আল হাসানাইন (আ.)

বিশ্বনবী মুহাম্মাদ (সা.)’র নবুওয়ত প্রাপ্তি দিবস

0 বিভিন্ন মতামত 00.0 / 5

 

২৭ রজব বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (স.)'র নবুওয়ত প্রাপ্তির ঐতিহাসিক দিবস। ইরানসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে দিনটি উদযাপিত হচ্ছে।
বিশ্বের মুসলমানদের জন্য দিনটি সবচেয়ে বেশি খুশির দিন। কারণ, মানব জাতির ওপর বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (স.)'র ঐশী নেতৃত্ব এবং ইসলামের চিরন্তন ও বিশ্বজনীন বিধান পূর্ণতা পেয়েছিল পবিত্র এই দিনে।


মহানবী (স.) হিজরতের ৫২ বছর আগে পবিত্র মক্কা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। জন্মের আগেই তাঁর পিতা আবদুল্লাহ মারা যান। ফলে, দাদা আবদুল মুত্তালিব তাঁকে লালন-পালনের দায়িত্বভার নেন। তিনি আট বছর বয়স থেকে যৌবনে উপনীত হওয়া পর্যন্ত চাচা হযরত আবু তালিব (রা.)'র তত্ত্বাবধানে ছিলেন। সততা, বিশ্বস্ততা ও সুন্দর চরিত্রের জন্য তিনি আল-আমিন নামে জনগণের মাঝে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। যৌবনে কিছুকাল ব্যবসা-বাণিজ্যে লিপ্ত ছিলেন। হযরত মুহাম্মাদ (স.) ২৫ বছর বয়সে মহীয়সী ও সম্ভ্রান্ত নারী হযরত খাদিজা (স.)-কে বিয়ে করেন।
মাঝেমধ্যেই তিনি মক্কার জাবাল আন-নূর পর্বতের হিরা নামক গুহায় এবাদাত ও গভীর চিন্তায় মগ্ন হতেন। মানবজাতিকে নানা বিচ্যুতি ও অধঃপতন থেকে মুক্ত করা ছিল তাঁর চিন্তাভাবনার মূল বিষয়।


এসব সাধনার ধারাবাহিকতায় ৪০ বছর বয়সে আজকের এই দিনে হিরা গুহায় রিসালাতের দায়িত্ব লাভ করেন বিশ্বনবী (স.)। এখানেই নাজিল হয়েছিল পবিত্র কোরআনের প্রথম আয়াত। এরপর ইসলামের দাওয়াত শুরু করেন তিনি। মক্কার নানা গোত্রের কাফের ও মুশরিকদের নির্যাতন এবং জ্বালাতনের প্রেক্ষাপটে মক্কা থেকে ইয়াসরিব বা বর্তমানের মদিনা শহরে হিজরত করেন। সেখানে তিনি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন।


ইরানসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের মুসলমানরা প্রতি বছরই এ পবিত্র দিনটিকে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিয়ে উদযাপন করেন। মসজিদসহ ধর্মীয় স্থানগুলোতে পাঠ করা হয় আল্লাহর সর্বশেষ রাসূল (স.)'র প্রশংসাসূচক কবিতা বা নাত। অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা; দান-সদকার পাশাপাশি বিতরণ করা হয় মিষ্টি, শরবত, ফলমূল ইত্যাদি। এই রাতে মুসলমানেরা মশগুল হন নানা ধরনের বিশেষ এবাদাতে।
পবিত্র ও খুশির এ দিনটি উপলক্ষে রেডিও তেহরান বাংলা অনুষ্ঠানের পক্ষ থেকে সব মুসলমান ও মুক্তিকামী মানুষের প্রতি রইল প্রাণঢালা অভিনন্দন ও মুবারকবাদ।(রেডিও তেহরান)

 

আপনার মতামত

মন্তব্য নেই
*
*

আল হাসানাইন (আ.)