শাফাআত

শাফাআত0%

শাফাআত লেখক:
: মোঃ সামিউল হক
প্রকাশক: খেদমতে ইসলামী সংস্থা, কোম, ইরান
বিভাগ: ধর্ম এবং মাযহাব

শাফাআত

লেখক: উস্তাদ সাইয়্যেদ মোহাম্মদ কাজাভী
: মোঃ সামিউল হক
প্রকাশক: খেদমতে ইসলামী সংস্থা, কোম, ইরান
বিভাগ:

ভিজিট: 13481
ডাউনলোড: 2950

শাফাআত
বইয়ের বিভাগ অনুসন্ধান
  • শুরু
  • পূর্বের
  • 37 /
  • পরের
  • শেষ
  •  
  • ডাউনলোড HTML
  • ডাউনলোড Word
  • ডাউনলোড PDF
  • ভিজিট: 13481 / ডাউনলোড: 2950
সাইজ সাইজ সাইজ
শাফাআত

শাফাআত

লেখক:
প্রকাশক: খেদমতে ইসলামী সংস্থা, কোম, ইরান
বাংলা

যে বইটি বর্তমানে আপনাদের হাতে আছে তা একজন তাকওয়া সম্পন্ন বিশিষ্ট লেখকের সুদীর্ঘ কষ্টের ফসল। যা তিনি বিবেক সম্মত দলিল ও যুক্তি দিয়ে লিখেছেন। এই বইটি ব্যবহারের মাধ্যমে সত্যের পথ খুজে পাওয়ার অধিকার আপনাদের রয়েছে। তবে এই বইতে যে সকল দলিল ব্যবহার করা হয়েছে তা অতি উচ্চমানের এবং অধিক গ্রহণযোগ্য। সর্বোপরি এই বইতে উল্লেখিত প্রতিটি দলিলই হচ্ছে বিবেক সম্মত এবং যা কিছু তার সাথে সামঞ্জস্যতা রাখে তাতে আল্লাহ রাব্বুল আ লামিনেরও সহানুভতি থাকে।

শাফাআত সম্পর্কে আহলে সুন্নাতের মতামত

ওহাবী সম্প্রদায় ব্যতীত অন্য সব মুসলিম সম্প্রদায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম এর কবর যিয়ারত গমন ও তাঁর কাছে শাফাআতের আবেদনকে (তার জীবদ্দশায় অথবা ওফাতের পর) জায়েয মনে করেন উদাহরণস্বরূপ কাসতালায়ী আহলে সুন্নাতের এক আলেম বলেন ,

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম এর কবর যিয়ারত করা যুক্তি সম্মত , (তার কবরের পাশে) অধিক কান্নাকাটি ও দোয়া করা , সাহায্য চাওয়া , শাফাআতের আবেদন করা , তাকে উসিলা করা সবই সঠিক ও যুক্তিযুক্ত কাজ।150

তার মতে ঠিক যেমন তাহকিক উল বাছিরাহ এবং মেসবাহ উল কালাম গন্থে উল্লেখিত আছে , নিম্নলিখিত যে কোন স্থান ও সময়ে শাফাআতের আবেদন করার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। যেমন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম এর জন্মের পূর্বে ও পরে , তার জীবদ্দশায় , মৃত্যুর পর , বারজাখে , কেয়ামতের দিবসে অতঃপর অন্যান্য স্থানে।

আল্লামা আমিনি , রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে শাফাআতের আবেদন সম্পর্কিত আহলে সুন্নাতের মতামতকে নিম্নলিখিত ভাবে উল্লেখ করেন।

1। আল্লাহর কাছে প্রয়াজনীয় জিনিসের আবেদন নবী উসিলায় সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম এর বরকত ও উসিলা ।

2। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে দোয়ার আবেদন।

তিনি বলেন: উপরোক্ত দু ভাবে আবেদন করা যে কোন অবস্থাতেই জায়েয।

3। আবেদন করা হবে নবীর কাছে , এই অর্থে যে , আল্লাহর কাছে আবেদন করার ফলে তিনি শাফাআতের অনুমতি পাবেন এবং একারণে তিনি শাফাআত করতে পারবেন। অবশ্য এ বিষয়টিও দ্বিতীয় বিষয়টির অনুরূপ , কারণ দুই ও তিন নম্বর বিষয়টি বাহ্যিক ভাবে দু রকম মনে হয় তবে সত্যিকার ভাবে দুটি একই বিষয় ।

উপরোক্ত আলোচনা থেকে স্পষ্ট হয় যে আহলে সুন্নাতের মতেও হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম এর জীবদ্দশায় অথবা মৃত্যুর পর উভয় স্থানেই জায়েয।

শাফাআতের সম্পর্কে ওহাবী সম্প্রদায়ের বিশ্বাস পর্যালোচনা ও গবেষণা করার ফলাফল:

অন্যান্য মসলিম সম্প্রদায়ের মত ওহাবীরাও শাফাআতের ঘটনাকে স্বীকার করেছেন , ঠিক যেমন মুহাম্মদ ইবনে আব্দু ল ওহাব বলেন , যদি বলা হয় , তুমি কি নবীকে অস্বীকারী কর এবং তার শাফাআত সম্পর্কে নারাজ ? বলে দাও , আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম কে ও তাঁর শাফাআতকে অস্বীকার করিনা , বরং আমি বিশ্বাস করি যে , তিনি শাফাআত করবেন এবং আমার নসীবে তার শাফাআত হবে বলে মনে করি।

তবে অন্যান্য সম্প্রদায়ের সাথে তাদের পার্থক্য হল যে , তারা বলে থাকে একমাত্র আল্লাহর কাছে শাফাআতের আবেদন করতে হবে কারণ আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো কাছে আবেদন করা শিরক।

একইভাবে আলেম সম্প্রদায়ের মতামত পর্যালোচনা করার পর স্পষ্ট পতীয়মান হয় যে , শাফাআতের আবেদন ও দোয়ার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে শাফাআতের আবেদন করলে কোন অসুবিধা নেই যেমন যদি কেহ এভাবে বলে:

হে আল্লাহর রাসূল শাফাআত করুন।

অথবাاللهم ارزقنیی شفعته হে আল্লাহ তার শাফাআত আমার জন্য নসীব কর ।

একইভাবে কোন পার্থক্য নেই যে সে নিজে আবেদন করে অথবা কারোও উসিলা ধরে আবেদন করে , তার জীবদ্দশায় , অথবা মৃত্যুর পর। তবে ইতিহাসের 7ম শতাব্দীতে ইবনে তাইমিয়া চিরারিত এ বিষয়কে অস্বীকার করেছেন এবং 8ম শতাব্দীতে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব তার সাথে একাত্বতা প্রকাশ করেছেন।

আমরা আশা পোষন করছি যে , আমাদের উপস্থাপিত যুক্তি ও প্রমানাদী অধ্যয়ন করার পর শাফাআতের সত্যিকার বিষয়টি নীতিবান লোকদের জন্য বোধগম্য হবে এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে শাফাআতের আবেদন করা কোন রকম শিরক নয়। তবে কিছু কিছু ব্যক্তি আছে যারা বলে থাকে যে , যে ব্যক্তি শাফাআতের আবেদন করবে তার রক্তপাত করা হালাল।

অষ্টম অধ্যায়

শাফাআত সম্পর্কিত আপত্তি মূলক প্রশ্নাদী ও জবাব সমূহ

শাফাআত সম্পর্কিত আপত্তিমূলক প্রশ্নাদী ও জবাব সমূহ

প্রথম প্রশ্ন:

শাফাআতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলে , মানুষের মনে অহংকার ও গুনাহ করার প্রবণতা পায় এবং ফরজ কাজ সমূহ পালনে নিষ্ক্রিয়তা প্রকাশ করে। কারণ শাফাআতের সুবিধা ভোগ করার প্রতি বিশ্বাসের ফলে মনে করে থাকে যে , তাকে আর শাস্তি দেয়া হবে না।

জবাব:

কোরআনের আয়াত সমূহ শাফাআতের বিষয়কে সার্বিকভাবে নির্দেশনা প্রকাশ করে কিন্তু এমন কোন দলিল নেই যে , কোন ব্যক্তি বলতে পারবে যে , তাকে অবশ্যই শাফাআত করা হবে। অতএব কেউ নিশ্চিত ভাবে বলতে পারবেনা যে , তাকে শাফাআত করা হবে এবং সে অবশ্যই দোজখের আযাব থেকে মুক্তি পাবে। অন্যদিকে শাফাআতের স্থানও কারো জন্য নির্দিষ্ট নয় যে , কেয়ামতে অথবা জাহান্নামের কোন পর্যায়ে তাকে শাফাআত করা হবে ? উদাহরণ স্বরূপ একটি হাদীসে হাসানা যেখানে ইমাম (আঃ) বলেন , দোযখে প্রবেশ করে কিছু কাল শাস্তি ভোগ করার পর (কিছু লোক) শাফাআতের মাধ্যমে মুক্তি পাবে।

ওসমান ইবনে ঈসা , ইবনে মাকান এর কাছ থেকে , সে আবি বাছিরের কাছ থেকে বর্ণনা করেন যে , আমি ইমাম বাকের (আঃ) এর কাছ থেকে শুনেছি যে , তিনি বলেছেন , একদল লোক জাহান্নামে জ্বলবে ও একটি পর্যায় আতিক্রম হওয়ার পর শাফাআতের সুবিধা ভোগ করবে।151

ইমাম বাকের (আঃ) বলেন , দোযখে অবস্থানকারী কাফের ও মুশরিকরা তাদের পার্শবর্তী একত্ববাদীদেরর দিকে লক্ষ্যে করে বলবে যে তোমাদের একত্ববাদীতা তোমাদের জন্য কোন মঙ্গল বয়ে আনেনি , তোমাদের ও আমাদের মাঝে কোন পার্থক্য নেই আমরা উভয়েই সমান (সম আজাবের অধিকারী)।

তখন আল্লাহ তালা সেই একত্ববাদীদের প্রতি দৃষ্টিপাত করবেন এবং ফেরেশতাদের বলবেন , শাফাআত কর। অতএব আল্লাহ যাকে চাইবেন তার জন্য ফেরেশতারা শাফাআত করবে।152

সংক্ষিপ্তভাবে বলা যায় যে , এমন অনির্দিষ্ট ও অনিশ্চিত শাফাআতের সুবিধা মানুষের উদ্ধত করতে পারেনা কারণ , মানুষের ক্ষমতা নেই এক মুহুর্ত জাহান্নমের আগুন ও আজাবকে সহ্য করবে। অতএব সে গুনাহ থেকে দূরে থেকে আল্লাহর এবাদতে মগ্ন থাকতে বাধ্য।

অন্য দিকে সে সকল মহান ব্যক্তিবর্গ যারা দ্বীন ও ধর্মকে দুনিয়াতে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এসেছিলেন তাদের পক্ষ থেকে তাদের অনুসারীদের জন্য এমন একটি আশার বানী থাকা প্রয়োজন যে তারা সুপারিশ করে তাদেরকে বিপদ থেকে উদ্ধার করবেন এবং মুমিনরা তাদের শাফাআতের আশা পোষন করবে এবং আশার দরজা তাদের জন্য সর্বদাই উন্মুক্ত থাকবে।

দ্বিতীয় প্রশ্ন

গুনাহগার ব্যক্তি তওবার মাধ্যমে আজাব থেকে মুক্তি পেতে পারে , তাহলে শাফাআতের আর কী প্রয়াজন থাকতে পারে ?

জবাব

আল্লাহ তালা তওবা ও শাফাআত যা গুনাহ ক্ষমা করার দুটি পন্থা উভয়ের প্রত্যোকটি বিষয়কে বিশেষ এক উদ্দেশ্যে স্থাপন করেছেন , তওবা সম্পর্কে বলা হয়েছে যে ,

অনুতাপ , আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে ফিরে আসা ও শয়তানের নাকে মুখে মাটি দেয়ার কারণে তওবা কবুল করা হয়। অন্যদিকে শাফাআত সম্পর্কে বলা হয়েছে যে , অলি ও আউলিয়াদের শাফাআত কবুল করার কারণ হল আল্লাহ তালা তাদেরকে ভালবাসেন এবং তাদের প্রতি বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করে থাকেন ।

তৃতীয় প্রশ্ন

আল্লাহ তালা ওয়াদা দিয়েছেন যে , গুনাহগারদের শাস্তি দিবেন না যদি শাফাআতের মাধ্যমে গুনাহগার মুক্তি পায় তাহলে তা আল্লাহর ওয়াদার সাথে সামঞ্জস্যহীন।

) ف َلَن تَجِدَ لِسُنَّتِ اللَّـهِ تَبْدِيلًا ۖ وَلَن تَجِدَ لِسُنَّتِ اللَّـهِ تَحْوِيلًا(

আল্লাহর সুন্নত ওপদ্ধতিতে কোন রকম পরিবর্তন ও পরিশোধন দেখতে পাবেনা ।153

এই আয়াত থেকে স্পষ্ট বুঝা যায় যে ,আল্লাহর সুন্নত ও পদ্ধতিতে কোনরকম পরিবর্তন হবেনা।জবাব

আপত্তিকারীগণ ধারণা করেছেন যে , আল্লাহর সুন্নত ও পদ্ধতি শুধুমাত্র গুনাহগারদের আজাব দেয়ার মধ্যেইে নিহিত এবং শাফাআতের মাধ্যমে যদি তা ক্ষমা করা হয় তাহলে তা আল্লাহর আইনের ব্যতিক্রম। কিন্তু আল্লাহর সুন্নত ওপদ্ধতি শুধুমাত্র তার বান্দাদের শান্তি ও হুমকির মাধ্যমেই সীমিত নয় বরং শাফাআতের মাধ্যমে গুনাহখাতা ক্ষমা করা তাঁরই নিশ্চিত এক সুন্নত ও পদ্ধতি যা সময় ও ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। আল্লাহ তালার রহমত ও মাগফেরাতের মত অনেক গুণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেগুলো শাফাআতের মধ্যে বাস্তবায়িত হয়।

চতুর্থ প্রশ্ন

শাফাআত কারীদের শাফাআত আল্লাহর ইচ্ছার উপর এক ধরনের প্রভাব বা ক্ষমতা প্রদর্শন স্বরূপ কারণ শাফাআতকারীরা চায় তাদেরকে (গুনাহগারদেরকে) আজাব থেকে মুক্তি দিতে যাদেরকে আল্লাহ তালা চান শাস্তি দিতে ।

জবাব:

শাফাআত কারীদের শাফাআত তখনই গ্রহনযোগ্য হবে যখন আল্লাহ তালা তাতে অনুমতি দিবেন। কিন্তু যদি শাফাআতকারী আল্লাহর ইচ্ছার উপর প্রভাব ফেলতো তাহলে আল্লাহর অনুমতির প্রয়োজন হতো না , বরং তা অনুসরণ করতে আল্লাহ তালা বাধ্য থাকতেন। মূলত বাস্তবে তার বিপরীত। উদাহরণ স্বরূপ , যদি এমন হতো যে শাফাআতকারী তার অধিনস্ত কারো কাছে সুপারিশ করবে যার উপর তার কতৃত্ব রয়েছে। কিন্তু শাফাআত এমন নয় কারণ শাফাআত শুধুমাত্র আল্লাহর অনুমতি সাপেক্ষে গ্রহনযোগ্য। অতএব তা আল্লাহর ইচ্ছার উপর প্রভাব বিস্তুার করতে পারেনা।

পঞ্চম প্রশ্ন

আল্লাহর ভালবাসা অফুরন্তু , আর যদি শাফাআত থেকেই থাকে তবে কেন , সব মানুষ শাফাআতের সুবিধা ভোগ করবেনা ?

জবাব

সব মানুষ শাফাআতের সুবিধা পাবেনা এর অর্থ এই নয় যে , আল্লাহর রহমত ও মেহেরবানী সীমিত। মূলতঃ এর অর্থ হল অন্য লোকজন তাদের নিজেদের দূর্বলতা ও সীমাবদ্ধতার কারণেই শাফাআত পাওয়ার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে যে , একজন বিশেষ ডাক্তার পারেনা কোন মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করতে , কারণ ঐ লোক বেচে থাকার যোগ্যতা ও ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে এতে ডাক্তারের অপারগতা প্রকাশ পায়না।

মূলতঃ প্রত্যেক মানুষই পারে শাফাআত পাওয়ার যোগ্যতা ও শত সমূহ অর্জন করতে এবং যার ফলে সে খোদায়ী রহমত ভোগ করতে পারবে।

ষষ্ঠ প্রশ্ন

শাফাআতকারীদের ভালবাসা ও মহব্বত কী আল্লাহর মহব্বত ও ভালবাসার চেয়ে বেশি ? যদি তাই না হয় তাহলে কেন শাফাআত কারীদের উসিলায় আল্লাহর রহমতের প্রয়োজন হবে ?

জবাব:

এটা স্পষ্ট যে , আল্লাহর রহমত অন্য সকলের চাইতে বেশি কিন্তু তিনিই চেয়েছেন যে , তার মহব্বত তাদের উসিলায় আসবে যাতে খোদায়ী রহমতের পাশাপাশি আল্লাহর কাছে শাফাআত কারীদের অবস্থান ও মর্যাদা মানুষ কাছে স্পষ্ট হয় এবং এই উসিলায় মানুষ আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করবে এবং সফলতার চাবি অর্জন করবে।

উপসংহার:

আমরা সবাই অবশেষে জীবন চলার পথে তাকওয়া (খোদাভীতি) অর্জন ও গুনাহ খাতা থেকে বিরত থাকবো। কারণ তখনই শাফাআত পাওয়া সম্ভব যদি ঈমানদার অবস্থায় (যে অবস্থায় আল্লাহ সন্তুষ্ট থাকবেন) মৃত্যু বরন করে আল্লাহর সাক্ষাতে মিলিত হব। লক্ষ্যে রাখতে হবে যে , যদি অধিক গুনাহ করা হয় অথবা কবিরা গুনাহ করা হয় তাহলে তা ঈমানের পথে অন্তুরায় হয়ে দাড়াবে এবং যদি সে অবস্থায় তওবা না করেই কেহ মৃত্যু বরণ করে তাহলে তার জন্য পরকাল অত্যন্ত কঠিন হবে। অতএব মানুষ মাত্রই সর্বদা ভয় ও আশা নিয়ে বেচে থাকতে হবে (ভয় এ কারণে যে , হয়তো শাফাআত নসীবে হবেনা , আশা এজন্য যে , যদি শাফাআত পাওয়া যায় তাহলে পরকালে ধন্য হওয়া যাবে)।

কোরআন হাদীসের উল্লেখিত আলোচনা থেকে বলা যেতে পারে যে , শাফাআত অবশ্যই গুনাহগারদের জন্য কিন্তু কেহই নির্দিষ্ট করে বলতে পারবেনা যে , তার কপালে শাফাআত থাকবে এবং জাহান্নামের সব রকম আজাব থেকে সে শাফাআতের মাধ্যমে মুক্তি পাবে। অতএব , আমরা সবাই সর্বদা তাকওয়া (খোদাভীতি) অর্জন করার চেষ্টা করব এবং অপকর্ম ও গুনাহ থেকে বিরত থাকবো । কারণ গুনাহের কারণে ঈমান দর্বল হয় এবং অন্তুর মলিন হয়ে যায় , অধিকন্তু কিছু কিছু গুনাহ শিরক করারও কারণ হয়ে দাড়ায়।

الحمدلله الذیی علی ما هدانا لهذا و ما کنا لنهتدیی لو لا ان هدانا الله

তথ্যসূত্র :

1. মুফরাদাতে রাগেব , পৃ. 263।

2. আল মঞ্জিদ অভিধান , পৃ. 395।

3. শারহে তাজরিদ , পৃ. 262।

4. আল নেহায়াতু ফি গারিবুল হাদিস ওয়াল আসার পৃ. 485।

5. আল নেহায়াতু ফি গারিবুল হাদিস ওয়াল আসার পৃ. 485।

6. তাফসীরে আল মিজান , খণ্ড-1 , পৃ:159 , 162 ।

7. সূরা ইউনুস , আয়াত-3 ।

8. সূরা ফুরকান , আয়াত-70।

9. তাফসীর আল মিজান , প্রথম খণ্ড , পৃ: 160।

10. সূরা এসরা , আয়াত- 71।

11. সূরা হুদ , আয়াত- 98।

12. মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড-2 , পৃ: 174।

13. তাফসীর আল জাওয়াহের , খণ্ড-1 , পৃ: 65।

14. সূরা গাফের , আয়াত-7।

15. সূরা বাকারা , আয়াত-47 ,48 ।

16. সূরা বাকারা , আয়াত-122 ,123 । পূর্ববর্তী আয়াতের অনুরূপ অর্থ শুধু দুই একটি স্থান পরিবর্তন হবে ।

17. সূরা আনআম , আয়াত- 94।

18. সূরা বাকারা- 245।

19. সূরা বাকারা , আয়াত- 255।

20. বিহারুল আনোয়ার , খণ্ড- 8 , পৃ. 38।

21. সূরা মুদাসসের , আয়াত- 48।

22. তাফসীর আল মিজান , খণ্ড-1 , পৃ: 167।

23. দালায়েলুল এ জাযুল মিজান , খণ্ড- 1 , পৃ: 167।

24. সূরা আনবিয়া , আয়াত- 28।

25. সূরা নাজম , আয়াত-26।

26. সূরা তাহা , আয়াত-109।

27. তাফসীরে যায়ামেউল জামে , পৃ:286।

28. মানসুরে জাভিদ , খণ্ড-8 , পৃ:49।

29. সূরা সাবা , আয়াত- 23।

30. সূরা মারিয়াম , আয়াত- 86 , 87।

31. সূরা যুখরুফ , আয়াত- 86।

32. সূরা আদ দুহা , আয়াত- 5।

33. আমালী সাদুক , আল মিজান , খণ্ড-1 , পৃ:177 ।

34. বিহারুল আনোয়ার , খণ্ড-8 , পৃ:57 ।

35. সূরা বনি ইসরাঈল , আয়াত- 79 , সূরা এসরা আয়াত- 79। ।

36. মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড- 2 , পৃ. 528। সুনানে তিরমিজি 4/ 365।

37. তাফসীরে ফাখরে রাযী , খণ্ড- 21 , পৃ: 31।

38. তাফসীরে বেইজাভী , খণ্ড- 3 , পৃ: 209।

39. তাফসীর আল মিজান , খণ্ড-1 , পৃ: 18 , 2 , 183।

40. তাফসীর ফখরুদ্দীন রাযী , খণ্ড- 3 , পৃ. 64 , 65।

41. কাশফুল মুরাদ , পৃ:416।

42. কাশফুল মুরাদ , পৃ:416।

43. মাজমাউল বায়ান , খণ্ড 2 , পৃ: 435 ।

44. সহীহ মুসলিম এর ব্যাখ্যা , খণ্ড-3 , পৃ:57 ।

45. শারহুল মাকাসিদ , খণ্ড-5 , পৃ:157।

46. বিহারুল আনোয়ার , খণ্ড-8 , পৃ:42 ।

47. বিহারুল আনোয়ার , খণ্ড-8 , পৃ:38।

48. বিহারুল আনোয়ার , খণ্ড-8 , পৃ:59 ।

49.খেসাল ,বিহারুল আনোয়ার ,খণ্ড-8 ,পৃ:39 ,বইরুত

প্রিন্ট ।

50.কানজ কারাচিক ,39549 ।বিহারুল আনোয়ার ,খণ্ড-8 ,পৃ:40 ।

51.কানজ কারচিক ,39055 ।

52.তাফসীরে ফখরুদ্দীন রাযী ,খণ্ড-3 ,পৃ:65 ।

53.তাফসীরে জাত্তাহেরী ,খণ্ড-1 ,পৃ:63

54.সহীহ মুসলিম এর ব্যখ্যা , খণ্ড-3 ,পৃ:57

55.আত্তায়েলুল মাকালাত ,পৃ-14-15

56. তাফসীরে ফখরুদ্দীন রাযী , খণ্ড- 3 , পৃ: 59।

57. সূরা বাকারা , আয়াত - 48।

58. বিহারুল আনোয়ার , খণ্ড- 8 , পৃ: 39। 2 3

59. বাকারা , আয়াত 256 ।

60. মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড- 5 , পৃ: 43 ।

61. এমালিয়ে সাদুক ,পৃ:5।

62. আকায়েদ সাদুক।

63. সূরা ইনফিতার ,14 ,15 ,16।

64.আল খাওয়ারেজ ফিল ইসলাম , পৃ: 102।

65. সূরা নিসা-48 ।

66.সূরা যিলযাল ,7 ।

67.কাশফূল মুরাদ ,পৃ:328 ,329

68.সূরা দোহা আয়াত- 5 ।

69. সূরা আসরা আয়াত- 79।

70. সূরা শুয়ারা ,আয়াত 100।

71. সূরা মুদ্দাস্যের ,আয়াত -48।

72. আল কাফী ,খণ্ড- 3 পৃ: 242 , হাদীস- 3।

73. তাফসীর আল মিজান , খণ্ড- 1 , পৃ: 174।

74. বিহারুল আনোয়ার , খণ্ড-2 ,পৃ: 194 ।

75. বিহারুল আনোয়ার , খণ্ড- 6 , পৃ: 217 , হাদীস- 10।

76. সূরা ইউনস-3।

77 সূরা বাকারা- 255 ।

78. সূরা যুখরুফ-86 ।

79. সূরা তহা-109 ।

80. আল মিজান , খণ্ড-14 ,পৃ:212 ।

81. সূরা মারিয়াম ,87 ।

82. খেসালু সাদক , পৃ.- 156 ।

83. সূরা আম্বিয়া ,26।

84.. আদ দুররুল মানসর , খণ্ড- 4 ,পৃ: 97।

85. তাফসীর আল বোরহান , খণ্ড- 2 , 438- 440।

86 সুনানে তিরমিজি , খণ্ড- 5 , পৃ: 247।.সুনানে ইবনে মাজাহ 2/1443।

87. বিহারুল আনোয়ার খণ্ড- 8 , পৃ: 48।

88. বিহারুল আনোয়ার খণ্ড- 8 , পৃ:47 ,48।

89. সুনানে আবি মাজিদ , খণ্ড- 2 , পৃ: 1440।

90. আমালি সাদুক , হাক্কুল ইয়াকিন , শাবর , পৃ: 137।

91. মানাকেব ইবনে শাহরে আশুব , খণ্ড-2 , পৃ:15 । মাজমাউল বায়ান , খণ্ড-1 পৃ:104 ।

92. মানাকেব ইবনে শাহরে আশুব , খণ্ড-2 , পৃ:14 । বিহারুল আনোয়ার খণ্ড- 8 , ‍পৃ:43 , হাদীস-39 ।

93. মানাকেব ইবনে শাহরে আশুব , খণ্ড-2 , পৃ:15 ।

94. খেসালে সাদুক , পৃ: 624 ।

95. বিহারুল আনোয়ার খণ্ড- 8 , ‍পৃ:43 ।

96. বিহারুল আনোয়ার খণ্ড-43 ,পৃ: 65 ।

97. বিহারুল আনোয়ার খণ্ড-8 ,পৃ:51 ।

98. আমালি সাদুক ,291 ।

99. সূরা শুরা- 5।

100. সূরা নাজম ,26।

101. সহীহ বুখারী , খণ্ড- 9 , পৃ. 160।

102. সুনানে নেসায়ী , খণ্ড- 2 , পৃ: 181।

103. মুসনাদে আহমদ , খণ্ড- 2 , পৃ: 174।

104. মুসনাদে আহমদ , খণ্ড-5 ,পৃ: 249- 251।

105. মুসনাদে আহমদ , খণ্ড-2 ,পৃ: 99।

106. মানাকেব , খণ্ড-2 , পৃ: 14।

107. নাহাজলু বালাগা , খোতবা- 171।

108. সুনানে ইবনে মাজাহ ,

109. সুনানে ইবনে দাউদ , খণ্ড-2 , পৃ: 15।

110. বিহার , খণ্ড-8 , পৃ: 56।

111. মোহাসেন বারকী , পৃ: 184।

112. নাহাজলু বালাগা , খণ্ড- 3 , পৃ: 242।

113. মানাকেব ইবনে অশুব , খণ্ড- 2 , পৃ: 14।

114. মুসনাদে আহমদ , খণ্ড- 2 , পৃ: 174।

115. মুসনাদে আহমদ , খণ্ড- 6 , পৃ :448।

116. সহিফায়ে সাজ্জাদিয়ে ,পৃ: 165 ।

117. সূরা নাজম-39 ।

118. সূরা যিলযাল-7-8 ।

119. সূরা তূর-21 ।

120. সুনানে ইবনে মাজাহ , খণ্ড-2 , পৃ:1440 , মুসনাদে আহমদ , 1/281 ।

121. সূরা মুদ্দাসসের ,40-48 ।

122. সূরা শোয়ারা ,আয়াত-95-101 ।

123. মাহাসীন বারকী ,পৃ:184 ।

124. আমালী , শেখ সাদুক ,পৃ:177 ।

125. বিহারুল আনোয়ার ,খণ্ড-44 ,পৃ:328 ।

126. উসূলে কাফি ,খণ্ড-6 ,পৃ:400 ।

127. আমালী , শেখ সাদুক ,পৃ:5-7 ।

128. বিহারুল আনোয়ার ,খণ্ড-8 পৃ:34 ,হাদীস নং-4 ।

129. মুসনাদে আহমদ ,1/72 ।

130. মুসনাদে আহমদ ,1 ,পৃ:72 ।

131. উসুলে কাফি ,খণ্ড-6 ,পৃ:4000 ।

132.উসুলে কাফি ,খণ্ড-5 ,পৃ:469 ।

133. মুসনাদে আহমদ ,খণ্ড-3 ,পৃ:345 ।

134. উয়ুনু আখরারে রেজা ,খণ্ড-2 ,পৃ:125 ।

135. মুসনাদে আহমদ ,খণ্ড-3 ,পৃ:335 ।

136. উয়ুনু আখরারে রেজা ,খণ্ড-2 ,পৃ:24 । বিহারুল আনোয়ার ,খণ্ড-8 ,পৃ:49 137. মুসনাদে আহমাদ খণ্ড-4 ,পৃ:108

138. ইবনে তাই মিয়ার জীবনীতে বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে ।

139. আল হাদিয়াতুস সুন্নিয়্যাহ ,পৃ:42 ।

140. কাশফুল এরতিয়াব ।

141. মাজমাউল বায়ান , খণ্ড- 4 , পৃ: 501।

142. সূরা যুমার , 43 , 44।

143. কাশফুল এরতিয়ব ।

144. মাকাতেল।

145. কাশফুল এরতিয়ব , পৃ: 263।

146. কামুসুর রেজাল , খণ্ড- 5 , পৃ: 21।

147. কাশফুল এরতিয়ব।

148. কাশফুল এরতিয়ব।

149. আল গাদীর , খণ্ড- 5 , পৃ: 139।

150. আল মাওয়াহেব আদ দানিয়্যাহ , খণ্ড- 8 , পৃ: 317 , আল গাদীর , খণ্ড- 5 , পৃ: 144।

151. বিহারুল আনোয়ার , খণ্ড- 8 , পৃ: 361।

152. বিহারুল আনোয়ার , খণ্ড- 8 , পৃ: 279।

153. সূরা ফাতির ,43 ।

গ্রন্থ পরিচিতি

1। পবিত্র কোরআন মজিদ ।

2। আল মোসনাদ , আহমদ ইবনে হাম্বল (মৃত্যু-241 হি:)।

3। আস সাহীহ্ , মোহাম্মদ ইবনে ইসমাইল বুখারী ,(মৃ-256 হি:)।

4। আস সাহীহ , মোসলেম ইবনে হেজাজ কাশিরী (মৃ-261 হি:)।

5। সাহিফাতু সাজ্জাদিয়্যাহ ইমাম আলী ইবনে হুসাইন জয়নুল আবেদীন (আঃ)।

6। সুনানে তিরমিযি ,আবু ঈসা মোহাম্মদ ইবনে ঈসা তিরমিযি (209- 279 হিঃ)।

7। সুনানে ইবনে মাজাহ মোহাম্মদ ইবনে ইয়াজিদ কাজভিনি (207- 275 হিঃ)।

8। উয়ূনে আখবারে রেজা , শেখ সাদূক (মৃ: 381 হিঃ)।

9। নাহজ উল বালাগাহ শারিফ রাযী (মৃ:406)।

10। আওয়ায়েল উল মাকালাত , শেখ মুফিদ , মোহাম্মদ ইবনে নো মান (336- 413 হিঃ) 11। আমালি ,শেখতুসী ,মোহাম্মদ ইবনে হাসান , (358- 460হিঃ)।

12। তাফসীরে মাজমাউল বায়ান ও জামেউল জাওয়ামে , শেখ তাবারসী আল ফাজল ইবনে হাসান ইবনে ফাজল তাবারসী (470- 538 হিঃ)।

13। আল বাবউল হাদী আশার , আল্লামা হিল্লি , হাসান ইবনে ইউসুফ মোতাহহার (648- 726 হিঃ)।

14। বিহারুল আনোয়ার , আল্লামা মোহাম্মদ বাকের মাজলিসি (মৃ: 1111 হিঃ)।

15। হাক্কুল ইয়াকিন সাইয়্যেদ আব্দুল্লাহ শাব্বির (মৃ: 1242 হিঃ)।

16। কাশফুশ শাহাব , মোহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব (1মৃ: 206 হিঃ)।

17। তাফসীর উল মিনার , মুহাম্মদ রাশিদ রেজা , (মৃ-1354 হিঃ)।

18। তাফসীরে জাওয়াহের , তানতাভী।

19। আল গাদীর আব্দুল হোসাইন আহমাদ নাজাফী আল আমিনী (1320- 1390 হিঃ)।

20। আল মিজান ফি তাফসীরুল কোরআন ,তাবা তাবায়ী সাইয়্যেদ মোহাম্মদ হোসাইন (মৃ: 1402 হিঃ)।

21। মাফাহিমূল কোরআন , উস্তাদ জাফর সোবাহানী।

22। উসূলে কাফী , শেখ কুলাইনি মোহাম্মদ ইবনে ইয়াকুব (মৃ:329 হিঃ)।

23। তাফসীরে ফখরে রাযী , মোহাম্মদ ইবনে আতিব (544- 606 হিঃ)।

24। কাশফুল এরতিয়াব , সাইয়্যেদ মোহসেন আমিন।

و آخر دعوانا ان الحمدلله ربّ العالمین