আশুরা ও কারবালা বিষয়ক প্রশ্নোত্তর

আশুরা ও কারবালা বিষয়ক প্রশ্নোত্তর12%

আশুরা ও কারবালা বিষয়ক প্রশ্নোত্তর লেখক:
প্রকাশক: বাংলাদেশ ইসলামী সাংস্কৃতিক পরিষদ,ইরান।
বিভাগ: ইমাম হোসাইন (আ.)

আশুরা ও কারবালা বিষয়ক প্রশ্নোত্তর
  • শুরু
  • পূর্বের
  • 30 /
  • পরের
  • শেষ
  •  
  • ডাউনলোড HTML
  • ডাউনলোড Word
  • ডাউনলোড PDF
  • ভিজিট: 48474 / ডাউনলোড: 5357
সাইজ সাইজ সাইজ
আশুরা ও কারবালা বিষয়ক প্রশ্নোত্তর

আশুরা ও কারবালা বিষয়ক প্রশ্নোত্তর

লেখক:
প্রকাশক: বাংলাদেশ ইসলামী সাংস্কৃতিক পরিষদ,ইরান।
বাংলা

আশুরা ও কারবালা বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্ন ও উত্তর সম্বলিত এ গ্রন্থটিতে হযরত ইমাম হোসাইন (আ.) এর আশুরা বিপ্লব সম্পর্কিত বিভিন্ন  প্রশ্নের উত্তর দেয়া হযেছে

আশুরা ও কারবালা

বিষয়ক

প্রশ্নোত্তর

এই বইটি আল হাসানাইন (আ.) ওয়েব সাইট কর্তৃক আপলোড করা হয়েছে ।

http://alhassanain.org/bengali

আশুরা ও কারবালা বিষয়ক প্রশ্নোত্তর

মূল ফারসি : লেখকবৃন্দ

অনুবাদ : আবদুল্লাহ

মোঃ আনিসুর রহমান

মোঃ মোজাফ্ফর হোসেন

মোঃ রফিকুল ইসলাম

মোঃ ফয়সল বারী

আবুল কাসেম

সম্পাদনাঃ কে এম আনোয়ারুল কবীর

প্রকাশনায় :

আহলে বাইত (আ.) বিশ্ব সংস্থা ,ইরান ও বাংলাদেশ ইসলামী সাংস্কৃতিক পরিষদ ,ইরান ।

প্রকাশকাল : জানুয়ারি ২০১৬

Ashura O Karbala bishayak Prosnottor, Writer: A Group Of Writers, Translated into Bengali from Persian by Abdullah, Md. Anisur Rahman, Md. Mozaffor Hossain, Md. Rofiqul Islam, Md. Faysal Bary and Abul Kasem, Editor: A. K. M. Anwarul Kabir;publisher: World Assembly of Ahl-ul-Bayt & Bangladesh Islamic Cultural Association, Iran;Printed on January ২০১৬.

আহলে বাইত (আ.) বিশ্ব সংস্থার মুখবন্ধ

মহানবী (সা.) ও তাঁর আহলে বাইতের (আ.) রেখে যাওয়া উত্তরাধিকারটি তাঁদেরই প্রবর্তিত মতাদর্শে সংগৃহীত ও সঞ্চিত হয়েছিল এবং তাঁদের অনুসারীরা সেটিকে বিনাশ হতে রক্ষা করেছিলেন । এ মতাদর্শে ইসলামের সকল শাখা ও বিভাগের সমন্বয় ঘটেছে । তাই এটি ইসলামের একটি সামগ্রিক রূপ । এ মতাদর্শ ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ও সত্য গ্রহণে প্রস্তুত অগণিত হৃদয়কে প্রশিক্ষিত করতে সক্ষম হয়েছিল যারা এর প্রবহমান জ্ঞানের সুপেয় পানির ধারা হতে দু হাত ভরে গ্রহণ করেছে । এটি সেই ধারা যা ইসলামী উম্মাহকে আহলে বাইত (আ.)-এর পদাঙ্কানুসারী অনেক মহান মনীষী উপহার দিয়েছে । শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে যখনই ইসলামী ভূখণ্ডের অভ্যন্তর ও তার বাইরের বিভিন্ন ধর্মমত ও চিন্তাধারার পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রশ্ন ও নবচিন্তার উদ্ভব ঘটেছে তাঁরা তার বলিষ্ঠ জবাব ও সমাধান দিয়েছেন ।

আহলে বাইত (আ.) বিশ্ব সংস্থা ,কোম ,ইরান তার প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই নবুওয়াতী মিশনের পবিত্র সত্য-সঠিক রূপ ও সীমার প্রতিরক্ষাকে তার অন্যতম দায়িত্ব হিসেবে নিয়েছে যা সবসময়ই ইসলামের অমঙ্গলকামী বিভিন্ন দল ,মত ও চিন্তাধারার আক্রমণের লক্ষ্য ছিল । বিশেষভাবে এক্ষেত্রে তাদের লক্ষ্য ছিল আহলে বাইতের পবিত্র আদর্শিক পথ ও তাঁদের মতাদর্শের অনুসারীরা যারা এ শত্রুদের আক্রমণ ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার আকাঙ্ক্ষায় সবসময়ই সামনের সারিতে থেকেছে এবং সবযুগেই কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা রেখেছে ।

এ বিশেষ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) ও তাঁর আহলে বাইতের (আ.) মতাদর্শে প্রশিক্ষিত আলেমদের অর্জিত অভিজ্ঞতামালায় পূর্ণ গ্রন্থসমূহ সত্যিই অদ্বিতীয় । কারণ ,এগুলোর শক্তিশালী জ্ঞানগত ভিত্তি রয়েছে যা বুদ্ধি ও যুক্তিভিত্তিক প্রমাণের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং সকল প্রকার অন্যায় গোঁড়ামি ও প্রবৃত্তির অনুসরণ হতে দূরে । এ চিন্তাধারা সকল বিশেষজ্ঞ ও চিন্তাবিদের প্রতি এমন আহ্বান রেখেছে যা যে কোন বুদ্ধিবৃত্তি ও সুস্থ বিবেকই মেনে নেয় ।

আহলে বাইত (আ.) বিশ্ব সংস্থা নতুন পর্যায়ে অর্জিত এ অভিজ্ঞতার সমৃদ্ধ ভাণ্ডার হতে সত্যানুসন্ধানীদের জন্য বিভিন্ন আলোচনা ও লেখা প্রকাশের পরিকল্পনা ও উদ্যোগ নিয়েছে । এ সংস্থা এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ ও এ সম্পর্কিত গবেষণা প্রকাশ ও প্রচারের মাধ্যমে আহলে বাইতের অনুসারী বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আলেমদের মূল্যবান লেখা হতে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্য ছাড়াও তা যেন সত্যানুসন্ধানীদের জন্য সুপেয় পানির উৎস হয় সে ব্রতও নিয়েছে । এতে রাসূলের আহলে বাইতের মহান মতাদর্শ কর্তৃক বিশ্ববাসীর জন্য যে মহাসত্য উপস্থাপিত হয়েছে তা সত্যাকাঙ্ক্ষীদের কাছে প্রকাশিত হবে । বুদ্ধিবৃত্তির অনুপম পূর্ণমুখিতার ও হৃদয়সমূহের দ্রুত পরস্পর সংযুক্তির এ যুগে তা আরও ত্বরান্বিত হবে নিঃসন্দেহে ।

আহলে বাইত (আ.) বিশ্ব সংস্থা এ গ্রন্থের অনুবাদদেরসহ এটি প্রকাশের বিভিন্ন পর্যায়ে যাঁরা ভূমিকা রেখেছেন তাঁদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছে ।

আশা করছি এ গ্রন্থটি প্রকাশের মাধ্যমে মহান প্রতিপালকের-যিনি তাঁর রাসূল (সা.)কে হেদায়াত ও সত্যদ্বীনসহ প্রেরণ করেছেন যাতে সকল দ্বীনের ওপর ইসলামকে বিজয়ী করেন এবং সাক্ষী হিসেবে তিনিই যথেষ্ট-পক্ষ হতে আমাদের ওপর অর্পিত মিশনের গুরুদায়িত্বের কিছু অংশ পালনে সক্ষম হয়ে থাকব ।

সাংস্কৃতিক বিভাগ

আহলে বাইত (আ.) বিশ্ব সংস্থা

প্রথম অধ্যায় : ইতিহাস ও জীবনী

মক্কা থেকে প্রস্থান

4 নং প্রশ্ন : কেন ইমাম হোসাইন (আ.) হজ সম্পন্ন না করেই হজের প্রাক্কালে মক্কা থেকে বের হয়ে গেলেন ?

উত্তর : এ প্রশ্নের ঐতিহাসিক পর্যালোচনার পূর্বে একটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই । সেটি হলো-ইমাম হোসাইন (আ.) সম্পর্কে বলা হয় যে ,তিনি হজের কাজ অর্ধেক সম্পন্ন করেই চলে যান । এ কথাটি ফিকাহসম্পন্ন নয় । কারণ ,ইমাম হোসাইন (আ.) 8ই যিলহজ তারবিয়ার দিন মক্কা থেকে বের হন ।33 আর হজের কাজ 9ই যিলহজের রাত থেকে মক্কায় ইহরাম বাঁধা এবং আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের দ্বারা শুরু হয় । অতএব ,ইমাম হোসাইন (আ.) কার্যত হজের কাজ শুরুই করেননি যে বলা যাবে ,হজ অসম্পন্ন রেখেই চলে যান ।

এটা সুনিশ্চিত যে ,ইমাম হোসাইন (আ.) মক্কায় প্রবেশের সময় উমরা হজ পালন করেছিলেন । ইমাম হোসাইন (আ.) যে কয়েক মাস মক্কায় ছিলেন ,সম্ভবত এ সময়কালে বেশ কয়েক বার উমরা পালন করেন । কিন্তু উমরা পালন করার অর্থ এটা নয় যে ,তিনি হজের কাজ শুরু করেছিলেন । বেশ কয়েকটি হাদীসে শুধু উমরা পালন করার কথা এসেছে ।34

তারপরও ইতিহাসে এ প্রশ্ন থেকে যায় যে ,যদি মক্কাকে বেছে নেয়ার একটি কারণ এটা হয়ে থাকে যে ,নিজের মতামত ব্যক্ত করার জন্য একটি উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করা ,তাহলে কেন ইমাম হোসাইন (আ.) ঐ পরিস্থিতিতে ,যখন ইসলামী ভূখণ্ডের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ মক্কা ,আরাফা ও মিনায় একত্র হলো এবং তাবলীগের ক্ষেত্র প্রস্তুত হলো তখন তিনি হঠাৎ করে মক্কা ত্যাগ করলেন ? সংক্ষিপ্ত ভাবে এর কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হলো :

এক. জীবননাশের আশঙ্কা

যেসব লোক ইমাম হোসাইন (আ.)-এর মক্কা থেকে কুফা যাওয়ার বিরোধী ছিল ,তাদের মতামতের জবাবে ইমাম হোসাইন (আ.) যা বলেছিলেন তা থেকে বোঝা যায় ,তিনি বেশিদিন মক্কায় অবস্থান করাটাকে ভালো মনে করেননি । কারণ ,দিন দিন বিপদের আশঙ্কা বাড়ছিল এবং যে কোন মুহূর্তে দুশমনের হামলার সম্ভাবনা ছিল । যেমন ইমাম হোসাইন (আ.) আবদুল্লাহ ইবনে আ 2ব্বাসের প্রশ্নের জবাবে বলেন , মক্কায় নিহত না হয়ে বরং অন্য জায়গায় নিহত হওয়াটাকে আমি বেশি পছন্দ করি । 35

ইমাম হোসাইন (আ.) আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়েরের প্রশ্নের উত্তরে বলেন , আল্লাহর শপথ! মক্কার এক হাত ভিতরে নিহত হওয়ার থেকে মক্কার এক হাত বাইরে নিহত হওয়াটাকে আমি বেশি পছন্দ করি । আল্লাহর শপথ! আমি যদি কোন প্রাণীর বাসস্থানে গিয়েও আশ্রয় নিই তবুও তারা আমাকে সেখান থেকে টেনে বের করবে যাতে আমার থেকে যা চায় তা অর্জন করতে পারে । 36 ইমাম হোসাইন (আ.)স্বীয় ভ্রাতা মুহাম্মাদ হানাফিয়াকে বলেছিলেন যে ,ইয়াযীদের ইচ্ছা হলো মক্কার হারাম শরীফে আমাকে হত্যা করা ।37 এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় সুস্পষ্টভাবে উল্লিখিত হয়েছে যে ,ইয়াযীদ ইমাম হোসাইন (আ.)-কে হত্যা করার জন্য কিছু লোককে অস্ত্র দিয়ে মক্কায় পাঠিয়েছিল ।38

দুই. হারাম শরীফের সম্মান বিনষ্ট হওয়া

উপরিউক্ত আলোচনার সাথে আরেকটি বিষয় যুক্ত হয়েছে ,আর সেটি হলো ইমাম হোসাইন (আ.) চাইতেন না যে ,তাঁর রক্তের দ্বারা কাবা শরীফের সম্মান বিনষ্ট হোক । যদিও এক্ষেত্রে হত্যাকারীরা এবং উমাইয়া বংশের অপরাধীরা অনেক বড় গোনাহের ভার বহন করতো ।

ইমাম হোসাইন (আ.) আবদুল্লাহ বিন জোবায়েরের সাথে সাক্ষাতের সময় আপত্তির সুরে এবং সুস্পষ্টভাবে এ বিষয়টি বলেছিলেন যে ,পরবর্তীকালে আবদুল্লাহ যখন মক্কায় বিদ্রোহ করবে তখন ইয়াযীদের সৈন্যরা তাকে হত্যার মাধ্যমে হারাম শরীফের সম্মান বিনষ্ট করবে । ইমাম আবদুল্লাহ ইবনে জোবায়েরের প্রশ্নের জবাবে বলেন , আমার পিতা আলী (আ.) আমাকে বলেছিলেন যে ,মক্কায় এক বলির পাঁঠা আছে যার মাধ্যমে হারাম শরীফের সম্মান বিনষ্ট হবে । আর আমি সেই বলির পাঁঠা হতে চাই না । 39

মক্কা থেকে প্রস্থান

4 নং প্রশ্ন : কেন ইমাম হোসাইন (আ.) হজ সম্পন্ন না করেই হজের প্রাক্কালে মক্কা থেকে বের হয়ে গেলেন ?

উত্তর : এ প্রশ্নের ঐতিহাসিক পর্যালোচনার পূর্বে একটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই । সেটি হলো-ইমাম হোসাইন (আ.) সম্পর্কে বলা হয় যে ,তিনি হজের কাজ অর্ধেক সম্পন্ন করেই চলে যান । এ কথাটি ফিকাহসম্পন্ন নয় । কারণ ,ইমাম হোসাইন (আ.) 8ই যিলহজ তারবিয়ার দিন মক্কা থেকে বের হন ।33 আর হজের কাজ 9ই যিলহজের রাত থেকে মক্কায় ইহরাম বাঁধা এবং আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের দ্বারা শুরু হয় । অতএব ,ইমাম হোসাইন (আ.) কার্যত হজের কাজ শুরুই করেননি যে বলা যাবে ,হজ অসম্পন্ন রেখেই চলে যান ।

এটা সুনিশ্চিত যে ,ইমাম হোসাইন (আ.) মক্কায় প্রবেশের সময় উমরা হজ পালন করেছিলেন । ইমাম হোসাইন (আ.) যে কয়েক মাস মক্কায় ছিলেন ,সম্ভবত এ সময়কালে বেশ কয়েক বার উমরা পালন করেন । কিন্তু উমরা পালন করার অর্থ এটা নয় যে ,তিনি হজের কাজ শুরু করেছিলেন । বেশ কয়েকটি হাদীসে শুধু উমরা পালন করার কথা এসেছে ।34

তারপরও ইতিহাসে এ প্রশ্ন থেকে যায় যে ,যদি মক্কাকে বেছে নেয়ার একটি কারণ এটা হয়ে থাকে যে ,নিজের মতামত ব্যক্ত করার জন্য একটি উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করা ,তাহলে কেন ইমাম হোসাইন (আ.) ঐ পরিস্থিতিতে ,যখন ইসলামী ভূখণ্ডের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ মক্কা ,আরাফা ও মিনায় একত্র হলো এবং তাবলীগের ক্ষেত্র প্রস্তুত হলো তখন তিনি হঠাৎ করে মক্কা ত্যাগ করলেন ? সংক্ষিপ্ত ভাবে এর কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হলো :

এক. জীবননাশের আশঙ্কা

যেসব লোক ইমাম হোসাইন (আ.)-এর মক্কা থেকে কুফা যাওয়ার বিরোধী ছিল ,তাদের মতামতের জবাবে ইমাম হোসাইন (আ.) যা বলেছিলেন তা থেকে বোঝা যায় ,তিনি বেশিদিন মক্কায় অবস্থান করাটাকে ভালো মনে করেননি । কারণ ,দিন দিন বিপদের আশঙ্কা বাড়ছিল এবং যে কোন মুহূর্তে দুশমনের হামলার সম্ভাবনা ছিল । যেমন ইমাম হোসাইন (আ.) আবদুল্লাহ ইবনে আ 2ব্বাসের প্রশ্নের জবাবে বলেন , মক্কায় নিহত না হয়ে বরং অন্য জায়গায় নিহত হওয়াটাকে আমি বেশি পছন্দ করি । 35

ইমাম হোসাইন (আ.) আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়েরের প্রশ্নের উত্তরে বলেন , আল্লাহর শপথ! মক্কার এক হাত ভিতরে নিহত হওয়ার থেকে মক্কার এক হাত বাইরে নিহত হওয়াটাকে আমি বেশি পছন্দ করি । আল্লাহর শপথ! আমি যদি কোন প্রাণীর বাসস্থানে গিয়েও আশ্রয় নিই তবুও তারা আমাকে সেখান থেকে টেনে বের করবে যাতে আমার থেকে যা চায় তা অর্জন করতে পারে । 36 ইমাম হোসাইন (আ.)স্বীয় ভ্রাতা মুহাম্মাদ হানাফিয়াকে বলেছিলেন যে ,ইয়াযীদের ইচ্ছা হলো মক্কার হারাম শরীফে আমাকে হত্যা করা ।37 এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় সুস্পষ্টভাবে উল্লিখিত হয়েছে যে ,ইয়াযীদ ইমাম হোসাইন (আ.)-কে হত্যা করার জন্য কিছু লোককে অস্ত্র দিয়ে মক্কায় পাঠিয়েছিল ।38

দুই. হারাম শরীফের সম্মান বিনষ্ট হওয়া

উপরিউক্ত আলোচনার সাথে আরেকটি বিষয় যুক্ত হয়েছে ,আর সেটি হলো ইমাম হোসাইন (আ.) চাইতেন না যে ,তাঁর রক্তের দ্বারা কাবা শরীফের সম্মান বিনষ্ট হোক । যদিও এক্ষেত্রে হত্যাকারীরা এবং উমাইয়া বংশের অপরাধীরা অনেক বড় গোনাহের ভার বহন করতো ।

ইমাম হোসাইন (আ.) আবদুল্লাহ বিন জোবায়েরের সাথে সাক্ষাতের সময় আপত্তির সুরে এবং সুস্পষ্টভাবে এ বিষয়টি বলেছিলেন যে ,পরবর্তীকালে আবদুল্লাহ যখন মক্কায় বিদ্রোহ করবে তখন ইয়াযীদের সৈন্যরা তাকে হত্যার মাধ্যমে হারাম শরীফের সম্মান বিনষ্ট করবে । ইমাম আবদুল্লাহ ইবনে জোবায়েরের প্রশ্নের জবাবে বলেন , আমার পিতা আলী (আ.) আমাকে বলেছিলেন যে ,মক্কায় এক বলির পাঁঠা আছে যার মাধ্যমে হারাম শরীফের সম্মান বিনষ্ট হবে । আর আমি সেই বলির পাঁঠা হতে চাই না । 39


4

5

6

7

8

9

10

11

12

13

14

15

16

17

18

19

20

21

22

23

24

25