আল হাসানাইন (আ.)

সূরা নাহল;(১৮তম পর্ব)

0 বিভিন্ন মতামত 00.0 / 5

সূরা নাহল; আয়াত ৭৮-৮০

সূরা নাহলের ৭৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-

وَاللَّهُ أَخْرَجَكُمْ مِنْ بُطُونِ أُمَّهَاتِكُمْ لَا تَعْلَمُونَ شَيْئًا وَجَعَلَ لَكُمُ السَّمْعَ وَالْأَبْصَارَ وَالْأَفْئِدَةَ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ

“আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের মায়ের গর্ভ থেকে বের করেছেন। তোমরা কিছুই জানতে না । তিনি তোমাদেরকে কর্ণ,চক্ষু ও অন্তর দিয়েছেন,যাতে তোমরা অনুগ্রহ স্বীকার কর।” (১৬:৭৮)

এই আয়াতে আল্লাহতায়ালা মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। আর তাহলো,মানুষের উপলব্ধি-ক্ষমতা। এ আয়াতে আল্লাহ মানবজাতিকে উদ্দেশ্য করে বলছেন, তোমরা যখন তোমাদের মায়ের গর্ভ থেকে জন্মগ্রহণ করেছো, তখন কিছুই জানতে না। এখন যা কিছু জানতে পেরেছো,তা আল্লাহর দেয়া চোখ, কান ও বিবেক-বুদ্ধির মাধ্যমেই জানতে পেরেছো। কিন্তু এরপরও কেনো তোমরা আল্লাহর নেয়ামতের ব্যাপারে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো না?

এই আয়াতের শিক্ষণীয় দিকগুলো হলো :

এক.অতীতের সমস্যা,দুর্বলতা ও ঘাটতির কথা স্মরণ করলে মানুষের মধ্যে কৃতজ্ঞতাবোধ জাগ্রত হয়। কাজেই মাঝেমধ্যেই অতীত নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে।

দুই. মানুষকে চোখ,কান ও বিবেক-বুদ্ধি দিয়ে আল্লাহ যে অনুগ্রহ করেছেন,সে ব্যাপারে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে-জ্ঞান অর্জন করা। এ আয়াতে আল্লাহতায়ালা এ কথাই বলছেন যে,তোমরা কিছুই জানতে না,আমি তোমাদের চোখ,কান ও বিবেক দিয়েছি,যাতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর অর্থাত জ্ঞান অর্জন কর।

সূরা নাহলের ৭৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-

أَلَمْ يَرَوْا إِلَى الطَّيْرِ مُسَخَّرَاتٍ فِي جَوِّ السَّمَاءِ مَا يُمْسِكُهُنَّ إِلَّا اللَّهُ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآَيَاتٍ لِقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ

“তারা কি শূন্যে (বাতাসে) ভাসমান পাখির দিকে লক্ষ্য করে না। (আল্লাহ্‌র ক্ষমতা ব্যতীত) কিছুই তাদের (শূন্যে) ধরে রাখে না। নিশ্চয় এতে ঈমানদারদের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” (১৬:৭৯)

আগের আয়াতে মানুষকে উপলব্ধি শক্তি দেয়ার কথা উল্লেখ করার পর এ আয়াতে আরেকটি নেয়ামতের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এ আয়াতে বলা হচ্ছে, আকাশে পাখিদের উড়তে পারাটা আল্লাহর ক্ষমতারই নির্দশন। আল্লাহ পাখিদের এমনভাবে সৃষ্টি করেছেন,যাতে তারা উড়তে পারে। পাখিদের ডানাগুলো এমন যে, তারা তাদের শরীরের গঠন ও ওজনের সঙ্গে ভারাসম্যপূর্ণ। পাখিদের উড়তে দেখেই মানুষের মাথায় বিমান তৈরির চিন্তা আসে এবং পাখির গঠন প্রণালীর ওপর ভিত্তি করেই বিমান তৈরি করা হয়েছে। উন্নত যেসব আকাশযান তৈরি হচ্ছে,সেগুলোরও মৌলিক কৌশল হচ্ছে-পাখির উড়ে চলার কৌশল। এ আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ ছাড়া আর কোনো কিছুই পাখিদের আকাশে ভাসমান রাখে না। এর মাধ্যমে আল্লাহতায়ালা এটাই বুঝিয়েছেন যে, তিনি প্রকৃতিতে এমন বিধান প্রতিষ্ঠিত করেছেন,যাতে পাখিরা উড়ে চলতে পারে এবং নিচে পড়ে না যায়।

এই আয়াতের শিক্ষণীয় দিকগুলো হলো:

এক. আল্লাহ চান, মানুষ তার সব সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করুক এবং আল্লাহর নেয়ামতের বিষয়ে কৃতজ্ঞ হোক।

দুই. পাখিদের উড়ে চলার ঘটনা সব মানুষই দেখে। কিন্তু কেবলমাত্র ঈমানদার ব্যাক্তিরাই পাখিদের উড়তে দেখে তাতে আল্লাহর শক্তি ও ক্ষমতার বিষয়টি উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়। এর ফলে তাদের ঈমান আরো দৃঢ় হয়।

সূরা নাহলের ৮০ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-

وَاللَّهُ جَعَلَ لَكُمْ مِنْ بُيُوتِكُمْ سَكَنًا وَجَعَلَ لَكُمْ مِنْ جُلُودِ الْأَنْعَامِ بُيُوتًا تَسْتَخِفُّونَهَا يَوْمَ ظَعْنِكُمْ وَيَوْمَ إِقَامَتِكُمْ وَمِنْ أَصْوَافِهَا وَأَوْبَارِهَا وَأَشْعَارِهَا أَثَاثًا وَمَتَاعًا إِلَى حِينٍ

“আল্লাহ-ই তোমাদের বাসস্থানকে তোমাদের জন্য করেছেন বিশ্রাম ও শান্তির আলয়  এবং তোমাদের বসবাসের জন্য পশুর চামড়ার (তাঁবুর) ব্যবস্থা করেছেন যা তোমাদের ভ্রমণকালের অথবা (ভ্রমণকালে) বিরতির জন্য হালকা এবং সুবিধাজনক এবং ওইগুলোর (পশুর) পশম, নরম লোম ও চুল থেকে কিছু সময়ের (ব্যবহারের) জন্য দামী পশমী বস্ত্র ও আরামদায়ক বস্তুর ব্যবস্থা করেছেন।” (১৬:৮০)

আল্লাহর সৃষ্ট পশুর চামড়া ও পশমও যে মানুষের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং তা যে আল্লাহর নেয়ামত, সে বিষয়টি এ আয়াতে তুলে ধরা হয়েছে। বর্তমানে আমাদের চারপাশ কৃত্রিম জিনিসপত্রে ভরে গেছে। কিন্তু সবাই এটা স্বীকার করেন যে,কৃত্রিম জিনিসপত্র কখনোই প্রাকৃতিক জিনিসপত্রের বিকল্প হতে পারে না। এ কারণে এখনো বিশ্বের সর্বত্রই প্রাকৃতিক জিনিসপত্রের চাহিদা বেশি। চিকিতসা বিজ্ঞানীরাও বলছেন, প্রাকৃতিক উপাদানই স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ভালো এবং এর বিকল্প হতে পারে না। উন্নত বিশ্বেও এখনো সবচেয়ে ভালো তাঁবু, জুতা ও পোশাক তৈরির জন্য পশুর পশম ও চামড়া ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি দামী কার্পেটগুলোও তৈরি হচ্ছে এসব উপাদান দিয়ে। এর ফলে যারা পশু পালন করেন,তারাও পশুর চামড়া ও পশম বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।

এ ছাড়া, আল্লাহ মানুষকে মেধা,বুদ্ধি ও আধ্যাত্মিক শক্তি দান করেছেন। মানুষ সেগুলো প্রয়োগের মাধ্যমেই তার ঘর বা আবাসস্থলকে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য, মানসিক উৎকর্ষতা ও স্নেহ ভালোবাসার ক্ষেত্রে পরিণত করতে পারে। এভাবেই আল্লাহ মানুষকে তার ঘরকে শান্তির আবাসস্থলে পরিণত করার শক্তি ও ক্ষমতা দিয়েছেন।

এই আয়াতের শিক্ষণীয় দিকগুলো হলো:

এক. মানুষের জীবনধারণের ক্ষেত্রে চতুষ্পদ প্রাণীর অনেক ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু মানুষ যদি কোনো ধরনের সহযোগিতা নাও করে,তাতেও চতুষ্পদ প্রাণীরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে না। কারণ মানুষের সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়াও তাদের জীবনযাত্রা অব্যাহত থাকবে।

দুই. প্রকৃতিতে মানুষের চাহিদার সঙ্গে নেয়ামতের সঙ্গতি রয়েছে, এটাও আল্লাহর পক্ষ অনুগ্রহ এবং আল্লাহর অপরিসীম প্রজ্ঞার নিদর্শন।

সূরা নাহলের ৭৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-

وَاللَّهُ أَخْرَجَكُمْ مِنْ بُطُونِ أُمَّهَاتِكُمْ لَا تَعْلَمُونَ شَيْئًا وَجَعَلَ لَكُمُ السَّمْعَ وَالْأَبْصَارَ وَالْأَفْئِدَةَ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ

“আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের মায়ের গর্ভ থেকে বের করেছেন। তোমরা কিছুই জানতে না । তিনি তোমাদেরকে কর্ণ,চক্ষু ও অন্তর দিয়েছেন,যাতে তোমরা অনুগ্রহ স্বীকার কর।” (১৬:৭৮)

এই আয়াতে আল্লাহতায়ালা মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। আর তাহলো,মানুষের উপলব্ধি-ক্ষমতা। এ আয়াতে আল্লাহ মানবজাতিকে উদ্দেশ্য করে বলছেন, তোমরা যখন তোমাদের মায়ের গর্ভ থেকে জন্মগ্রহণ করেছো, তখন কিছুই জানতে না। এখন যা কিছু জানতে পেরেছো,তা আল্লাহর দেয়া চোখ, কান ও বিবেক-বুদ্ধির মাধ্যমেই জানতে পেরেছো। কিন্তু এরপরও কেনো তোমরা আল্লাহর নেয়ামতের ব্যাপারে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো না?

এই আয়াতের শিক্ষণীয় দিকগুলো হলো :

এক.অতীতের সমস্যা,দুর্বলতা ও ঘাটতির কথা স্মরণ করলে মানুষের মধ্যে কৃতজ্ঞতাবোধ জাগ্রত হয়। কাজেই মাঝেমধ্যেই অতীত নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে।

দুই. মানুষকে চোখ,কান ও বিবেক-বুদ্ধি দিয়ে আল্লাহ যে অনুগ্রহ করেছেন,সে ব্যাপারে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে-জ্ঞান অর্জন করা। এ আয়াতে আল্লাহতায়ালা এ কথাই বলছেন যে,তোমরা কিছুই জানতে না,আমি তোমাদের চোখ,কান ও বিবেক দিয়েছি,যাতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর অর্থাত জ্ঞান অর্জন কর।

সূরা নাহলের ৭৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-

أَلَمْ يَرَوْا إِلَى الطَّيْرِ مُسَخَّرَاتٍ فِي جَوِّ السَّمَاءِ مَا يُمْسِكُهُنَّ إِلَّا اللَّهُ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآَيَاتٍ لِقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ

“তারা কি শূন্যে (বাতাসে) ভাসমান পাখির দিকে লক্ষ্য করে না। (আল্লাহ্‌র ক্ষমতা ব্যতীত) কিছুই তাদের (শূন্যে) ধরে রাখে না। নিশ্চয় এতে ঈমানদারদের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” (১৬:৭৯)

আগের আয়াতে মানুষকে উপলব্ধি শক্তি দেয়ার কথা উল্লেখ করার পর এ আয়াতে আরেকটি নেয়ামতের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এ আয়াতে বলা হচ্ছে, আকাশে পাখিদের উড়তে পারাটা আল্লাহর ক্ষমতারই নির্দশন। আল্লাহ পাখিদের এমনভাবে সৃষ্টি করেছেন,যাতে তারা উড়তে পারে। পাখিদের ডানাগুলো এমন যে, তারা তাদের শরীরের গঠন ও ওজনের সঙ্গে ভারাসম্যপূর্ণ। পাখিদের উড়তে দেখেই মানুষের মাথায় বিমান তৈরির চিন্তা আসে এবং পাখির গঠন প্রণালীর ওপর ভিত্তি করেই বিমান তৈরি করা হয়েছে। উন্নত যেসব আকাশযান তৈরি হচ্ছে,সেগুলোরও মৌলিক কৌশল হচ্ছে-পাখির উড়ে চলার কৌশল। এ আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ ছাড়া আর কোনো কিছুই পাখিদের আকাশে ভাসমান রাখে না। এর মাধ্যমে আল্লাহতায়ালা এটাই বুঝিয়েছেন যে, তিনি প্রকৃতিতে এমন বিধান প্রতিষ্ঠিত করেছেন,যাতে পাখিরা উড়ে চলতে পারে এবং নিচে পড়ে না যায়।

এই আয়াতের শিক্ষণীয় দিকগুলো হলো:

এক. আল্লাহ চান, মানুষ তার সব সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করুক এবং আল্লাহর নেয়ামতের বিষয়ে কৃতজ্ঞ হোক।

দুই. পাখিদের উড়ে চলার ঘটনা সব মানুষই দেখে। কিন্তু কেবলমাত্র ঈমানদার ব্যাক্তিরাই পাখিদের উড়তে দেখে তাতে আল্লাহর শক্তি ও ক্ষমতার বিষয়টি উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়। এর ফলে তাদের ঈমান আরো দৃঢ় হয়।

সূরা নাহলের ৮০ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-

وَاللَّهُ جَعَلَ لَكُمْ مِنْ بُيُوتِكُمْ سَكَنًا وَجَعَلَ لَكُمْ مِنْ جُلُودِ الْأَنْعَامِ بُيُوتًا تَسْتَخِفُّونَهَا يَوْمَ ظَعْنِكُمْ وَيَوْمَ إِقَامَتِكُمْ وَمِنْ أَصْوَافِهَا وَأَوْبَارِهَا وَأَشْعَارِهَا أَثَاثًا وَمَتَاعًا إِلَى حِينٍ

“আল্লাহ-ই তোমাদের বাসস্থানকে তোমাদের জন্য করেছেন বিশ্রাম ও শান্তির আলয়  এবং তোমাদের বসবাসের জন্য পশুর চামড়ার (তাঁবুর) ব্যবস্থা করেছেন যা তোমাদের ভ্রমণকালের অথবা (ভ্রমণকালে) বিরতির জন্য হালকা এবং সুবিধাজনক এবং ওইগুলোর (পশুর) পশম, নরম লোম ও চুল থেকে কিছু সময়ের (ব্যবহারের) জন্য দামী পশমী বস্ত্র ও আরামদায়ক বস্তুর ব্যবস্থা করেছেন।” (১৬:৮০)

আল্লাহর সৃষ্ট পশুর চামড়া ও পশমও যে মানুষের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং তা যে আল্লাহর নেয়ামত, সে বিষয়টি এ আয়াতে তুলে ধরা হয়েছে। বর্তমানে আমাদের চারপাশ কৃত্রিম জিনিসপত্রে ভরে গেছে। কিন্তু সবাই এটা স্বীকার করেন যে,কৃত্রিম জিনিসপত্র কখনোই প্রাকৃতিক জিনিসপত্রের বিকল্প হতে পারে না। এ কারণে এখনো বিশ্বের সর্বত্রই প্রাকৃতিক জিনিসপত্রের চাহিদা বেশি। চিকিতসা বিজ্ঞানীরাও বলছেন, প্রাকৃতিক উপাদানই স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ভালো এবং এর বিকল্প হতে পারে না। উন্নত বিশ্বেও এখনো সবচেয়ে ভালো তাঁবু, জুতা ও পোশাক তৈরির জন্য পশুর পশম ও চামড়া ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি দামী কার্পেটগুলোও তৈরি হচ্ছে এসব উপাদান দিয়ে। এর ফলে যারা পশু পালন করেন,তারাও পশুর চামড়া ও পশম বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।

এ ছাড়া, আল্লাহ মানুষকে মেধা,বুদ্ধি ও আধ্যাত্মিক শক্তি দান করেছেন। মানুষ সেগুলো প্রয়োগের মাধ্যমেই তার ঘর বা আবাসস্থলকে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য, মানসিক উৎকর্ষতা ও স্নেহ ভালোবাসার ক্ষেত্রে পরিণত করতে পারে। এভাবেই আল্লাহ মানুষকে তার ঘরকে শান্তির আবাসস্থলে পরিণত করার শক্তি ও ক্ষমতা দিয়েছেন।

এই আয়াতের শিক্ষণীয় দিকগুলো হলো:

এক. মানুষের জীবনধারণের ক্ষেত্রে চতুষ্পদ প্রাণীর অনেক ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু মানুষ যদি কোনো ধরনের সহযোগিতা নাও করে,তাতেও চতুষ্পদ প্রাণীরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে না। কারণ মানুষের সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়াও তাদের জীবনযাত্রা অব্যাহত থাকবে।

দুই. প্রকৃতিতে মানুষের চাহিদার সঙ্গে নেয়ামতের সঙ্গতি রয়েছে, এটাও আল্লাহর পক্ষ অনুগ্রহ এবং আল্লাহর অপরিসীম প্রজ্ঞার নিদর্শন।

আপনার মতামত

মন্তব্য নেই
*
*

আল হাসানাইন (আ.)