সত্য কাহিনী সম্ভার

সত্য কাহিনী সম্ভার0%

সত্য কাহিনী সম্ভার লেখক:
: মাওলানা আলী আক্কাস
প্রকাশক: কালচারাল কাউন্সেলরের দফতর ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান দুতাবাস -
বিভাগ: চরিত্র গঠনমূলক বই

সত্য কাহিনী সম্ভার

লেখক: শহীদ আয়াতুল্লাহ মুর্তাজা মোতাহহারী
: মাওলানা আলী আক্কাস
প্রকাশক: কালচারাল কাউন্সেলরের দফতর ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান দুতাবাস -
বিভাগ:

ভিজিট: 45866
ডাউনলোড: 5690

সত্য কাহিনী সম্ভার
বইয়ের বিভাগ অনুসন্ধান
  • শুরু
  • পূর্বের
  • 79 /
  • পরের
  • শেষ
  •  
  • ডাউনলোড HTML
  • ডাউনলোড Word
  • ডাউনলোড PDF
  • ভিজিট: 45866 / ডাউনলোড: 5690
সাইজ সাইজ সাইজ
সত্য কাহিনী সম্ভার

সত্য কাহিনী সম্ভার

লেখক:
প্রকাশক: কালচারাল কাউন্সেলরের দফতর ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান দুতাবাস -
বাংলা

এ বইটি তার বিষয়ের সর্বপ্রথম ও অনন্য অবতারণা হোক অথবা না হোক , এর জন্য প্রাপ্য ফুলের মামলার যোগ্য পাত্র আমি নই , অর্থাৎ যদি এ বইটি কাহিনী রচনার জগতে কোন গুরুত্বপূর্ণ নতুন অবতারণার দাবিদার হয় তাহলে তার গোড়াপত্তনকারী আমি নই। বরং প্রকাশনা ও প্রচারণার একটি প্রতিষ্ঠানে দেশের বিজ্ঞ বিজ্ঞ বিজ্ঞানী-গুণী কতিপয় ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে একটি সম্পাদনা বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এ অধমও সে বোর্ডের একজন সদস্য। দেশের খ্যাতনামা লেখক ও বিজ্ঞতম ব্যক্তিত্ব সমৃদ্ধ সে বোর্ডের এক বৈঠকে প্রস্তাব রাখা হলো যে , এমন একটি গ্রন্থ রচিত হওয়া উচিত যার মধ্যে চারিত্রিক সুন্দর ও গুণাবলী কাহিনী আকারে উপস্থাপিত থাকবে। আর সে কাহিনীগুলো লেখকের নিজের মস্তিষ্ক থেকে আবিস্কৃত বা নিজের খেয়াল মোতাবেক তৈরি হবে না। বরং তার ভিত্তিমূল ও উৎস হবে হাদীস , বাস্তব জীবন ও ইতিহাসের গ্রন্থরাজি। এর সংকলনের উদ্দেশ্য থাকবে মুসলিম সমাজকে শিক্ষা দান এবং যুব সমাজকে হেদায়েতের পথ প্রদর্শন ও পরিচালনা করা।

14

এক খ্রিস্টান ও হযরত আলীর লৌহ পোশাক ( যেরাহ )

হযরত আলী (আঃ)-এর খেলাফতকালে একবার কুফায় তাঁর একটি যেরাহ (যুদ্ধে ব্যবহৃত লৌহ পোশাক) হারিয়ে গেল। এর কিছু দিন পরেই যেরাহটি এক খ্রিস্টান ব্যক্তির নিকট পাওয়া গেল। হযরত আলী (আঃ) সে খ্রিস্টান লোকটিকে সাথে নিয়ে কাজীর (বিচারপতির) দরবারে গেলেন এবং তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেন। তিনি বললেন , এ যেরাহটি আমার । এটা আমি কারো কাছে বিক্রিও করিনি। আর কাউকে দান করেও দেইনি। বেশ কিছুদিন পর এখন এ যেরাহটি এ ব্যক্তির নিকট পাওয়া গেল । কাজী সাহেব খ্রিস্টান লোকটির উদ্দেশ্যে বললেন , যেরাহটির ব্যাপারে খলিফা তাঁর দাবি পেশ করেছেন। এখন এ ব্যাপারে তোমার বক্তব্য কি ? সে বললো , এটা আমার নিজের যেরাহ। এর সাথে সাথে আমি খলিফাকেও মিথ্যাবাদী বলছি না। (হতে পারে তিনি এটা চিনতে ভুল করছেন)।

কাজী হযরত আলীকে লক্ষ্য করে বললেন , আপনি দাবিদার আর এ ব্যক্তি আপনার দাবি অস্বীকার করছে। সুতরাং আপনার কর্তব্য হচ্ছে আপনি আপনার দাবির পক্ষে সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির করুন।

হযরত আলী (আঃ) মুচকি হেসে বললেন , কাজী সাহেব! সত্য কথা বলেছেন। এখন আমাকে সাক্ষ্য প্রমাণ পেশ করা উচিত। কিন্তু এ ব্যাপারে আমার কোন সাক্ষী নেই

সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির করতে না পারার কারণে কাজী সাহেব বিচারের রায় খ্রিস্টান লোকটির পক্ষে দিয়ে দিলেন। কাজীর রায় শুনেই সে খ্রিস্টান লোকটি যেরাহটি তুলে নিয়ে নিজের বাড়ির দিকে চললো।

কিন্তু সে খ্রিস্টান লোকটি খুব ভালোভাবে জানতো যে , এ যেরাহটি প্রকৃতপক্ষে কার ? সুতরাং কয়েক কদম পথ চলার পর তার মধ্যে আশ্চর্য অবস্থার সৃষ্টি হলো। তৎক্ষণাত সে ফিরে এসে বললো , আপনাদের এ শাসন ব্যবস্থা এবং লোকদের সাথে আপনাদের এমন সুন্দর ব্যবহারের ধরন পরিষ্কার বলে দিচ্ছে যে , এটা কোন সাধারণ মানুষের আচার-ব্যবহার নয়। নিঃসন্দেহে এটা নবী-রাসূলদের আচার-আচরণের মতো । তখন সে স্বীকার করলো যে , প্রকৃতপক্ষে এ যেরাহটি হযরত আলী (আঃ)- এরই

শীঘ্রই লোকেরা দেখতে পেলো সে খ্রিস্টান লোকটি ইসলাম গ্রহণ করে মুসলমান হয়ে গেছে এবং সীমাহীন আগ্রহ-উদ্দীপনা নিয়ে হযরত আলী (অঃ)-এর পতাকাতলে থেকে নাহরাওয়ান যুদ্ধেও অংশগ্রহণ করে।15