নাহজ আল-বালাঘা

নাহজ আল-বালাঘা0%

নাহজ আল-বালাঘা লেখক:
: জেহাদুল ইসলাম
প্রকাশক: র‌্যামন পাবলিশার্স
বিভাগ: হযরত আলী (আ.)

নাহজ আল-বালাঘা

লেখক: আশ-শরীফ আর-রাজী
: জেহাদুল ইসলাম
প্রকাশক: র‌্যামন পাবলিশার্স
বিভাগ:

ভিজিট: 119928
ডাউনলোড: 7298

নাহজ আল-বালাঘা
বইয়ের বিভাগ অনুসন্ধান
  • শুরু
  • পূর্বের
  • 48 /
  • পরের
  • শেষ
  •  
  • ডাউনলোড HTML
  • ডাউনলোড Word
  • ডাউনলোড PDF
  • ভিজিট: 119928 / ডাউনলোড: 7298
সাইজ সাইজ সাইজ
নাহজ আল-বালাঘা

নাহজ আল-বালাঘা

লেখক:
প্রকাশক: র‌্যামন পাবলিশার্স
বাংলা

রাসূলের (সা.) ‘জ্ঞান নগরীর দ্বার’ আমিরুল মোমেনিন আলী ইবনে আবি তালিব ছিলেন তত্ত্বজ্ঞানী, দার্শনিক, সুলেখক ও বাগ্মী। আলঙ্কারিক শাস্ত্রে তার পান্ডিত্য ও নৈপুন্য অসাধারণ। তিনি নবুওয়াতী জ্ঞান ভান্ডার হতে সরাসরি জ্ঞান আহরণ করেন এবং সাহাবাদের মধ্যে তিনি শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী পন্ডিত ছিলেন। এতে কারো দ্বিমত নেই। আরবী কাব্যে ও সাহিত্যে তার অনন্যসাধারণ অবদান ছিল। খেলাফত পরিচালনা কালে তিনি বিভিন্ন বিষয়ে ভাষণ (খোৎবা) দিয়েছিলেন এবং বিভিন্ন এলাকার প্রশাসকগণকে প্রশাসনিক বিষয়ে উপদেশ ও নির্দেশ দিয়ে পত্র লিখেছিলেন। এমনকি বিভিন্ন সময়ে মানুষের অনেক প্রশ্নের সংক্ষিপ্ত জবাব দিয়েছিলেন। তার এসব বাণী কেউকেউ লিখে রেখেছিল, কেউ কেউ মনে রেখেছিল, আবার কেউ কেউ তাদের লিখিত পুস্তকে উদ্ধৃত করেছিল। মোটকথা তার অমূল্য বাণীসমূহ মানুষের কাছে ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় ছিল।

আশ-শরীফ আর-রাজী আমিরুল মোমেনিন আলী ইবনে আবি তালিবের ভাষণসমূহ (খোৎবা), পত্রাবলী, নির্দেশাবলী ও উক্তিসমূহ সংগ্রহ করে “নাহজ আল-বালঘা” নামক গ্রন্থটি সঙ্কলন করেন।

উক্তি , উপদেশ ও প্রবাদ ১৬১ - ১৮০

উক্তি নং - ১৬১

وَ قَالَعليه‌السلام : مَنِ اسْتَبَدَّ بِرَأْيِهِ هَلَكَ، وَ مَنْ شَاوَرَ الرِّجَالَ شَارَكَهَا فِي عُقُولِهَا.

যে ব্যক্তি শুধুমাত্র নিজের মতামতের উপর নির্ভর করে কাজ করে সে সহজেই ধ্বংস প্রাপ্ত হয় এবং যে অন্যদের সাথে পরামর্শ করে সে অন্যদের বুদ্ধি - বিবেচনার সুফল প্রাপ্ত হয়।

উক্তি নং - ১৬২

وَ قَالَعليه‌السلام : مَنْ كَتَمَ سِرَّهُ كَانَتِ الْخِيَرَةُ بِيَدِهِ.

যে নিজের গুপ্ত বিষয় রক্ষা করে সে নিজের হাতেই নিয়ন্ত্রণ সংরক্ষণ করে।

উক্তি নং - ১৬৩

وَ قَالَعليه‌السلام : الْفَقْرُ الْمَوْتُ الْأَكْبَرُ.

নিঃসঙ্গতা হলো বড় মৃত্যু।

উক্তি নং - ১৬৪

وَ قَالَعليه‌السلام : مَنْ قَضَى حَقَّ مَنْ لاَ يَقْضِي حَقَّهُ فَقَدْ عَبَدَهُ.

যে ব্যক্তি নিজের অধিকার পরিপূর্ণ করে না অথচ অন্য লোকের অধিকার পরিপূরণ করে সে যেন তার পূজা করলো।

উক্তি নং - ১৬৫

وَ قَالَعليه‌السلام : لاَ طَاعَةَ لِمَخْلُوقٍ فِي مَعْصِيَةِ الْخَالِقِ.

যে আল্লাহর আদেশের বিরুদ্ধে চলে তাকে মান্য করার কোন কারণ থাকতে পারে না।

উক্তি নং - ১৬৬

وَ قَالَعليه‌السلام : لاَ يُعَابُ الْمَرْءُ بِتَأْخِيرِ حَقِّهِ، إِنَّمَا يُعَابُ مَنْ أَخَذَ مَا لَيْسَ لَهُ.

নিজের অধিকার আদায়ে বিলম্বের জন্য কাউকে দোষারোপ করা যায় না। কিন্তু যা সে প্রাপ্য নয় তা গ্রহণ করলে দোষারোপ করা যায় ।

উক্তি নং - ১৬৭

وَ قَالَعليه‌السلام : الْإِعْجَابُ يَمْنَعُ الاِزْدِيَادَ.

আত্মশ্লাঘা প্রগতির পথ রোধক।

উক্তি নং - ১৬৮

وَ قَالَعليه‌السلام : الْأَمْرُ قَرِيبٌ، وَ الاِصْطِحَابُ قَلِيلٌ.

শেষ বিচারের দিন সন্নিকটে এবং আমাদের পারস্পরিক সহচর্য অত্যাল্প সময়ের জন্য।

উক্তি নং - ১৬৯

وَ قَالَعليه‌السلام : قَدْ أَضَأَ الصُّبْحُ لِذِي عَيْنَيْنِ.

চক্ষুষ্মানগণ দেখতে পায় প্রভাত হয়ে গেছে।

উক্তি নং - ১৭০

وَ قَالَعليه‌السلام : تَرْكُ الذَّنْبِ أَهْوَنُ مِنْ طَلَبِ التَّوْبَةِ.

পাপ করে তওবা করার চেয়ে পাপ হতে বিরত থাকা সহজতর।

উক্তি নং - ১৭১

وَ قَالَعليه‌السلام : كَمْ مِنْ أَكْلَةٍ تَمْنُعُ أَكَلاَتٍ!

অধিক ভোজন বিভিন্ন ভোজন বিনষ্ট করে (আরবী প্রবাদ)

উক্তি নং - ১৭২

وَ قَالَعليه‌السلام : النَّاسُ أَعْدَأُ مَا جَهِلُوا.

মানুষ সে বিষয়ের শত্রু যা সে জানে না।

উক্তি নং - ১৭৩

وَ قَالَعليه‌السلام : مَنِ اسْتَقْبَلَ وُجُوهَ الْآرَأِ عَرَفَ مَوَاقِعَ الْخَطَإِ.

যে ব্যক্তি বিভিন্ন লোকের মতামত গ্রহণ করে সে চোরা - গর্তের ফাঁদ বুঝতে পারে।

উক্তি নং - ১৭৪

وَ قَالَعليه‌السلام : مَنْ أَحَدَّ سِنَانَ الْغَضَبِ لِلَّهِ قَوِيَ عَلَى قَتْلِ أَشِدَّاءِ (أشدّ) الْبَاطِلِ.

যে ব্যক্তি আল্লাহর খাতিরে ক্রোধের দাঁতে ধার দেয় সে অন্যায়ের পলোয়ানকেও হত্যা করার শক্তি অর্জন করে ।

উক্তি নং - ১৭৫

وَ قَالَعليه‌السلام : إِذَا هِبْتَ أَمْرا فَقَعْ فِيهِ، فَإِنَّ شِدَّةَ تَوَقِّيهِ أَعْظَمُ مِمَّا تَخَافُ مِنْهُ.

যখন কোন কিছুতে ভয় পাবে সোজা তার গভীরে প্রবেশ করবে। কারণ তুমি যতটুকু ভয় পাও তার অনেক বেশি হলো তা থেকে দূরে থাকার প্রবণতা।

উক্তি নং - ১৭৬

وَ قَالَعليه‌السلام : آلَةُ الرِّيَاسَةِ سَعَةُ الصَّدْرِ.

উচ্চ কর্তৃত্ব লাভ করার উপায় হলো বুকের প্রশস্ততা (অর্থাৎ উদারতা) ।

উক্তি নং - ১৭৭

وَ قَالَعليه‌السلام : ازْجُرِ الْمُسِيءَ بِثَوَابِ الْمُحْسِنِ.

যারা ভালো কাজ করে তাদেরকে পুরস্কৃত করে কুকর্মকারীকে তিরস্কার কর ।

উক্তি নং - ১৭৮

وَ قَالَعليه‌السلام : احْصُدِ الشَّرَّ مِنْ صَدْرِ غَيْرِكَ بِقَلْعِهِ مِنْ صَدْرِكَ.

নিজের হৃদয়ের মন্দকে তাড়িয়ে দিয়ে অন্যের হৃদয়ের মন্দ কেটে ফেল।

উক্তি নং - ১৭৯

وَ قَالَعليه‌السلام : اللَّجَاجَةُ تَسُلُّ الرَّأْيَ.

একগুয়োমী উপদেশ বিফল করে ।

উক্তি নং - ১৮০

وَ قَالَعليه‌السلام : الطَّمَعُ رِقُّ مُؤَبَّدٌ.

লোভ হলো স্থায়ী দাসত্ব।

উক্তি , উপদেশ ও প্রবাদ ১৮১ - ২০০

উক্তি নং - ১৮১

وَ قَالَعليه‌السلام : ثَمَرَةُ التَّفْرِيطِ النَّدَامَةُ، وَ ثَمَرَةُ الْحَزْمِ السَّلاَمَةُ.

অবহেলা করার ফল হলো লজ্জা আর দূরদর্শীতার ফল হলো নিরাপত্তা।

উক্তি নং - ১৮২

وَ قَالَعليه‌السلام : لاَ خَيْرَ فِي الصَّمْتِ عَنِ الْحُكْمِ، كَمَا أَنَّهُ لاَ خَيْرَ فِي الْقَوْلِ بِالْجَهْلِ.

জ্ঞানের বিষয়ে নীরব থাকায় কোন সুফল নেই। যেমন নিবুর্দ্ধিতার বিষয়ে কথা বলে কোন কল্যাণ হয় না।

উক্তি নং - ১৮৩

وَ قَالَعليه‌السلام : مَا اخْتَلَفَتْ دَعْوَتَانِ إِلا كَانَتْ إِحْدَاهُمَا ضَلاَلَةً.

যদি দুটি বিপরীত ডাক আসে। তবে অবশ্যই একটি বিপদগামিতার।

উক্তি নং - ১৮৪

وَ قَالَعليه‌السلام : مَا شَكَكْتُ فِي الْحَقِّ مُذْ أُرِيتُهُ.

ন্যায়ের ব্যাপারে আমি কখনো সন্দেহের বশীভূত হইনি কারণ আমাকে তা দেখিয়ে দেয়া হতো।

উক্তি নং - ১৮৫

وَ قَالَعليه‌السلام : مَا كَذَبْتُ وَ لاَ كُذِّبْتُ، وَ لاَ ضَلَلْتُ وَ لاَ ضُلَّ بِي.

আমি কখনো মিথ্যা বলিনি এবং আমাকেও মিথ্যা বলা হয়নি। আমি কখনো পথভ্রষ্ট হইনি এবং কাউকে পথভ্রষ্ট করিনি।

উক্তি নং - ১৮৬

وَ قَالَعليه‌السلام : لِلظَّالِمِ الْبَادِي غَدا بِكَفِّهِ عَضَّةٌ.

অত্যাচারে যে নেতৃত্ব দেয় পরে সে অনুশোচনায় নিজের হাত কামড়ায়।

উক্তি নং - ১৮৭

وَ قَالَعليه‌السلام : الرَّحِيلُ وَشِيكٌ.

মনে রেখো ,এ পৃথিবী থেকে প্রস্থানের সময় অত্যাসন্ন।

উক্তি নং - ১৮৮

وَ قَالَعليه‌السلام : مَنْ أَبْدَى صَفْحَتَهُ لِلْحَقِّ هَلَكَ.

ন্যায়ের পথ থেকে মুখ ফেরালে ধ্বংস অনিবার্য।

উক্তি নং - ১৮৯

وَ قَالَعليه‌السلام : مَنْ لَمْ يُنْجِهِ الصَّبْرُ أَهْلَكَهُ الْجَزَعُ.

ধৈর্য যদি কাউকে নিবৃত্তি দিতে না পারে তবে অধৈর্য তাকে হত্যা করে।

উক্তি নং - ১৯০

وَ قَالَعليه‌السلام : وَا عَجَبَا أَ تَكُونُ الْخِلاَفَةُ بِالصَّحَابَةِ، وَ لا تَكُونُ بِالصَّحابَةِ وَ الْقَرَابَةِ؟! وَ رُوِىَّ لَهُ شِعْرُ في هذا الْمَعْنى وَ هُوَ:

فَإِنْ كُنْتَ بِالشُّورى مَلَكْتَ أُمُورَهُمْ

فَكَيْفَ بِهذا وَ المُشِيرُونَ غُيِّبُ

وِ إِنْ كُنْتُ بِالْقُرْبى حَجَجْتَ خَصِيمَهُمْ

فَغَيْرُكَ أَوْلى بِالنَّبِىٍِّّ وِ أَقْرِبُ

কী আশ্চর্য! খেলাফত কি রাসূলের (সা.) সাহাবা ও জ্ঞাতিদের মাঝে না গিয়ে শুধু সাহাবাদরে মধ্যে যেতে পারে ? এ বিষয়ে অন্য একটি কবিতাও রয়েছে ,

যদি তোমরা দাবী কর যে পরামর্শের মাধ্যমে খেলাফতের কর্তৃত্ব লাভ করা যায় তা হলে কী করে এটা ঘটলো যে ,যাদের সঙ্গে পরামর্শ করা প্রয়োজন ছিল তারা সবাই অনুপস্থিত। আর যখন তোমরা রাসূলের (সা.) জ্ঞাতিত্বের দোহাই দিয়ে বিরুদ্ধ পক্ষকে নিবৃত্ত করলে তখন তোমাদের চেয়ে রাসূলের নিকটতম আত্মীয়ের অধিকার কী ভাবে কেড়ে নিলে।

__________________

১। আইজুদ্দিন আবদুল হামিদ ইবনে হিবাতুল্লাহ্ (৫৮৬/১১৯০ - ৬৫৫/১২৫৭) এর উদ্ধৃতি দিয়ে ইবনে আবিল হাদীদ লিখেছেনঃ

আমিরুল মোমেনিন তাঁর এ বক্তব্যে আবু বকর ও উমরকে বুঝিয়েছেন । সকিফার দিনে আবু বকর উমরকে বললেন , তোমার হাত বাড়াও আমি আনুগত্যের শপথ করি। ” উমর উত্তর দিলেন সর্ব অবস্থায় আপনি আল্লাহর রাসূলের সাহাবা - তাঁর আরাম - আয়েশে - তার দুঃখ দুর্দিনে সুতরাং আপনার হাত বাড়ান ৷ ” উমরের এ উক্তির প্রেক্ষিতেই আলী বলেন রাসূলের (সা.) সাহাবা হবার যুক্তি দেখিয়ে যদি তুমি খেলাফতের জন্য আবু বকরকে উপযুক্ত মনে কর। তবে তা আমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য মনে কর নি কেন ? অথচ আমি আবু বকরের চেয়ে অনেক বেশি রাসূলের সুখ - দুঃখে সাথী ছিলাম এবং আবু বকরের চেয়ে রাসূলের অনেক বেশি ঘনিষ্ঠ আত্নীয় । ” আবু বকর সকিফার দিনে আনসারদেরকে বলেছিলেন , আমরা কুরাইশরা আল্লাহর রাসূলের জ্ঞাতি এবং একই বংশোদ্ভুত । কাজেই আমরাই খেলাফতের জন্য প্রকৃত উত্তরাধিকারী । একটি ক্ষুদ্র দল কর্তৃক অনুগত্যের শপথের পর আবু বকর মুসলিমদের বলতেন যে ,তার খেলাফতকে সকলেই খুশি মনে মেনে নিতে হবে । কারণ আহলুল হাল্লি ওয়াল অকদ (সে দল যারা কোন বিষয়ে বন্ধন দিতে ও বন্ধন খুলতে ক্ষমতাবান অর্থাৎ বৃহত্তর দল বা যারা সকিফায় উপস্থিত ছিল) দ্বারা এটা স্বীকৃত আবু বকরের এ দাবীর প্রেক্ষিতে আলী বললেন , তুমি বংশোদ্ভূত বলে খেলাফত দাবী করছে। অথচ রাসূলের নিকটতম আত্নীয়কে বঞ্চিত করছে এবং যেক্ষেত্রে সকিফায় অধিকাংশ সাহাবা অনুপস্থিত ছিলেন ও তোমার প্রতি আনুগত্যের শপথ গ্রহণ করেনি । সেক্ষেত্রে তুমি আহিলুল হাল্লি ওয়াল আকদ কিভাবে দাবী করছো ? (হাদীদ ,১৮শ খণ্ড ,পৃঃ ৫১৬) ।

উক্তি নং - ১৯১

وَ قَالَعليه‌السلام : إِنَّمَا الْمَرْءُ فِي الدُّنْيَا غَرَضٌ تَنْتَضِلُ فِيهِ الْمَنَايَا، وَ نَهْبٌ تُبَادِرُهُ الْمَصَائِبُ، وَ مَعَ كُلِّ جُرْعَةٍ شَرَقٌ، وَ فِي كُلِّ أَكْلَةٍ غُصَصٌ، وَ لاَ يَنَالُ الْعَبْدُ نِعْمَةً إِلا بِفِرَاقِ أُخْرَى، وَ لاَ يَسْتَقْبِلُ يَوْما مِنْ عُمُرِهِ إِلا بِفِرَاقِ آخَرَ مِنْ أَجَلِهِ. فَنَحْنُ أَعْوَانُ الْمَنُونِ، وَ أَنْفُسُنَا نَصْبُ الْحُتُوفِ، فَمِنْ أَيْنَ نَرْجُو الْبَقَأَ وَ هَذَا اللَّيْلُ وَ النَّهَارُ لَمْ يَرْفَعَا مِنْ شَيْءٍ شَرَفا إِلا أَسْرَعَا الْكَرَّةَ فِي هَدْمِ مَا بَنَيَا وَ تَفْرِيقِ مَا جَمَعَا؟!

এ পৃথিবীতে মানুষ মৃত্যু - তীরের লক্ষ্যস্থল এবং সম্পদ ধ্বংস হয়ে দুঃখ - দুর্দশার দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এখানে প্রতি ঢোক পানীয় শ্বাসরুদ্ধকর এবং প্রতি গ্রাস খাদ্য গলায় আটকে পড়ার মত। এখানে একটা না হারালে কেউ আরেকটা পায় না এবং কারো একটা দিন জীবন থেকে খসে না পড়লে আরেকটা দিন এগিয়ে আসে না। আমরা মৃত্যুর সহায়তাকারী এবং আমরা মরণশীলতার লক্ষ্যবস্তু। তাহলে কী করে আমরা চিরস্থায়ী জীবন আশা করতে পারি। দিবা - রাত্র এতে যা নির্মিত হচ্ছে তা ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং যা তারা জোড়া লাগাচ্ছে তা বিভক্ত হয়ে পড়ছে।

উক্তি নং - ১৯২

وَ قَالَعليه‌السلام : يَا ابْنَ آدَمَ مَا كَسَبْتَ فَوْقَ قُوتِكَ فَأَنْتَ فِيهِ خَازِنٌ لِغَيْرِكَ.

হে আদম সন্তান ,মৌলিক চাহিদার বেশি যা কিছু তোমরা অর্জন কর তাতে তোমরা শুধুমাত্র অন্যের জন্য সতর্ক প্রহরী।

উক্তি নং - ১৯৩

إِنَّ لِلْقُلُوبِ شَهْوَةً وَ إِقْبَالاً وَ إِدْبَارا فَأْتُوهَا مِنْ قِبَلِ شَهْوَتِهَا وَ إِقْبَالِهَا، فَإِنَّ الْقَلْبَ إِذَا أُكْرِهَ عَمِيَ.

হৃদয় কামনা - বাসনায় রঞ্জিত হয়ে থাকে এবং আগুপিছু করার ক্ষমতা রাখে। সুতরাং আবেগ প্রবণ অবস্থায় এবং এগুনোর মনোভাব হলেই তাকে আমলে প্রবৃত্ত কর ,কারণ যদি কিছু করতে হৃদয়কে বাধ্য কর। তবে হৃদয়কে অন্ধ করা হবে।

উক্তি নং - ১৯৪

وَ قَالَعليه‌السلام : مَتَى أَشْفِي غَيْظِي إِذَا غَضِبْتُ؟ أَحِينَ أَعْجِزُ عَنِ الاِنْتِقَامِ فَيُقَالُ لِي: لَوْ صَبَرْتَ؟ أَمْ حِينَ أَقْدِرُ عَلَيْهِ، فَيُقَالُ لِي: لَوْ عَفَوْتَ؟

যখন আমি আমার ক্রোধ প্রকাশ করবো। তখন আমাকে রাগান্বিত বলা যাবে। যখন আমি প্রতিশোধ নিতে অসমর্থ হবো। তখন একথা বলা যাবে সহ্য করা অনেক ভালো ” অথবা যখন আমার প্রতিশোধ নেয়ার ক্ষমতা থাকবে তখন বলা যাবে ক্ষমা করা অধিক ভালো । ”

উক্তি নং - ১৯৫

وَ قَالَعليه‌السلام وَ قَدْ مَرَّ بِقَدَرٍ عَلَى مَزْبَلَةٍ: هَذَا مَا بَخِلَ بِهِ الْبَاخِلُونَ. وَ فِي خَبَرٍ آخَرَ أَنَّهُ قَالَ: هَذَا مَا كُنْتُمْ تَتَنَافَسُونَ فِيهِ بِالْأَمْسِ.

একটা ময়লার ড্রামের পাশ দিয়ে যেতে যেতে আমিরুল মোমেনিন মন্তব্য করলেন , এটা হচ্ছে তা যা কৃপণদের দানকুণ্ঠা। ” অন্য এক বর্ণনায় বলা হয়েছে এটা হচ্ছে তা যা নিয়ে তোমরা একে অপরের সাথে গতকাল পর্যন্ত বিরোধ করেছো। ”

উক্তি নং - ১৯৬

وَ قَالَعليه‌السلام : لَمْ يَذْهَبْ مِنْ مَالِكَ مَا وَعَظَكَ.

যে সম্পদ থেকে তুমি শিক্ষা লাভ কর তা কখনো নষ্ট হয় না।

উক্তি নং - ১৯৭

وَ قَالَعليه‌السلام : إِنَّ الْقُلُوبَ تَمَلُّ كَمَا تَمَلُّ الْأَبْدَانُ فَابْتَغُوا لَهَا طَرَائِفَ الْحِكْمَةِ.

শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়লে হৃদয় ক্লান্ত হয়ে যায়। সুতরাং হৃদয়ের জন্য মধুর বক্তব্যের সন্ধান করো এবং তা উপভোগ করে হৃদয়কে তাজা করে তুলো ।

উক্তি নং - ১৯৮

وَ قَالَعليه‌السلام : لَمَّا سَمِعَ قَوْلَ الْخَوَارِجِ (لاَ حُكْمَ إِلا لِلَّهِ):كَلِمَةُ حَقِّ يُرَادُ بِهَا بَاطِلٌ.

খারিজিরা যখন শ্লোগান দিতে লাগলো , আল্লাহ ছাড়া কারো কোন হুকমত নেই ” ,তখন আমিরুল মোমেনিন বললেন , বাক্যটা খুবই সঠিক কিন্তু তারা এর ভুল ব্যাখ্যা করছে। ”

উক্তি নং - ১৯৯

وَ قَالَعليه‌السلام فِي صِفَةِ الْغَوْغَأِ: هُمُ الَّذِينَ إِذَا اجْتَمَعُوا غَلَبُوا، وَ إِذَا تَفَرَّقُوا لَمْ يُعْرَفُوا. وَ قِيلَ: بَلْ قَالَعليه‌السلام : هُمُ الَّذِينَ إِذَا اجْتَمَعُوا ضَرُّوا وَ إِذَا تَفَرَّقُوا نَفَعُوا، فَقِيلَ: قَدْ عَرَفْنَا مَضَرَّةَ اجْتِمَاعِهِمْ، فَمَا مَنْفَعَةُ افْتِرَاقِهِمْ؟ فَقَالَ: يَرْجِعُ أَصْحَابُ الْمِهَنِ إِلَى مِهَنِهِمْ فَيَنْتَفِعُ النَّاسُ بِهِمْ كَرُجُوعِ الْبَنَّأِ إِلَى بِنَائِهِ، وَ النَّسَّاجِ إِلَى مَنْسَجِهِ، وَ آلْخَبَّازِ إِلَى مَخْبَزِهِ.

জনতার জটলা দেখে তিনি বললেন , এরা সেই লোক যারা একত্রিত হলে ঔৎসুক্য দেখায় কিন্তু চলে গেলে আর তাদের চেনা যায় না। ” অন্য এক বর্ণনায় আছে , এরা সেসব লোক যারা একত্রিত হলে ক্ষতি সাধন করে কিন্তু তারা বিভক্ত হয়ে পড়লে উপকার হয়। ” কেউ একজন বললো , একত্রিত হলে তাদের দ্বারা ক্ষতির কথা আমাদের জানা আছে কিন্তু তারা ছড়িয়ে পড়লে তাদের কী উপকার হয় ? আমিরুল মোমেনিন বললেন , শ্রমিকগণ তাদের কাজে ফিরে যায় তাতে মানুষের উপকার হয় - যেমন রাজমিস্ত্রি ইমারতের কাজে ফিরে গেলে ,তাঁতী তার তাতে ফিরে গেলে এবং রুটি প্রস্তুতকারক তার কারখানায় ফিরে গেলে মানুষের উপকার হয়। ”

উক্তি নং - ২০০

وَ قَالَعليه‌السلام وَ أُتِيَ بِجَانٍ وَ مَعَهُ غَوْغَأُ فَقَالَ: لاَ مَرْحَبا بِوُجُوهٍ لاَ تُرَى إِلا عِنْدَ كُلِّ سَوْأَةٍ.

একজন অপরাধীকে আমিরুল মোমেনিনের কাছে নিয়ে আসা হলে তার সাথে একদল লোক এসেছিল। তাতে আমিরুল মোমেনিন মন্তব্য করলেন সেসব মুখে লানত যাদেরকে এসব ভ্রান্ত সময়ে দেখা যায় । ”

উক্তি , উপদেশ ও প্রবাদ ২০১ - ২২০

উক্তি নং - ২০১

وَ قَالَعليه‌السلام : إِنَّ مَعَ كُلِّ إِنْسَانٍ مَلَكَيْنِ يَحْفَظَانِهِ، فَإِذَا جَأَ الْقَدَرُ خَلَّيَا بَيْنَهُ وَ بَيْنَهُ وَ إِنَّ الْأَجَلَ جُنَّةٌ حَصِينَةٌ.

প্রত্যেক ব্যক্তির সাথে দুজন ফেরেশতা রয়েছে যারা তাকে রক্ষা করে। যখন নির্ধারিত ভাগ্যলিপি এসে পড়ে তখন তা নিজের গতিতে তারা ঘটতে দেয়। নিশ্চয়ই ,নির্ধারিত সময় হলো রক্ষা - বর্ম যা কোন কিছু নির্ধারিত সময়ের আগে ঘটতে দেয় না।

উক্তি নং - ২০২

وَ قَالَعليه‌السلام : وَ قَدْ قَالَ لَهُ طَلْحَةُ وَ الزُّبَيْرُ: نُبَايِعُكَ عَلَى أَنَّا شُرَكَاؤُكَ فِي هَذَا الْأَمْرِ: لا، وَ لَكِنَّكُمَا شَرِيكَانِ فِي الْقُوَّةِ وَ الاِسْتِعَانَةِ، وَ عَوْنَانِ عَلَى الْعَجْزِ وَ الْأَوَدِ.

যখন তালহা ও জুবায়ের আমিরুল মোমেনিনকে বললেন , আমরা আপনার আনুগত্যের শপথ গ্রহণ করতে প্রস্তুত আছি। তবে শর্ত হলো আমাদেরকে খেলাফতের অংশীদার করতে হবে। ” আমিরুল মোমেনিন বললেন না ,বরং খেলাফতকে শক্তিশালী করা ও সহায়তা করায় তোমাদের অংশ থাকবে এবং আমার প্রয়োজনে ও বিপদের সময়ে আমাকে সহায়তা করবে।

উক্তি নং - ২০৩

وَ قَالَعليه‌السلام : أَيُّهَا النَّاسُ، اتَّقُوا اللَّهَ الَّذِي إِنْ قُلْتُمْ سَمِعَ، وَ إِنْ أَضْمَرْتُمْ عَلِمَ، وَ بَادِرُوا الْمَوْتَ الَّذِي إِنْ هَرَبْتُمْ أَدْرَكَكُمْ، وَ إِنْ أَقَمْتُمْ أَخَذَكُمْ، وَ إِنْ نَسِيتُمُوهُ ذَكَرَكُمْ.

হে জনমণ্ডলী ,আল্লাহকে ভয় কর । কারণ তিনি এমন যে ,যা তোমরা বল তিনি শোনেন এবং যে সব গুপ্ত বিষয় তোমরা গোপন কর তা তিনি জানেন। মৃত্যুর জন্য নিজকে প্রস্তুত কর। যদিও তুমি দৌড়ে পালাতে চাও তবুও মৃত্যু তোমাকে পাকড়াও করবে। তুমি থাকতে চাইলেও মৃত্যু তোমাকে ধরে নিয়ে যাবে। তুমি ভুলে থাকলেও মৃত্যু তোমাকে ভুলবে না।

উক্তি নং - ২০৪

وَ قَالَعليه‌السلام : يزهِّدَنَّكَ فِي الْمَعْرُوفِ مَنْ لاَ يَشْكُرُهُ لَكَ، فَقَدْ يَشْكُرُكَ عَلَيْهِ مَنْ لاَ يَسْتَمْتِعُ بِشَيْءٍ مِنْهُ وَ قَدْ تُدْرِكُ مِنْ شُكْرِ الشَّاكِرِ أَكْثَرَ مِمَّا أَضَاعَ الْكَافِرُ،( وَ اللّهُ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ ) .

কেউ তোমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করলে তা যেন তোমার সৎ আমলে বাধার সৃষ্টি না করে ,কারণ তোমার সৎকাজের জন্য এমন লোকও তোমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারে ,যে তোমার কাছ থেকে কোন উপকার পায়নি এবং অস্বীকারকারীর অকৃতজ্ঞতা থেকে তার কৃতজ্ঞতা অনেক বেশি হতে পারে। আল্লাহ্ তাদের ভালোবাসেন যারা সৎ আমল কর (কুরআন - ৩ : ১৩৪ ,১৪৮ ,৫ : ৯৩)

উক্তি নং - ২০৫

وَ قَالَعليه‌السلام : كُلُّ وِعَاءٍ يَضِيقُ بِمَا جُعِلَ فِيهِ إِلا وِعَاءَ الْعِلْمِ، فَإِنَّهُ يَتَّسِعُ بِهِ.

প্রত্যেক পাত্রেরই ধারণ ক্ষমতা কমে আসে যতই তাতে কোন কিছু রাখা হয়। কিন্তু জ্ঞান হলো এর বিপরীত যার ধারণ ক্ষমতা ক্রমেই বেড়ে যায়।

উক্তি নং - ২০৬

وَ قَالَعليه‌السلام : أَوَّلُ عِوَضِ الْحَلِيمِ مِنْ حِلْمِهِ أَنَّ النَّاسَ أَنْصَارُهُ عَلَى الْجَاهِلِ.

যে ধৈর্য ধারণ করা অভ্যাস করে তার প্রথম পুরস্কার হলো মানুষ তার সাহায্যকারী হয়।

উক্তি নং - ২০৭

وَ قَالَعليه‌السلام : إِنْ لَمْ تَكُنْ حَلِيماً فَتَحَلَّمْ؛ فَإِنَّهُ قَلَّ مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ إِلَّا أَوْشَكَ أَنْ يَكُونَ مِنْهُمْ.

যদি তুমি ধৈর্য ধারণ করতে না পার তবে ধৈর্যের ভান করো কারণ এতে ধৈর্য ধারণের অভ্যাস আস্তে আস্তে তোমাতে জন্মাতে পারে।

উক্তি নং - ২০৮

وَ قَالَعليه‌السلام : مَنْ حَاسَبَ نَفْسَهُ رَبِحَ، وَ مَنْ غَفَلَ عَنْهَا خَسِرَ، وَ مَنْ خَافَ أَمِنَ، وَ مَنِ اعْتَبَرَ أَبْصَرَ، وَ مَنْ أَبْصَرَ فَهِمَ، وَ مَنْ فَهِمَ عَلِمَ.

যে নিজের কর্মকাণ্ডের হিসাব - নিকাশ করে সে উপকৃত হয় ;আর যে বেমালুম থাকে তার ভোগান্তি হয়। যে ভয় করে সে নিরাপদ থাকে। যে উপদেশ গ্রহণ করে (চারপাশের বস্তু থেকে) সে আলোর সন্ধান পায়। যে আলোর সন্ধান পায় তার বোধগম্যতা হয় ;যার বোধগম্যতা হয়। সে জ্ঞান অর্জন করতে পারে।

উক্তি নং - ২০৯

وَ قَالَعليه‌السلام : لَتَعْطِفَنَّ الدُّنْيَا عَلَيْنَا بَعْدَ شِمَاسِهَا عَطْفَ الضَّرُوسِ عَلَى وَلَدِهَا، وَ تَلاَ عَقِيبَ ذَلِكَ( وَ نُرِيدُ أَنْ نَمُنَّ عَلَى الَّذِينَ اسْتُضْعِفُوا فِي الْأَرْضِ وَ نَجْعَلَهُمْ أَئِمَّةً وَ نَجْعَلَهُمُ الْو ارِثِينَ ) .

এ দুনিয়া আমাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে না পেরে আমাদের প্রতি এমনভাবে বেঁকে পড়েছে যেমন করে উষ্ট্রী তার শাবকের প্রতি বেঁকে পড়ে কামড়াতে আসে। তারপর আমিরুল মোমেনিন তেলওয়াত করলেন এবং পৃথিবীতে যাদের দুর্বল মনে করা হচ্ছে তাদের ওপর আমাদের নেয়ামত দান করি এবং তাদেরকে ইমাম করি এবং তাদেরকে দেশের অধিকারী করি। ” (কুরআন ২৮: ৫) ।

উক্তি নং - ২১০

وَ قَالَعليه‌السلام : اتَّقُوا اللَّهَ تَقِيَّةَ مَنْ شَمَّرَ تَجْرِيدا، وَ جَدَّ تَشْمِيرا، وَ أَكَمَّشَ فِي مَهَلٍ، وَ بَادَرَ عَنْ وَجَلٍ، وَ نَظَرَ فِي كَرَّةِ الْمَوْئِلِ، وَ عَاقِبَةِ الْمَصْدَرِ، وَ مَغَبَّةِ الْمَرْجِعِ.

আল্লাহকে সে লোকের মতো ভয় কর যে জাগতিক কর্মকাণ্ড থেকে নিজকে তুলে নিয়ে প্রস্তুত হচ্ছে এবং এ পথে প্রস্তুত হয়ে চেষ্টা করছে এবং তারপর জীবনের অবশিষ্ট সময়ে দ্রুত আমল করছে ,বিপদের আশঙ্কায় তাড়াহুড়া করছে এবং তার দৃষ্টি লক্ষ্যস্থলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ,যাত্রার শেষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং প্রত্যাবর্তন স্থলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

উক্তি নং - ২১১

وَ قَالَعليه‌السلام : الْجُودُ حَارِسُ الْأَعْرَاضِ، وَ الْحِلْمُ فِدَامُ السَّفِيهِ، وَ الْعَفْوُ زَكَاةُ الظَّفَرِ، وَ السُّلُوُّ عِوَضُكَ مِمَّنْ غَدَرَ، وَ الاِسْتِشَارَةُ عَيْنُ الْهِدَايَةِ، وَ قَدْ خَاطَرَ مَنِ اسْتَغْنَى بِرَأْيِهِ، وَ الصَّبْرُ يُنَاضِلُ الْحِدْثَانَ، وَ الْجَزَعُ مِنْ أَعْوَانِ الزَّمَانِ، وَ أَشْرَفُ الْغِنَى تَرْكُ الْمُنَى، وَ كَمْ مِنْ عَقْلٍ أَسِيرٍ عِنْدَ هَوَى أَمِيرٍ، وَ مِنَ التَّوْفِيقِ حِفْظُ التَّجْرِبَةِ، وَ الْمَوَدَّةُ قَرَابَةٌ مُسْتَفَادَةٌ، وَ لاَ تَأْمَنَنَّ مَلُولاً.

উদারতা সম্মানের রক্ষক ,ধৈর্য বোকার লাগাম ;ক্ষমা কৃতকার্যতার ধার্যকৃত করা। অসম্মান বিশ্বাসঘাতকের শাস্তি ;এবং আলাপ - পরামর্শ হেদায়তের প্রধান পথ। যে নিজের মতামতে তৃপ্ত হয় সে বিপদে পড়ে। সহীষ্ণুতা বিপদে সাহস যোগায়। সবচেয়ে বড় তৃপ্তি হলো আকাঙ্খা পরিত্যাগ করা। আকাঙ্খাকে পরাভূত করে অনেক দাসতুল্য ব্যক্তিও উন্নতি লাভ করেছে। ক্ষমতা অভিজ্ঞতা সংরক্ষণ করে। ভালোবাসা মানে হলো সুদৃঢ় আত্মীয়তা। শোকাহতকে বিশ্বাস করো না ।

উক্তি নং - ২১২

وَ قَالَعليه‌السلام : عُجْبُ الْمَرْءِ بِنَفْسِهِ أَحَدُ حُسَّادِ عَقْلِهِ.

মানুষের আত্মশ্লাঘা তার বুদ্ধিমত্তার শত্রু।

উক্তি নং - ২১৩

وَ قَالَعليه‌السلام : أَغْضِ عَلَى الْقَذَى وَ اِلاَّلَمْ تَرْضَ أَبَدا.

বেদনা উপেক্ষা করে চলো ;তা না হলে কখনও সুখী হতে পারবে না। (অন্য বর্ণনায়ঃ শোকদুঃখ - বেদনা উপেক্ষা করলে তুমি সর্বদা সুখী হতে পারবে) ।

উক্তি নং - ২১৪

وَ قَالَعليه‌السلام : مَنْ لاَنَ عُودُهُ كَثُفَتْ أَغْصَانُهُ.

যে গাছের গুড়ি নরম তার শাখা ঘন হয়।

____________________

১ । এটা একটি আরবী প্রবাদ। এর অর্থ হলো কোন উদ্ধত ও বদমেজাজি লোক তার চারপাশের কাউকে খুশি করতে পারে না ,অপরপক্ষে সুভাষী ও নরম মেজাজের লোকের সান্নিধ্যে অনেকেই এসে তার বন্ধু হয়ে যায়।

উক্তি নং - ২১৫

وَ قَالَعليه‌السلام : الْخِلاَفُ يَهْدِمُ الرَّأْيَ.

বিরোধিতা সৎপরামর্শকে বিনষ্ট করে ।

উক্তি নং - ২১৬

وَ قَالَعليه‌السلام : مَنْ نَالَ اسْتَطَالَ.

যে উদারভাবে দান করে সে প্রতিপত্তি লাভ করে (অন্য বর্ণনায়ঃ যে প্রতিপত্তি লাভ করে সে এর অপব্যবহার শুরু করে) ।

উক্তি নং - ২১৭

وَ قَالَعليه‌السلام : فِي تَقَلُّبِ الْأَحْوَالِ عِلْمُ جَوَاهِرِ الرِّجَالِ.

পরিবর্তিত অবস্থায় মানুষের মেজাজ জানা যায়।

উক্তি নং - ২১৮

وَ قَالَعليه‌السلام : حَسَدُ الصَّدِيقِ مِنْ سُقْمِ الْمَوَدَّةِ.

বন্ধুর হিংসাবৃত্তি তার ভালোবাসার ক্রটিই প্রকাশ করে।

উক্তি নং - ২১৯

وَ قَالَعليه‌السلام : أَكْثَرُ مَصَارِعِ الْعُقُولِ تَحْتَ بُرُوقِ الْمَطَامِعِ.

লোভের কারণে বুদ্ধিমত্তার ঘাটতি দেখা দেয়।

উক্তি নং - ২২০

وَ قَالَعليه‌السلام : لَيْسَ مِنَ الْعَدْلِ الْقَضَأُ عَلَى الثِّقَةِ بِالظَّنِّ.

সম্ভাব্যতার উপর নির্ভর করে রায় দিলে তাতে ন্যায় বিচার হয় না।

উক্তি , উপদেশ ও প্রবাদ ২২১ - ২৪০

উক্তি নং - ২২১

وَ قَالَعليه‌السلام : بِئْسَ الزَّادُ إِلَى الْمَعَادِ، الْعُدْوَانُ عَلَى الْعِبَادِ.

বিচার দিনের নিকৃষ্টতম রসদ হলো মানুষের প্রতি স্বেচ্ছাচারিতা।

উক্তি নং - ২২২

وَ قَالَعليه‌السلام : مِنْ أَشْرَفِ أَفْعالِ الْكَرِيمِ غَفْلَتُهُ عَمَّا يَعْلَمُ.

মহৎ লোকের উচ্চতম কাজ হলো সে যা জানে তা উপেক্ষা করে চলা।

উক্তি নং - ২২৩

وَ قَالَعليه‌السلام : مَنْ كَسَاهُ الْحَيَأُ ثَوْبَهُ لَمْ يَرَ النَّاسُ عَيْبَهُ.

বিনম্রতার পোষাক যে পরেছে (অর্থাৎ বিনয়ী হয়েছে) তার কোন ত্রুটি মানুষ দেখতে পায় না।

উক্তি নং - ২২৪

وَ قَالَعليه‌السلام : بِكَثْرَةِ الصَّمْتِ تَكُونُ الْهَيْبَةُ، وَ بِالنَّصَفَةِ يَكْثُرُ الْوَاصِلُونَ، وَ بِالْإِفْضَالِ تَعْظُمُ الْأَقْدَارُ، وَ بِالتَّوَاضُعِ تَتِمُّ النِّعْمَةُ، وَ بِاحْتِمَالِ الْمُؤَنِ يَجِبُ السُّؤْدُدُ، وَ بِالسِّيرَةِ الْعَادِلَةِ يُقْهَرُ الْمُنَاوِئُ، وَ بِالْحِلْمِ عَنِ السَّفِيهِ تَكْثُرُ الْأَنْصَارُ عَلَيْهِ.

নীরবতার আধিক্য সশঙ্ক মনোভাবের সঞ্চার করে ;ন্যায় বিচার গাঢ় বন্ধুত্ব সৃষ্টি করে ;উদারতা মর্যাদা উন্নত করে ;নম্রতা অনেক আশীর্বাদ বয়ে আনে ,দুঃখ - দুর্দশার মোকাবেলা করে নেতৃত্ব অর্জন করতে হয় ;ন্যায় - সঙ্গত আচরণ করে বিরোধীদের পরাভূত করা যায় এবং মূর্খদের কর্মকাণ্ডে ধৈর্য ধারণ করলে নিজের সমর্থকগণ বিরুদ্ধে যায়।

উক্তি নং - ২২৫

وَ قَالَعليه‌السلام : الْعَجَبُ لِغَفْلَةِ الْحُسَّادِ عَنْ سَلاَمَةِ الْأَجْسَادِ.

এটা একটা অদ্ভুত ব্যাপার যে ,হিংসুকগণ অন্যের স্থুল স্বাস্থ্য নিয়ে হিংসা করে না।

উক্তি নং - ২২৬

وَ قَالَعليه‌السلام : الطَّامِعُ فِي وِثَاقِ الذُّلِّ.

লোভী লোক অপমানের শিকল গলায় পরে।

উক্তি নং - ২২৭

وَ قَدْ سُئِلَ عَنِ الْإِيمَانِ فَقَالَ: الْإِيمَانُ مَعْرِفَةٌ بِالْقَلْبِ، وَ إِقْرَارٌ بِاللِّسَانِ، وَ عَمَلٌ بِالْأَرْكَانِ.

কেউ একজন ইমান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে আমিরুল মোমেনিন বলেন ,ইমান হলো হৃদয়ের প্রশংসা ,কথায় স্বীকৃতি ও অঙ্গ - প্রত্যঙ্গ দ্বারা আমল।

উক্তি নং - ২২৮

وَ قَالَعليه‌السلام : مَنْ أَصْبَحَ عَلَى الدُّنْيَا حَزِينا فَقَدْ أَصْبَحَ لِقَضَأِ اللَّهِ سَاخِطاً، وَ مَنْ أَصْبَحَ يَشْكُو مُصِيبَةً نَزَلَتْ بِهِ فَاِنَّما يَشْكُو رَبَّهُ، وَ مَنْ أَتَى غَنِيّا فَتَوَاضَعَ لَهُ لِغِنَاهُ ذَهَبَ ثُلُثَا دِينِهِ، وَ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ فَمَاتَ فَدَخَلَ النَّارَ فَهُوَ كَانَ مِمَّنْ يَتَّخِذُ آيَاتِ اللَّهِ هُزُواً، وَ مَنْ لَهِجَ قَلْبُهُ بِحُبِّ الدُّنْيَا الْتَاطَ قَلْبُهُ مِنْهَا بِثَلاَثٍ: هَمِّ لاَ يُغِبُّهُ، وَ حِرْصٍ لاَ يَتْرُكُهُ، وَ أَمَلٍ لاَ يُدْرِكُهُ.

এ দুনিয়ার জন্য যারা দুঃখ করে তারা মূলত আল্লাহর বন্টনে নাখোশ। যে আপতিত বিপদ সম্পর্কে বলে বেড়ায় সে তার প্রভুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। যে ধনী লোকদের কাছে গিয়ে তার ধনের কারণে তার প্রতি ঝুকে পড়ে সে তার দ্বীনের দুই - তৃতীয়াংশ হারিয়ে ফেলে। যদি কেউ কুরআন পড়ে এবং মরে গেলে দোযখে যায় তাতে বুঝা যাবে সে আল্লাহর বাণী নিয়ে রসিকতা করেছে। কারো হৃদয় যদি দুনিয়ার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে তাহলে সে হৃদয় তিনটি জিনিস ধারণ করে ,যথা - উদ্বীগ্নতা তাকে ত্যাগ করে না ,লোভ তাকে ছেড়ে যায় না এবং তার আকাঙ্খা কখনও পরিপূর্ণ হয় না।

উক্তি নং - ২২৯

وَ قَالَعليه‌السلام : كَفَى بِالْقَنَاعَةِ مُلْكا، وَ بِحُسْنِ الْخُلُقِ نَعِيماً.

তৃপ্তি জমিদারি স্বরূপ এবং উত্তম নৈতিক চরিত্র আশীর্বাদ স্বরূপ।

উক্তি নং - ২৩০

وَ سُئِلَعليه‌السلام عَنْ قَوْلِ تعالی:( مَنْ عَمِلَ صَالِحًا مِّن ذَكَرٍ أَوْ أُنثَىٰ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلَنُحْيِيَنَّهُ حَيَاةً طَيِّبَةً ) فَقَالَ: هِيَ الْقَنَاعَةُ.

হযরত আলী (আ.)কে পবিত্র কোরআনের এই আয়াত পুরুষ অথবা নারীর মধ্যে যে কেউ সৎকর্ম করে ,আর সে মূমিন হয় ,তবে আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব" । (কুরআন ,১৬ : ৯৭) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন ,এটা দ্বারা তৃপ্তি বুঝানো হয়েছে।

উক্তি নং - ২৩১

وَ قَالَعليه‌السلام : شَارِكُوا الَّذِي قَدْ أَقْبَلَ عَلَيْهِ الرِّزْقُ، فَإِنَّهُ أَخْلَقُ لِلْغِنَى، وَ أَجْدَرُ بِإِقْبَالِ الْحَظِّ عَلَيْهِ.

যার প্রচুর জীবিকার সংস্থান আছে তার অংশীদার হয়ো কারণ তার ধন - সম্পদ আরো বেড়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে যাতে তোমার অংশও বেড়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে ।

উক্তি নং - ২৩২

وَ قَالَعليه‌السلام فِي قَوْلِهِ تعالی:( إِنَّ اللّهَ يَأْمُرُ بِالْعَدْلِ وَ الْإِحْسانِ ) الْعَدْلُ: الْإِنْصَافُ، وَ الْإِحْسَانُ: التَّفَضُّلُ.

নিশ্চয়ই ,আল্লাহ্ ন্যায় বিচার (আদল) ও বদান্যতার (ইহসান) নির্দেশ দিয়েছেন ” (কুরআন ১৬ : ৯০) । আমিরুল মোমেনিন আল্লাহর এ বানী সম্পর্কে বললেন যে ,এখানে আদল অর্থ সুষম বন্টন এবং ইহসান অর্থ হলো আনুকূল্য।

উক্তি নং - ২৩৩

وَ قَالَعليه‌السلام : مَنْ يُعْطِ بِالْيَدِ الْقَصِيرَةِ يُعْطَ بِالْيَدِ الطَّوِيلَةِ.

ক্ষুদ্র দানের জন্য অনেক বড় পুরস্কার পাওয়া যায়।

উক্তি নং - ২৩৪

وَ قَالَعليه‌السلام : لاِبْنِهِ الْحَسَنِعليه‌السلام : لاَ تَدْعُوَنَّ إِلَى مُبَارَزَةٍ، وَ إِنْ دُعِيتَ إِلَيْهَا فَأَجِبْ، فَإِنَّ الدَّاعِيَ بَاغٍ وَ الْبَاغِيَ مَصْرُوعٌ.

আমিরুল মোমেনিন তাঁর পুত্র হাসানকে বললেন , কখনো কাউকে যুদ্ধের জন্য আহবান করো না ,কিন্তু কেউ তোমাকে যুদ্ধে আহ্বান করলে সাড়া দিয়ো ,কারণ যুদ্ধে আহ্বানকারী বিদ্রোহী এবং বিদ্রোহী ধ্বংস হবার যোগ্য।

__________________

১। ইবনে আবিল হাদীদ লিখেছেন , আমরা কখনো শুনি নি যে ,আমিরুল মোমেনিন কোন দিন কাউকে চ্যালেঞ্জ করেছেন বা যুদ্ধে লিপ্ত হবার আহবান করেছেন। বরঞ্চ শত্রু দ্বারা বিশেষভাবে অথবা সাধারণভাবে চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করার জন্যই তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে যেতেন ” (হাদীদ ,১৯তম খণ্ড ,পৃঃ ৬)

উক্তি নং - ২৩৫

وَ قَالَعليه‌السلام : خِيَارُ خِصَالِ النِّسَأِ شِرَارُ خِصَالِ الرِّجَالِ: الزَّهْوُ وَ الْجُبْنُ، وَ الْبُخْلُ؛ فَإِذَا كَانَتِ الْمَرْأَةُ مَزْهُوَّةً لَمْ تُمَكِّنْ مِنْ نَفْسِهَا، وَ إِذَا كَانَتْ بَخِيلَةً حَفِظَتْ مَالَهَا وَ مَالَ بَعْلِهَا، وَ إِذَا كَانَتْ جَبَانَةً فَرِقَتْ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يَعْرِضُ لَهَا.

নারীর উৎকৃষ্টতম বৈশিষ্ট্য পুরুষের নিকৃষ্টতম বৈশিষ্ট ;যথা - আত্মশ্লাঘা ,কাপুরুষতা ও কৃপণতা। কাজেই নারী ব্যর্থ হলেও কাউকে তার কাজে প্রবেশ করতে দেয় না ;যেহেতু সে কৃপণ সে নিজের স্বামীর সম্পদ সংরক্ষণ করে এবং যেহেতু সে দুর্বল - মনা সে কারণে যে কোন বিপদে সে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে।

উক্তি নং - ২৩৬

وَ قِيلَ لَهُ: صِفْ لَنَا الْعَاقِلَ، فَقَالَعليه‌السلام : هُوَ الَّذِي يَضَعُ الشَّيْءَ مَوَاضِعَهُ. فَقِيلَ: فَصِفْ لَنَا الْجَاهِلَ، فَقَالَ: قَدْ فَعَلْتُ. يعني أَنَّ الْجاهِلَ، هُوَ الَّذي لا يَضَعُ الشَّىّْءَ مَواضَعَهُ.

কেউ একজন জ্ঞানীদের সম্পর্কে কিছু বলতে অনুরোধ করলে আমিরুল মোমেনিন বললেন যে ,সে ব্যক্তি হলো জ্ঞানী যে সবকিছুকে যথাযোগ্য অবস্থানে রাখতে পারে। তারপর অজ্ঞ সম্পর্কে বলতে অনুরোধ করলে আমিরুল মোমেনিন বললেন যে ,সে ব্যক্তি হলো অজ্ঞ যে সবকিছুকে যথাযোগ্য অবস্থানে রাখতে পারে না। ।

উক্তি নং - ২৩৭

وَ قَالَعليه‌السلام : وَ اللَّهِ لَدُنْياكُمْ هَذِهِ أَهْوَنُ فِي عَيْنِي مِنْ عِرَاقِ خِنْزِيرٍ فِي يَدِ مَجْذُومٍ.

আল্লাহর কসম ,তোমাদের এ দুনিয়া আমার দৃষ্টিতে কুষ্ঠরোগীর হাতে থাকা শূকরের হাড় অপেক্ষা নিকৃষ্ট।

উক্তি নং - ২৩৮

وَ قَالَعليه‌السلام : إِنَّ قَوْماً عَبَدُوا اللَّهَ رَغْبَةً فَتِلْكَ عِبَادَةُ التُّجَّارِ، وَ إِنَّ قَوْماً عَبَدُوا اللَّهَ رَهْبَةً فَتِلْكَ عِبَادَةُ الْعَبِيدِ، وَ إِنَّ قَوْماً عَبَدُوا اللَّهَ شُكْراً فَتِلْكَ عِبَادَةُ الْأَحْرَارِ.

কিছু লোক আছে যারা পুরস্কারের আশায় আল্লাহর ইবাদত করে। নিশ্চয়ই ,এটা ব্যবসায়ীদের ইবাদত। আবার কিছু লোক ভয়ে আল্লাহর ইবাদত করে - এটা দাসদের ইবাদত। এরপরও কিছু লোক কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য আল্লাহর ইবাদত করে - এটা স্বাধীন মানুষের ইবাদত।

উক্তি নং - ২৩৯

وَ قَالَعليه‌السلام : الْمَرْأَةُ شَرُّ كُلُّهَا، وَ شَرُّ مَا فِيهَا أَنَّهُ لاَ بُدَّ مِنْهَا!.

সব কিছু বিচার করে বলা যায় নারী মন্দ ;কিন্তু এর নিকৃষ্টতম অবস্থা হলো কেউ তাকে ছাড়া চলতে পারে না।

উক্তি নং - ২৪০

وَ قَالَعليه‌السلام : مَنْ أَطَاعَ التَّوَانِيَ ضَيَّعَ الْحُقُوقَ، وَ مَنْ أَطَاعَ الْوَاشِيَ ضَيَّعَ الصَّدِيقَ.

যে ব্যক্তি কুড়ে স্বভাবের সে নিজের অধিকার হারিয়ে ফেলে আর যে ব্যক্তি পরনিন্দাকারীকে বিশ্বাস করে সে বন্ধু হারায়।