বে।

لا حول و لا قوّة الا بالله العلی العظیم

উচ্চরণ: লা হাওলা ওয়া লা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়িল আজিম।

অতপর এই দোওয়া পড়বে:

یا عزیز یا غفار اغفرلی ذنوبی و ذنوب جمیع المؤمنین و المؤمنات فإنّه لایغفر الذّنوب الا انت.

উচ্চারণ: ইয়া আজি জু ইয়া গাফ্ফারু ইগফিরলি যুনুবি ওয়া জুনুবা জা মিয়ীল মো 'মেনীন ওয়াল মো 'মেনাতি ফা -ইন্নাহু লা -ইয়াগফেরুজ্জুনুবা ইল্লা আনতা।

অতপর বললেন: আমার উম্মতের এমন কোন ব্যক্তি নেই যে এই আমল করবে কিন্তু তার জন্য আসমান থেকে ধ্বনি আসবে না যে , হে আমার বান্দা! তোমার নিজের আমল প্রথম থেকে আরম্ভ কর তোমার তাওবা কবুল হয়ে গিয়েছে তোমার গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে।

এক ব্যক্তি আল্লাহর রসূলের নিকটে প্রশ্ন করে: যদি কেউ এই মাস ছাড়া অন্য কোন মাসে (সময়ে) এই আমল করে তার জন্য কি কোন উপহার আছে ?

তিনি (স.) উত্তরে বললেন: অবশ্যই আছে , যা কি ছু বলেছি তাই তার জন্যও আছে।2

3. শাবান মাসের মোনাযাত:

পবিত্র শাবান মাসে পড়ার জন্য শাবানের মোনাযাত বিশেষ ভাবে বর্ণনা হয়েছে এই মোনাযাতে আল্লাহ তায়ালার অতি মহত্বপূর্ণ গুণাবলী বর্ণনা করা হয়েছে। এই মাস ছাড়া অন্য সময় পড়া ও অতি গুরুত্বপূর্ণ

আয়াতুল্লাহ খোমেনী (রহ.) বলেন: আমরা গর্বিত এজন্য যে , জীবন দানকারী (প্রার্থনা) দোওয়া যাকে কুরআনে সাঈদ (قرآن صاعد ) অর্থাৎ: উর্ধ্বগামী কুরআন বলা হয়েছে তা আমাদের পবিত্র ইমামদের নিকট থেকে বর্ণিত হয়েছে। আমাদের নিকটে ইমামদের মোনাযাতে শাবানিয়া , ইমাম হোসায়েন (আ.)-এর দোওয়া-এ-আরাফাত , জাবুরে আলে মুহম্মদ (স.) সহিফায়ে সাজ্জাদীয়া ও সহিফায়ে মাতেমা (আ.) যে আল্লাহর তরফ হতে হজরত জা হরা (আ.)-এর নিকটে ইলহাম হয়ে ছিল আমাদের ইমামগণ (আ.)-এর নিকট হতে বর্ণনা হয়েছে।3 মোনাযাতে শাবানীয়া এমন একটি মোনাযাত যদি তা নিয়ে কেউ চিন্তা করে , তাহলে সে এক উচ্চস্থানে পৌঁছাতে পারে। যারা এই দোওয়া পড়তে চান মাফাতিহুল জিনানে শাবান মাসের যৌথ আমাল অধ্যায় দেখতে পারেন , দোওয়া এই বাক্যে আরম্ভ হয়:

اللهم صلّ علی محمد و آل محمد و اسمع دعائی اذا دعوتک.....

উচ্চরণ: আল্লাহুম্মা স ল্লেআলা মুহম্মাদীন ওয়া আলে মুহম্মাদীন ওয়া সমা দোওয়ায়ী ইযা দাআওতোকা...

অর্থাৎ: হে আল্লাহ! মুহম্মাদ ও তাঁর বংশধরের উপর দরুদ বষর্ণ করুন , যখন আমি দোওয়া করি আপনি আমার দোওয়া (প্রার্থনা)কে শোনেন।

4. হাজার বার জিকর করা:

এই মাসে এই জিকর এক হাজার বার পড়া:

لا اله الا الله و لا نعبد الا ایّاه مخلصین له الدین و لو کره المشرکین

উচ্চারণ: লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়ালা না বু দু ইল্লা ইয়্যাহু মুখলেসিনা লাহুদ্দীনা ওয়া লাও কারেহাল মুশরেকুন

এই জিকর পড়া অতি ছোয়াবের কাজ তার মধ্যে হাজার বৎসরের ইবাদাতের ছোয়াব তার আমল নামায় লেখা হবে।

5.দরুদ পড়া :

এই মাসে ব্যপক ভাবে মুহম্মদ (স.) ও তাঁর বংশধরের উপর দরুদ শরীফ পড়া:

اللهم صلّ علی محمد و آل محمد

উচ্চরণ: আল্লাহুম্মা সল্লেআলা মুহম্মাদীন ও য় আলে মুহম্মাদ অর্থাৎ: হে আল্লাহ! মুহম্মাদ (স.) ও তাঁর বংশধরের উপর দরুদ বষর্ণ করুন।

6. এই মাসের প্রতি বৃহস্পতিবার দুই রাকআত নামাজ পড়া:

নামাজ পড়ার নিয়ম: প্রতি র কাতে আল হামদের পরে একশত বার কুলহু আল্লাহু আহাদ পড়তে হবে , নামাজের পর দরুদ পাঠ করতে হবে কেন না দোওয়া কবুল হওয়ার জন্য দরুদ শরীফ অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখে।

উল্লেখ্য য যে , এই মাসের প্রথম , তৃতীয় ও পনের তারিখের জন্য বিশেষ আমল বর্ণিত হয়েছে। বিশেষ করে পনের তারিখের রাত্রে , এই রাত দ্বাদশ ইমাম হজরত মাহ্দী (আ.)-এর জন্মের রাত তাই খুবই কল্যাণকর ও মুবারক রাত।

পঞ্চম ইমাম হজরত মুহম্মদ বাকের ইবনে জয়নুল আবেদীন (আ.)-কে পনের শাবানের ফজিলত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে ; তিনি (আ.) উত্তরে বলেন: এই রাত ক্বদরের রাতের পরে সর্বোত্তম রাত এই রাতে আল্লাহ তায়া লা নিজের বান্দাদেরকে কল্যান দান করেন এবং নিজের অনুগ্রহে তাদের পাপ সমূহকে মার্জনা করেন।

6. সাদকা দেওয়া:

এই মাসে সাদকা দেওয়া , যদিও তার পরিমান কম হোক না কেন , এতে জাহান্নামের আগুন তার থেকে দূরে সরে যায়।

ষষ্ঠ ইমাম হজরত জাফর সাদিক ইবনে মুহাম্মদ বাকের (আ.) কে জিজ্ঞাসা করা হলো যে এই মাসে সর্বোত্তম আমল কি ?

-উত্তরে তিনি (আ.) বললেন: সাদকা দেওয়া ও ইস্তেগফার করা।

পবিত্র শাবান মাসের দোওয়া

اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ شَجَرَةِ النُّبُوَّةِ وَ مَوْضِعِ الرِّسَالَةِ وَ مُخْتَلَفِ الْمَلَائِكَةِ وَ مَعْدِنِ الْعِلْمِ وَ أَهْلِ بَيْتِ الْوَحْيِ اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ الْفُلْكِ الْجَارِيَةِ فِي اللُّجَجِ الْغَامِرَةِ يَأْمَنُ مَنْ رَكِبَهَا وَ يَغْرَقُ مَنْ تَرَكَهَا الْمُتَقَدِّمُ لَهُمْ مَارِقٌ وَ الْمُتَأَخِّرُ عَنْهُمْ زَاهِقٌ وَ اللَّازِمُ لَهُمْ لَاحِقٌ اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ الْكَهْفِ الْحَصِينِ وَ غِيَاثِ الْمُضْطَرِّ الْمُسْتَكِينِ وَ مَلْجَإِ الْهَارِبِينَ وَ عِصْمَةِ الْمُعْتَصِمِينَ اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ صَلَاةً كَثِيرَةً تَكُونُ لَهُمْ رِضًى وَ لِحَقِّ مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ أَدَاءً وَ قَضَاءً بِحَوْلٍ مِنْكَ وَ قُوَّةٍ يَا رَبَّ الْعَالَمِينَ اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ الطَّيِّبِينَ الْأَبْرَارِ الْأَخْيَارِ الَّذِينَ أَوْجَبْتَ حُقُوقَهُمْ وَ فَرَضْتَ طَاعَتَهُمْ وَ وِلَايَتَهُمْ اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ وَ اعْمُرْ قَلْبِي بِطَاعَتِكَ وَ لَا تُخْزِنِي بِمَعْصِيَتِكَ وَ ارْزُقْنِي مُوَاسَاةَ مَنْ قَتَّرْتَ عَلَيْهِ مِنْ رِزْقِكَ بِمَا وَسَّعْتَ عَلَيَّ مِنْ فَضْلِكَ وَ نَشَرْتَ عَلَيَّ مِنْ عَدْلِكَ وَ أَحْيَيْتَنِي تَحْتَ ظِلِّكَ وَ هَذَا شَهْرُ نَبِيِّكَ سَيِّدِ رُسُلِكَ شَعْبَانُ الَّذِي حَفَفْتَهُ مِنْكَ بِالرَّحْمَةِ وَ الرِّضْوَانِ الَّذِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَ آلِهِ وَ [سَلَّمَ‏] يَدْأَبُ فِي صِيَامِهِ وَ قِيَامِهِ فِي لَيَالِيهِ وَ أَيَّامِهِ بُخُوعاً لَكَ فِي إِكْرَامِهِ وَ إِعْظَامِهِ إِلَى مَحَلِّ حِمَامِهِ اللَّهُمَّ فَأَعِنَّا عَلَى الِاسْتِنَانِ بِسُنَّتِهِ فِيهِ وَ نَيْلِ الشَّفَاعَةِ لَدَيْهِ اللَّهُمَّ وَ اجْعَلْهُ لِي شَفِيعاً مُشَفَّعاً وَ طَرِيقاً إِلَيْكَ مَهْيَعاً وَ اجْعَلْنِي لَهُ مُتَّبِعاً حَتَّى أَلْقَاكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَنِّي رَاضِياً وَ عَنْ ذُنُوبِي غَاضِياً قَدْ أَوْجَبْتَ لِي مِنْكَ الرَّحْمَةَ وَ الرِّضْوَانَ وَ أَنْزَلْتَنِي دَارَ الْقَرَارِ وَ مَحَلَّ الْأَخْيَارِ

আল্লাহুম্মা স ল্লে আলা মুহম্মাদিন ও য়া আলে মুহম্মদিন শাজারাতিন নুবুওয়্যাতে ওয়া মওযেয়ীর রেসালাতে ওয়া মুখ তালাফিল মালায়েকাতে ওয়া মা য়াদেনিল ইলমে ওয়া আহলে বায়তিল ওহীয়ে আল্লাহুম্মা সল্লে আলা মুহম্মদিন ওয়া আলে মুহম্মদিল ফুলকিল জারিয়াতে ফি লুজাজিল গামেরাতে ইয়ামানো মান রাকেবাহা ওয়া য়্যাগরাকো মান তারাকাহা , আল মুক্বাদ্দেমো লাহুম মারেকুন ওয়াল মুতায়াক্ষেরো আনহুম জাহেকুন ওয়াল্লাযেমো লাহুম লাহেকুন , আল্লাহুম্মা সল্লে আলা মুহম্মাদিন ওয়ালে মুহম্মদিল কাহফিল হাসিনে ওয়া গেয়াছিল মুজতাররিল মুস্তাকিনে ওয়া মালজাইল হারেবিনা ওয়া ইসমাতিল মো তাসেমীনা।

আল্লাহুম্মা সল্লে আলা মুহম্মদিন ওয়ালে মুহম্মদিন সালাতান কাছিরাতান তাকুনু লাহুম রেজান ওয়ালে হক্কে মুহম্মদিন ওয়ালে মুহম্মদিন আদায়ান ওয়া ক্বযায়ান বেহাওলিন মিনকা ওয়াকওুয়্যাতিন ইয়া রব্বাল আ লামীনা।

আল্লাহুম্মা সল্লে আলা মুহম্মদিন ওয়ালে মুহম্মদিন আত্তায়্যেবিনাল আবরারিল আখইয়ারিল্লাজিনা আওজাবতা হুকুক্বাহুম ওয়া ফারাজতা তায়াতাহুম ওয়া বিলায়াতাহুম। আল্লাহুম্মা সল্লে আলা মুহম্মদিন ওয়া আলে মুহম্মদিন ওয়া মুর ক্বাল্বী বেতায়াতিকা ওয়ালা তুখ জিনি বে মা সিয়াতিকা ওয়ারযুকনি মুয়াসাতা মান ফাত্তারতা আলাইহে মিন রিজক্বেকা বিমা ওয়াস্সা তা আলাইয়া মিন ফাজলেকা , ওয়া নাশারতা আলাইয়া মিন আদলেকা , ওয়া আহয়ায়তানি তাহতা জি ল্লেকা ওয়া হাজা শাহরে নাবিয়্যেকা সাইয়্যেদে রোসোলেকা শা বানুল লাজি হাফাফতাহু মিনকা বিররহমাতে ওয়ার রিজওয়ানিল্লাজি কানা রাসূলুল্লাহে (স.) য়্যাদআবো ফি সেয়ামেহি ওয়া ক্বেয়ামেহি ফিলায়ালেহি ওয়া আইয়ামেহি বুখুয়ান লাকা ফি ইকরামেহি ওয়া ইজামেহি ইলা মাহাল্লে হেমামেহি , আল্লাহুম্মা ফায়ায়িন্না আলাল ইসতেনানে বেসুন্নাতেহি ফিহে ওয়া নায়লিশ শাফায়াতে লাদায়হি।

আল্লাহুম্মা ওয়াজয়ালহু লি শাফিয়ান মোশাফ্ফেআন ওয়া তারিকান ইলাইকা মহিয়ান ওয়াজআলনি লাহু মুত্তাবেআন হাত্তা আলক্বকা য়্যাওমাল ক্বেয়ামাতে আ ন্নি রাজিয়ান ওয়া আন জুনুবি গাজিয়ান ক্বাদ আওজাবতালি মিনকার রহমাতা ওয়ার রিজওয়ানা ওয়া আঞ্জালতানি দারাল ক্বারারে ওয়া মাহা ল্লিল আখইয়ারে।

হে আল্লাহ! তুমি তোমার নবী ও তাঁর পবিত্র বংশধরের উপর অগণিত দরুদ ও সালাম বষর্ণ ক রো এবং শেষ ইমাম হজরত মাহদী (আ.)-কে শীঘ্র আবির্ভাব করুন , আমাদের সকলকে তাঁর খাস সৈন্যদের মধ্যে অন্তর ভুক্ত করুন।

দোওয়া প্রার্থি:

একবার সুরা ফাতেহা তিনবার কুলহু আল্লাহু আহাদ পড়ে সকল মুমিন ও মোমেনাতের রুহে বখ্শে দিন।

নূরুল ইসলাম একাডেমী ও মাজমা-এ-যাখায়ের-এ-ইসলামী কর্তৃক যে সমস্ত পুস্তক প্রকাশ করছে:

1. খিলাফত বনাম ইমামত , লেখক: গবেষক মরহুম মুহম্মদ নূরুল ইসলাম ইবনে মুহম্মদ নজিবোল ইসলাম খান (রহ.)

2. চৌদ্দ মাসুম (আলাইহিমু স সালাম)-এর সংক্ষিপ্ত জীবনী (হজরত রসূল (স.) হতে হজরত মাহ্দী (আ.) পর্যন্ত , 14 টী পুস্তিকা)

3. ওহি-গৃহে আক্র€মণ

4. সফলতার একটাই পথ

5. দোওয়া-এ-তাওয়া সসুল (সাথে উচ্চারণ ও অনুবাদ)

6. পবিত্র রজব মাস মহান আলাহর মাস

7. পবিত্র শাবান মাসের খোৎবার বঙ্গানুবাদ

8. শিয়াদের প্রতি অশোভন অভিযোগ

9. প্রবিত্র রমজান মাসের ফজিলত ও আমল

10. প্রবিত্র শাবান মাসের ফজিলত ও আমল

তথ্যসূত্র:

1 , আল মুস্তাদরাক - আল হাকেম : 3 : 136। আল - ইস্তিয়াব : 3 : 27 , 28। উ সদুল গাবাহ : 4 : 18। তারিখে বাগদাদ : 2 : 81 ।

2 আল - মোরাক্বেবাত / 2য় খণ্ড , 178 পৃষ্ঠা । 2 আল - মোরাক্বেবাত / 2য় খণ্ড , 178 পৃষ্ঠা ।

3 অসিয়তনামা ইমাম খোমেনী ( রহ .)

সূচীপত্র:

শাবান মাসের ফজিলত ও মর্যাদা 6

শাবান মাসের আমল 7

পবিত্র শাবান মাসের দোওয়া 12

তথ্যসূত্র: 16