মাহদী ( আঃ ) সম্পর্কে নবীর ( সাঃ ) হাদীস
আবু দাউদ তার‘
সহীহ’
-তে (পৃষ্ঠা ৮৭ , চতুর্থ খণ্ডে) , আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণনা করেন নবী (সাঃ) বলেছেনঃ
“
যদি পৃথিবীর জীবন আর একদিনও অবশিষ্ট না থাকে সর্বশক্তিমান আল্লাহ দিনটিকে এত দীর্ঘ করে দিবেন যতক্ষণ পর্যন্ত না তিনি এক ব্যক্তিকে আমার বংশ থেকে নিয়োগ দিবেন।”
এরপর তিনি একইভাবে বলেন যে হাদীসে সুফিয়ানে এসেছে যে নবী (সাঃ) বলেছেন :“
পৃথিবীর জীবন শেষ হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না একজন আরব আমার বংশ থেকে পৃথিবী শাসন করবে।”
ঐ একই বইয়ের একই পৃষ্ঠায় আলী (আঃ) থেকে একটি হাদীস এসেছে যে নবী (সাঃ) বলেছেন :“
যদি পৃথিবীর জীবন আর একদিনও অবশিষ্ট না থাকে আল্লাহ আমার বংশ থেকে এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দিবেন।”
তিরমিযী তার সহীহতে , (খণ্ড-২ , পৃষ্ঠা- ২৭) , আব্দুল্লাহ থেকে একটি হাদীস বর্ণনা করেন যে নবী (সাঃ) বলেছেন :
“
পৃথিবীর জীবন শেষ হবে না যতক্ষণ না একজন আরব আমার বংশ থেকে আসবে এবং শাসন করবে।”
তিরমিযী বলেন : এ হাদীসটি হাসান (গ্রহণযোগ্য) এবং সহীহ (সঠিক) এবং একই জিনিস বর্ণিত হয়েছে আলী , আবু সাইয়ীদ , উম্মে সালামা এবং আবু হুরায়রা থেকে।
একই বইতে একই পৃষ্ঠায় একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে আবু হুরায়রা থেকে যে , নবী (সাঃ) বলেছেন :
“
যদি পৃথিবীর জীবন এক দিনের বেশী অবশিষ্ট না থাকে সর্বশক্তিমান আল্লাহ সেদিনকে এত দীর্ঘ করে দিবেন যতক্ষণ পর্যন্ত না এক ব্যক্তি আমার বংশ থেকে আসবে ও শাসন করবে।”
এরপর তিনি বলেন : এ হাদীসটি হাসান (গ্রহণযোগ্য) এবং সহীহ (সঠিক)।
ইবনে হাজার তার‘
সাওয়ায়েক্ব’
-এ , (পৃষ্ঠা নং ৯৭) বলেন : আবু আহমাদ , আবু দাউদ , তিরমিযী এবং ইবনে মাজাহ নবী (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে নবী (সাঃ) বলেছেন :
“
যদি পৃথিবীর জীবন এক দিনের বেশী অবশিষ্ট না থাকে অবশ্যই আল্লাহ সেদিন আমার বংশ থেকে এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দিবেন।”
ইসাফুর রাগেবীনের ১৪৭ নং পৃষ্ঠায় এ হাদীসটি বর্ণনা করা হয়েছে।
ইসাফুর রাগেবীন এ হাদীস বর্ণনা করেছে ১৪৮ পৃষ্ঠায়।
ইবনে হাজার পূর্বে উল্লেখিত বইয়ের ৯৭ পৃষ্ঠায় বলেন : আবু দাউদ এবং তিরমিযী নবী (সাঃ) থেকে এরকম বর্ণনা করেছেন :
“
এ পৃথিবীর জীবন শেষ হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না আমার বংশ থেকে এক ব্যক্তি আসবে ও শাসন করবে।”
ইসাফুর রাগেবীনও একই হাদীস ১৪৮ পৃষ্ঠায় বর্ণনা করেছে।
ইবনে হাজার‘
সাওয়ায়েক্ব’
এ (পৃষ্ঠা-৯৭) লিখেছেন : আবু দাউদ এবং তিরমিযী নবী (সাঃ) থেকে এরকম বর্ণনা করেছেন :
“
যদি পৃথিবীর জীবন এক দিনের বেশী অবশিষ্ট না থাকে আল্লাহ সেদিনকে এত দীর্ঘ করে দিবেন যতক্ষণ পর্যন্ত না তিনি আমার বংশ থেকে এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দেন।”
ইসাফুর রাগেবীনও একই হাদীস ১৪৮ পৃষ্ঠায় বর্ণনা করেছে।
নুরুল আবছারে , (পৃষ্ঠা-২৯৯) আলী (আঃ) থেকে একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে যে নবী (সাঃ) বলেছেন :
“
যদি পৃথিবীর জীবন এক দিনের বেশী অবশিষ্ট না থাকে অবশ্যই (সেদিন) আল্লাহ আমার বংশ থেকে এক ব্যক্তির আগমন ঘটাবেন।”
এরপর লেখক বলেন :‘
এ হাদীসটি আবু দাউদ কৃতর্ক তার‘
সুনানে’
বর্ণিত হয়েছে।’
একই বইতে (পৃষ্ঠা ২৩১) আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত হয়েছে যে নবী (সাঃ) বলেছেন :
“
ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না আমার বংশ থেকে এক ব্যক্তি আসে এবং শাসন করে।”
ইসাফুর রাগেবীনের ১৫১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা হয়েছে যে আহমাদ ও মাওয়ারদী নবী (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে তিনি বলেছেন :“
সুসংবাদ তোমাদের (সবাইকে) মাহদীর বিষয়ে।”
একই হাদীস এসেছে নুরুল আবসারে ১৫১ পৃষ্ঠায়।
নুরুল আবসারের লেখক ২৩১ পৃষ্ঠায় লেখেন : আহমাদ বর্ণনা করেছেন আবু সাইদ খুদরী থেকে যে নবী (সাঃ) বলেছেন :“
আমি তোমাদের সুসংবাদ দিচ্ছি মাহদী সম্পর্কে।”
ইয়ানাবিউল মুওয়াদ্দাতে (পৃষ্ঠা ৪৩২) ক্বাতাদা থেকে বর্ণিত হয়েছে :“
আমি সাইদ ইবনে মাসীবকে জিজ্ঞেস করলাম :“
মাহদী সম্পর্কে কী কোন সত্যতা আছে ?”
সে বললো : হ্যা , সে সত্য এবং সে ফাতেমার বংশ থেকে।”
একই বইতে পূর্বে উল্লেখিত পৃষ্ঠায় আলী (আঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে নবী (সাঃ) বলেছেন :“
যদি পৃথিবীর জীবন এক দিনের বেশী অবশিষ্ট না থাকে অবশ্যই আল্লাহ আমার বংশ থেকে এক ব্যক্তির আগমন ঘটাবেন।”
এরপর তিনি লেখেন :“
এ হাদীসটি আবু দাউদ , আহমাদ , তিরমিযী ও ইবনে মাজাহও বর্ণনা করেছেন।”
একই বইতে , (পৃষ্ঠা ৪৩২) একটি হাদীস আহমাদ এর‘
মুসনাদ’
থেকে বর্ণিত হয়েছে যে নবী (সাঃ) বলেছেন :“
ক্বেয়ামত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ না পৃথিবী নিষ্ঠুরতায় ও নিপীড়নে পূর্ণ হবে। তখন আমার বংশ থেকে এক ব্যক্তি আসবে তা ইনসাফ ও ন্যায়বিচারে পূর্ণ করে দিতে।”
আবার একই বইতে ৪৪০ পৃষ্ঠায় তিনি লিখেছেন : মুফেক্ব ইবনে আহমাদ আখতার খাওয়ারাযম-এর খোতবা থেকে বর্ণনা করেন যিনি বর্ণনা করেন আব্দুর রহমান ইবনে আবি লাইলী থেকে , তিনি তার বাবা থেকে যিনি বলেন : খাইবারের যুদ্ধে নবী (সাঃ) আলীর (আঃ) হাতে পতাকা দিলেন। তারপর আল্লাহ তার হাতে বিজয় দিলেন। পরে গাদীরে খুমে তিনি লোকদেরকে মনে করিয়ে দিলেন যে আলী সকল বিশ্বাসী পুরুষ ও নারীর মাওলা (অভিভাবক) এবং আরো বলতে থাকলেন এবং এক পর্যায়ে কিছু বাক্য বললেন আলী , ফাতেমা , হাসান এবং হুসাইনের নৈতিক গুণাবলী সম্পর্কে।
এরপর তিনি বললেন :“
জীবরাইল আমাকে জানিয়েছে আমার বিদায়ের পর তারা অবিচার ও নিপীড়নের শিকার হবে এবং এ নিপীড়ন চলতে থাকবে একটি আন্দোলন পর্যন্ত যা তাদের‘
ক্বায়েম’
শুরু করবে এবং সে সময় তাদের বিশ্বাসকে উচুঁতে উঠানো হবে , জনগণ তাদের বন্ধুত্বের দিকে ফিরবে , তাদের বিরুদ্ধে খারাপ কথা শেষ হবে। তাদের প্রতি যাদের তিক্ততা আছে তারা অপমানিত হবে এবং যারা তাদের প্রশংসা করবে তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এ ধরনের ঘটনা তখন ঘটবে যখন শহরগুলো পরস্পরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হবে এবং জনগণ দূর্বল হয়ে যাবে এবং রেহাই পাওয়ার ক্ষেত্রে অসহায় হয়ে পড়বে। তখন (ক্বায়েম) আসবে আমার বংশ থেকে এবং আল্লাহ সত্যকে প্রকাশ করবেন তার মাধ্যমে এবং মিথ্যাকে নিভিয়ে দিবেন তার তরবারীর মাধ্যমে।”
এরপর তিনি বললেন :‘
হে জনতা , সুসংবাদ তোমাদের বোঝা লাঘব এবং বিরামের বিষয়ে। অবশ্যই আল্লাহর ওয়াদা সত্য এবং তিনি কখনো তা ভাঙ্গেন না এবং তার আদেশ কখনো খণ্ডন হয় না। তিনি সর্বসচেতন এবং সর্বদ্রষ্টা এবং আল্লাহর বিজয় নিকটবর্তী ।”
একই বইতে পৃষ্ঠা ৪৪৭ এ তিনি শেইখ আবু ইসহাক ইবরাহিম ইবনে ইয়াকুব এর‘
ফারায়েদুস সিমতাইন বই থেকে যিনি জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আনসারী থেকে বর্ণনা করেন যে নবী (সাঃ) বলেছেন :
“
যে ব্যক্তি মাহদীর আগমনকে অস্বীকার করলো সে অবশ্যই অবিশ্বাস করলো যা আল্লাহ মুহাম্মাদের ওপর নাযিল করেছেন এবং যে ঈসা-র আগমনকে অস্বীকার করলো অবশ্যই সে অবিশ্বাসীতে পরিণত হলো এবং যে দাজ্জালের বিদ্রোহকে অস্বীকার করলো সে অবশ্যই অবিশ্বাসীতে পরিণত হলো।”