খোৎবা-
৪০
في الخوارج لما سمع قولهم «لا حكم إلا لله»
قَالَعليهالسلام
: كَلِمَةُ حَقٍّ يُرَادُ بِهَا بَاطِلٌ - نَعَمْ إِنَّه لَا حُكْمَ إِلَّا لِلَّه - ولَكِنَّ هَؤُلَاءِ يَقُولُونَ لَا إِمْرَةَ - إِلَّا لِلَّه - وإِنَّه لَا بُدَّ لِلنَّاسِ مِنْ أَمِيرٍ بَرٍّ أَوْ فَاجِرٍ - يَعْمَلُ فِي إِمْرَتِه الْمُؤْمِنُ - ويَسْتَمْتِعُ فِيهَا الْكَافِرُ - ويُبَلِّغُ اللَّه فِيهَا الأَجَلَ ويُجْمَعُ بِه الْفَيْءُ - ويُقَاتَلُ بِه الْعَدُوُّ وتَأْمَنُ بِه السُّبُلُ - ويُؤْخَذُ بِه لِلضَّعِيفِ مِنَ الْقَوِيِّ - حَتَّى يَسْتَرِيحَ بَرٌّ ويُسْتَرَاحَ مِنْ فَاجِرٍ.
وفِي رِوَايَةٍ أُخْرَى:
أَنَّهعليهالسلام
لَمَّا سَمِعَ تَحْكِيمَهُمْ قَالَ:
حُكْمَ اللَّه أَنْتَظِرُ فِيكُمْ.وقَالَ:
أَمَّا الإِمْرَةُ الْبَرَّةُ فَيَعْمَلُ فِيهَا التَّقِيُّ - وأَمَّا الإِمْرَةُ الْفَاجِرَةُ فَيَتَمَتَّعُ فِيهَا الشَّقِيُّ - إِلَى أَنْ تَنْقَطِعَ مُدَّتُه وتُدْرِكَه مَنِيَّتُه.
আমিরুল মোমেনিন যখন খারিজিদের চিৎকার শুনলেন যে ,“
নির্দেশ শুধু আল্লাহরই।”
তখন তিনি বললেনঃ
তারা যে বাক্যটি উচ্চারণ করছে তা সঠিক কিন্তু এর দ্বারা তাদের উদ্দেশ্য ভ্রান্ত। এ কথা সত্য যে ,আদেশ শুধু আল্লাহর। কিন্তু এ কথা দ্বারা এসব লোক বোঝাতে চায় শাসনকার্য শুধু আল্লাহর। বাস্তবক্ষেত্রে ,ভাল হোক আর মন্দ হোক ,শাসনকর্তা ব্যতীত মানুষের নিস্তার নেই । শাসক ভাল হলে ইমানদারগণ উত্তম আমল সাধন করে সমাজের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে। অপরদিকে মন্দ শাসকের শাসনকার্য থেকে ইমানহীনারা জাগতিক ফায়দা লুট করে। শাসনকাল ভালো হোক আর মন্দ হোক ,আল্লাহ সবকিছুরই সমাপ্তি টানেন। শাসক দ্বারা কর আদায় হয় ,শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হয় ,রাস্তা - ঘাট রক্ষা করা হয় ,শক্তিমানদের হাত থেকে দুর্বলদের অধিকার আদায় করা হয় ,পরহেজগারগণ শান্তিতে থাকে এবং দুষ্টের অত্যাচার থেকে প্রতিরক্ষা লাভ করে।
অন্য একটা বর্ণনায়ঃ
আমিরুল মোমেনিন যখন খারিজিদের চিৎকার শুনলেন তখন তিনি বললেনঃ
তোমাদের ওপর আমি আল্লাহর রায় প্রত্যাশা করছি। তৎপর তিনি বললেনঃ
কল্যাণকর সরকার হলে পরহেজগারগণ কল্যাণকর আমল সাধন করতে পারে ; অপরপক্ষে অকল্যাণকর সরকারের শাসনে দুষ্ট লোকেরা আমৃত্যু ভোগ - বিলাসে মত্ত থাকে।
খোৎবা- ৪১
أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ الْوَفَاءَ تَوْأَمُ الصِّدْقِ ولَا أَعْلَمُ جُنَّةً أَوْقَى مِنْه - ومَا يَغْدِرُ مَنْ عَلِمَ كَيْفَ الْمَرْجِعُ - ولَقَدْ أَصْبَحْنَا فِي زَمَانٍ قَدِ اتَّخَذَ أَكْثَرُ أَهْلِه الْغَدْرَ كَيْساً ونَسَبَهُمْ أَهْلُ الْجَهْلِ فِيه إِلَى حُسْنِ الْحِيلَةِ - مَا لَهُمْ قَاتَلَهُمُ اللَّه - قَدْ يَرَى الْحُوَّلُ الْقُلَّبُ وَجْه الْحِيلَةِ ودُونَهَا مَانِعٌ - مِنْ أَمْرِ اللَّه ونَهْيِه - فَيَدَعُهَا رَأْيَ عَيْنٍ بَعْدَ الْقُدْرَةِ عَلَيْهَا - ويَنْتَهِزُ فُرْصَتَهَا مَنْ لَا حَرِيجَةَ لَه فِي الدِّينِ.
বিশ্বাসঘাতকতার প্রতি
ঘৃণা
হে লোকসকল ,নিশ্চয়ই অঙ্গীকার পূর্ণ করা সত্যের যমজ। পাপের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবার জন্য অঙ্গীকার পালন করা অপেক্ষা ভালো কোন ঢাল আছে বলে আমার জানা নেই। যে ব্যক্তি ফেরত আসার বাস্তবতা উপলব্ধি করতে পারে সে কখনো বিশ্বাসঘাতকতা করে না। আমরা এমন এক যুগে বাস করছি যখন বিশ্বাসঘাতকতাকে বুদ্ধিমত্তা বলে আখ্যায়িত করা হয়। একালে অজ্ঞরা বিশ্বাসঘাতকতাকে চাতুর্যের কৃতিত্ব বলে মনে করে। তাদের হয়েছে কী ? আল্লাহ তাদের ধ্বংস করুন!! যে ব্যক্তি জীবনের সকল অবস্থাতেই নীতির প্রতি অটল থাকে সে আল্লাহর আদেশ-নিষেধ পালনে বাধার সম্মুখীন হয় ,কিন্তু ক্ষমতা না থাকা সত্ত্বেও সে এসব বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে চলে (বাধা-বিপত্তির চাপে মরে গেলেও আল্লাহর আদেশ অনুসরণ করে)
। অপরপক্ষে যে ব্যক্তি ধর্মের বাধনের অধীন নয় ,সে এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত (এবং সে আল্লাহর আদেশ অনুসরণ না করার যে কোন ওজর গ্রহণ করে)
।
খোৎবা- ৪২
أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ أَخْوَفَ مَا أَخَافُ عَلَيْكُمُ - اثْنَانِ اتِّبَاعُ الْهَوَى وطُولُ الأَمَلِ فَأَمَّا اتِّبَاعُ الْهَوَى فَيَصُدُّ عَنِ الْحَقِّ - وأَمَّا طُولُ الأَمَلِ فَيُنْسِي الآخِرَةَ - أَلَا وإِنَّ الدُّنْيَا قَدْ وَلَّتْ حَذَّاءَ فَلَمْ يَبْقَ مِنْهَا إِلَّا صُبَابَةٌ كَصُبَابَةِ الإِنَاءِ - اصْطَبَّهَا صَابُّهَا أَلَا وإِنَّ الآخِرَةَ قَدْ أَقْبَلَتْ ولِكُلٍّ مِنْهُمَا بَنُونَ - فَكُونُوا مِنْ أَبْنَاءِ الآخِرَةِ ولَا تَكُونُوا مِنْ أَبْنَاءِ الدُّنْيَا - فَإِنَّ كُلَّ وَلَدٍ سَيُلْحَقُ بِأَبِيه يَوْمَ الْقِيَامَةِ - وإِنَّ الْيَوْمَ عَمَلٌ ولَا حِسَابَ وغَداً حِسَابٌ ولَا عَمَلَ.
হৃদয়ের আশা
ও
উচ্চাকাঙ্খা
সম্পর্কে
হে লোকসকল ,তোমাদের ব্যাপারে আমি দুটি বিষয়কে বড় ভয় করি–
কামনা - বাসনার বশবর্তী হয়ে আমল করা এবং আশা - আকাঙ্ক্ষাকে প্রলম্বিত করা। কামনা - বাসনার বশবর্তী হয়ে কাজ করলে সত্যকে পাওয়া যায় না এবং আশা প্রলম্বিত করলে পরকালকে ভুলে থাকে। জেনে রাখো ,দুনিয়া অতি দ্রুত অন্তের দিকে চলে যাচ্ছে এবং শেষ কণিকা ছাড়া এতে আর কিছুই থাকছে না ; যেমন - কেউ ভাণ্ড নিঃশেষ করে ফেললে একটু তলানি থাকে। সাবধান ,পরকাল দ্রুত এগিয়ে আসছে। দুনিয়া ও পরকাল উভয়েরই পুত্র (অর্থাৎ অনুসারী) আছে। তোমরা পরকালের পুত্র হয়ো ,ইহকালের পুত্র হয়ে না। কারণ শেষ বিচারের দিন প্রত্যেক পুত্র তার মায়ের সাথে থাকবে। আজ হলো আমলের দিন - কোন হিসাব নেয়া হবে না ,আর আগামীকাল হলো হিসাব - নিকাশের দিন - কোন আমল থাকবে না।
খোৎবা- ৪৩
وقد أشار عليه أصحابه بالاستعداد لحرب أهل الشام بعد إرساله جرير بن عبد الله البجلي إلى معاوية ولم ينزل معاوية على بيعته
إِنَّ اسْتِعْدَادِي لِحَرْبِ أَهْلِ الشَّامِ وجَرِيرٌ عِنْدَهُمْ - إِغْلَاقٌ لِلشَّامِ وصَرْفٌ لأَهْلِه عَنْ خَيْرٍ إِنْ أَرَادُوه - ولَكِنْ قَدْ وَقَّتُّ لِجَرِيرٍ وَقْتاً لَا يُقِيمُ بَعْدَه - إِلَّا مَخْدُوعاً أَوْ عَاصِياً - والرَّأْيُ عِنْدِي مَعَ الأَنَاةِ فَأَرْوِدُوا ولَا أَكْرَه لَكُمُ الإِعْدَادَ
ولَقَدْ ضَرَبْتُ أَنْفَ هَذَا الأَمْرِ وعَيْنَه وقَلَّبْتُ ظَهْرَه وبَطْنَه - فَلَمْ أَرَ لِي فِيه إِلَّا الْقِتَالَ أَوِ الْكُفْرَ - بِمَا جَاءَ مُحَمَّدٌصلىاللهعليهوآله
- إِنَّه قَدْ كَانَ عَلَى الأُمَّةِ وَالٍ أَحْدَثَ أَحْدَاثاً - وأَوْجَدَ النَّاسَ مَقَالًا فَقَالُوا ثُمَّ نَقَمُوا فَغَيَّرُوا.
জারীর ইবনে আব্দদিল্লাহ আল - বাজালীকে বায়াত আদায়ের জন্য মুয়াবিয়ার নিকট প্রেরণ করার পর আমিরুল মোমেনিনের কয়েকজন অনুসারী মুয়াবিয়ার সাথে যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণের পরামর্শ দিলে তিনি বলেনঃ
যেখানে জারীর ইবনে আবদিল্লাহ আল - বাজালী এখনো সিরিয়ায় ,সেখানে সিরিয়ার জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিলে সিরিয়ার দরজা চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে এবং সিরিয়ার জনগণ যদি বায়াত গ্রহণের ইচ্ছা পোষণ করে থাকে তাও রুদ্ধ হয়ে যাবে। যাহোক ,আমি জারীরকে একটা সময়সীমা বেঁধে দিয়েছি। প্রতারিত অথবা অবাধ্য না হলে সে সময়সীমার বেশি সেখানে অবস্থান করবে না। আমার অভিমত সর্বদাই ধৈর্যের অনুকূলে। সুতরাং একটু ধৈর্যধারণ কর। ইতোমধ্যে তোমাদের প্রস্তুতি গ্রহণ আমাদের অপছন্দনীয় নয়।
এ বিষয়টি আমি সবদিক থেকে পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যবেক্ষণ করেছি। কিন্তু যুদ্ধ অথবা মুহাম্মদ (সা.) যা এনেছেন উহার অবাধ্যতা করা ছাড়া অন্য কোন পথ দেখিনা । নিশ্চয়ই ,আমার পূর্বেও জনগনের শাসক ছিল যারা অনৈসলামিক নতুন অনেক কিছু প্রবর্তন করেছিল যা সমালোচনা করতে জনগণ বাধ্য হয়েছিল । সুতরাং জনগণ সমালোচনা করলো ,তৎপর রুখে দাঁড়ালো এবং তাতে শাসন ক্ষমতা পরিবর্তিত হলো।
খোৎবা- ৪৪
لما هرب مصقلة بن هبيرة الشيباني إلى معاوية، وكان قد ابتاع سبي بني ناجية من عامل أمير المؤمنينعليهالسلام
وأعتقهم، فلما طالبه بالمال خاس به وهرب إلى الشام
قَبَّحَ اللَّه مَصْقَلَةَ - فَعَلَ فِعْلَ السَّادَةِ وفَرَّ فِرَارَ الْعَبِيدِ - فَمَا أَنْطَقَ مَادِحَه حَتَّى أَسْكَتَه - ولَا صَدَّقَ وَاصِفَه حَتَّى بَكَّتَه ولَوْ أَقَامَ لأَخَذْنَا مَيْسُورَه وانْتَظَرْنَا بِمَالِه وُفُورَه
মাসকালাহ
ইবনে হুবায়রাহ ,আশ - শায়বানি আমিরুল মোমেনিনের একজন নির্বাহী অফিসারের নিকট থেকে বনি নাজিয়াহর কয়েকজন বন্দী ক্রয় করেছিল। যখন ক্রয়মূল্য দাবি করা হয়েছে তখন সে মুয়াবিয়ার কাছে সিরিয়ায় পলায়ন করলে আমিরুল মোমেনিন বলেনঃ
আল্লাহ মাসকালাহর মুখ মলিন (অমঙ্গল) করুন। সে উচ্চ মর্যাদাশীল ভদ্র লোকের মতো কাজ করে নেহায়েত ক্রীতদাসের মতে পালিয়ে গেল। তার প্রশংসাকারীকে সে কথা বলার পূর্বেই থামিয়ে দিল এবং তার প্রশংসাসূচক কবিতার ছন্দ বাঁধার আগেই সে কবির মুখ বন্ধ করে দিল। সে পালিয়ে না গিয়ে সাধ্যমত যা দিত আমরা তাই গ্রহণ করতাম এবং অবশিষ্ট টাকার জন্য ততদিন অপেক্ষা করতাম যতদিন পর্যন্ত না তার আর্থিক অবস্থা ভাল হয়।
________________
খোৎবা- ৪৫
وفيها يحمد الله ويذم الدنيا حمد الله
الْحَمْدُ لِلَّه غَيْرَ مَقْنُوطٍ مِنْ رَحْمَتِه - ولَا مَخْلُوٍّ مِنْ نِعْمَتِه - ولَا مَأْيُوسٍ مِنْ مَغْفِرَتِه - ولَا مُسْتَنْكَفٍ عَنْ عِبَادَتِه - الَّذِي لَا تَبْرَحُ مِنْه رَحْمَةٌ - ولَا تُفْقَدُ لَه نِعْمَةٌ.
والدُّنْيَا دَارٌ مُنِيَ لَهَا الْفَنَاءُ - ولأَهْلِهَا مِنْهَا الْجَلَاءُ وهِيَ حُلْوَةٌ خَضْرَاءُ - وقَدْ عَجِلَتْ لِلطَّالِبِ - والْتَبَسَتْ بِقَلْبِ النَّاظِرِ - فَارْتَحِلُوا مِنْهَا بِأَحْسَنِ مَا بِحَضْرَتِكُمْ مِنَ الزَّادِ - ولَا تَسْأَلُوا فِيهَا فَوْقَ الْكَفَافِ ولَا تَطْلُبُوا مِنْهَا أَكْثَرَ مِنَ الْبَلَاغِ
আল্লাহর মহত্ত্ব
ও
দুনিয়ার
হীনাবস্থা
সম্পর্কে
প্রতিষ্ঠিত প্রশংসা আল্লাহর যার রহমত থেকে কেউ নিরাশ হয় না ,যার নেয়ামত থেকে কেউ বঞ্চিত হয় না ,যার ক্ষমা থেকে কেউ হতাশ হয় না এবং যার ইবাদত থেকে অহংকার বশত কেউ বিরত থাকতে পারে না। তাঁর রহমত কখনো নিরুদ্ধ হয় না এবং তাঁর নেয়ামত কখনো হারিয়ে যায় না।
এ দুনিয়া এমন এক জায়গা যার ধ্বংস অবধারিত এবং দুনিয়াবাসীর জন্য এখান থেকে প্রস্থান অনিবার্য। এ স্থান মধুর ও সবুজ। যারা দুনিয়াকে অন্বেষণ করে তাদের দিকে দুনিয়া দ্রুত এগিয়ে যায় এবং যারা দুনিয়াকে প্রত্যক্ষ করে তাদের কাছে দুনিয়া হৃদয়গ্রাহী হয়ে থাকে । সুতরাং তোমাদের কাছে উত্তম যা আছে তা নিয়ে এখান থেকে প্রস্থান কর এবং গন্তব্যে পৌছা পর্যন্ত যতটুকু প্রয়োজন তার বেশি চেয়ো না।
খোৎবা- ৪৬
عند عزمه على المسير إلى الشام
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ وكَآبَةِ الْمُنْقَلَبِ وسُوءِ الْمَنْظَرِ - فِي الأَهْلِ والْمَالِ والْوَلَدِ - اللَّهُمَّ أَنْتَ الصَّاحِبُ فِي السَّفَرِ - وأَنْتَ الْخَلِيفَةُ فِي الأَهْلِ - ولَا يَجْمَعُهُمَا غَيْرُكَ - لأَنَّ الْمُسْتَخْلَفَ لَا يَكُونُ مُسْتَصْحَباً - والْمُسْتَصْحَبُ لَا يَكُونُ مُسْتَخْلَفاً.
সিরিয়া অভিমুখে
যাত্রাকালে
আমিরুল
মোমেনিন
বলেনঃ
হে আল্লাহ ,পথ চলার কষ্ট থেকে আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি। প্রত্যাবর্তনের মর্মযন্ত্রণা ও পরিবার - পরিজন এবং সম্পদ ও সন্তানাদির ধ্বংস ও খারাপ দৃশ্য থেকে আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি। হে আল্লাহ ,তুমিই ভ্রমনকালের সহচর এবং আমাদের পরিজনদের রক্ষার জন্য তুমিই রয়েছ। তুমি ব্যতীত এ দুয়ের সঙ্গী আর কেউ নেই ,কারণ যাদেরকে পিছনে ফেলে আসা হয় তারা যাত্রাপথে সহচর হতে পারে না। আবার যারা যাত্রাপথের সহচর। তারা একই সময়ে পরিজনদের দেখাশুনাকারী হতে পারে না।
খোৎবা- ৪৭
كَأَنِّي بِكِ يَا كُوفَةُ تُمَدِّينَ مَدَّ الأَدِيمِ الْعُكَاظِيِّ تُعْرَكِينَ بِالنَّوَازِلِ وتُرْكَبِينَ بِالزَّلَازِلِ - وإِنِّي لأَعْلَمُ أَنَّه مَا أَرَادَ بِكِ جَبَّارٌ سُوءاً - إِلَّا ابْتَلَاه اللَّه بِشَاغِلٍ ورَمَاه بِقَاتِلٍ!
কুফায় দুর্যোগ
আপতন
সম্পর্কে
হে কুফা ,যদিও আমি দেখতে পাচ্ছি বাজারে উকাযি’
- এর পাকা চামড়ার মত তুমি আকর্ষিত হচ্ছো তবুও তুমি দুর্যোগ কবলিত ও সাংঘাতিক বিপদসঙ্কুল। আমি নিশ্চিতভাবে
জানি যে ,কোন স্বেচ্ছাচারী যদি তোমার মন্দ করতে চায়। তবে আল্লাহ তাকে উদ্বীগ্নতার নিদারুণ যন্ত্রণা দেবেন এবং তার হত্যাকারী নিয়োজিত করে দেবেন।
____________________