ওহি-গৃহে আক্রমণ

ওহি-গৃহে আক্রমণ0%

ওহি-গৃহে আক্রমণ : মুহম্মদ রিজওয়ানুস সালাম খান
প্রকাশক: মাজমা-এ-যাখায়েরে ইসলামী কুম,ইরান
বিভাগ: হযরত ফাতেমা (সা.আ.)

  • শুরু
  • পূর্বের
  • 9 /
  • পরের
  • শেষ
  •  
  • ডাউনলোড HTML
  • ডাউনলোড Word
  • ডাউনলোড PDF
  • ভিজিট: 8479 / ডাউনলোড: 2850
সাইজ সাইজ সাইজ
ওহি-গৃহে আক্রমণ

ওহি-গৃহে আক্রমণ

প্রকাশক: মাজমা-এ-যাখায়েরে ইসলামী কুম,ইরান
বাংলা

এই প্রবন্ধে মুখ্য আলোচ্য বিষয়বস্তু হল: ১. হজরত রাসূল (সা.) এর ভাষায় হজরত ফাতিমা (আ.) এর নিষ্পাপত্ব (ইসমত)। ২. হজরত ফাতিমা (আ.) এর গৃহ,কুরআন ও সুন্নতের আলোকে সম্মানীয়। ৩. হজরত রাসূল (সা.) এর পরে তাঁর গৃহের উপর আক্রমণ করে তাঁর মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করা হয়েছে।

3) ফাতিমা (আ.) এর ঘরের সম্মান হানি

হ্যাঁ ,এতটা তাগিদ ও সুপারিশ করার পরেও আফসোস যে এমন কিছু অসম্মানজনক ব্যবহার নবী নন্দিনীর সাথে করা হয়েছে যে তা সহ্য করার মত নয়। আর এ এমন একটা সমস্যা যে কারো দোষ আড়াল করা ঠিক নয়।

আমি এই ব্যাপারে সমস্ত উক্তি আহলে সুন্নত ওয়াল জমায়েতের গ্রন্থসমূহ হতে উল্লেখ করব ,যাতে এই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায় যে হজরত ফাতিমা জাহরা (সা.) এর গৃহের সম্মানহানি ও পরবর্তী ঘটনাগুলি ঐতিহাসিকভাবে অকাট্য সত্য এবং এটি কোন অসত্য ঘটনা নয়! যদিও খলিফাদের যুগে ব্যাপকভাবে আহলে বাইতের গুণ ও মর্যাদাকে গোপন করা হয়েছে ,কিন্তু ইতিহাসের পাতায় ও হাদীসের গ্রন্থসমূহে এখনও পর্যন্ত তা জীবন্ত ও রক্ষিত আছে। আর আমি প্রথম শতাব্দী থেকে বর্তমান যুগ পর্যন্ত এ সম্পর্কে লেখা গ্রন্থের নাম ও লেখকের নাম উল্লেখ করব।

1। ইবনে আবি শায়বা ও তার আল মুসান্নিফ ” পুস্তক

আবুবকর ইবনে আবি শায়বা (159-235) আল মুসান্নিফ গ্রন্থের লেখক সহিহ সনদের সাথে এইভাবে লিপিবদ্ধ করেছেন:

إنه حين بويع لابي بكر بعد رسول الله (ص) كان علي والزبير يدخلان علی فاطمة بنت رسول الله (ص)، فيشاورونها و يرتجعون في أمرهم، فلما بلغ ذلك عمر بن خطاب خرج حتي دخل علی فاطمة،

فقال: يا بنت رسول الله (ص) والله ما أحدٌ أحب إلينا من أبيك وما من أحد أحب إلينا بعد أبيك منك، وأيم الله ما ذاك بمانعي إن اجتمع هؤلاء النفر عندك إن أمرتهم أن يحرق عليهم البيت

قال: فلما خرج عمر جاؤوها، فقالت (ع): تعلمون أنّ عمر قد جاءني، وقد حلف بالله لئن عدتم ليحرقنّ عليكم البيت، وايم الله ليمضين لمّا حلف عليه

অর্থাৎ: যখন জনগণ আবুবকরের হাতে বাইয়াত করলেন ,হজরত আলী (আ.) ও যোবায়ের হজরত ফাতিমা (আ.) এর গৃহে পরামর্শ ও আলোচনা করছিলেন ,এই খবর উমর ইবনে খাত্তাবের কর্ণগোচর হল অতঃপর সে ফাতিমা (আ.) এর গৃহে এসে বলল: হে নবী নন্দিনী! আমার প্রিয়তম ব্যক্তি তোমার পিতা ,তোমার পিতার পর তুমি নিজে ; কিন্তু আল্লাহর কসম তোমাদের এই ভালোবাসা আমার জন্য বাধা সৃষ্টি করবে না তোমার এই ঘরে একত্রিত হওয়া ব্যক্তিদের উপর আগুন লাগানোর আদেশ দেওয়া থেকে যাতে তারা দগ্ধ হয়ে যায়। এই কথা বলে উমর চলে যায় ,অতঃপর হজরত আলী ও যোবায়ের গৃহে প্রত্যাবর্তন করেন ,হজরত ফাতিমা (আ.) আলী (আ.) ও যোবায়েরকে বললেন: উমর আমার নিকটে এসেছিল আল্লার কসম খেয়ে বলছিল যে যদি তোমাদের এই ইজতেমা ” সমাবেশ বন্ধ না হয় ,দ্বিতীয় বার অব্যাহত থাকে তাহলে তোমাদের গৃহকে জ্বালিয়ে দেব। আল্লার কসম! যার জন্য আমি কসম খেয়েছি অবশ্যই আমি সেটা করব।11

উল্লেখ্য এই ঘটনাকে আল মুসান্নিফ ” গ্রন্থে সহিহ সনদের সাথে উল্লেখ করেছে।

2। বালাজুরী ও তার আনসাবুল আশরাফ ” গ্রন্থ

আহমাদ বিন ইয়াহিয়া জাবির বাগদাদী বালাজুরী (মৃত্যু:270) বিখ্যাত লেখক ও মহান ঐতিহাসিক এই ঐতিহাসিক ঘটনাকে নিজের গ্রন্থ আনসাবুল আশরাফ ” এ এই ভাবে উল্লেখ করেছেন:

إنّ أبابكر أرسل إلى علي يريد البيعة فلم يبايع، فجاء عمر و معه فتيلة: فتلقّته فاطمة علی الباب

فقالت فاطمة: بإبن الخطّاب: أتراك محرقاً عليّ بابي؟ قال: نعم و ذلك أقوى فيما جاء به أبوك

অর্থাৎ: আবুবকর হজরত আলী (আ.) এর বাইয়াত নেওয়ার জন্য (লোক) পাঠায় কিন্তু হজরত আলী (আ.) অস্বীকার করার ফলে উমর আগুনের ফলতে নিয়ে আসল ,দ্বারেই হজরত ফাতিমা (আ.) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। হজরত ফাতিমা (আ.) বললেন: হে খাত্তাবের পুত্র! আমিতো দেখছি তুমি আমার ঘর জ্বালানোর পরিকল্পনা নিয়েছ ? উত্তরে উমর বলল: হ্যাঁ ,তোমার পিতা যার জন্য প্রেরিত হয়েছে (সেই কাজের সহযোগিতা ছাড়া অন্যকিছু নয়) আর এটা তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ।12

3। ইবনে কুতাইবা ও তার আল ইমামাত ওয়াস সিয়াসাত ” গ্রন্থ

বিখ্যাত ঐতিহাসিক আব্দুল্লাহ বিন মুসলিম বিন কুতাইবা দিনাওয়ারী (212-276) তিনি সাহিত্যিকদের অন্যতম প্রধান ও ইসলামী ইতিহাস লেখকদের মধ্যে একজন ,তাঁর সংকলিত পুস্তক তাভিলে মুখতালাফুল হাদীছ ” ও আদাবুল কাতিব ” ইত্যাদি। তিনি তাঁর আল ইমামাত ওয়া সেয়াসাত ” গ্রন্থে এমনি লিপিবদ্ধ করেছেন:

إنّ أبا بكر رضي الله عنه تفقد قوماً تخلّفوا عن بيعته عند علي كرّم الله وجهه فبعث إليهم عمر فجاء فناداهم وهم في دار علي، فأبوا أن يخرجوا فدعا بالحطب و قال: والّذي نفس عمر بيده لتخرجنّ أو لأحرقنّها علی من فيها، فقيل له: يا أبا حفص إنّ فيها فاطمة، فقال: وإن !

অর্থাৎ: যাঁরা আবুবকরের হাতে বাইয়াত করেন নি তাঁরা হজরত আলী (আ.) এর গৃহে একত্রিত হয়ে ছিলেন ,আবুবকর খবর পাওয়ায় ওমরকে অনুসন্ধানের জন্য তাঁদের নিকটে পাঠাল ,সে হজরত আলী (আ.) এর গৃহে এসে সকলকে উচ্চস্বরে বলল ঘর থেকে বের হয়ে এস ,তাঁরা প্রত্যাখ্যান করেন ,ফলে উমর কাঠ তলব করল এবং বলল: তাঁর কসম যার হাতে উমরের জীবন আছে সকলে বাইরে এস নইলে যে ঘরে তোমরা আছ আগুন লাগিয়ে দেব। এক ব্যক্তি উমরকে বলল: হে হাফসার পিতা এই ঘরে রাসুলের কন্যা ফাতিমা (আ.) আছেন ,উমর বলল: থাকে থাকুক!13

ইবনে কুতাইবা এই ঘটনাকে সবথেকে বেদনা দায়ক এবং কষ্ট দায়ক বলে উল্লেখ করেছেন ,তিনি বলেন:

ثمّ قام عمر فمشى معه جماعة حتى أتوا فاطمة فدقوا الباب، فلمّا سمعت أصواتهم نادت بأعلى صوتها يا أبتاه رسول الله ماذا لقيناك بعدك من إبن الخطّاب وإبن أبي قحافة فلمّا سمع القوم صوتها و بكائها إنصرفوا. وبقى عمر ومعه قوم فأخرجوا علياً فمضوا به إلي أبي بكر فقالوا له بايع، فقال: إنّ أنا أفعل فمه؟ فقالوا: إذاً والله الذي لا إله إلا هو نضرب عنقك

অর্থাৎ: উমর একদল লোকের সাথে হজরত ফাতিমা (আ.) এর গৃহে এসে ঘরের দরজা করাঘাত করল ,যখন ফাতিমা (আ.) এদের শব্দ শুনলেন উচ্চস্বরে বললেন: হে রাসুলুল্লাহ আপনার পর আমাদের উপর খাত্তাবের ছেলে এবং আবি কুহাফার পুত্র কি যে মুসিবত নিয়ে এসেছে! যখন উমরের সাথিরা হজরত জাহরা (আ.) এর চিৎকার ও কান্না শুনলেন ,ফিরে গেলেন ,কিন্তু কিছু সংখ্যক লোক উমরের সাথে ছিল ,তারা হজরত আলী (আ.) কে ঘর থেকে বের করে আনল। আবুবকরের নিকটে নিয়ে এসে তাঁকে বলল: বাইয়াত করুন ,আলী (আ.) বললেন: যদি বাইয়াত না করি কি হবে ? তারা বলল: সেই খোদার শপথ যিনি ছাড়া কোন প্রতিপালক নেই ,তোমার শির গর্দান থেকে আলাদা করে দেব।14

সুনিশ্চিতভাবে দুই খলীফার প্রেমিকদের জন্য ইতিহাসের এই অংশটুকু খুবই অসহনীয় ও অরুচিকর ,তাই কিছু সংখ্যক ব্যক্তি পরিকল্পনা নিয়ে বললেন যে ইবনে কুতাইবার পুস্তক অগ্রহণীয় কেউ কেউ বলতে চেয়েছেন এ গ্রন্থ ইবনে কুতাইবার নয়। কিন্তু এ সত্ত্বেও যে ইবনে আবিল হাদীদ যিনি ইতিহাসের অভিজ্ঞ এক শিক্ষক এই পুস্তককে ইবনে কুতাইবার রচিত বলে স্বীকার করেন এবং সর্বদা এই পুস্তক থেকে প্রয়োজনে প্রচুর বর্ণনা করেছেন। আফসোসের বিষয় যে এই পুস্তক বিকৃত করা হয়েছে এবং কিছু অংশকে বাদ দিয়ে মুদ্রণ করা হয়েছে কিন্তু সেই মূল ও অবিকৃত অংশটি ইবনে আবিল হাদীদ তাঁর শরহ্ নাহজুল বালাগা গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।

“ জরকলি ” এই পুস্তককে ইবনে কুতাইবার রচিত বলে মনে করেন,অতপর তিনি বলেন: কিছু সংখক আলেম এই ব্যপারে ভিন্ন মত রাখেন। অর্থাৎ এ গ্রন্থের বিষয়ে অন্যদের সংশয় ও সন্দেহ আছে বলে উল্লেখ করেছেন কিন্তু নিজেরা বলেননি যে তা ইবনে কুতাইবার রচিত নয়। যেমন ইলিয়াছ সারকিস15 এই পুস্তককে ইবনে কুতাইবার রচনা বলে গণ্য করেন।

4। তাবারী ও তাঁর ইতিহাস গ্রন্থ

মুহাম্মাদ বিন তাবারী (মৃত: 310 হি:) নিজের ইতিহাসে ওহি-গৃহের সম্মানহানির ঘটনাকে এরূপ বর্ণনা করেছেন:

أتي عمر بن الخطاب منزل علي و فيه طلحة و الزبير و رجالٌ من المحاجرين. فقال والله لأحرقنّ عليكم أو لتخرجنّ إلی البيعة. فخرج عليه الزبير مصلتاً بالسيف فعثر فسقط السيف من يده. فوثبوا عليه فأخذوه

অর্থাৎ: উমর ইবনে খাত্তাব হজরত আলী (আ.) এর গৃহে আসে সে সময় সেই গৃহে তালহা জুবায়ের ও মুহাজিরদের মধ্যে কিছু সংখ্যক লোকও ছিল ,সে তাদের সম্বোধন করে বলল: যদি বাইয়াতের জন্য ঘর থেকে বের না হও তাহলে আল্লাহর কসম ঘরে আগুন লাগিয়ে দেব ,জুবায়ের হাতে তলোয়ার নিয়ে ঘর থেকে বাইরে আসে ,হঠাৎ তার পা পিছলে যায় এবং তার হাত থেকে তলোয়ার পড়ে যায় ,সেই সময় সকলে তার উপর আক্রমণ করে এবং তলোয়ার তার হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়।16

ইতিহাস এই অংশটুকু দ্বারা প্রমাণ করে দিয়েছে যে প্রথম খলিফার বাইয়াত হুমকি ও ধমকি দিয়ে গ্রহণ করা হয়েছে ,এই রকম বাইয়াতের কি মূল্য আছে ? পাঠকগণ নিজেরা ফয়সালা করুন।

5। ইব্নে আবদে রাব্বাহ ও তাঁর গ্রন্থ আল আক্বদুল ফরিদ ”

শাহাবুদ্দীন আহমদ ওরফে ইবনে আবদে রাব্বাহ আন্দালুসী ” আল আক্বদুল ফরিদ ” গ্রন্থের লেখক (মৃত: 463 হি:) নিজের গ্রন্থে একটি অংশে সাক্বিফার ইতিহাস বর্ণনা করেছেন তার মধ্যে সেই ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করেছেন যারা আবুবকরের বাইয়াত অস্বীকার করেছেন:

فأمّا علي والعباس والزبير فعقدوا في بيت فاطمة حتي بعثت إليهم أبوبكر عمر بن خطّاب ليخرجهم من بيت فاطمة وقال له: إن أبوا فقاتلهم، فأقبل بقبس من نار أن يضرم عليهم الدار، فلقيته فاطمة فقال: يابن الخطاب أجئت لتحرق دارنا؟ قال: نعم، أو تدخلوا فيما دخلت فيه الأمة

অর্থাৎ: হজরত আলী (আ.) ,আব্বাস (রা.) ও জোবায়ের ফাতিমা (আ.) এর গৃহে বসেছিলেন। আবুবকর উমরকে পাঠায় যাতে ওদেরকে গৃহ থেকে বের করে আনে আর বলে পাঠায় যে: যদি তারা গৃহ থেকে বের না হয় তালে তাদের সাথে যুদ্ধ করবে! সেই সময় উমর বিন খাত্তাব সামান্য আগুন নিয়ে ফাতিমা (আ.) এর গৃহ জ্বালানোর জন্য অগ্রসর হল ,সেই সময় ফাতিমা (আ.) এর সাথে সাক্ষাৎ হয় ,রাসুলের কন্যা বলেন: হে খাত্তাবের পুত্র আমার ঘর জ্বালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছ ? সে উত্তরে বলল: হ্যাঁ ,কিন্তু! যদি তোমরা নিজেরা তার মধ্যে (প্রথম খলিফার আনুগত্যের ছায়ায়) প্রবেশ করো যাতে উম্মত (অন্যরা) প্রবেশ করেছে তাহলে ভিন্ন কথা।17

এই পর্যন্ত ফাতিমা (আ.) এর গৃহের সম্মানহানির বিষয়ে আলোচনা করলাম এ ব্যাপারে এইখানে শেষ করছি এবার দ্বিতীয় বিষয়ের উপর আলোকপাত করতে চাই যাতে এই অমানবিক ও অসৎ কর্মকে কার্যে পরিণত করা হয়েছে।

যাইহোক এতক্ষণে এই বোঝা গেল যে তাদের ইচ্ছা ছিল হজরত আলী (আ.) ও তাঁর সঙ্গী সাথিদের ভয় ও হুমকি দিয়ে বাইয়াত করতে বাধ্য করা ,কিন্তু এই হুমকিকে কার্যে পরিণত করার কথাও ইতিহাসে প্রমানিত। এবার সেই কার্যগুলি বর্ণনা করতে চাই যে ,তারা এই মহা অপরাধে লিপ্তও হয়েছে।

এ পর্যন্ত শুধুমাত্র খলিফা ও তার সহচরদের কু নিয়তকে (অসৎ উদ্দেশ্যের প্রতি) ইঙ্গিত করে শেষ করা হয়েছে। এক শ্রেণীর লোক এই ঘটনার উপর পরিষ্কার ভাবে আলোকপাত করতে পারে না কিংবা করতে চায়না। এ সত্যেও কিছু লোক আসল ঘটনা অর্থাৎ গৃহে আক্রমণ এর উপর ইঙ্গিত করেছেন এবং কিছু পরিমান সত্যের উপর থেকে মুখাবরণ তুলেছেন এবং সত্যকে ফাঁস করেছেন। এখানে সম্মানহানি ও আক্রমণের বিষয়ে ইশারা করব।

এখানেও বিষয় বর্ণনার ক্ষেত্রে সময়ের ভিত্তিতে ঐতিহাসিক বর্ণনাক্রমের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখা হবে৷

6। আবু ওবায়েদ এবং তার আল আমওয়াল ” পুস্তক

আবু ওবায়েদ ক্বাসিম বিন সালাম (মৃত: 224 হি:) তাঁর আল আমওয়াল ” (যার বিশ্বস্ততার ব্যপারে ইসলামী বিশেষজ্ঞরা একমত) পুস্তকে বর্ণনা করেছেন:

আব্দুর রহমান বিন আউফ বলেন: আমি আবুবকরের মৃত্যুশয্যায় তার সাথে সাক্ষাত করতে তার বাড়ি যাই অনেকক্ষণ কথাবার্তার পর আমাকে বলল: কামনা করি হায়! তিনটি কাজ যা আমি করেছি যদি না করতাম ,অনুরূপ আশাকরি হায়! তিনটি কাজ যা আমি করিনি যদি করতাম ,অনুরূপ ইচ্ছাহয় যে হায়! তিনটি জিনিস যদি রাসূল (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করতাম।

সেই তিনটি জিনিস যা আমি করেছি আর আফসোস করছি যে যদি না করতাম সে তিনটি হল এই যে:

وددت إنّي لم أكشف بيت فاطمة تركته وإن أغلق علی الحرب

অর্থাৎ: হায় আফসোস! ফাতিমা (আ.) এর গৃহের সম্মানকে রক্ষা করতাম আর অসম্মানিত না করে তাঁর নিজের অবস্থায় ছেড়ে দিতাম যদিও তা যুদ্ধের জন্য বন্ধ করা হয়ে ছিল।18

আবু ওবায়েদ যখন বর্ণনায় এই স্থানে পৌছান لم أكشف بيت فاطمة وتركته এই বাক্যকে বর্ণনা না করে كذا و كذا ইত্যাদি ইত্যাদি বলে বর্ণনা করেছেন অর্থাৎ সম্পূর্ণ ঘটনাকে বর্ণনা করেন নি এবং বলেন যে আমি এই ঘটনাকে উল্লেখ করতে চাইনা!

কিন্তু যাইহোক আবু ওবায়েদ ” মাযহাবী পক্ষপাতিত্বের জন্য কিংবা অন্য কোন কারণে এই সত্যকে বর্ণনা করেন নি ; কিন্তু আল আমওয়াল ” পুস্তকের গবেষকেরা পাদটীকাতে লিখেছেন যে বাক্যকে সে বাদ দিয়েছে তা মিযানুল এ তেদাল ” গ্রন্থে এই রকম (যেমনটি আমরা বর্ণনা করেছি তেমনটি) জাহাবী বর্ণনা করেছেন ,তাছাড়া তিবরানী ” নিজের মো জামে ” এবং ইবনে আব্দু রাব্বাহ ” আকদুল ফরিদে ” এবং অন্যরা স্ব স্ব গ্রন্থে উপরোক্ত বাক্যটি বর্ণনা করেছেন। (চিন্তা করুন!)

7। তাবরানী ও মো জামে কবীর

আবুল ক্বাসিম সোলেমান বিন আহমদ তাবরানী (260 -360) (জাহাবী তার সম্পর্কে মিজানুল এ তেদালে ” বলেন যে তিনি বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি। ) আল মো জামুল কবীর ” পুস্তকে (যার মুদ্রণ বহুবার হয়েছে) যেখানে আবুবকরের মৃত্যু ও তার বাণী সম্পর্কে লিখেছেন উল্লেখ্য যে ,

আবুবকর মৃত্যুর সময় কিছু জিনিসের আশা করেছিল!

হায় আফসোস! তিনটি কাজকে যদি না করতাম!

হায় আফসোস! তিনটি কাজ যদি করতাম!

হায় আফসোস! তিনটি জিনিস যদি রাসূল (সা.) কে জিজ্ঞাসা করতাম! যে তিনটি কাজের ব্যাপারে বলেছিল ; যে যদি না করতাম ,সে তিনটি হল:

أمّا الثلاث اللائي وددت أنّي لم أفعلهنّ، فوددت إني لم أكن أكشف بيت فاطمة و تركته

যে তিনটি কাজের জন্য আফসোস করছি তা হল যে হায় আফসোস যদি ফাতিমা (আ.) এর ঘরের অসম্মান না করতাম এবং তাকে তার অবস্থায় ছেড়ে দিতাম!19

এই আকাঙ্খা ব্যক্ত করাতে বোঝা যায় যে উমরের হুমকিকে বাস্তবে রূপ দেয়া হয়েছিল।

8। ইব্নে আব্দু রাব্বাহ ও আল আক্বদুল ফরিদ ”

ইবনে আব্দু রাব্বাহ আন্দালুসী - আল আকদুল ফরীদ ” এর লেখক (মৃত: 463 হিঃ) নিজের পুস্তকে আব্দুর রহমান বিন আওফ থেকে বর্ণনা করেছেন:

আমি আবুবকরের অসুস্থতার সময় তাকে দেখতে যাই ,তিনি বলেন: হায় আফসোস! যদি তিনটি কাজ না করতাম আর তার মধ্যে একটি কাজ হল যে:

وددت إني لم أكن أكشف بيت فاطمة عن شيئ و إن كانوا غلقوه علی الحرب

অর্থাৎ হায় আফসোস! যদি ফাতিমা (আ.) এর গৃহকে উন্মোচন না করতাম যদিও তারা লড়াই করার জন্য ঘরের দরজা বন্ধ করে থাকুক না কেন ৷20

এছাড়াও তাঁদের নাম উল্লেখ করব যাঁরা খলীফার এই বাক্যকে বর্ণনা করেছেন।

9। আল ওয়াফী বিল ওয়াফাইয়াত পুস্তকে নাজ্জামের কথা

ইব্রাহীম বিন সাইয়ার নাজ্জাম মো তিজালী (160 -231) যিনি আরবী পদ্য ও গদ্যে বাক্যের সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত তার রচিত বিভিন্ন পুস্তকে ,ফাতিমা (আ.) এর ঘরে অন্যদের উপস্থিতির পরের ঘটনাকে বর্ণনা করে বলেন:

إنّ عمر ضرب بطن فاطمة يوم البيعة حتي ألقت المحسن من بطنها

অর্থাৎ আবুবকরের বাইয়াতের দিনে ওমর ফাতেমা (আ.) এর উদরে আঘাত করে ,তাঁর গর্ভের শিশু (মহসিন) গর্ভপাত হয়ে যায়। (চিন্তা করুন!)

10। মোবররিদ্ আল কামিল ” গ্রন্থে

মুহম্মদ বিন এজীদ বিন আব্দুল আকবর বাগদাদী (210 -285) বিখ্যাত সাহিত্যিক ও লেখক তাঁর মুল্যবান পুস্তক আল কামিল ” এ প্রথম খলিফার আকাঙ্খার কথা আব্দুর রহমান থেকে বর্ণনা করেছেন ,তিনি লেখেন:

وددت إني لم أكن أكشف عن بيت فاطمة و تركته و لوأغلق علي الحرب

অর্থাৎ: হায় ফাতিমা (আ.) এর ঘরের উপর আক্রমন না করতাম বরং তাঁকে তার নিজের অবস্থায় ছেড়ে দিতাম যদিও তা যুদ্ধের জন্য রুদ্ধ করা হয়েছিল।21

11। মাসউদী ও মরুজুয্যাহাব ”

মাসউদী (মৃত:325) তার মরুজুয্যাহাব গ্রন্থে লেখেন:

আবুবকর মৃত্যুর পূর্বে যা কিছু বলেছে তা নিম্নে দেওয়া হল:

তিনটি কাজ করেছি যদি না করতাম ,তার মধ্যে একটি এই যে:

فوددت إني لم أكن فتشت بيت فاطمة و ذكر في ذلك كلاماً كثيراً

অর্থাৎ: হায় আফসোস! ফাতিমার ঘরের উপর আক্রমণ না করতাম। আর এ ব্যাপারে সে অনেক কিছু বলেছে।22

মাসউদীর যদিও মহানবী (সা.) এর আহলেবায়েত (আ.) এর প্রতি বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে ; কিন্তু এখানে খলিফার বার্তাকে সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করতে দ্বিধা বোধ করেছেন এবং শুধুমাত্র ইশারা করে ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু আল্লাহ এ বিষয়ে সম্পূর্ণরূপে জানেন ও আল্লাহর বান্দারাও মোটামুটিভাবে জানেন।

12। ইবনে আবী দারেম্ ও মীজানুল এ তেদাল ” পুস্তক

“ আহমদ বিন মুহম্মদ ” ওরফে ইবনে আবী দারেম্ ” মুহাদ্দীসে কুফী (মৃত: 365 হিঃ) মুহম্মদ বিন আহমদ বিন হাম্মদ কুফী তার সম্পর্কে বলেছেন যে: كان مستقيم الأمر، عامة دهره অর্থাৎ: উনি সারা জীবন সঠিক পথের পথিক ছিলেন।

তার সামনে এই ঘটনাকে এভাবে বর্ণনা করা হল যে:

إنّ عمر رفس فاطمة حتي أسقطت بمحسن

অর্থাৎ: উমর হজরত ফাতিমা (আ.) এর গর্ভে লাথিমারে তাঁর গর্ভে মহসিন (নামে বাচ্চা) ছিল সে গর্ভপাত হয়ে যায়।23 (চিন্তা করুন!)

13। আব্দুল ফাত্তাহ আব্দুল মকছুদ ও আল ইমাম আলী ” পুস্তক

তিনি তাঁর গ্রন্থে হজরত ফাতিমা (আ.) এর গৃহে আক্রমণের ঘটনাকে দু দুবার বর্ণনা করেছেন ,কিন্তু আমি তার মধ্যে একটি বর্ণনা করছি:-

والذي نفس عمر بيده، ليخرجنّ أو لأحرقنّها علي من فيها ...!

قالت له طائفة خانت الله، ورعت الرسول في عقبه

يا أبا حفص، إنّ فيها فاطمة

فصاح لايبالي: و إن

واقترب وقرع الباب، ثمّ ضربه واقتحمه ...!

অর্থাৎ: যার হাতে উমরের জান আছে তার কসম খেয়ে বলছি তোমরা ঘর থেকে বাইরে বের হয়ে এস ,নইলে ঘরে যারা আছে তাদের সহ ঘরকে জ্বালিয়ে দেব।

খোদাভীরু কিছু লোক আল্লাহর ভয়ে এবং রসুলের ঘরের সম্মান রক্ষার জন্য উমরের উদ্দেশ্যে বলল:

“ হে হাফসার পিতা! এই ঘরে ফাতিমা (আ.) আছেন ”

সে চিৎকার করে বলল: থাকে থাকুক!!

দরজার নিকট গিয়ে দরজায় কড়া নাড়ল ,অতঃপর ঘুঁসি ও লাথি মেরে দরজা ভেঙে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করল।

হজরত আলী (আ.) কে গ্রেফতার করে ।

হজরত ফাতিমা (আ.) এর আর্তনাদও চিৎকার প্রবেশদ্বার থেকে শোনাগেল আর তিনি আর্তনাদ করে সাহায্য প্রার্থনা করছিলেন।24

এই আলোচনাকে আর একটি হাদীস মাকাতিল ইব্নে আতীয়া ” এর আল ইমামাত ওয়াস সিয়াসাত গ্রন্থ থেকে বর্ণনা করে সমাপ্ত করব ,(এছাড়াও এখন অনেক কিছু আছে যা বলা এখন সম্ভব নয় বলে রয়ে গেল)

তিনি তাঁর পুস্তকে এমনি লিপিবদ্ধ করেছেন:

إنّ أبابكر بعد ما أخذ البيعة لنفسه من الناس بالإرهاب والسيف والقوّه أرسل عمر، وقنفذاً وجماعة إلي دار علي وفاطمة عليهماالسلام وجمع عمر الحطاب علي دار فاطمة وأحرق باب الدار

অর্থাৎ: যখন আবুবকর জনগণকে হুমকি দিয়ে তলোয়ার দিয়ে বলপূর্বক বাইয়াত নিল ; উমর ,কুনফুজ ও একদল লোককে হজরত আলী ও হজরত ফাতিমার গৃহে পাঠাল ,উমর কাঠ একত্র করে ঘরের দ্বারকে আগুন দ্বারা জ্বালিয়ে দিল ।25

এ রেওয়ায়েতের শেষে এমন কিছু কথা এসেছে যা এ কলম লিখতে অক্ষম।

*****

ফল : এতগুলো উজ্জল প্রমাণ ও দলিল তাদেরই গ্রন্থসমূহে বর্ণিত“‘ হওয়ার পরেও বলছে শাহাদাতের কল্পকাহিনী...!

এনসাফ কোথায় ?!

এই সামান্য সনদযুক্ত প্রবন্ধটি যে পড়বে অবশ্যই সে বুঝতে পারবে যে রাসূল (সা.) এর ইন্তেকালের পর তাঁর শত্রুরা কেমন বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল ,শাসন ক্ষমতা ও খেলাফতকে অর্জন করার জন্য কি না করেছে ,সমস্ত স্বাধীন চিন্তাবিদ ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের জন্য চুড়ান্ত যুক্তি-প্রমান পেশ করে দিলাম। কেন না আমি নিজের থেকে কোন কিছু লিখিনি আমি যাকিছু লিখেছি তা তাদের নিকট গ্রহণীয় পুস্তক সমূহ থেকে বর্ণনা ছাড়া অন্য কিছু করিনি।

*****

হে আল্লাহ তুমি তোমার সর্বশেষ খলিফা হজরত ফাতিমার সন্তান ইউসুফকে (ইমাম মাহ্দী (আ.) কে) শীঘ্র আবির্ভূব করুন এবং জগৎ কে অন্যায় থেকে মুক্তি দিন ,আমাদের সকলকে তাঁর প্রকৃত অনুসারীতে পরিণত করুন আমিন -।

____________________

ওয়াস্ সালাম

হাওজা ইমলীয়া ,পবিত্র শিক্ষা নগরী কুম ,

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান

নূরুল ইসলাম একাডেমী কর্তৃক যে সমস্ত পুস্তক প্রকাশ করছে:

1. খিলাফত বনাম ইমামত ,লেখক: গবেষক মরহুম মুহম্মদ নূরুল ইসলাম ইব্নে মুহম্মদ নজিবোল ইসলাম খান (রহ.)

2. চৌদ্দ মাসুম (আলাইহিমুস্সালাম)-এর সংক্ষিপ্ত জীবনী ( হজরত রসূল (স.) হতে হজরত মাহ্দী (আ.) পর্যন্ত ,14 টী পুস্তিকা)

3. ওহি-গৃহে আক্রমণ

4. সফলতার একটাই পথ

5. দোওয়া-এ-তাওয়াস্সুল (সাথে উচ্চারণ ও অনুবাদ)

6. শিয়াদের প্রতি অশোভন অভিযোগ

7. পবিত্র রজব মাস মহান আল্লাহর মাস

8. পবিত্র শাবান মাসের খোৎবার বঙ্গানুবাদ

9. পবিত্র রমজান মাসের ফজিলত ও আমল

10. পবিত্র শাবান মাসের ফজিলত ও আমল

প্রাপ্তিস্থান:

1. মাজমা-এ-যাখায়ের-এ-ইসলামী ,কুম ,ইরান।

2. মাদ্রাসা-এ-ইমাম খোমেনী(রঃ) ,কুম ,ইরান।

3. মাদ্রারাসা-এ-আহলুল বায়েত (আ.) ,হুগলী ইমাম বাড়া ,মাওলানা হাবীবুল্লাহ খান সাহেব ।

4. আল-মাহ্দী আহলুল বায়েত রিসার্চ সেন্টার ,চন্ডীপুর ঢোলাহাট ,দক্ষীণ 24পরগনা ,সেল: 09734 514 103

5. শহীদান-এ-কারবালা গণপাঠাগার ,মাসিয় ,24 পরগনা (উঃ) ,মাওলানা হায়দার আলী সাহেব সেল:09732716046

6. আল-ক্বায়েম ইসলামী রিসার্চ সেন্টার ,কুমারপুর ,পূর্ব মেদিনী পুর ,মাহবুব আলম শাহ ,সেল: 09851473603

7. মাদ্রাসা আলী ইবনে আবী তালিব (আ.) ,মেটিয়াবুরুজ কোলকাতা 700024 ,ফোন নং 2469 7407

8. আলে ইয়াসীন (আ.) গবেষণাগার ,কোয়াবেড়িয়া ,ইদ্রীস আলী খান (এম ,এস ,সি) সেল: 09733860132

9. সাগর ক্লাব ,ইমাম সাদকি(আ.) ইসলামীক রিসার্চ সন্টোর: 9051375515। বারাগোয়াল ,উলুবড়েয়িা : : 8478913437। খাজুট্ট , বাগনান ,হাওড়া : 7584952075।

তথ্যসূত্র:

1 । কাঞ্জুল ঊম্মাল 11: 613/ 32971

2 । নিষ্পাপ ,মাসুম।

3 । ফাতহুল বারি শরহে সহীহ বুখারী- খণ্ড:7 ,পৃ:84 ,বুখারী- খণ্ড: 6 ,পৃ: 491।

4 । সূরা তাওবা- আয়াত 61।

5 । মুসতাদরাক-এ-হাকিম- খণ্ড:3 ,পৃ:154 ,মাজমাউজ জাওয়ায়েদ- খণ্ড:9 ,পৃ:203 ,বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত ও সহীহ বলে গন্য হয়েছে।

6 । মুস্তাদরাক আলাস সাহিহাইন- খণ্ড:3 ,পৃ:154।

7 । সুরা নূর- আয়াত 36।

8 । দূররে মনছুর- খণ্ড:6 ,পৃ:203 ; তাফসিরে সুরা নূর। রুহুল মায়ানী- খণ্ড:18 ,পৃ:174।

8 । দূররে মনছুর- খণ্ড: 6 ,পৃ: 606।

9 । পাঁচ পাঞ্জাতন অর্থাৎ হজরত রাসূল ,আলী ,ফাতিমা ,হাসান ও হোসায়েন (আলাইহিমুস সালাম) এক চাদরের ভিতরে একত্রিত হয়ে ছিলেন তাই আসহাবে কেসা ” বলা হয়।

10 । মুসান্নিফ ,ইবনে আবি শাইবা ,খণ্ড:8 ,পৃ:572 ,কিতাবুল মাগাজী।

11 । আনসাবুল আশরাফ- খণ্ড:1 ,পৃ:586 ,মুদ্রণ: দারে-এ-মায়া ’ রিফ ,কাহেরা।

12 । আল ইমামাতো অল সেয়াসাতো- পৃ:12 মুদ্রণ: মিশর।

13 । আল ইমামাত অয়াস্ সেয়াসাত- পৃ:13।

14 । মু ’ জামুল মাতবুয়াতুল আরাবিয়া- খণ্ড:1 ,পৃ:212।

15 । তারিখে তাবারী- খণ্ড:2 ,পৃ:443 ,মুদ্রণ ,বৈরুত।

16 । আল আক্বদুল ফরিদ- খণ্ড:4 ,পৃ:94 ,মুদ্রণ: মাকতাবাতে হেলাল।

17 । আল আমওয়াল- 4র্থ পাদটীকা ¡ ,মুদ্রণ: আজহারীয়া। আল আমওয়াল - 144 ,বৈরুত। আকদুল ফরিদ- খণ্ড:4 ,পৃ: 93।

18 । মিজানুল এ 'তেদাল - খণ্ড:2 ,পৃ:195।

19 । মো ’ জামুল কবীর তাবরানী - খণ্ড: 1 ,পৃ:62 ,হাদীস নং:34।

20 । আকদুল ফরীদ - খণ্ড:4 ,পৃ:93 ,মুদ্রণ: মাকতাবাতে আল হেলাল।

21 । শরহে নাহজুল বালাগা - খণ্ড:2 ,পৃ:47-48 ,মুদ্রণ:মিশর।

22 । মরুজুয্যাহাব - খণ্ড:2 ,পৃ:301 ,মুদ্রণ: বৈরুত।

23 । মিজানুল এ তেদাল - খণ্ড:3 ,পৃ:459।

24 । আব্দুল ফাত্তাহ আব্দুল মক্বসুদ- আলী ইবনে আবীতালিব - খণ্ড:4 ,পৃ:276-277।

25 । আল ইমামাত অয়াল খেলাফাত - পৃ:160-161 ,লেখক: মক্বাতিল বিন আতীয়া ,মুদ্রণ: বৈরুত ,আল বালাগ ফাউন্ডেশন।