নাহজ আল-বালাঘা

নাহজ আল-বালাঘা0%

নাহজ আল-বালাঘা লেখক:
: জেহাদুল ইসলাম
প্রকাশক: র‌্যামন পাবলিশার্স
বিভাগ: হযরত আলী (আ.)

নাহজ আল-বালাঘা

লেখক: আশ-শরীফ আর-রাজী
: জেহাদুল ইসলাম
প্রকাশক: র‌্যামন পাবলিশার্স
বিভাগ:

ভিজিট: 119889
ডাউনলোড: 7295

নাহজ আল-বালাঘা
বইয়ের বিভাগ অনুসন্ধান
  • শুরু
  • পূর্বের
  • 48 /
  • পরের
  • শেষ
  •  
  • ডাউনলোড HTML
  • ডাউনলোড Word
  • ডাউনলোড PDF
  • ভিজিট: 119889 / ডাউনলোড: 7295
সাইজ সাইজ সাইজ
নাহজ আল-বালাঘা

নাহজ আল-বালাঘা

লেখক:
প্রকাশক: র‌্যামন পাবলিশার্স
বাংলা

রাসূলের (সা.) ‘জ্ঞান নগরীর দ্বার’ আমিরুল মোমেনিন আলী ইবনে আবি তালিব ছিলেন তত্ত্বজ্ঞানী, দার্শনিক, সুলেখক ও বাগ্মী। আলঙ্কারিক শাস্ত্রে তার পান্ডিত্য ও নৈপুন্য অসাধারণ। তিনি নবুওয়াতী জ্ঞান ভান্ডার হতে সরাসরি জ্ঞান আহরণ করেন এবং সাহাবাদের মধ্যে তিনি শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী পন্ডিত ছিলেন। এতে কারো দ্বিমত নেই। আরবী কাব্যে ও সাহিত্যে তার অনন্যসাধারণ অবদান ছিল। খেলাফত পরিচালনা কালে তিনি বিভিন্ন বিষয়ে ভাষণ (খোৎবা) দিয়েছিলেন এবং বিভিন্ন এলাকার প্রশাসকগণকে প্রশাসনিক বিষয়ে উপদেশ ও নির্দেশ দিয়ে পত্র লিখেছিলেন। এমনকি বিভিন্ন সময়ে মানুষের অনেক প্রশ্নের সংক্ষিপ্ত জবাব দিয়েছিলেন। তার এসব বাণী কেউকেউ লিখে রেখেছিল, কেউ কেউ মনে রেখেছিল, আবার কেউ কেউ তাদের লিখিত পুস্তকে উদ্ধৃত করেছিল। মোটকথা তার অমূল্য বাণীসমূহ মানুষের কাছে ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় ছিল।

আশ-শরীফ আর-রাজী আমিরুল মোমেনিন আলী ইবনে আবি তালিবের ভাষণসমূহ (খোৎবা), পত্রাবলী, নির্দেশাবলী ও উক্তিসমূহ সংগ্রহ করে “নাহজ আল-বালঘা” নামক গ্রন্থটি সঙ্কলন করেন।

পত্র - ৬৫

و من كتاب لهعليه‌السلام

إلَيهِ أيْضاً

أَمَّا بَعْدُ، فَقَدْ آنَ لَكَ أَنْ تَنْتَفِعَ بِاللَّمْحِ الْبَاصِرِ مِنْ عِيَانِ الْأُمُورِ، فَلَقَدْ سَلَكْتَ مَدَارِجَ أَسْلاَفِكَ بِادِّعَائِكَ الْأَبَاطِيلَ، وَاقْتِحَامِكَ غُرُورَ الْمَيْنِ وَالْأَكَاذِيبِ، وَ بِانْتِحَالِكَ مَا قَدْ عَلاَ عَنْكَ، وَابْتِزَازِكَ لِمَا قَدِ اخْتُزِنَ دُونَكَ، فِرَاراً مِنَ الْحَقِّ، وَ جُحُوداً لِمَا هُوَ أَلْزَمُ لَكَ مِنْ لَحْمِكَ وَ دَمِكَ؛ مِمَّا قَدْ وَعَاهُ سَمْعُكَ، وَ مُلِئَ بِهِ صَدْرُكَ. فَمَا ذَا بَعْدَ الْحَقِّ إِلا الضَّلاَلُ المُبِینُ، وَ بَعْدَ الْبَيَانِ إِلا اللَّبْسُ؟ فَاحْذَرِ الشُّبْهَةَ وَاشْتِمَالَهَا عَلَى لُبْسَتِهَا، فَإِنَّ الْفِتْنَةَ طَالَمَا أَغْدَفَتْ جَلاَبِيبَهَا، وَ أَغْشَتِ الْأَبْصَارَ ظُلْمَتُهَا.

وَ قَدْ أَتَانِي كِتَابٌ مِنْكَ ذُو أَفَانِينَ مِنَ الْقَوْلِ ضَعُفَتْ قُوَاهَا عَنِ السِّلْمِ، وَ أَسَاطِيرَ لَمْ يَحُكْهَا مِنْكَ عِلْمٌ وَ لاَ حِلْمٌ؛ أَصْبَحْتَ مِنْهَا كَالْخَائِضِ فِي الدَّهَاسِ، وَالْخَابِطِ فِي الدِّيمَاسِ، وَ تَرَقَّيْتَ إِلَى مَرْقَبَةٍ بَعِيدَةِ الْمَرَامِ، نَازِحَةِ الْأَعْلاَمِ، تَقْصُرُ دُونَهَا الْأَنُوقُ، وَ يُحَاذَى بِهَا الْعَيُّوقُ.

وَ حَاشَ لِلَّهِ أَنْ تَلِيَ لِلْمُسْلِمِينَ بَعْدِي صَدْرا أَوْ وِرْداً، أَوْ أُجْرِيَ لَكَ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ عَقْدا أَوْ عَهْداً!! فَمِنَ الْآنَ فَتَدَارَكْ نَفْسَكَ، وَانْظُرْ لَهَا، فَإِنَّكَ إِنْ فَرَّطْتَ حَتَّى يَنْهَدَ إِلَيْكَ عِبَادُ اللَّهِ أُرْتِجَتْ عَلَيْكَ الْأُمُورُ، وَ مُنِعْتَ أَمْراً هُوَ مِنْكَ الْيَوْمَ مَقْبُولٌ، وَالسَّلاَمُ.

মুয়াবিয়ার প্রতি

এ সময় মূল বিষয়ে সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি সঠিক রেখে তুমি সুবিধা অর্জন করতে পারতে। কারণ তোমার পূর্বপুরুষদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তুমিও মিথ্যা দাবী করছো এবং মিথ্যা ও অসত্য ছড়াচ্ছ। তুমি এমন কিছু দাবী করছ যা তোমার চেয়ে অনেক উর্দ্ধে এবং যা তোমার জন্য নয়। কারণ তুমি ন্যায় থেকে পালিয়ে যেতে চাও। তুমি এমন কিছুর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করছ যা তোমার কর্ণকুহরে। ভালোভাবে প্রবেশ করেছে এবং তোমার বক্ষ পূর্ণ করেছে। ন্যায় ও সত্য বিস্মৃত হবার পর বিপথগামিতা ছাড়া আর কিছুই থাকে না এবং সুস্পষ্ট ঘোষণার প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করলে বিভ্রান্তি ছাড়া আর কিছু থাকে না। সংশয় ও বিভ্রান্তির কুফল থেকে তোমার নিজকে রক্ষা করা উচিত ,কারণ দীর্ঘদিন থেকে ফেতনা - ফ্যাসাদ তোমার চোখকে অন্ধ করে রেখেছে।

আমি তোমার পত্র পেয়েছি। তোমার পত্র অমার্জিত ভাষায় পরিপূর্ণ যা শান্তির পথকে দুর্বল করে দেয় এবং তোমার নির্বুদ্ধিতাপূর্ণ উক্তি ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে দেয়। এসব কারণে মনে হয় যেন তুমি পচা ডোবায় ডুব দিচ্ছ। আর অন্ধের মতো হাতড়ে বেড়াচ্ছ। তুমি নিজেকে এত উচুতে তুলে ধরেছ মনে হয় যেন তোমার কাছে পৌছা দুঃসাধ্য এবং তুমি তুলনাহীন। রাজকীয় ঘুড়িও এত উচুতে উড়তে পারে না ;এটা যেন উচ্চতায় আয়ুক ' (তারকার নাম) - এর সমান।

আল্লাহ মাফ করেছেন যে ,আমি খলিফা হবার পর তোমাকে মানুষের ওপর কোন কর্তৃত্ব অর্পণ করিনি বা এমন কোন নির্দেশ জারি করিনি। সুতরাং এখন থেকে নিজের প্রতি সতর্ক হও এবং নিজকে ঠিক কর। কারণ যদি তুমি অবাধ্য হও তবে আল্লাহর প্রিয় বান্দাগণ তোমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লে তওবা করার সুযোগ পাবে না। যা আজ গ্রহণ করা হবে তখন তা করা হবে না। এখানেই শেষ করছি।

____________________

১। খারিজিদের সাথে যুদ্ধের শেষ দিকে মুয়াবিয়া আমিরুল মোমেনিনকে একখানা পত্র লিখেছিল যাতে সে তার চিরাচরিত স্বভাব অনুযায়ী কাদা ছোড়াছুড়ি করেছে। প্রত্যুত্তরে আমিরুল মোমেনিন এ পত্র লিখেছিলেন যাতে তিনি খারিজীদের সাথে যুদ্ধের স্পষ্ট ঘটনার প্রতি মুয়াবিয়ার দৃষ্টি আর্কষণ করেছেন। কারণ এ যুদ্ধ রাসূলের (সা.) ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী সংঘটিত হয়েছে। এমন কি আমিরুল মোমেনিনও এ যুদ্ধের অনেক আগেই বলেছেন যে ,জামাল ও সিফফিন ব্যতীত আরো একটা ধর্মত্যাগী দলের সঙ্গে তার যুদ্ধ করতে হবে। এ যুদ্ধে জুছছুদাইয়ার হত্যার মাধ্যমে প্রমাণিত হলো যে ,আমিরুল মোমেনিন সঠিক পথে ছিলেন। মুয়াবিয়া যদি তার পূর্বপুরুষদের মতো ন্যায় ও পূণ্যের প্রতি চোখ বন্ধ করে না রাখতো এবং আত্মপ্রশংসা ও ক্ষমতার লোভে বিভোর না হতো তাহলে সে ন্যায়ের পথে চলতে পারতো। কিন্তু বংশগত স্বভাবের প্রভাবে সে নিজে শোনা সত্ত্বেও রাসূলের (সা.) এ সব বাণীর প্রতি কোন মর্যাদা প্রদান করেনি ,যেমন - আমি যার মাওলা ,আলী তার মাওলা ” এবং হে আলী ,মুসার কাছে হারুন যেমন আমার কাছে তুমি তেমন। ”

পত্র - ৬৬

و من كتاب لهعليه‌السلام

إلی عبدالله بن العباس،

أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ الْعَبْدَ لَيَفْرَحُ بِالشَّيْءِ الَّذِي لَمْ يَكُنْ لِيَفُوتَهُ، وَ يَحْزَنُ عَلَى الشَّيْءِ الَّذِي لَمْ يَكُنْ لِيُصِيبَهُ، فَلاَ يَكُنْ أَفْضَلَ مَا نِلْتَ فِي نَفْسِكَ مِنْ دُنْيَاكَ بُلُوغُ لَذَّةٍ أَوْ شِفَأُ غَيْظٍ، وَ لَكِنْ إِطْفَأُ بَاطِلٍ وَ إِحْيَأُ حَقِّ. وَ لْيَكُنْ سُرُورُكَ بِمَا قَدَّمْتَ، وَ أَسَفُكَ عَلَى مَا خَلَّفْتَ، وَ هَمُّكَ فِيمَا بَعْدَ الْمَوْتِ.

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাসের প্রতি

মানুষ কখনো কখনো এমন কিছু নিয়ে আনন্দ অনুভব করে যা সে কোনক্রমেই হারাবে না। আবার এমন কিছু নিয়ে শোকাহত হয় যা কখনো পাবার সম্ভাবনা থাকে না। সুতরাং প্রতিশোধ নেয়ার আশঙ্কা যেন তোমাকে আশা - নিরাশা আর আনন্দ - বেদনায় দোলা না দেয়। বরং অন্যায়কে প্রতিহত করে ন্যায়কে পুনরুজ্জীবিত করার মাঝে যেন তোমার আনন্দ - নিরানন্দ প্রতিফলিত হয়। যে সব সৎ আমল তুমি অগ্রে প্রেরণ করতে পেরেছ। সে জন্য তুমি আনন্দিত হতে পার ;যা তুমি প্রেরণ করতে পার নি সে জন্য শোকাভিভূত হতে হবে এবং মৃত্যুর পর তোমার ওপর যা আপতিত হবে সে বিষয়ে উদ্বীগ্ন থাকা উচিত।

পত্র - ৬৭

و من كتاب لهعليه‌السلام

إلى قُثَم بْنِ الْعَبَاسِ، وَ هُوَ عامِلُهُ عَلَى مَكَّةَ

أَمَّا بَعْدُ، فَأَقِمْ لِلنَّاسِ الْحَجَّ، وَ ذَكِّرْهُمْ بِأَيّامِ اللّهِ، وَاجْلِسْ لَهُمُ الْعَصْرَيْنِ، فَأَفْتِ الْمُسْتَفْتِيَ، وَ عَلِّمِ الْجَاهِلَ، وَ ذَاكِرِ الْعَالِمَ، وَ لاَ يَكُنْ لَكَ إِلَى النَّاسِ سَفِيرٌ إِلا لِسَانُكَ، وَ لاَ حَاجِبٌ إِلا وَجْهُكَ. وَ لاَ تَحْجُبَنَّ ذَا حَاجَةٍ عَنْ لِقَائِكَ بِهَا، فَإِنَّهَا إِنْ ذِيدَتْ عَنْ أَبْوَابِكَ فِي أَوَّلِ وِرْدِهَا لَمْ تُحْمَدْ فِيمَا بَعْدُ عَلَى قَضَائِهَا.

وَانْظُرْ إِلَى مَا اجْتَمَعَ عِنْدَكَ مِنْ مَالِ اللَّهِ فَاصْرِفْهُ إِلَى مَنْ قِبَلَكَ مِنْ ذَوِي الْعِيَالِ وَالْمَجَاعَةِ، مُصِيباً بِهِ مَوَاضِعَ الْمَفاقِرِ وَالْخَلَّاتِ، وَ مَا فَضَلَ عَنْ ذَلِكَ فَاحْمِلْهُ إِلَيْنَا لِنَقْسِمَهُ فِيمَنْ قِبَلَنَا. وَ مُرْ أَهْلَ مَكَّةَ أَنْ لا يَأْخُذُوا مِنْ سَاكِنٍ أَجْراً، فَإِنَّ اللَّهَ سُبْحَانَهُ يَقُولُ:( سَوأً الْعاكِفُ فِيهِ وَالْبادِ ) فَالْعَاكِفُ: الْمُقِيمُ بِهِ، وَالْبَادِي: الَّذِي يَحُجُّ إِلَيْهِ مِنْ غَيْرِ أَهْلِهِ. وَفَّقَنَا اللَّهُ وَ إِيَّاكُمْ لِمَحَائِّهِ، وَالسَّلاَمُ.

মক্কার গভর্ণর কুছাম ইবনে আব্বাসের প্রতি

মানুষের হজ্জ সম্পাদনের ব্যবস্থা সম্পন্ন কর এবং তাদেরকে এ দিনে আল্লাহর প্রতি ধ্যানমগ্নতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ো। প্রতি সকাল ও সন্ধ্যায় তাদের কাছে বসে বক্তব্য রেখো এবং তাদেরকে বুঝিয়ে দিয়ে। যারা আইন জানতে চায় তাদেরকে আইন বুঝিয়ে দিয়ো ,অজ্ঞদের শিক্ষা দিয়ো এবং শিক্ষিতদের সাথে আলোচনা করো। তোমার ও জনগণের মধ্যে তোমার জিহবা ছাড়া যেন অন্য কোন মধ্যস্থতাকারী না থাকে এবং নিজের মুখমণ্ডল ছাড়া যেন আর কোন প্রহরী না থাকে। তোমার কাছে যার প্রয়োজন আছে সে যেন তোমার কাছে আসতে বাধা প্রাপ্ত না হয়। কারণ প্রথমেই সে ফিরে গেলে পরে যদি তুমি তার প্রয়োজন মিটিয়েও দাও। তবুও তার মনে দুঃখ থেকে যাবে এবং তখন উক্ত প্রয়োজন মিটানোর জন্য তোমার সুনাম করবে না।

সরকারি কোষাগারে কি পরিমাণ অর্থ - সম্পদ সংগৃহীত হয়েছে তার দেখাশোনা করো এবং সে সম্পদ থেকে নিজের তদারকিতে যারা সপরিবারে আছে ,যারা দুঃস্থ ,যারা অন্নহীন ও বস্ত্রহীন তাদের জন্য ব্যয় করো। তারপর যা থাকে তা আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিয়ো যেন এদিকের লোককে বণ্টন করে দিতে পারি। মক্কার লোকদের নির্দেশ দিয়ো যেন তারা অস্থায়ী বাসিন্দাদের কাছ থেকে ভাগ আদায় না করে ,কারণ মহিমান্বিত আল্লাহ বলেন , তথাকার (মক্কার) স্থায়ী বাসিন্দা ও আগন্তুকগণ একই রকম ” (কুরআন ,২২: ২৫) । এখানে ” আল আকিফ ” অর্থ হচ্ছে যারা সেখানে বসবাস করে এবং আল - বাদি" অর্থ হচ্ছে যারা মক্কার স্থায়ী বাসিন্দা নয় - অন্যস্থান হতে হজ্জের জন্য আসে। আল্লাহ আমাদেরকে ও তোমাকে তার ভালোবাসা পাওয়ার তৌফিক দান করুন। এখানেই শেষ করছি।

পত্র - ৬৮

و من كتاب لهعليه‌السلام

إلی سلمان الفارسی رحمه الله قبل أیام خلافته

أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّمَا مَثَلُ الدُّنْيَا مَثَلُ الْحَيَّةِ: لَيِّنٌ مَسُّهَا، قَاتِلٌ سَمُّهَا: فَأَعْرِضْ عَمَّا يُعْجِبُكَ فِيهَا، لِقِلَّةِ مَا يَصْحَبُكَ مِنْهَا؛ وَ ضَعْ عَنْكَ هُمُومَهَا، لِمَا أَيْقَنْتَ بِهِ مِنْ فِرَاقِهَا، وَ تَصَرُّفِ حَالاَتِهَا؛ وَ كُنْ آنَسَ مَا تَكُونُ بِهَا أَحْذَرَ مَا تَكُونُ مِنْهَا؛ فَإِنَّ صَاحِبَهَا كُلَّمَا اطْمَأَنَّ فِيهَا إِلَى سُرُورٍ أَشْخَصَتْهُ عَنْهُ إِلَى مَحْذُورٍ، أَوْ إِلَى إِينَاسٍ أَزَالَتْهُ عَنْهُ إِلَى إِيحَاشٍ! وَالسَّلاَمُ.

খেলাফত লাভের পূর্বে সালমান আল - ফারিসীর

প্রতি দুনিয়ার উদাহরণ হলো সাপের মতো যা ধরতে কোমল অথচ যার বিষ মৃত্যু ডেকে আনে। সুতরাং যা তোমার কাছে আরামদায়ক ও সুখকর মনে হবে তা থেকে দূরে থেকো কারণ তোমার সাথে এটার স্থায়ীত্ব অতি অল্প সময়ের। এটা তোমাকে ছেড়ে যাবে এ ধারণায় কখনো উদ্বীগ্ন হয়ো না। যখন দুনিয়ার প্রতি আকর্ষণ অনুভব করবে তখন তা পরিহার করতে চেষ্টা করবে। কারণ যখন কেউ দুনিয়ার মধ্যে সুখের আশ্বাস পায় তখন দুনিয়া তাকে বিপদে নিক্ষেপ করে। অথবা যখন সে দুনিয়াতে নিজেকে নিরাপদ মনে করে তখন দুনিয়া তার নিরাপত্তাকে ভীতিতে রূপান্তর করে। এখানেই শেষ করছি।

পত্র - ৬৯

و من كتاب لهعليه‌السلام

إلَى الْحارِثِ الْهَمَداني

وَ تَمَسَّكْ بِحَبْلِ الْقُرْآنِ وَاسْتَنْصِحْهُ، وَ أَحِلَّ حَلاَلَهُ، وَ حَرِّمْ حَرَامَهُ، وَ صَدِّقْ بِمَا سَلَفَ مِنَ الْحَقِّ، وَاعْتَبِرْ بِمَا مَضَى مِنَ الدُّنْيَا مَا بَقِيَ مِنْهَا، فَإِنَّ بَعْضَهَا يُشْبِهُ بَعْضاً، وَ آخِرَهَا لاَحِقٌ بِأَوَّلِهَا، وَ كُلُّهَا حَائِلٌ مُفَارِقٌ. وَ عَظِّمِ اسْمَ اللَّهِ أَنْ تَذْكُرَهُ إِلا عَلَى حَقٍّ، وَ أَكْثِرْ ذِكْرَ الْمَوْتِ وَ مَا بَعْدَ الْمَوْتِ، وَ لاَ تَتَمَنَّ الْمَوْتَ إِلا بِشَرْطٍ وَثِيقٍ.

وَاحْذَرْ كُلَّ عَمَلٍ يَرْضَاهُ صَاحِبُهُ لِنَفْسِهِ، وَ يُكْرَهُ لِعَامَّةِ الْمُسْلِمِينَ. وَاحْذَرْ كُلَّ عَمَلٍ يُعْمَلُ بِهِ فِي السِّرِّ، وَ يُسْتَحَى مِنْهُ فِي الْعَلاَنِيَةِ، وَاحْذَرْ كُلَّ عَمَلٍ إِذَا سُئِلَ عَنْهُ صَاحِبُهُ أَنْكَرَهُ أَوْ اعْتَذَرَ مِنْهُ، وَ لاَ تَجْعَلْ عِرْضَكَ غَرَضا لِنِبَالِ الْقَوْلِ، وَ لاَ تُحَدِّثِ النَّاسَ بِكُلِّ مَا سَمِعْتَ فَكَفَى بِذَلِكَ كَذِباً. وَ لاَ تَرُدَّ عَلَى النَّاسِ كُلَّ مَا حَدَّثُوكَ بِهِ فَكَفَى بِذَلِكَ جَهْلاً، وَاكْظِمِ الْغَيْظَ، وَ تَجَاوَزْ عِنْدَ القُدْرَةِ، وَاحْلُمْ عِنْدَ الْغَضَبِ، وَاصْفَحْ مَعَ الدَّوْلَةِ تَكُنْ لَكَ الْعَاقِبَةُ. وَاسْتَصْلِحْ كُلَّ نِعْمَةٍ أَنْعَمَهَا اللَّهُ عَلَيْكَ، وَ لاَ تُضَيِّعَنَّ نِعْمَةً مِنْ نِعَمِ اللَّهِ عِنْدَكَ، وَ لْيُرَ عَلَيْكَ أَثَرُ مَا أَنْعَمَ اللَّهُ بِهِ عَلَيْكَ.

صفات المؤمنین

وَاعْلَمْ أَنَّ أَفْضَلَ الْمُؤْمِنِينَ أَفْضَلُهُمْ تَقْدِمَةً مِنْ نَفْسِهِ وَ أَهْلِهِ وَ مَالِهِ، وَ إِنَّكَ مَا تُقَدِّمْ مِنْ خَيْرٍ يَبْقَ لَكَ ذُخْرُهُ، وَ مَا تُؤَخِّرْهُ يَكُنْ لِغَيْرِكَ خَيْرُهُ. وَاحْذَرْ صَحَابَةَ (مصاحبة) مَنْ يَفِيلُ رَأْيُهُ، وَ يُنْكَرُ عَمَلُهُ، فَإِنَّ الصَّاحِبَ مُعْتَبَرٌ بِصَاحِبِهِ.

وَاسْكُنِ الْأَمْصَارَ الْعِظَامَ فَإِنَّهَا جِمَاعُ الْمُسْلِمِينَ، وَاحْذَرْ مَنَازِلَ الْغَفْلَةِ وَالْجَفَأِ وَ قِلَّةَ الْأَعْوَانِ عَلَى طَاعَةِ اللَّهِ. وَاقْصُرْ رَأْيَكَ عَلَى مَا يَعْنِيكَ، وَ إِيَّاكَ وَ مَقَاعِدَ الْأَسْوَاقِ، فَإِنَّهَا مَحَاضِرُ الشَّيْطَانِ، وَ مَعَارِيضُ الْفِتَنِ. وَ أَكْثِرْ أَنْ تَنْظُرَ إِلَى مَنْ فُضِّلْتَ عَلَيْهِ، فَإِنَّ ذَلِكَ مِنْ أَبْوَابِ الشُّكْرِ.

وَ لاَ تُسَافِرْ فِي يَوْمِ جُمُعَةٍ حَتَّى تَشْهَدَ الصَّلاَةَ إِلا فَاصِلاً فِي سَبِيلِ اللَّهِ، أَوْ فِي أَمْرٍ تُعْذَرُ بِهِ. وَ أَطِعِ اللَّهَ فِي جَمِيعِ أُمُورِكَ، فَإِنَّ طَاعَةَ اللَّهِ فَاضِلَةٌ عَلَى مَا سِوَاهَا. وَ خَادِعْ نَفْسَكَ فِي الْعِبَادَةِ، وَارْفُقْ بِهَا وَ لاَ تَقْهَرْهَا، وَ خُذْ عَفْوَهَا وَ نَشَاطَهَا، إِلا مَا كَانَ مَكْتُوباً عَلَيْكَ مِنَ الْفَرِيضَةِ، فَإِنَّهُ لاَبُدَّ مِنْ قَضَائِهَا وَ تَعَاهُدِهَا عِنْدَ مَحَلِّهَا. وَ إِيَّاكَ أَنْ يَنْزِلَ بِكَ الْمَوْتُ وَ أَنْتَ آبِقٌ مِنْ رَبِّكَ فِي طَلَبِ الدُّنْيَا. وَ إِيَّاكَ وَ مُصَاحَبَةَ الْفُسَّاقِ، فَإِنَّ الشَّرَّ بِالشَّرِّ مُلْحَقٌ. وَ وَقِّرِ اللَّهَ، وَ أَحْبِبْ أَحِبَّاءَهُ. وَاحْذَرِ الْغَضَبَ، فَإِنَّهُ جُنْدٌ عَظِيمٌ مِنْ جُنُودِ إِبْلِيسَ، وَالسَّلاَمُ.

আল - হারিছ (ইবনে আবদুল্লাহ আল - আওয়ার) আল - হামদানীর প্রতি

কুরআনের রজ্জুকে শক্ত করে ধরো এবং এর আদেশ - নিষেধ মেনে চলো। কুরআন যা অবৈধ করেছে তা অবৈধ মনে করো এবং যা বৈধ করেছে তা বৈধ মনে করো। অতীতে যা ন্যায় ছিল তা পরীক্ষা করে নিয়ো। অতীত থেকে বর্তমানের জন্য শিক্ষা গ্রহণ করো। কারণ দুনিয়ার এক পর্যায় অন্য পর্যায়ের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ এবং এর সমাপ্তি হলো প্রারম্ভ থেকে শুরু করা। এর সবকিছু হলো শুধু প্রস্থান আর পরিবর্তন। আল্লাহর নামকে কল্পনাতীত মহৎ মনে করো। সর্বদা মৃত্যুকে স্মরণ করো এবং মৃত্যুর পরের অবস্থা চিন্তা করো। নিজকে একটা সুন্দর অবস্থায় উন্নীত করার আগে মৃত্যুর প্রত্যাশা করো না।

সে কাজগুলো পরিহার করে চলো যা কেউ নিজের জন্য পছন্দ করে অথচ সাধারণ মুসলিমের জন্য অপছন্দ করে। সেসব কাজ এড়িয়ে চলো যা গোপনে সম্পাদিত হলেও প্রকাশ পেলে লজ্জা পেতে হয়। সেসব কাজও এড়িয়ে চলো যে জন্য নিজেই নিজকে প্রশ্ন করলে তা মন্দ মনে হয় অথবা ওজর দাড় করাতে হয়। তোমার সম্মান জনগণের আলোচনার বিষয় বস্তু হয়ে পড়ে এভাবে নিজকে প্রকাশ করো না। যা কিছু তুমি শুনতে পাও তার সব কিছু জনগণের কাছে বলে দিয়ো না - কারণ তাতে মিথ্যা থাকতে পারে। মানুষ তোমার কাছে যা বলে তার সব কিছুতে প্রতিযোগিতা করতে যেয়ো না ,কারণ এতে অজ্ঞতা প্রকাশ পাবে। ক্রোধকে দমন করে রেখো এবং যখন শাস্তি দেয়ার ক্ষমতা থাকবে তখনও ক্ষমা করো। প্রবল ক্রোধে ধৈর্যধারণ করো এবং ক্ষমতার পরিবর্তে ক্ষমা প্রদর্শন করো ;ফলশ্রুতিতে পরিণাম তোমার অনুকূলে আসবে। আল্লাহ তোমাকে যেসব নিয়ামত দান করেছেন তার সবকিছুতে কল্যাণ অনুসন্ধান করো এবং কোন নেয়ামত অপচয় করো না। তোমার ওপর আল্লাহর নেয়ামতের ফলাফল যেন দৃশ্যমান হয়।

মুমিনের বৈশিষ্ট্য

জেনে রাখো ,ইমানদারদের মধ্যে সেই সব চাইতে বেশি বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত যে নিজের ধনসম্পদ থেকে দান করে। কারণ কল্যাণকর যা কিছু তুমি অগ্রে প্রেরণ করবে তা তোমার জন্য জমা হয়ে থাকবে। আর যা কিছু তুমি ফেলে যাবে তা অন্যরা প্রাপ্ত হবে। এমন লোকের সঙ্গ এড়িয়ে চলো যার মতামত সারগর্ভ নয় এবং যার আমল বিস্বাদপূর্ণ। কারণ একজন লোককে তার সঙ্গী - সাথী দ্বারাই বিচার করা হয়।

বড় শহরে বসবাস করো ,কারণ বড় নগরী মুসলিমদের সম্মেলন কেন্দ্র। সেসব স্থান এড়িয়ে চলো যেখানে গাফেল ও দুষ্ট লোকের সংখ্যা বেশি এবং সেসব এলাকাও এড়িয়ে চলো যেখানে আল্লাহর অনুগত্য করার কথা বললে সমর্থক কম পাওয়া যায়। তোমার চিন্তা - ভাবনাকে সেসব বিষয়ে সীমাবদ্ধ রেখো ,যা তোমার জন্য সহায়তা পূর্ণ হবে। কখনো বাজারে বসো না ,কারণ বাজার হলো মিলনস্থল ও ফেতনা - ফ্যাসাদের লক্ষ্যস্থল। যাদের ওপর তুমি কর্তৃত্ব করছো তাদের সঙ্গে ঘন ঘন দেখা করো ,কারণ এটা হলো ধন্যবাদ প্রকাশের উৎকৃষ্ট পথ।

শুক্রবার দিন নামাজ আদায় না করে ভ্রমণে বের হয়ে না। যদি তুমি আল্লাহর পথে বের হও অথবা এমন কোন ব্যাপারে বের হও যার জন্য পর্যাপ্ত কারণ রয়েছে। তবে তুমি তা করতে পার। তোমার সকল কর্মকাণ্ডে আল্লাহকে মেনে চলো ,কারণ সব কিছুর চেয়ে আল্লাহর আনুগত্যের গুরুত্ববেশি। হৃদয়কে আল্লাহর ইবাদতে নিমগ্ন রেখো। ইবাদতে নিমগ্ন থাকার বিষয়ে হৃদয়ে প্রত্যয় রেখো । হৃদয় যখন ঝামেলা মুক্ত ও আনন্দে থাকে তখনই ইবাদতে নিমগ্ন হয়ো ;কিন্তু নির্ধারিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ অবশ্যই আদায় করো। দুনিয়ার আরাম - আয়েশে ডুবে প্রভু থেকে সরে থাকাকালে যদি তোমার মৃত্যু এসে পড়ে সে বিষয়ে সাবধান থেকো। দুষ্টলোকের সংসর্গ পরিহার করো ,কারণ পাপ পাপকে আনয়ন করে। আল্লাহকে সর্বমহৎ জেনো এবং আল্লাহ্ - প্রেমিকদের ভালোবেসো। ক্রোধ পরিহার করো ,কারণ ক্রোধ হলো শয়তানের সৈনিক । এখানেই শেষ করছি।

পত্র - ৭০

و من كتاب لهعليه‌السلام

إلى سَهْلِ بْنِ حُنَيفٍ الا نصاري، وَ هُوَ عامِلُهُ، عَلَى الْمَدينَةِ، فِي مَعْنى قَوْمٍ مِنْ أَهْلِها لَحِقوا بِمُعاويَةَ

أَمَّا بَعْدُ، فَقَدْ بَلَغَنِي أَنَّ رِجَالاً مِمَّنْ قِبَلَكَ يَتَسَلَّلُونَ إِلَى مُعَاوِيَةَ، فَلاَ تَأْسَفْ عَلَى مَا يَفُوتُكَ مِنْ عَدَدِهِمْ، وَ يَذْهَبُ عَنْكَ مِنْ مَدَدِهِمْ، فَكَفَى لَهُمْ غَيّاً، وَ لَكَ مِنْهُمْ شَافِياً، فِرَارُهُمْ مِنَ الْهُدَى وَالْحَقِّ، وَ إِيضَاعُهُمْ إِلَى الْعَمَى وَالْجَهْلِ. وَإِنَّمَا هُمْ أَهْلُ دُنْيَا مُقْبِلُونَ عَلَيْهَا، وَ مُهْطِعُونَ إِلَيْهَا، وَ قَدْ عَرَفُوا الْعَدْلَ وَ رَأَوْهُ، وَ سَمِعُوهُ وَ وَعَوْهُ، وَ عَلِمُوا أَنَّ النَّاسَ عِنْدَنَا فِي الْحَقِّ أُسْوَةٌ، فَهَرَبُوا إِلَى الْأَثَرَةِ، فَبُعْدا لَهُمْ وَ سُحْقاً!! إِنَّهُمْ - وَاللَّهِ - لَمْ يَنْفِرُوا مِنْ جَوْرٍ، وَ لَمْ يَلْحَقُوا بِعَدْلٍ، وَ إِنَّا لَنَطْمَعُ فِي هَذَا الْأَمْرِ أَنْ يُذَلِّلَ اللَّهُ لَنَا صَعْبَهُ، وَ يُسَهِّلَ لَنَا حَزْنَهُ، إِنْ شَأَ اللَّهُ، وَالسَّلاَمُ عَلَيْكَ.

মদিনার গভর্ণর শহল ইবনে হুনায়েফ আনসারীকে লিখেছেন যখন আমিরুল মোমেনিন জানতে পারলেন যে ,মদিনা থেকে কতিপয় ব্যক্তি মুয়াবিয়ার কাছে গিয়েছিল

আমি জানতে পেরেছি যে ,তোমার এলাকা থেকে কতিপয় ব্যক্তি চুরি করে মুয়াবিয়ার কাছে যাচ্ছে। তাদের সংখ্যার কথা ভেবে দুঃখ পেয়ো না অথবা তাদের সহায়তা তুমি হারাচ্ছ বলে ভয় পেয়ো না। এটাই যথেষ্ট যে ,তারা বিপথে চলে গেছে এবং তুমি তাদের থেকে মুক্তি পেয়েছ। তারা সত্য ও হেদায়েতের পথ থেকে দৌড়ে পালাচ্ছে এবং অন্ধকার ও অজ্ঞতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তারা দুনিয়া অন্বেষণকারী এবং তার দিকে এগিয়ে গিয়ে এতে জড়িয়ে পড়েছে। তারা ন্যায় বিচার দেখেছে ,শুনেছে এবং এর প্রশংসাও করেছে। তারা অনুধাবন করেছে যে ,অধিকার বিষয়ে আমাদের কাছে সকল মানুষ সমান। সে কারণেই তারা স্বার্থপরতা ও স্বজনপ্রীতির দিকে দৌড়ে গেছে। তাদেরকে অন্যায়ের মাঝে ডুবে থাকতে দাও। আল্লাহর কসম ,নিশ্চয়ই তারা অত্যাচার থেকে সরে যায়নি এবং ন্যায়ের পক্ষে যোগদান করেনি। এ ব্যাপারে আমরা শুধু আশা করবো। আল্লাহ আমাদেরকে বিপদ - আপদ থেকে রক্ষা করবেন এবং অসমতলকে আমাদের জন্য সমতল করে দেবেন ,ইনশাল্লাহ। এখানেই শেষ করছি।

পত্র - ৭১

و من كتاب لهعليه‌السلام

إلَى الْمُنْذِرِ بْنِ الْجارُودِ الْعَبْدي، وَ قَدْ خانَ فِى بَعْضِ ما وَلاهُ مِنْ أَعْمالِهِ

أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ صَلاَحَ أَبِيكَ غَرَّنِي مِنْكَ، وَ ظَنَنْتُ أَنَّكَ تَتَّبِعُ هَدْيَهُ، وَ تَسْلُكُ سَبِيلَهُ، فَإِذَا أَنْتَ فِيمَا رُقِّيَ إِلَيَّ عَنْكَ لاَ تَدَعُ لِهَوَاكَ انْقِيَاداً، وَ لاَ تُبْقِي لِآخِرَتِكَ عَتَاداً. تَعْمُرُ دُنْيَاكَ بِخَرَابِ آخِرَتِكَ، وَ تَصِلُ عَشِيرَتَكَ بِقَطِيعَةِ دِينِكَ.

وَلَئِنْ كَانَ مَا بَلَغَنِي عَنْكَ حَقّاً، لَجَمَلُ أَهْلِكَ وَ شِسْعُ نَعْلِكَ خَيْرٌ مِنْكَ، وَ مَنْ كَانَ بِصِفَتِكَ فَلَيْسَ بِأَهْلٍ أَنْ يُسَدَّ بِهِ ثَغْرٌ، أَوْ يُنْفَذَ بِهِ أَمْرٌ، أَوْ يُعْلَى لَهُ قَدْرٌ، أَوْ يُشْرَكَ فِي أَمَانَةٍ، أَوْ يُؤْمَنَ عَلَى جِبایَةٍ (خِيانَةٍ). فَأَقْبِلْ إِلَيَّ حِينَ يَصِلُ إِلَيْكَ كِتَابِي هَذَا، إِنْ شَاءَ اللَّهُ.

কিছু জিনিস আত্মসাতের কারণে মুনজের ইবনে জারুদ আল - আবদীর প্রতি

তোমার পিতার সদাচরণের কারণে আমি তোমার সম্বন্ধে প্রতারিত হয়েছি। আমি ভেবেছিলাম তুমি তোমার পিতাকে অনুসরণ করবে এবং তার পথেই চলবে। কিন্তু আমি যা জানতে পারলাম তাতে মনে হয় তুমি তোমার কামনা - বাসনার বশবর্তী হয়ে আছো এবং পরকালের জন্য কোন রসদের ব্যবস্থা রাখনি। পরকালকে খুইয়ে তুমি দুনিয়া অর্জন করছো এবং নিজকে দ্বীনের বন্ধন থেকে ছিন্ন করে আত্মীয়স্বজনের মঙ্গল করছ ।

আমি যা জানতে পেরেছি তা যদি সঠিক হয়ে থাকে। তবে তোমার পরিবারের উট অথবা তোমার জুতার ফিতাও তোমার চেয়ে অধিক ভালো। তোমার মতো লোক মাটির একটি গর্তও বন্ধ করার যোগ্য নও । তোমার দ্বারা কোন ভালো কাজ সম্পন্ন হতে পারে না। নিজের পদমর্যদার উন্নতি বা কোন বিশ্বস্ততার অংশীদার বা আত্মসাতের ব্যাপারে তোমাকে বিশ্বাস করা যায় না। কাজেই আমার এ পত্র পাওয়া মাত্র আমার কাছে রওয়ানা হয়ো ,ইনশাল্লাহ।

পত্র - ৭২

و من كتاب لهعليه‌السلام

إلى عَبْدِ اللَه بْنِ الْعَبَاسِ

أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّكَ لَسْتَ بِسَابِقٍ أَجَلَكَ، وَ لاَ مَرْزُوقٍ مَا لَيْسَ لَكَ؛ وَ اعْلَمْ بِأَنَّ الدَّهْرَ يَوْمَانِ: يَوْمٌ لَكَ وَ يَوْمٌ عَلَيْكَ، وَ أَنَّ الدُّنْيَا دَارُ دُوَلٍ، فَمَا كَانَ مِنْهَا لَكَ أَتَاكَ عَلَى ضَعْفِكَ، وَ مَا كَانَ مِنْهَا عَلَيْكَ لَمْ تَدْفَعْهُ بِقُوَّتِكَ.

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাসের প্রতি

তুমি তোমার জীবন - সীমার বাইরে যেতে পারবে না এবং তোমার জন্য নির্ধারিত জীবিকার বেশি তুমি পাবে না। মনে রেখো ,এ জীবন দুদিনের সমন্বয়ে - এক দিন তোমার পক্ষে আরেক দিন তোমার বিরুদ্ধে এবং এ পৃথিবী ক্ষমতা রদ বদলের নিকেতন। এর যা কিছু তোমার জন্য রয়েছে তা তোমার কাছে আসবেই - তুমি যতই দুর্বল হও না কেন এবং যা কিছু তোমার বিরুদ্ধে যাবার তা তুমি রুখতে পারবে না - যতই শক্তিশালী তুমি হও।

পত্র - ৭৩

و من كتاب لهعليه‌السلام

إلى مُعاوِيَةَ

أَمَّا بَعْدُ، فَإِنِّي عَلَى التَّرَدُّدِ فِي جَوَابِكَ، وَ الاِسْتِمَاعِ إِلَى كِتَابِكَ، لَمُوَهِّنٌ (مُوهن) رَأْيِي، وَ مُخَطِّئٌ فِرَاسَتِي. وَ إِنَّكَ إِذْ تُحَاوِلُنِي الْأُمُورَ وَ تُرَاجِعُنِي السُّطُورَ، كَالْمُسْتَثْقِلِ النَّائِمِ تَكْذِبُهُ أَحْلاَمُهُ، وَ الْمُتَحَيِّرِ الْقَائِمِ يَبْهَظُهُ مَقَامُهُ، لاَ يَدْرِي: أَ لَهُ مَا يَأْتِي أَمْ عَلَيْهِ، وَ لَسْتَ بِهِ غَيْرَ أَنَّهُ بِكَ شَبِيهٌ. وَ أُقْسِمُ بِاللَّهِ إِنَّهُ لَوْ لاَ بَعْضُ الاِسْتِبْقَاءِ لَوَصَلَتْ إِلَيْكَ مِنِّي قَوَارِعُ (نوازع)، تَقْرَعُ الْعَظْمَ، وَ تَهْلِسُ اللَّحْمَ! وَ اعْلَمْ أَنَّ الشَّيْطَانَ قَدْ ثَبَّطَكَ عَنْ أَنْ تُرَاجِعَ أَحْسَنَ أُمُورِكَ، وَ تَأْذَنَ لِمَقَالِ نَصِيحَتِكَ، وَ السَّلاَمُ لِأَهْلِهِ.

মুয়াবিয়ার প্রতি

তোমার পত্র পড়ে এবং এসবের জবাব দিয়ে আমার অভিমত দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং আমার বুদ্ধিমত্তা ভুল করছে। যখন তুমি আমার কাছে তোমার দাবীসমূহ তুলে ধর এবং আশা কর যে ,আমি যেন তোমাকে লিখিত উত্তর দেই তখন মনে হয় তুমি সে ব্যক্তির মতো যে গভীর ঘুমে অথচ স্বপ্ন তার সঙ্গে বিরোধ বাধাচ্ছে অথবা সে ব্যক্তির মতো যে আনন্দ - উচ্ছাসে হতবুদ্ধি হয়ে আছে অথচ সে জানে না যা আসছে তা তার পক্ষে কী বিপক্ষে। তুমি সে ব্যক্তির মতো নও কিন্তু সে ব্যক্তি কিছুটা তোমার মতো। তুমি তার চেয়েও নিকৃষ্ট। আমি আল্লাহর নামে শপথ করে বলছি ,যদি আমি তোমাকে সময় দিতে মনস্থ না করতাম। তবে আমি তোমাকে এমন আঘাত করতাম যাতে তোমার হাড় থেকে মাংস আলাদা হয়ে হাড় চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যেত। জেনে রাখো ,ভালো আমল করতে এবং ভালো উপদেশ শুনতে শয়তান তোমাকে বিরত রেখেছে। যারা শান্তি পাবার যোগ্য তাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক ।

পত্র - ৭৪

و من حلف لهعليه‌السلام

كَتَبَهُ بَيْنَ رَبِيعَةَ وَ الْيَمنِ، وَ نُقِلَ مِنْ خَطَّ هِشامِ بْنِ الْكَلْبِىَّ

هَذَا مَا اجْتَمَعَ عَلَيْهِ أَهْلُ الْيَمَنِ حَاضِرُهَا وَ بَادِيهَا، وَ رَبِيعَةُ حَاضِرُهَا وَ بَادِيهَا، أَنَّهُمْ عَلَى كِتَابِ اللَّهِ يَدْعُونَ إِلَيْهِ، وَ يَأْمُرُونَ بِهِ، وَ يُجِيبُونَ مَنْ دَعَا إِلَيْهِ وَ أَمَرَ بِهِ، لاَ يَشْتَرُونَ بِهِ ثَمَنا، وَ لاَ يَرْضَوْنَ بِهِ بَدَلاً، وَ أَنَّهُمْ يَدٌ وَاحِدَةٌ عَلَى مَنْ خَالَفَ ذَلِكَ وَ تَرَكَهُ، أَنْصَارٌ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ: دَعْوَتُهُمْ وَاحِدَةٌ، لاَ يَنْقُضُونَ عَهْدَهُمْ لِمَعْتَبَةِ عَاتِبٍ، وَ لاَ لِغَضَبِ غَاضِبٍ، وَ لاَ لاِسْتِذْلاَلِ قَوْمٍ قَوْماً، وَ لاَ لِمَسَبَّةِ قَوْمٍ قَوْماً! عَلَى ذَلِكَ شَاهِدُهُمْ وَ غَائِبُهُمْ، وَ سَفِيهُهُمْ وَ عَالِمُهُمْ، وَ حَلِيمُهُمْ وَ جَاهِلُهُمْ. ثُمَّ إِنَّ عَلَيْهِمْ بِذَلِكَ عَهْدَ اللَّهِ وَ مِيثَاقَهُ( إِنَّ عَهْدَ اللَّهِ كَانَ مَسْئُولاً ) . وَ كَتَبَ: عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ.

রাবিয়াহ গোত্র ও ইয়েমেনবাসীদের মধ্যে প্রটোকল হিসাবে এ দলিল , আমিরুল মোমেনিন লিখেছেন (হিশাম ইবনে আল - কালাবীর লেখা থেকে এটা গৃহীত হয়েছে)

এ লিখিত দলিলে যা রয়েছে তা হলো ইয়েমেনবাসীগণ তাদের শহরবাসী ও যাযাবরগণসহ এবং রাবিয়াহ গোত্র তাদের শহরবাসী ও যাযাবরগণসহ এ মর্মে ঐকমত্য হয়েছে যে ,তারা আল্লাহর কুরআন মেনে চলবে ,কুরআনের প্রতি মানুষকে আহবান করবে এবং কুরআন অনুযায়ী আদেশ - নির্দেশ দেবে এবং যে কেউ কুরআনের প্রতি আহবান ও নির্দেশ করলে তাতে সাড়া দেবে। কোন মূল্যেই তারা এটা বিক্রি করবে না এবং এর বিকল্প কোন কিছু গ্রহণ করবে না। যে কেউ কুরআনের বিরোধিতা করবে অথবা কুরআন পরিত্যাগ করবে তার বিরুদ্ধে তারা একে অপরের সাথে হাত মিলাবে ;তারা একে অপরকে সাহায্য করবে। তারা একে অপরের সাথে কণ্ঠ মিলাবে। নিন্দাকারীদের নিন্দা ,রাগান্বিত ব্যক্তির রোষে একে অপরকে অপমান বা গালমন্দ করলেও তারা এ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করবে না।

উপস্থিত - অনুপস্থিত ,চতুর - বোকা ,শিক্ষিত - অশিক্ষিত সকলের জন্য এ প্রতিশ্রুতি পালনীয়। এর সাথে আল্লাহর প্রতিশ্রুতিও পালনীয় এবং আল্লাহর প্রতিশ্রুতির হিসাব - নিকাশ হবে। লেখকঃ ইবনে আবি তালিব

পত্র - ৭৫

و من كتاب لهعليه‌السلام

إلى مُعاوِيَةَ فِي أَوَّلِ ما بُويِعَ لَهُ ذَكَرَهُ الْواقِدِىُّ فِي كِتابِ «الْجَمَلِ»

مِنْ عَبْدِ اللَّهِ عَلِيِّ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ إِلَى مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ: أَمَّا بَعْدُ، فَقَدْ عَلِمْتَ إِعْذَارِي فِيكُمْ، وَ إِعْرَاضِي عَنْكُمْ، حَتَّى كَانَ مَا لاَ بُدَّ مِنْهُ وَ لاَ دَفْعَ لَهُ؛ وَ الْحَدِيثُ طَوِيلٌ، وَ الْكَلاَمُ كَثِيرٌ، وَ قَدْ أَدْبَرَ مَا أَدْبَرَ، وَ أَقْبَلَ مَا أَقْبَلَ. فَبَايِعْ مَنْ قِبَلَكَ وَ أَقْبِلْ إِلَيَّ فِي وَفْدٍ مِنْ أَصْحَابِكَ، وَالسَّلاَمُ.

আমিরুল মোমেনিন খেলাফতের শপথ গ্রহণের পরপরই মুয়াবিয়াকে এ পত্র লিখেছিলেন

(মুহাম্মদ ইবনে উমর আল - ওয়াকিদীর লিখিত কিতাব আল - জামাল ’ থেকে এটা নেয়া হয়েছে)

আল্লাহর বান্দা আমিরুল মোমেনিন আলীর কাছ থেকে আবু সুফিয়ানের পুত্র মুয়াবিয়ার প্রতিঃ

আমার খেলাফত গ্রহণের কারণ বা এটা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা অজানা নয় - তা তোমরা সবিশেষ অবহিত আছো । খেলাফত গ্রহণ বিষয়ে যা ঘটেছিল তা অবশ্যম্ভাবি এবং তা প্রতিহত করার কোন উপায় ছিল না। সে কাহিনী অনেক লম্বা এবং বলতে গেলে অনেক কথা বলতে হয়। যা গত হয়ে গেছে তা গত এবং যা ঘটবার তা ঘটেছে। সুতরাং আমার বায়াত গ্রহণ কর এবং একটা প্রতিনিধি দল নিয়ে আমার কাছে এসো। এখানে শেষ করলাম ।

পত্র - ৭৬

و من وصية لهعليه‌السلام

لَعَبْدِ اللَه بْنِ الْعَبَاسِ، عِنْدَ اسْتِخْلافِهِ إ يَاهُ عَلَى الْبَصرَةِ

سَعِ (مَنِّعَ) النَّاسَ بِوَجْهِكَ وَ مَجْلِسِكَ وَ حُكْمِكَ، وَ إِيَّاكَ وَ الْغَضَبَ فَإِنَّهُ طَيْرَةٌ مِنَ الشَّيْطَانِ، وَ اعْلَمْ أَنَّ مَا قَرَّبَكَ مِنَ اللَّهِ يُبَاعِدُكَ مِنَ النَّارِ، وَ مَا بَاعَدَكَ مِنَ اللَّهِ يُقَرِّبُكَ مِنَ النَّارِ.

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাসকে বসরার গভর্ণর নিয়োগ করার সময় এ নির্দেশনামা দিয়েছিলেন

সানন্দ বদনে জনগণের সাথে সাক্ষাত করো। তাদেরকে খোলাখুলি কথা বলার সুযোগ দিয়ো এবং তাদের প্রতি উদার আদেশ করো। সব সময় ক্রোধ পরিহার করে চলো ,কারণ ক্রোধ হলো শয়তানের শাকুনতত্ত্ব। মনে রেখো ,যা তোমাকে আল্লাহর নৈকট্যে নিয়ে যাবে তা তোমাকে আগুন থেকে দূরে রাখবে। আর যা তোমাকে আল্লাহ থেকে সরিয়ে রাখবে তা তোমাকে আগুনে নিয়ে যাবে।

পত্র - ৭৭

و من وصية لهعليه‌السلام

لِعَبْدِ اللَه بْنِ الْعَباسِ لَمَا بَعَثَهُ لِلاْحْتِجاجَ عَلَى الْخَوارِج

لاَ تُخَاصِمْهُمْ بِالْقُرْآنِ، فَإِنَّ الْقُرْآنَ حَمَّالٌ ذُو وُجُوهٍ، تَقُولُ وَ يَقُولُونَ، وَ لَكِنْ حاصِمْهُمْ (خاصهم) لابِالسُّنَّةِ، فَإِنَّهُمْ لَنْ يَجِدُوا عَنْهَا مَحِيصاً.

খারিজিদের সাথে যুদ্ধের জন্য মনোনীত করার সময় আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাসকে দিয়েছিলেন

তাদের সাথে কুরআন দ্বারা যুক্তি - তর্ক করো না ,কারণ কুরআনের মুখ বিবিধ অর্থাৎ বিভিন্নভাবে কুরআনের ব্যাখ্যা করা যায়। তুমি তোমার নিজের জ্ঞানবুদ্ধি মত কথা বলো ;তারাও তাদের জ্ঞানবুদ্ধি মত বলবে। কিন্তু সুন্নাহ দ্বারা তাদের সঙ্গে যুক্তি - তর্ক দেখিয়ো ,কারণ তারা সুন্নাহ থেকে রক্ষা পাবে না।

পত্র - ৭৮

و من كتاب لهعليه‌السلام

إلی أبَی مُوسَى الأ شْعَرِىَّ جواباً فِيِ أمر لِلْحُكُمینِ، وَ ذَكَرِه سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى الا مَوِىُّ فِي كِتابِ «الْمَغازِي»

فَإِنَّ النَّاسَ قَدْ تَغَيَّرَ كَثِيرٌ مِنْهُمْ عَنْ كَثِيرٍ مِنْ حَظِّهِمْ، فَمَالُوا مَعَ الدُّنْيَا وَ نَطَقُوا بِالْهَوَى. وَ إِنِّي نَزَلْتُ مِنْ هَذَا الْأَمْرِ مَنْزِلاً مُعْجِباً، اجْتَمَعَ بِهِ أَقْوَامٌ أَعْجَبَتْهُمْ أَنْفُسُهُمْ، وَ اِنّا أُدَاوِي (أداری) مِنْهُمْ قَرْحاً أَخَافُ أَنْ يَعُودَ عَلَقاً. وَ لَيْسَ رَجُلٌ - فَاعْلَمْ - أَحْرَصَ عَلَى جَمَاعَةِ أُمَّةِ مُحَمَّدٍصلى‌الله‌عليه‌وآله‌وسلم وَ أُلْفَتِهَا مِنِّي، أَبْتَغِي بِذَلِكَ حُسْنَ الثَّوَابِ، وَ كَرَم الْمَآبِ.

وَ سَأَفِي بِالَّذِي وَأَيْتُ عَلَى نَفْسِي، وَ إِنْ تَغَيَّرْتَ عَنْ صَالِحِ مَا فَارَقْتَنِي عَلَيْهِ، فَإِنَّ الشَّقِيَّ مَنْ حُرِمَ نَفْعَ مَا أُوتِيَ مِنَ الْعَقْلِ، وَ التَّجْرِبَةِ، وَ إِنِّي لَأَعْبَدُ أَنْ يَقُولَ قَائِلٌ بِبَاطِلٍ، وَ أَنْ أُفْسِدَ أَمْرا قَدْ أَصْلَحَهُ اللَّهُ، فَدَعْ مَا لاَ تَعْرِفُ، فَإِنَّ شِرَارَ النَّاسِ طَائِرُونَ إِلَيْكَ بِأَقَاوِيلِ السُّوءِ، وَالسَّلاَمُ.

নির্দেশনামা

দু জন সালিশ সম্পর্কে আবু মুসা আশআরীর পত্রের জবাবে লিখেছিলেন , সাঈদ ইবনে ইয়াহিয়া উমাবির কিতাব আল - মঘাজী ” থেকে এটা সংগৃহীত হয়েছে

পরকালের স্থায়ী উপকার পাওয়ার পথ থেকে অনেক লোক ফিরে চলে গেছে ;কারণ তারা দুনিয়ার প্রতি ঝুকে পড়েছে এবং কামনা - বাসনার কথাই বলে। মানুষ যে সব ব্যাপারে আত্মগর্ব করে তা ভেবে আমি আশ্চর্য হয়ে পড়ি। আমি তাদের ক্ষত শুকাবার জন্য ঔষধ দিচ্ছি ,কিন্তু আমার ভয় হয় পাছে এটা রক্তক্ষরণ বৃদ্ধি করে দুরারোগ্য হয়ে পড়ে। মনে রেখো ,মুহাম্মদের (সা.) উম্মাহর স্বার্থ সংরক্ষণ ও ঐক্যের জন্য আমার চেয়ে বেশি লালায়িত আর কেউ নেই। এর মাধ্যমে আমি উত্তম পুরস্কার ও সম্মানিত স্থানে ফিরে যেতে চাই ।

যদি তোমরা সুঠাম অবস্থান থেকে ফিরেও যাও ,যা হয়েছিল অতীতে যখন আমাকে ত্যাগ করেছ ,তবুও আমি আমার প্রতিশ্রুতি পরিপূর্ণ করবো ;কারণ সেই হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্থ যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার সুফলকে অস্বীকার করে। যখন কেউ মিথ্যা কথা বলে তখন আমার মেজাজ ঠিক থাকে না। অথবা আল্লাহ যা সঠিক রেখেছেন তা নষ্ট করতে আমি পারি না। সুতরাং যা তুমি বুঝি না তা পরিত্যাগ করো ; কারণ দুষ্ট লোকেরা পাপপূর্ণ বিষয়ই তোমার কাছে নিয়ে আসবে। এখানেই শেষ করলাম।

পত্র - ৭৯

و من كتاب كتبهعليه‌السلام

لَمَّا اسْتُخِلفَ، إلى أُمَرأِ الا جْنادِ

أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّمَا أَهْلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ أَنَّهُمْ مَنَعُوا النَّاسَ الْحَقَّ فَاشْتَرَوْهُ، وَ أَخَذُوهُمْ بِالْبَاطِلِ فَا قْتَدوْهُ.

নির্দেশনামা

আমিরুল মোমেনিন খলিফা হবার পর. সেনাবাহিনীর অফিসারের প্রতি

তোমাদের পূর্ববর্তীগণের ধ্বংসের কারণ হলো তারা জনগণের অধিকার অস্বীকার করেছে। তারপর জনগণকে ঘুষের বিনিময়ে কিনতে হয়েছিল। এতে তারা জনগণকে ভ্রান্তপথে পরিচালিত করেছিল এবং জনগণও তা অনুসরণ করেছিল।