নাহজ আল-বালাঘা

নাহজ আল-বালাঘা0%

নাহজ আল-বালাঘা লেখক:
: জেহাদুল ইসলাম
প্রকাশক: র‌্যামন পাবলিশার্স
বিভাগ: হযরত আলী (আ.)

নাহজ আল-বালাঘা

লেখক: আশ-শরীফ আর-রাজী
: জেহাদুল ইসলাম
প্রকাশক: র‌্যামন পাবলিশার্স
বিভাগ:

ভিজিট: 119906
ডাউনলোড: 7295

নাহজ আল-বালাঘা
বইয়ের বিভাগ অনুসন্ধান
  • শুরু
  • পূর্বের
  • 48 /
  • পরের
  • শেষ
  •  
  • ডাউনলোড HTML
  • ডাউনলোড Word
  • ডাউনলোড PDF
  • ভিজিট: 119906 / ডাউনলোড: 7295
সাইজ সাইজ সাইজ
নাহজ আল-বালাঘা

নাহজ আল-বালাঘা

লেখক:
প্রকাশক: র‌্যামন পাবলিশার্স
বাংলা

রাসূলের (সা.) ‘জ্ঞান নগরীর দ্বার’ আমিরুল মোমেনিন আলী ইবনে আবি তালিব ছিলেন তত্ত্বজ্ঞানী, দার্শনিক, সুলেখক ও বাগ্মী। আলঙ্কারিক শাস্ত্রে তার পান্ডিত্য ও নৈপুন্য অসাধারণ। তিনি নবুওয়াতী জ্ঞান ভান্ডার হতে সরাসরি জ্ঞান আহরণ করেন এবং সাহাবাদের মধ্যে তিনি শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী পন্ডিত ছিলেন। এতে কারো দ্বিমত নেই। আরবী কাব্যে ও সাহিত্যে তার অনন্যসাধারণ অবদান ছিল। খেলাফত পরিচালনা কালে তিনি বিভিন্ন বিষয়ে ভাষণ (খোৎবা) দিয়েছিলেন এবং বিভিন্ন এলাকার প্রশাসকগণকে প্রশাসনিক বিষয়ে উপদেশ ও নির্দেশ দিয়ে পত্র লিখেছিলেন। এমনকি বিভিন্ন সময়ে মানুষের অনেক প্রশ্নের সংক্ষিপ্ত জবাব দিয়েছিলেন। তার এসব বাণী কেউকেউ লিখে রেখেছিল, কেউ কেউ মনে রেখেছিল, আবার কেউ কেউ তাদের লিখিত পুস্তকে উদ্ধৃত করেছিল। মোটকথা তার অমূল্য বাণীসমূহ মানুষের কাছে ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় ছিল।

আশ-শরীফ আর-রাজী আমিরুল মোমেনিন আলী ইবনে আবি তালিবের ভাষণসমূহ (খোৎবা), পত্রাবলী, নির্দেশাবলী ও উক্তিসমূহ সংগ্রহ করে “নাহজ আল-বালঘা” নামক গ্রন্থটি সঙ্কলন করেন।

উক্তি , উপদেশ ও প্রবাদ ৮১ - ১০০

উক্তি নং - ৮১

وَ قَالَعليه‌السلام : قِيمَةُ كُلِّ امْرِئٍ ما يُحْسِنُهُ.

মানুষকে তার সাফল্য ও সিদ্ধি অনুযায়ী মুল্যায়ন করা হয়।

উক্তি নং - ৮২

وَ قَالَعليه‌السلام : أُوصِيكُمْ بِخَمْسٍ لَوْ ضَرَبْتُمْ إِلَيْها آباطَ الْإِبِلِ لَكانَتْ لِذلِكَ أَهْلاً: لا يَرْجُوَنَّ أَحَدٌ مِنْكُمْ إِلا رَبَّهُ، وَ لا يَخافَنَّ إِلا ذَنْبَهُ، وَ لا يَسْتَحِيَنَّ أَحَدٌ مِنْكُمْ إِذا سُئِلَ عَمّا لا يَعْلَمُ أَنْ يَقُولَ: لا أَعْلَمُ، وَ لا يَسْتَحِيَنَّ أَحَدٌ إِذا لَمْ يَعْلَمِ الشَّيْءَ أَنْ يَتَعَلَّمَهُ، وَ عَلَيْكُمْ بِالصَّبْرِ فَإِنَّ الصَّبْرَ مِنَ الْإِيمانِ كَالرَّأْسِ مِنَ الْجَسَدِ، وَ لا خَيْرَ فِي جَسَدٍ لا رَأْسَ مَعَهُ، وَ لا فِي إِيمانٍ لا صَبْرَ مَعَهُ.

আমি তোমাদেরকে পাচটি বিষয় বলে দিচ্ছি। যদি তোমরা উটে চড়ে দ্রুত তা খুজে নাও (অর্থাৎ মানতে চেষ্টা করো) তবে এর সুফল পাবে। আল্লাহ ছাড়া আর কিছুতে আশা স্থাপন না করা নিজের পাপ ছাড়া আর কোন কিছু ভয় না করা । যা নিজে জানো না সে বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হলে , আমি জানি না বলতে লজাবোধ না করা যা নিজে জানো না তা অন্যের কাছ থেকে শিক্ষা করতে লজ্জা না করা ;এবং ধৈর্য ধারণ করার অভ্যাস করা ,কারণ দেহের জন্য মাথা যেরূপ ইমানের জন্য ধৈর্য তদ্রুপ।

উক্তি নং - ৮৩

وَ قَالَعليه‌السلام : لِرَجُلٍ أَفْرَطَ فِي الثَّنأِ عَلَيْهِ، وَ كانَ لَهُ مُتَّهِما: أَنَا دُونَ ما تَقُولُ وَ فَوْقَ ما فِي نَفْسِكَ.

এক ব্যক্তি আমিরুল মোমেনিনকে খুশি করার জন্য তার প্রশংসা করলে তিনি বললেন ,যতটুকু তুমি প্রকাশ করেছ । আমি ততটুকু নই ,কিন্তু যা তোমার অন্তরে রয়েছে তা থেকে আমি অনেক উর্দ্ধে।

উক্তি নং - ৮৪

وَ قَالَعليه‌السلام : بَقِيَّةُ السَّيْفِ أَبْقَى عَدَداً، وَ أَكْثَرُ وَلَداً.

তরবারি থেকে বেঁচে যাওয়া লোকের সংখ্যা ও তাদের বংশধরের সংখ্যা বিরাট ।

উক্তি নং - ৮৫

وَ قَالَعليه‌السلام : مَنْ تَرَكَ قَوْلَ «لا أَدْرِي» أُصِيبَتْ مَقاتِلُهُ.

আমি জানি না ” বলা যে পরিত্যাগ করে সে ধ্বংসের মুখোমুখি হয়।

উক্তি নং - ৮৬

وَ قَالَعليه‌السلام : رَأْيُ الشَّيْخِ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ جَلَدِ الْغُلامِ. وَرُوِيَ «مِنْ مَشْهَدِ الْغُلامِ».

বয়ঃজ্যেষ্ঠ লোকের মতামত যুবকদের সংকল্পের (ভিন্নমতে শাহাদাত) চেয়েও আমি অনেক বেশি ভালোবাসি ।

উক্তি নং - ৮৭

وَ قَالَعليه‌السلام : عَجِبْتُ لِمَنْ يَقْنَطُ وَ مَعَهُ الاِسْتِغْفارُ.

ক্ষমা প্রার্থনার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি নিরাশায় ভোগে তার সম্বন্ধে আমার আশ্চর্য লাগে।

উক্তি নং - ৮৮

وَ حَكى عنْهُ أَبُو جَعْفَرٍ مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ الْباقِرِعليهما‌السلام ، أَنَّهُ قَالَ: كانَ فِي الْأَرْضِ أَمانانِ مِنْ عَذابِ اللَّهِ وَ قَدْ رُفِعَ أَحَدُهُما فَدُونَكُمُ الْآخَرَ فَتَمَسَّكُوا بِهِ: أَمَّا الْأَمانُ الَّذِي رُفِعَ فَهُوَ رَسُولُ اللَّهِصلى‌الله‌عليه‌وآله‌وسلم وَ أَمّا الْأَمانُ الْباقِي فَالاسْتِغْفَارُ. قالَ اللَّهُ تَعالَى:( وَ ما كانَ اللّهُ لِيُعَذِّبَهُمْ وَ أَنْتَ فِيهِمْ وَ ما كانَ اللّهُ مُعَذِّبَهُمْ وَ هُمْ يَسْتَغْفِرُونَ ) .

ইমাম বাকির থেকে বর্ণিত আছে যে ,আমিরুল মোমেনিন বলেছেনঃ আল্লাহর শাস্তি থেকে রক্ষা পাবার দুটি উপায় ছিল - একটি তুলে নেয়া হয়েছে অপরটি তোমাদের সম্মুখে রয়েছে । সুতরাং এটাকে (যেটা সামনে আছে) তোমাদের মানতে হবে রক্ষা পাবার যে উপায়টি তুলে নেয়া হয়েছে তা হলো আল্লাহর রাসূল এবং যেটি এখনো আছে তা হলো ক্ষমা প্রার্থনা করা। মহিমানিত আল্লাহ বলেন , অথচ আল্লাহ কখনই তাদের উপর আযাব নাযিল করবেন না যতক্ষণ আপনি তাদের মাঝে অবস্থান করবেন। তাছাড়া তারা যতক্ষণ ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে আল্লাহ কখনও তাদের উপর আযাব দেবেন না। ” (কুরআন - ৮ :৩৩) ৷

উক্তি নং - ৮৯

وَ قَالَعليه‌السلام : مَنْ أَصْلَحَ ما بَيْنَهُ وَ بَيْنَ اللَّهِ أَصْلَحَ اللَّهُ ما بَيْنَهُ وَ بَيْنَ النَّاسِ، وَ مَنْ أَصْلَحَ أَمْرَ آخِرَتِهِ أَصْلَحَ اللَّهُ لَهُ أَمْرَ دُنْياهُ، وَ مَنْ كانَ لَهُ مِنْ نَفْسِهِ واعِظٌ كانَ عَلَيْهِ مِنَ اللَّهِ حافِظٌ.

যদি কোন মানুষ আল্লাহ ও তার নিজের মধ্যকার ব্যাপারে যথাযথ আচরণ করে তবে আল্লাহ তার ও অন্যের মধ্যকার বিষয়াবলী যথাযথ রাখেন। যদি কেউ পরকালের জন্য যথাযথ কর্মকাণ্ড করে। তবে আল্লাহ তার ইহকালের কর্মকাণ্ড যথাযথ রাখেন। যদি কেউ নিজেই নিজের ধর্মোপদেষ্টা হয় তবে আল্লাহ তাকে রক্ষা করেন।

উক্তি নং - ৯০

وَ قَالَعليه‌السلام : الْفَقِيهُ كُلُّ الْفَقِيهِ مَنْ لَمْ يُقَنِّطِ النّاسَ مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ، وَ لَمْ يُؤْيِسْهُمْ مِنْ رَوْحِ اللَّهِ، وَ لَمْ يُؤْمِنْهُمْ مِنْ مَكْرِ اللَّهِ.

ইসলামের যথার্থ ফেকাহবিদ সে যে আল্লাহর রহমত থেকে মানুষকে নিরাশ করে না ,আল্লাহর দয়ার প্রতি হতাশ করে না এবং আল্লাহর শাস্তি থেকে নিরাপদ বলে মনে করিয়ে দেয় না।

উক্তি নং - ৯১

وَ قَالَعليه‌السلام : أوْضَعُ الْعِلْمِ ما وَقَفَ عَلَى اللَّسانِ وَ أَرْفَعُهُ ما ظَهَرَ فِى الْجَوارِحِ و الْأَرْكانِ.

হীনতম জ্ঞান জিহবায় থাকে এবং উচ্চমানের জ্ঞান কর্মের মাঝে প্রকাশ পায় ।

উক্তি নং - ৯২

وَ قَالَعليه‌السلام : إِنَّ هذِهِ الْقُلُوبَ تَمَلُّ كَما تَمَلُّ الْأَبْدانُ، فَابْتَغُوا لَها طَرائِفَ الْحِكْمَةِ.

শরীরের মত হৃদয়ও অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়ে , তাই হৃদয়কে উৎফুল্ল রাখতে বিজ্ঞতাপুর্ণ ভাল কথার অনুসন্ধান কর।

উক্তি নং - ৯৩

وَ قَالَعليه‌السلام : لا يَقُولَنَّ أَحَدُكُمْ: «اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْفِتْنَةِ» لِأَنَّهُ لَيْسَ أَحَدٌ إِلا وَ هُوَ مُشْتَمِلٌ عَلَى فِتْنَةٍ، وَ لَكِنْ مَنِ اسْتَعَاذَ فَلْيَسْتَعِذْ مِنْ مُضِلَّاتِ الْفِتَنِ، فَإِنَّ اللَّهَ سُبْحانَهُ يَقُولُ:( وَ اعْلَمُوا أَنَّما أَمْوالُكُمْ وَ أَوْلادُكُمْ فِتْنَةٌ ) . وَ مَعْنَى ذلِكَ أَنَّهُ يَخْتَبِرُهُمْ بِالْأَمْوالِ وَ الْأَوْلادِ لِيَتَبَيَّنَ السَّاخِطَ لِرِزْقِهِ، وَ الرَّاضِيَ بِقِسْمِهِ، وَ إِنْ كانَ سُبْحانَهُ أَعْلَمَ بِهِمْ مِنْ أَنْفُسِهِمْ، وَ لَكِنْ لِتَظْهَرَ الْأَفْعالُ الَّتِي بِها يُسْتَحَقُّ الثَّوابُ وَ الْعِقابُ؛ لِأَنَّ بَعْضَهُمْ يُحِبُّ الذُّكُورَ وَ يَكْرَهُ الْإِناثَ، وَ بَعْضَهُمْ يُحِبُّ تَثْمِيرَ الْمالِ وَ يَكْرَهُ انْثِلامَ الْحالِ. وَ هذا مِنْ غَرِيبِ ما سُمِعَ مِنْهُ فِي التَّفْسِيرِ.

কারো একথা বলা উচিত নয়। হে আল্লাহ বিপদাপদ থেকে আমি তোমার ফানা চাই ” ,কারণ বিপদাপদ ছাড়া কাউকে পাওয়া যাবে না। যদি কেউ আল্লাহর নিরাপত্তা চায়। তবে বিপথগামিতা থেকে নিরাপত্তা চাওয়া উচিত। কারণ মহিমান্বিত আল্লাহ বলেন , এবং জেনে রাখো যে ,তোমাদের সম্পদ ও সন্তান - সন্ততি পরীক্ষা মাত্র ” (কুরআন - ৮: ১২) । এ আয়াতের অর্থ হলো আল্লাহ সম্পদ ও সন্তান - সন্ততি দ্বারা এজন্য মানুষকে পরীক্ষা করেন যাতে যে ব্যক্তি তার জীবিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট তার থেকে ওই ব্যক্তিকে আলাদা করা যায় যে প্রাপ্ত জীবিকায় খুশি । মহিমান্বিত আল্লাহ তাদের সম্বন্ধে জানেন যা তারা নিজেরাও তাদের সম্বন্ধে জানে না। তবুও তিনি এমনভাবে কর্মসাধন করতে দেন যার মাধ্যমে পুরস্কার অথবা শাস্তি অর্জন করতে পারে। কারণ তাদের কেউ পুরুষ সন্তান পছন্দ করে ও নারী সন্তান অপছন্দ করে এবং কেউ সম্পদ স্তুপীকৃত করতে চায় আবার কেউ দারিদ্র অপছন্দ করে।

উক্তি নং - ৯৪

وَ سُئِلَ عَنِ الْخَيْرِ ما هُوَ؟ فَقالَ: لَيْسَ الْخَيْرُ أَنْ يَكْثُرَ مالُكَ وَ وَلَدُكَ، وَ لَكِنَّ الْخَيْرَ أَنْ يَكْثُرَ عِلْمُكَ. وَ أَنْ يَعْظُمَ حِلْمُكَ، وَ أَنْ تُباهِيَ النّاسَ بِعِبادَةِ رَبِّكَ؛ فَإِنْ أَحْسَنْتَ حَمِدْتَ اللَّهَ، وَ إِنْ أَسَأْتَ اسْتَغْفَرْتَ اللَّهَ. وَ لا خَيْرَ فِي الدُّنْيا إِلا لِرَجُلَيْنِ، رَجُلٍ أَذْنَبَ ذُنُوبا فَهُوَ يَتَدارَكُها بِالتَّوْبَةِ؛ وَ رَجُلٍ يُسارِعُ فِي الْخَيْراتِ.

এক ব্যক্তি আমিরুল মোমেনিনকে জিজ্ঞেস করেছিল , ভালো কী ? উত্তরে তিনি বললেনঃ ভালো মানে এ নয় যে তোমার অনেক সম্পদ ও সন্তান - সন্ততি থাকবেঃ ভালো মানে তোমার অনেক জ্ঞান থাকবে ;তোমার ধৈর্য থাকবে অসীম এবং তুমি আল্লাহর ইবাদতে অন্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে। যদি তুমি ভালো কাজ কর। তবে আল্লাহর কাছে শুকারিয়া আদায় করো ,যদি তুমি পাপ কর। তবে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। এ পৃথিবীতে ভালো শুধু দুব্যক্তির জন্য যে পাপ করার পর তওবা করে এবং যে ব্যক্তি দ্রুত ভালো কাজের দিকে এগিয়ে যায়।

উক্তি নং - ৯৫

وَ قَالَعليه‌السلام : لا يَقِلُّ عَمَلٌ مَعَ التَّقْوَى، وَ كَيْفَ يَقِلُّ مَا يُتَقَبَّلُ؟.

যে কাজে আল্লাহর ভীতি থাকে তা ব্যর্থ হয় না ;যা মকবুল তা কী করে ব্যর্থ হতে পারে ?

উক্তি নং - ৯৬

وَ قَالَعليه‌السلام : إِنَّ أَوْلَى النَّاسِ بِالْأَنْبِيَأِ أَعْلَمُهُمْ بِمَا جَؤُوا بِهِ، ثُمَّ تَلاَعليه‌السلام :( إإِنَّ أَوْلَى النَّاسِ بِإِبْرَاهِيمَ لَلَّذِينَ اتَّبَعُوهُ وَهَـٰذَا النَّبِيُّ وَالَّذِينَ آمَنُوا وَاللَّـهُ وَلِيُّ الْمُؤْمِنِينَ ) الآیَةَ ، ثُمَّ قَالَ: إِنَّ وَلِيَّ مُحَمَّدٍ مَنْ أَطَاعَ اللَّهَ وَ إِنْ بَعُدَتْ لُحْمَتُهُ، وَ إِنَّ عَدُوَّ مُحَمَّدٍ مَنْ عَصَى اللَّهَ وَ إِنْ قَرُبَتْ قَرَابَتُهُ!

রাসূল ( সা .) কী এনেছেন তা যে যত বেশি জানে সে রাসূলের তত নিকটের। নিশ্চয়ই ,মানুষদের মধ্যে যারা ইব্রাহীমের অনুসরণ করেছিল , তারা , আর এই নবী এবং যারা এ নবীর প্রতি ঈমান এনেছে তারা ইব্রাহীমের ঘনিষ্ঠতম - আর আল্লাহ হচ্ছেন মুমিনদের বন্ধু। ” (কুরআন - ৩ :৬৮ ) রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও সে - ই মুহাম্মদের বন্ধু যে আল্লাহর আনুগত। আর আল্লাহকে যে অমান্য করে সে মুহাম্মদের শত্রু ,সে যতই নিকটাত্মীয় হোক ।

উক্তি নং - ৯৭

نَوْمٌ عَلَى يَقِينٍ خَيْرٌ مِنْ صَلاَةٍ فِي شَكِّ.

দৃঢ় ইমানে ঘুমানো সংশয় পূর্ণ ইবাদত থেকে অধিকতর ভালো।

উক্তি নং - ৯৮

وَ قَالَعليه‌السلام : اعْقِلُوا الْخَبَرَ إِذَا سَمِعْتُمُوهُ عَقْلَ رِعَايَةٍ لاَ عَقْلَ رِوَايَةٍ، فَإِنَّ رُوَاةَ الْعِلْمِ كَثِيرٌ، وَ رُعَاتَهُ قَلِيلٌ.

যখন তুমি কোন হাদিস শোন তখন বুদ্ধিমত্তার সাথে তা পরীক্ষা করো ,কারণ হাদিস বর্ণনাকারী জ্ঞানী লোকের সংখ্যা অনেক কিন্তু হাদিসের সঠিকতা রক্ষাকারীর সংখ্যা খুবই কম।

উক্তি নং - ৯৯

وَ قَدْ سَمِعَ رَجُلاً يَقُولُ:( إِنّا لِلّهِ وَ إِنّا إِلَيْهِ ر اجِعُونَ ) فَقَالَعليه‌السلام : إِنَّ قَوْلَنَا؛ «إِنّا لِلّهِ» إِقْرَارٌ عَلَى أَنْفُسِنَا بِالْمُلْكِ؛ وَ قَوْلَنَا: «وَ إِنّا إِلَيْهِ ر اجِعُونَ» إِقْرَارٌ عَلَى أَنْفُسِنَا بِالْهُلْكِ.

এক ব্যক্তিকে ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন ” (কুরআন - ২ : ১৫৬) পড়তে শুনে আমিরুল মোমেনিন বললেন ,আমরা ইন্নানিল্লাহি ” বলে আল্লাহর সার্বভৌমত্বকে এবং ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন ” বলে আমাদের মরণশীলতাকে স্বীকার করছি।

উক্তি নং - ১০০

وَ قَالَعليه‌السلام : وَ قَدْ مَدَحَهُ قَوْمٌ فِي وَجْهِهِ، فقال: اللَّهُمَّ إِنَّكَ أَعْلَمُ بِي مِنْ نَفْسِي، وَ أَنَا أَعْلَمُ بِنَفْسِي مِنْهُمْ، اللَّهُمَّ اجْعَلْنَا خَيْراً مِمَّا يَظُنُّونَ وَ اغْفِرْ لَنَا مَا لاَ يَعْلَمُونَ.

কতিপয় ব্যক্তি আমিরুল মোমেনিনের সামনে তার প্রশংসা করলে তিনি বললেন ,হে আমার আল্লাহ ,তুমি আমাকে আমার চেয়ে অনেক বেশি জান এবং আমি আমার নিজকে তাদের চেয়ে বেশি জানি। হে আমার আল্লাহ ,তারা যতটুকু চিন্তা করে তার চেয়ে অধিক ভালো তুমি আমাদের করে দাও এবং তারা যা জানে না সে বিষয়ে আমাদের ক্ষমা করে দাও ।