নাহজ আল-বালাঘা

নাহজ আল-বালাঘা0%

নাহজ আল-বালাঘা লেখক:
: জেহাদুল ইসলাম
প্রকাশক: র‌্যামন পাবলিশার্স
বিভাগ: হযরত আলী (আ.)

নাহজ আল-বালাঘা

লেখক: আশ-শরীফ আর-রাজী
: জেহাদুল ইসলাম
প্রকাশক: র‌্যামন পাবলিশার্স
বিভাগ:

ভিজিট: 119884
ডাউনলোড: 7295

নাহজ আল-বালাঘা
বইয়ের বিভাগ অনুসন্ধান
  • শুরু
  • পূর্বের
  • 48 /
  • পরের
  • শেষ
  •  
  • ডাউনলোড HTML
  • ডাউনলোড Word
  • ডাউনলোড PDF
  • ভিজিট: 119884 / ডাউনলোড: 7295
সাইজ সাইজ সাইজ
নাহজ আল-বালাঘা

নাহজ আল-বালাঘা

লেখক:
প্রকাশক: র‌্যামন পাবলিশার্স
বাংলা

রাসূলের (সা.) ‘জ্ঞান নগরীর দ্বার’ আমিরুল মোমেনিন আলী ইবনে আবি তালিব ছিলেন তত্ত্বজ্ঞানী, দার্শনিক, সুলেখক ও বাগ্মী। আলঙ্কারিক শাস্ত্রে তার পান্ডিত্য ও নৈপুন্য অসাধারণ। তিনি নবুওয়াতী জ্ঞান ভান্ডার হতে সরাসরি জ্ঞান আহরণ করেন এবং সাহাবাদের মধ্যে তিনি শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী পন্ডিত ছিলেন। এতে কারো দ্বিমত নেই। আরবী কাব্যে ও সাহিত্যে তার অনন্যসাধারণ অবদান ছিল। খেলাফত পরিচালনা কালে তিনি বিভিন্ন বিষয়ে ভাষণ (খোৎবা) দিয়েছিলেন এবং বিভিন্ন এলাকার প্রশাসকগণকে প্রশাসনিক বিষয়ে উপদেশ ও নির্দেশ দিয়ে পত্র লিখেছিলেন। এমনকি বিভিন্ন সময়ে মানুষের অনেক প্রশ্নের সংক্ষিপ্ত জবাব দিয়েছিলেন। তার এসব বাণী কেউকেউ লিখে রেখেছিল, কেউ কেউ মনে রেখেছিল, আবার কেউ কেউ তাদের লিখিত পুস্তকে উদ্ধৃত করেছিল। মোটকথা তার অমূল্য বাণীসমূহ মানুষের কাছে ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় ছিল।

আশ-শরীফ আর-রাজী আমিরুল মোমেনিন আলী ইবনে আবি তালিবের ভাষণসমূহ (খোৎবা), পত্রাবলী, নির্দেশাবলী ও উক্তিসমূহ সংগ্রহ করে “নাহজ আল-বালঘা” নামক গ্রন্থটি সঙ্কলন করেন।

পত্র - ৩৪

و من كتاب لهعليه‌السلام

إلى مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ لَمّا بَلَغَهُ تَوَجُّدُهُ مِنْ عَزْلِهِ بِالاْ شتَرِ عَنْ مِصَر ثُمَّ تُوُفَّي ألاَشْتَرُ فِي تَوَجُّهِهِ إلى مِصْرَ قَبْلَ وُصُولِهِ إِلَيْها

أَمَّا بَعْدُ، فَقَدْ بَلَغَنِي مَوْجِدَتُكَ مِنْ تَسْرِيحِ الْأَشْتَرِ إِلَى عَمَلِكَ، وَ إِنِّي لَمْ أَفْعَلْ ذَلِكَ اسْتِبْطَأً لَكَ فِي الْجَهْدَ، وَ لاَ ازْدِيَادا لَكَ فِي الْجِدِّ؛ وَ لَوْ نَزَعْتُ مَا تَحْتَ يَدِكَ مِنْ سُلْطَانِكَ، لَوَلَّيْتُكَ مَا هُوَ أَيْسَرُ عَلَيْكَ مَؤوْنَةً وَ أَعْجَبُ إِلَيْكَ وِلاَيَةً. إِنَّ الرَّجُلَ الَّذِي كُنْتُ وَلَّيْتُهُ أَمْرَ مِصْرَ كَانَ رَجُلاً لَنَا نَاصِحاً، وَ عَلَى عَدُوِّنَا شَدِيداً نَاقِماً، فَرَحِمَهُ اللَّهُ! فَلَقَدِ اسْتَكْمَلَ أَيَّامَهُ، وَ لاَقَى حِمَامَهُ، وَ نَحْنُ عَنْهُ رَاضُونَ؛ أَوْلاَهُ اللَّهُ رِضْوَانَهُ وَ ضَاعَفَ الثَّوَابَ لَهُ، فَأَصْحِرْ لِعَدُوِّكَ، وَ امْضِ عَلَى بَصِيرَتِكَ وَ شَمِّرْ لِحَرْبِ مَنْ حَارَبَكَ وَ ادْعُ إِلى سَبِيلِ رَبِّكَ، وَ أَكْثِرِ الاِسْتِعَانَةَ بِاللَّهِ يَكْفِكَ مَا أَهَمَّكَ وَ يُعِنْكَ عَلَى مَا نَزَلَ بِكَ، إِنْ شَأَ اللَّهُ.

মিশরের পথে মালিক আশতারের মৃত্যুর পর মুহাম্মদ ইবনে আবি বকর মিশরের গভর্নরের দায়িত্বভার গ্রহণ করায় তাকে লিখেছিলেন

তোমার স্থলে আশতারকে পদায়ন করায় তোমার রাগের কথা আমি জানতে পেরেছি। তোমার কোন দোষ বা ত্রুটির জন্য অথবা তোমার কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি করার জন্য এমনটি আমি করিনি। কিন্তু আমি তোমার কর্তৃত্বাধীন থেকে যা নিয়েছি তার পরিবর্তে তোমাকে এমন কিছু দিতাম যা তোমার কাছে অনেক বেশি আর্কষণীয় হতো।

যাকে আমি মিশরের গভর্ণর করেছি সে আমার হিতাকাঙ্খী এবং শত্রুর প্রতি খুবই কঠোর ও সমুচিত প্রতিশোধপরায়ণ ছিল। তার প্রতি আল্লাহর দয়া বর্ষিত হোক ,সে তার আয়ু শেষ করে মৃত্যু মুখে পতিত হয়েছে। আমি তার ওপর অত্যন্ত সন্তুষ্ট। আল্লাহও তার ওপর সন্তুষ্ট হোন এবং তার পুরস্কার বর্ধিত করুন। এখন তোমার শত্রুদের বিরুদ্ধে প্রস্তুত হও এবং নিজের বুদ্ধিমত্তা অনুযায়ী কাজ করো। যে তোমার সঙ্গে যুদ্ধ করতে চায় তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত হও এবং তাদেরকে আল্লাহর পথে আহবান করো। অত্যধিক পরিমাণ আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করো। ইনশাল্লাহ ,তিনি তোমার দুশ্চিন্তায় তোমাকে সাহায্য করবেন এবং তোমার ভাগ্যে যা ঘটে তাতে তিনি তোমাকে সাহায্য করবেন।

পত্র - ৩৫

و من كتاب لهعليه‌السلام

إلى عَبُدِ اللَهِ بْنِ ألْعَبَاسِ، بَعْدَ مَقْتَلِ مُحَمَّدِ بنِ أَبِي بَكْرٍ

أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ مِصْرَ قَدِ افْتُتِحَتْ وَ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ - رَحِمَهُ اللَّهُ - قَدِ اسْتُشْهِدَ، فَعِنْدَ اللَّهِ نَحْتَسِبُهُ وَلَدا نَاصِحا وَ عَامِلاً كَادِحاً وَ سَيْفاً قَاطِعاً وَ رُكْناً دَافِعاً. وَ قَدْ كُنْتُ حَثَثْتُ النَّاسَ عَلَى لَحَاقِهِ وَ أَمَرْتُهُمْ بِغِيَاثِهِ قَبْلَ الْوَقْعَةِ وَ دَعَوْتُهُمْ سِرّاً وَ جَهْراً، وَ عَوْداً وَ بَدْءً، فَمِنْهُمُ الْآتِي كَارِهاً، وَ مِنْهُمُ الْمُعْتَلُّ كَاذِبا وَ مِنْهُمُ الْقَاعِدُ خَاذِلاً. أَسْأَلُ اللَّهَتَعَالَى أَنْ يَجْعَلَ لِي مِنْهُمْ فَرَجاً عَاجِلاً؛ فَوَاللَّهِ لَوْ لاَ طَمَعِي عِنْدَ لِقَائِي عَدُوِّي فِي الشَّهَادَةِ، وَ تَوْطِينِي نَفْسِي عَلَى الْمَنِيَّةِ، لَأَحْبَبْتُ اَنْ لا اَبْقى مَعَ هَؤُلاَءِ يَوْماً وَاحِداً، وَ لاَ أَلْتَقِيَ بِهِمْ أَبَداً.

মুহাম্মদ ইবনে আবি বকরের হত্যার পর আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাসের প্রতি

মুহাম্মদ ইবনে আবি বকর শহীদ হয়েছে (তার প্রতি আল্লাহর করুণা বর্ষিত হোক) এবং মিশর পরাজিত হয়ে গেল। আমরা আল্লাহর কাছে মুহাম্মদের পুরস্কার প্রার্থনা করি। সে এমন পুত্র ছিল যে অকৃত্রিম শুভাকাঙ্খী ,কঠোর পরিশ্রমী ,একটা তীক্ষ্ম তরবারি ও একটা রক্ষা - প্রাচীর। আমি জনগণকে বলেছিলাম তার সাথে যোগদান করতে এবং এ দুর্ঘটনার পূর্বেই তার সাহায্যার্থে তার কাছে পৌছার জন্য আদেশ দিয়েছিলাম। আমি পুনঃপুন তাদেরকে প্রকাশ্যে ও গোপনে আহবান করেছিলাম। তাদের কেউ মন - মরা ভাবে এসেছিল ,কেউ কেউ মিথ্যা ওজর দেখিয়েছিল ,আবার কেউ কেউ আমাকে ত্যাগ করে দূরে বসে রয়েছিল। আমি মহিমান্বিত আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলাম যেন খুব তাড়াতাড়ি এদের থেকে মুক্তি পাই। কারণ আল্লাহর কসম ,শাহাদাত বরণ করার জন্য যদি আমি শক্রর মোকাবেলা করতে আকাঙ্খিত না হতাম এবং মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত না থাকতাম। তবে আমি এসব লোকের সঙ্গে থাকতে পারতাম এবং এদের নিয়ে কখনো শক্রর মোকবেলা করতে হতো না ।

পত্র - ৩৬

و من كتاب لهعليه‌السلام

إلى أَخِيهِ عَقِيلِ بْنِ أَبِي طالِبٍ

فَسَرَّحْتُ إِلَيْهِ جَيْشا كَثِيفا مِنَ الْمُسْلِمِينَ، فَلَمَّا بَلَغَهُ ذَلِكَ شَمَّرَ هَارِباً، وَ نَكَصَ نَادِماً، فَلَحِقُوهُ بِبَعْضِ الطَّرِيقِ وَ قَدْ طَفَّلَتِ الشَّمْسُ لِلْإِيَابِ، فَاقْتَتَلُوا شَيْئا كَلاَ وَ لا، فَمَا كَانَ إِلا كَمَوْقِفِ سَاعَةٍ حَتَّى نَجَا جَرِيضاً بَعْدَ مَا أُخِذَ مِنْهُ بِالْمُخَنَّقِ، وَ لَمْ يَبْقَ مِنْهُ غَيْرُ الرَّمَقِ، فَلاَياً بِلاَيٍ مَا نَجَا. فَدَعْ عَنْكَ قُرَيْشاً وَ تَرْكَاضَهُمْ فِي الضَّلاَلِ، وَ تَجْوَالَهُمْ فِي الشِّقَاقِ، وَ جِمَاحَهُمْ فِي التِّيهِ، فَإِنَّهُمْ قَدْ أَجْمَعُوا عَلَى حَرْبِي كَإِجْمَاعِهِمْ عَلَى حَرْبِ رَسُولِ اللَّهِصلى‌الله‌عليه‌وآله‌وسلم قَبْلِي فَجَزَتْ قُرَيْشا عَنِّي الْجَوَازِي! فَقَدْ قَطَعُوا رَحِمِي، وَ سَلَبُونِي سُلْطَانَ ابْنِ أُمِّي.

وَ أَمَّا مَا سَأَلْتَ عَنْهُ مِنْ رَأْيِي فِي الْقِتَالِ، فَإِنَّ رَأْيِي قِتَالُ الْمُحِلِّينَ حَتَّى أَلْقَى اللَّهَ؛ لاَ يَزِيدُنِي كَثْرَةُ النَّاسِ حَوْلِي عِزَّةً، وَ لاَ تَفَرُّقُهُمْ عَنِّي وَحْشَةً، وَ لاَ تَحْسَبَنَّ ابْنَ أَبِيكَ -وَ لَوْ أَسْلَمَهُ النَّاسُ - مُتَضَرِّعاً مُتَخَشِّعاً وَ لاَ مُقِرّاً لِلضَّيْمِ وَاهِناً، وَ لاَ سَلِسَ الزِّمَامِ لِلْقَائِدِ، وَ لاَ وَطِي ءَ الظَّهْرِ لِلرَّاكِبِ الْمُتَقَعِّدِ، وَ لَكِنَّهُ كَمَا قَالَ أَخُو بَنِي سَلِيمٍ:

فَإِنْ تَسْأَلِينِي كَيْفَ أَنْتَ؟ فَإِنَّنِي

صَبُورٌ عَلَى رَيْبِ الزَّمَانِ صَلِيبُ

يَعِزُّ عَلَيَّ أَنْ تُرَى بِي كَآبَةٌ

فَيَشْمَتَ عَادٍ أَوْ يُسَأَ حَبِيبُ

আমিরুল মোমেনিনের ভ্রাতা আকীলের প্রতি

আমি মুসলিমদের একটা বিরাট বাহিনী তার প্রতি প্রেরণ করেছিলাম। যখন সে এটা জানতে পারলো সে অনুতপ্ত হয়ে পিছিয়ে গেল এবং শেষে পালিয়ে গেল। সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পূর্বে তারা পথিমধ্যে তার দেখা পেল । তারা সামান্য কিছুক্ষণ অযথা হাতাহাতি - লড়াই করলো। এক ঘণ্টা ধরে এ লড়াই চলেছিল। তারপর সে নিজকে অর্ধমৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছিল এবং তার শেষ নিশ্বাসটুকু অবশিষ্ট ছিল। এভাবে সে একটা আতঙ্ক থেকে রক্ষা পেল ।

কুরাইশগণ বিপথে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে - তাদের কথা ছেড়ে দাও। তারা অনৈক্যের দিকে ধাবমান এবং ধ্বংস তাদেরকে আঁকড়ে ধরেছে। তারা আমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে যেভাবে তারা আল্লাহর রাসূলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুদ্ধ করেছিল। আমি আশা করি আমার প্রতি যে ব্যবহার করেছে সেজন্য কুরাইশগণ প্রতিদান পাবে। কারণ তারা আমার জ্ঞাতিত্বকে অস্বীকার করেছে এবং আমার মায়ের পুত্রের (অর্থাৎ আল্লাহ রাসূল) কাছ থেকে পাওয়া আমার অধিকার থেকে আমাকে বঞ্চিত করেছে।

মৃত্যু পর্যন্ত আমি যুদ্ধ করে যাব। - আমার এ অভিমত সম্পর্কে তুমি জানতে চেয়েছো। তাই তোমাকে বলছি। যারা যুদ্ধকে জায়েজ মনে করে তাদের সাথে যুদ্ধ করার আমি পক্ষপাতি। আমার চারপাশে জনতার ভিড় আমার শক্তি যোগায় না ,আবার আমার কাছ থেকে তারা সরে পড়লেও আমি একাকীত্ব বোধ করি না। তোমার পিতার পুত্রকে কখনো দুর্বল ও ভীত ভেবো না। এমনকি সকল লোক তাকে পরিত্যাগ করলেও সে অবিচারের কাছে মাথা নত করবে না। অথবা তাকে তার পথ থেকে কেউ টেনে নিয়ে যেতে পারবে না। সে বনি সলিমের লোকটির মতো বলবেঃ

যদি তুমি জিজ্ঞেস কর আমি কেমন ,তাহলে শুন ,আমি ধৈর্যশীল এবং সময়ের পরিবর্তনের বিরুদ্ধে কঠোর। আমি কখনো নিজকে শোকাহত হতে দেই না পাছে শত্রু আনন্দ পায় এবং বন্ধু দুঃখ পায়। ”

___________________

১। সালিশীর পর মুয়াবিয়া হত্যাকাণ্ড শুরু করেছিল। সে চার হাজার সৈন্যের একটি বাহিনী জাহহাক ইবনে কায়েস ফিহরীর নেতৃত্বে আমিরুল মোমেনিনের নগরী আক্রমণ করার জন্য প্রেরণ করেছিল। আমিরুল মোমেনিন এ খবর জানতে পেরে প্রতিরক্ষা রচনার জন্য কুফার লোকদের ডাক দিয়েছিলেন ,কিন্তু তারা নানা প্রকার ওজর দেখাতে লাগলো। অবশেষে হুজর ইবনে আদি আল কিন্দি চার হাজার সৈন্যর একটি বাহিনী নিয়ে মুয়াবিয়ার বাহিনীকে তাড়া করলো এবং তাদমুর নামক স্থানে তাদের ধরে ফেললো। সূর্যাস্তের সময় উভয় দলে সামান্য হাতাহাতি হয়েছিল এবং অন্ধকার নেমে এলে জাহহাক পালিয়ে গেল। এ সময় আকীল ইবনে আবি তালিব উমরাহ করার জন্য মক্কা এসেছিলেন। যখন তিনি জানতে পারলেন হিরা আক্রমণ করেও জাহহাক জীবিত ফিরে গেছে তখন তিনি আবদুর রহমান ইবনে উবায়েদ আজাদীর মাধ্যমে তার সাহায্যের কথা উল্লেখ করে পত্র লিখেছিলেন। প্রত্যুত্তরে আমিরুল মোমেনিন কুফাবাসীদের আচরণ সম্বন্ধে বর্ণনা করে জাহহাকের যুদ্ধের বিষয় লিখে এ পত্র দিয়েছিলেন।