নাহজ আল-বালাঘা

নাহজ আল-বালাঘা0%

নাহজ আল-বালাঘা লেখক:
: জেহাদুল ইসলাম
প্রকাশক: র‌্যামন পাবলিশার্স
বিভাগ: হযরত আলী (আ.)

নাহজ আল-বালাঘা

লেখক: আশ-শরীফ আর-রাজী
: জেহাদুল ইসলাম
প্রকাশক: র‌্যামন পাবলিশার্স
বিভাগ:

ভিজিট: 119900
ডাউনলোড: 7295

নাহজ আল-বালাঘা
বইয়ের বিভাগ অনুসন্ধান
  • শুরু
  • পূর্বের
  • 48 /
  • পরের
  • শেষ
  •  
  • ডাউনলোড HTML
  • ডাউনলোড Word
  • ডাউনলোড PDF
  • ভিজিট: 119900 / ডাউনলোড: 7295
সাইজ সাইজ সাইজ
নাহজ আল-বালাঘা

নাহজ আল-বালাঘা

লেখক:
প্রকাশক: র‌্যামন পাবলিশার্স
বাংলা

রাসূলের (সা.) ‘জ্ঞান নগরীর দ্বার’ আমিরুল মোমেনিন আলী ইবনে আবি তালিব ছিলেন তত্ত্বজ্ঞানী, দার্শনিক, সুলেখক ও বাগ্মী। আলঙ্কারিক শাস্ত্রে তার পান্ডিত্য ও নৈপুন্য অসাধারণ। তিনি নবুওয়াতী জ্ঞান ভান্ডার হতে সরাসরি জ্ঞান আহরণ করেন এবং সাহাবাদের মধ্যে তিনি শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী পন্ডিত ছিলেন। এতে কারো দ্বিমত নেই। আরবী কাব্যে ও সাহিত্যে তার অনন্যসাধারণ অবদান ছিল। খেলাফত পরিচালনা কালে তিনি বিভিন্ন বিষয়ে ভাষণ (খোৎবা) দিয়েছিলেন এবং বিভিন্ন এলাকার প্রশাসকগণকে প্রশাসনিক বিষয়ে উপদেশ ও নির্দেশ দিয়ে পত্র লিখেছিলেন। এমনকি বিভিন্ন সময়ে মানুষের অনেক প্রশ্নের সংক্ষিপ্ত জবাব দিয়েছিলেন। তার এসব বাণী কেউকেউ লিখে রেখেছিল, কেউ কেউ মনে রেখেছিল, আবার কেউ কেউ তাদের লিখিত পুস্তকে উদ্ধৃত করেছিল। মোটকথা তার অমূল্য বাণীসমূহ মানুষের কাছে ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় ছিল।

আশ-শরীফ আর-রাজী আমিরুল মোমেনিন আলী ইবনে আবি তালিবের ভাষণসমূহ (খোৎবা), পত্রাবলী, নির্দেশাবলী ও উক্তিসমূহ সংগ্রহ করে “নাহজ আল-বালঘা” নামক গ্রন্থটি সঙ্কলন করেন।

পত্র - ৪৬

و من کتاب لهعليه‌السلام

إبی بعض عماله

اَمّا بَعْدُ، فَاِنَّكَ مِمَّنْ اَسْتَظْهِرُ بِهِ عَلى اِقامَةِ الدّينِ، وَ اَقْمَعُ بِهِ نَخْوَةَ الاْثيمِ، وَ اَسُدُّ بِهِ لَهاةَ الثَّغْرِ الْمَخُوفِ. فَاسْتَعِنْ بِاللّهِ عَلى ما اَهَمَّكَ، وَ اخْلِطِ الشِّدَّةَ بِضِغْث مِنَ اللّينِ، وَ ارْفُقْ ما كانَ الرِّفْقُ اَرْفَقَ، وَ اعْتَزِمْ بِالشِّدَّةِ حينَ لايُغْنى عَنْكَ اِلاَّ الشِّدَّةُ. وَ اخْفِضْ لِلرَّعِيَّةِ جَناحَكَ، وَابْسُطْ لَهُمْ وَجْهَكَ، وَ اَلِنْ لَهُمْ جانِبَكَ، وَ آسِ بَيْنَهُمْ فِى اللَّحْظَةِ وَ النَّظْرَةِ، وَ الاْشارَةِ وَ التَّحِيَّةِ، حَتّى لايَطْمَعَ الْعُظَماءُ فى حَيْفِكَ، وَ لايَيْاَسَ الضُّعَفاءُ مِنْ عَدْلِكَ، وَالسَّلامُ.

একজন অফিসারের প্রতি

নিশ্চয়ই ,তুমি তাদের মধ্যে একজন যাদের সহায়তায় আমি দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত করতে এবং পাপীদের দম্ভ ভেঙ্গে দিতে ও দ্বীনের সংকটাকীর্ণ সীমানার প্রতিরক্ষা বিধান করতে চাই। যা কিছুই দুশ্চিন্তা ও উদ্বীগ্নতার কারণ হবে সে বিষয়ে তুমি আল্লাহর সাহায্য যাচনা করো। তোমরা কোমলতার সাথে একটু শক্তভাব মিশ্রিত করো এবং যেখানে কোমলতা যথোপযুক্ত বলে বিবেচিত হবে সেখানে কোমল মনোভাব গ্রহণ করো ;কঠোরতা যেখানে প্রযোজ্য হবে সেখানে তা প্রয়োগ করতে হবে। প্রজাদের সামনে তোমার পাখা বঁকা করে দিয়ো (অর্থাৎ বিনম্র ব্যবহার করো) ,সহাস্য মুখে তাদের সাথে দেখা করো এবং তাদের সাথে কোমল ব্যবহার করো। সকলকে সমান চোখে দেখো এবং সকলের প্রতি সমান ব্যবহার করো। এতে বড় লোকেরা তোমার কাছ থেকে কোন অবহেলা পেয়েছে বলে মনে করবে না এবং দুর্বলেরা তোমার ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে মনে করবে না। বিষয়টি এখানে শেষ করছি।

পত্র - ৪৭

و من وصية لهعليه‌السلام

لِلْحَسَنِ وَ الْحُسَيْنِعليهما‌السلام لَمَا ضَرَبَهُ ابْنُ مُلْجَمٍ لَعَنَهُ اللّهُ

أُوصِيكُمَا بِتَقْوَى اللَّهِ، وَ أَلا تَبْغِيَا الدُّنْيَا وَ إِنْ بَغَتْكُمَا، وَ لاَ تَأْسَفَا عَلَى شَيْءٍ مِنْهَا زُوِيَ عَنْكُمَا، وَ قُولاَ بِالْحَقِّ، وَاعْمَلاَ لِلْأَجْرِ، وَ كُونَا لِلظَّالِمِ خَصْماً، وَ لِلْمَظْلُومِ عَوْناً.

أُوصِيكُمَا، وَ جَمِيعَ وَلَدِي وَ أَهْلِي وَ مَنْ بَلَغَهُ كِتَابِيف بِتَقْوَى اللَّهِ، وَ نَظْمِ أَمْرِكُمْ، وَ صَلاَحِ ذَاتِ بَيْنِكُمْ، فَإِنِّي سَمِعْتُ جَدَّكُمَاصلى‌الله‌عليه‌وآله‌وسلم يَقُولُ: «صَلاَحُ ذَاتِ الْبَيْنِ أَفْضَلُ مِنْ عَامَّةِ الصَّلاَةِ وَالصِّيَامِ.»

اللَّهَ اللَّهَ فِي الْأَيْتَامِ، فَلاَ تُغِبُّوا أَفْوَاهَهُمْ، وَ لاَ يَضِيعُوا بِحَضْرَتِكُمْ. وَاللَّهَ اللَّهَ فِي جِيرَانِكُمْ، فَإِنَّهُمْ وَصِيَّةُ نَبِيِّكُمْ. مَا زَالَ يُوصِي بِهِمْ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُوَرِّثُهُمْ. وَاللَّهَ اللَّهَ فِي الْقُرْآنِ، لاَ يَسْبِقُكُمْ بِالْعَمَلِ بِهِ غَيْرُكُمْ. وَاللَّهَ اللَّهَ فِي الصَّلاَةِ، فَإِنَّهَا عَمُودُ دِينِكُمْ. وَاللَّهَ اللَّهَ فِي بَيْتِ رَبِّكُمْ، لاَ تُخَلُّوهُ مَا بَقِيتُمْ، فَإِنَّهُ إِنْ تُرِكَ لَمْ تُنَاظَرُوا. وَاللَّهَ اللَّهَ فِي الْجِهَادِ بِأَمْوَالِكُمْ وَ أَنْفُسِكُمْ وَ أَلْسِنَتِكُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ. وَ عَلَيْكُمْ بِالتَّوَاصُلِ وَالتَّبَاذُلِ، وَ إِيَّاكُمْ وَالتَّدَابُرَ وَالتَّقَاطُعَ. لاَ تَتْرُكُوا الْأَمْرَ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيَ عَنِ الْمُنْكَرِ فَيُوَلَّى عَلَيْكُمْ شِرَارُكُمْ، ثُمَّ تَدْعُونَ فَلاَ يُسْتَجَابُ لَكُمْ. ثُمَّ قَالَ:

يَا بَنِي عَبْدِالْمُطَّلِبِ لاَ أُلْفِيَنَّكُمْ تَخُوضُونَ دِمَأَ الْمُسْلِمِينَ خَوْضاً، تَقُولُونَ: «قُتِلَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ». أَلاَ لاَ يَقْتُلُنَّ بِي إِلا قَاتِلِي. انْظُرُوا إِذَا أَنَا مُتُّ مِنْ ضَرْبَتِهِ هَذِهِ، فَاضْرِبُوهُ ضَرْبَةً بِضَرْبَةٍ، وَ لاَ يُمَثَّلُ بِالرَّجُلِ، فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِصلى‌الله‌عليه‌وآله‌وسلم يَقُولُ: «إِيَّاكُمْ وَالْمُثْلَةَ وَ لَوْ بِالْكَلْبِ الْعَقُورِ».

ইমাম হাসান ও হুসাইনের প্রতি

[যখন আবদুর রহমান ইবনে মুলজাম (তার ওপর আল্লাহর লানত) তাঁকে মারণাঘাত করেছিল তখন এ অছিয়ত করেছিলেন]

আল্লাহকে ভয় করার জন্য এবং দুনিয়ার প্রতি কোন লোভ না করার জন্য আমি তোমাদের উপদেশ দিচ্ছি। দুনিয়া যদি তোমাদের পিছনে দৌড়েও বেড়ায় তবু তা এড়িয়ে যেয়ো। এ দুনিয়ার কোন কিছুর জন্য কখনো দুঃখ করো না। সত্য কথা বলো এবং আল্লাহর পুরস্কারের আশায় কাজ করো। অত্যাচারীর শত্রু হয়ো এবং অত্যাচারিতের সাহায্যকারী হয়ো ।

আমি তোমাদের দুজনকে ,আমার সকল সন্তানকে ,আমার পরিবারের সকল সদস্যকে এবং যাদের কাছে আমার এ লেখা পৌছবে তাদের সকলকে উপদেশ দিচ্ছি আল্লাহকে ভয় করতে ,তোমাদের কর্মকাণ্ড সুশৃঙ্খলভাবে করতে এবং তোমাদের নিজেদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে। কারণ আমি তোমাদের নানাজানকে (রাসুলাল্লাহ) বলতে শুনেছি , নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক মতানৈক্য দূর করা নফল ইবাদত ও সিয়াম অপেক্ষা উত্তম । ”

আল্লাহকে ভয় করো এবং এতিমদের ব্যাপারে আল্লাহকে স্মরণ করো এবং তাদের বিষয়ে আল্লাহর আদেশ পালনে তৎপর থেকো। সুতরাং তারা যেন উপোস না থাকে এবং তোমাদের সম্মুখে ধ্বংস হয়ে না যায় ।

আল্লাহকে ভয় করো এবং প্রতিবেশীদের বিষয়ে আল্লাহর আদেশ মেনে চলো। কারণ তারা রাসূলের (সা.) উপদেশের বিষয়বস্তু ছিল। তিনি তাদের অনুকূলে এভাবে উপদেশ দিতেন কখনো কখনো আমরা মনে করতাম তিনি বুঝি তাদেরকে আমাদের উত্তরাধিকারী করে দিচ্ছেন।

আল্লাহকে ভয় করো এবং কুরআনের ব্যাপারে আল্লাহকে স্মরণ রেখো। কুরআনের আদেশ নিষেধ পালনে কেউ যেন তোমাদের অতিক্রম করে যেতে না পারে।

আল্লাহকে ভয় করো এবং সালাতের বিষয়ে আল্লাহকে স্মরণ রেখো। কারণ এটা দ্বীনের স্তম্ভ । আল্লাহকে ভয় করো এবং কাবার বিষয়ে তাকে স্মরণ করো এবং যতদিন বেঁচে থাক কাবাকে ভুলে যেয়ো না। কারণ কাবা পরিত্যক্ত হলে তোমরা রেহাই পাবে না।

আল্লাহকে ভয় করো এবং জিহাদের বিষয়ে আল্লাহকে স্মরণ করো। তোমাদের জান ,মাল ও জিহবা দ্বারা আল্লাহর পথে জিহাদ করো।

জ্ঞাতিত্বের প্রতি তোমরা সম্মান দেখিয়ে চলো এবং তাদের জন্য ব্যয় করতে কুষ্ঠাবোধ করো না। পারস্পরিক সম্পর্ক ছিন্ন করে একজন আরেক জন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ো না। কল্যাণের পথে আহবান করা কখনো ত্যাগ করো না এবং পাপের জন্য কাউকে ক্ষমা করো না । তা করলে ফোতনা - ফ্যাসাদকারীরা সুদৃঢ় অবস্থান পেয়ে যাবে। এমন করলে তোমাদের সালাত কবুল হবে না।

হে আবদুল মুত্তালিবের বংশধরগণ ,নিশ্চয়ই ,আমি আশা করি না যে আমিরুল মোমেনিন নিহত হয়েছে ” বলে তোমরা মুসলিমদের রক্তপাত করবে। সাবধান ,আমার হত্যাকারী ছাড়া আর কাউকে তোমরা হত্যা করো না। ইবনে মুলজামের এ আঘাতে আমার মৃত্যু হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করো। তারপর এ আঘাতের বদলা হিসাবে একটা আঘাত করো এবং তার অঙ্গ - প্রত্যঙ্গ কেটে আলাদা করো না। কারণ আমি আল্লাহর রাসূলকে বলতে শুনেছি , কখনো অঙ্গ - প্রত্যঙ্গ কেটো না ,যদি সেটা একটা ক্ষিপ্ত কুকুরও হয়। ”

পত্র - ৪৮

و من كتاب لهعليه‌السلام

إلى مُعاوِيَةَ

وَ إِنَّ الْبَغْيَ وَالزُّورَ يُوتِغَانِ (یذیعان) الْمَرْءَ فِي دِينِهِ وَ دُنْيَاهُ، وَ يُبْدِيَانِ خَلَلَهُ عِنْدَ مَنْ يَعِيبُهُ، وَ قَدْ عَلِمْتُ أَنَّكَ غَيْرُ مُدْرِكٍ مَا قُضِيَ فَوَاتُهُ، وَ قَدْ رَامَ أَقْوَامٌ أَمْراً بِغَيْرِ الْحَقِّ فَتَأَلَّوْا عَلَى اللَّهِ فَأَكْذَبَهُمْ، فَاحْذَرْ يَوْماً يَغْتَبِطُ فِيهِ مَنْ أَحْمَدَ عَاقِبَةَ عَمَلِهِ، وَ يَنْدَمُ مَنْ أَمْكَنَ الشَّيْطَانَ مِنْ قِيَادِهِ فَلَمْ يُجَاذِبْهُ. وَ قَدْ دَعَوْتَنَا إِلَى حُكْمِ الْقُرْآنِ وَ لَسْتَ مِنْ أَهْلِهِ، وَ لَسْنَا إِيَّاكَ أَجَبْنَا، وَلِكَنَّا أَجَبْنَا الْقُرْآنَ فِي حُكْمِهِ، وَالسَّلاَمُ.

মুয়াবিয়ার প্রতি

নিশ্চয়ই ,বিদ্রোহ ও মিথ্যাচার মানুষকে দ্বীন ও দুনিয়ার ব্যাপারে হৃতমান করে দেয় এবং তার সমালোচকদের কাছে তার ক্রটি বিচূতি প্রকাশ করে দেয়। তুমি জেনে রাখো ,যা তোমার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখা নির্ধারিত হয়ে আছে তা তুমি ধরতে পারবে না। ন্যায় ছাড়া অন্য কিছুতেও মানুষের লক্ষ্য থাকে এবং সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আল্লাহর নামে শপথ করে ,কিন্তু আল্লাহ তাদেরকে মিথ্যায় পরিণত করেন। সুতরাং সেদিনকে ভয় কর যেদিন ওই ব্যক্তি সুখী হবে যে সৎ আমল করে এবং ওই ব্যক্তি অনুতাপানলে পুড়বে যে শয়তান দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। তুমি আমাদেরকে আহবান করেছ কুরআনের মাধ্যমে একটা সমঝোতা করতে অথচ তুমি কুরআন মান্যকারী লোক নও। আমরা কুরআনের রায়ের প্রতি সাড়া দিয়েছি। আমাদের সে সাড়া কোন অর্থেই তোমার প্রতি নয়। বিষয়টি এখানেই শেষ করছি।

পত্র - ৪৯

و من كتاب لهعليه‌السلام

إلی معاویة أیضاً

أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ الدُّنْيَا مَشْغَلَةٌ عَنْ غَيْرِهَا، وَ لَمْ يُصِبْ صَاحِبُهَا مِنْهَا شَيْئاً إِلا فَتَحَتْ لَهُ حِرْصاً عَلَيْهَا، وَ لَهَجاً بِهَا، وَ لَنْ يَسْتَغْنِيَ صَاحِبُهَا بِمَا نَالَ فِيهَا عَمَّا لَمْ يَبْلُغْهُ مِنْهَا، وَ مِنْ وَرَأِ ذَلِكَ فِرَاقُ مَا جَمَعَ، وَ نَقْضُ مَا أَبْرَمَ! وَ لَوِ اعْتَبَرْتَ بِمَا مَضَى حَفِظْتَ مَا بَقِيَ، وَالسَّلاَمُ.

মুয়াবিয়ার প্রতি

এ দুনিয়াবাসীগণ পরকাল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। যে এ দুনিয়ার প্রতি আসক্ত সে দুনিয়া থেকে কোন কিছুই অর্জন করতে পারে না। দুনিয়ার আসক্তি শুধু তার লোভ ও লালসা বৃদ্ধি করে। দুনিয়ার প্রতি আসক্ত ব্যক্তি যা পায় তাতে সন্তুষ্ট হয় না ,কারণ যা পায় না তার জন্য সে উদগ্রীব হয়ে থাকে। মানুষ যে সম্পদ পুঞ্জীভূত করে তার সাথে বিচ্ছেদ অবধারিত এবং যে শক্তি সঞ্চার করে তার পতন সুনিশ্চিত। যদি অতীত থেকে শিক্ষা গ্রহণ কর তবে ভবিষ্যতে নিরাপদ হতে পারবে। বিষয়টা এখানেই শেষ করছি।

পত্র - ৫০

و من كتاب لهعليه‌السلام

إلى أُمَرائه عَلَى الْجُيُوشِ

مِنْ عَبْدِ اللَّهِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ إِلَى أَصْحَابِ الْمَسَالِحِ: أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ حَقّا عَلَى الْوَالِي أَلا يُغَيِّرَهُ عَلَى رَعِيَّتِهِ فَضْلٌ نَالَهُ، وَ لاَ طَوْلٌ خُصَّ بِهِ، وَ أَنْ يَزِيدَهُ مَا قَسَمَ اللَّهُ لَهُ مِنْ نِعَمِهِ دُنُوّا مِنْ عِبَادِهِ، وَ عَطْفا عَلَى إِخْوَانِهِ.

أَلاَ وَ إِنَّ لَكُمْ عِنْدِي أَلا أَحْتَجِزَ (احتجن) دُونَكُمْ سِرّا إِلا فِي حَرْبٍ، وَ لاَ أَطْوِيَ دُونَكُمْ أَمْرا إِلا فِي حُكْمٍ، وَ لاَ أُؤَخِّرَ لَكُمْ حَقّا عَنْ مَحَلِّهِ، وَ لاَ أَقِفَ بِهِ دُونَ مَقْطَعِهِ، وَ أَنْ تَكُونُوا عِنْدِي فِي الْحَقِّ سَوَاءً. فَإِذَا فَعَلْتُ ذَلِكَ وَجَبَتْ لِلَّهِ عَلَيْكُمُ النِّعْمَةُ، وَلِي عَلَيْكُمُ الطَّاعَةُ؛ وَ أَنْ لا تَنْكُصُوا عَنْ دَعْوَةٍ، وَ لاَ تُفَرِّطُوا فِي صَلاَحٍ، وَ أَنْ تَخُوضُوا الْغَمَرَاتِ إِلَى الْحَقِّ، فَإِنْ أَنْتُمْ لَمْ تَسْتَقِيمُوا لِي عَلَى ذَلِكَ لَمْ يَكُنْ أَحَدٌ أَهْوَنَ عَلَيَّ مِمَّنِ اعْوَجَّ مِنْكُمْ، ثُمَّ أُعْظِمُ لَهُ الْعُقُوبَةَ، وَ لاَ يَجِدُ عِنْدِي فِيهَا رُخْصَةً. فَخُذُوا هَذَا مِنْ أُمَرَائِكُمْ، وَ أَعْطُوهُمْ مِنْ أَنْفُسِكُمْ مَا يُصْلِحُ اللَّهُ بِهِ أَمْرَكُمْ، وَالسَّلاَمُ.

তার সেনাবাহিনীর অফিসারের প্রতি

আল্লাহর বান্দা ও আমিরুল মোমেনিন আলীর কাছ থেকে সেনাবাহিনীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার প্রতিঃ

এটা একজন কর্মকর্তার জন্য অত্যাবশ্যক যে ,তার বিশেষ পদমর্যাদা ও যে সম্পদ সে অর্জন করেছে। তার জন্য তার অধীনস্থদের প্রতি আচরণে কোন পরিবর্তন ঘটবে এবং মনে রাখতে হবে যে ,আল্লাহ যে সম্পদ তাকে দান করেছেন। সেজন্য নিজের লোকদের নৈকট্য বৃদ্ধি করতে হবে এবং সমাজের সকলের প্রতি দয়াদ্র আচরণ বৃদ্ধি করতে হবে।

সাবধান ,তোমার প্রতি আমার দায়িত্ব হলো - যুদ্ধ - বিষয় ছাড়া অন্য কিছু তোমার কাছে গোপন রাখা আমার উচিৎ হবেনা এবং দ্বীনের আদেশ ছাড়া অন্য সব কিছু তোমার সাথে পরামর্শ করতে হবে। অথবা আমি তোমার কোন অধিকারকে অবহেলা করতে পারি না এবং আমার কাছে অধিকারের দিক থেকে তোমরা সকলেই সমান। যখন আমি এত সব করেছি তখন তোমাদের সকলের উচিত আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা এবং আমাকে মান্য করে চলা এবং তোমাদের উচিত আমার আহবানে পিছু টান না দেয়া বা সৎ আমলে কার্পণ্য না করা এবং ন্যায় সমুন্নত করার জন্য তোমাদের কষ্ট করতে হবে। আমার এ আদেশের প্রতি যদি তোমরা দৃঢ়চিত্ত না হও তবে তোমাদের চেয়ে অবনমিত আর কেউ থাকবে না এবং তোমাদের প্রতি আমার শাস্তি বৃদ্ধি করবো। মনে রেখো ,শাস্তি প্রদানে আমি কখনো পক্ষপাতিত্ব করিনা। তোমার অধীনস্থ কর্মকর্তাদের থেকে এ প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করো এবং তাদের প্রতি তোমার দিক থেকে এমন আচরণ করো যাতে আল্লাহ তোমার বিষয়াদিতে অবস্থার উন্নতি করেন। এখানেই বিষয়টা শেষ করছি।