আল হাসানাইন (আ.)

কোরআনের তাফসীর

সূরা নাহল;(১০ম পর্ব)

সূরা নাহল;(১০ম পর্ব)

সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের পরিণতির বর্ণনা এবং মুশরিকদেরকে চিন্তা গবেষণার আহ্বান জানানোর পর এ কয়েকটি আয়াতে বলা হয়েছে,সত্যকে প্রত্যাখ্যান করার শাস্তি কেবল পরকালেই দেয়া হবে এমন নয়;বরং খোদাদ্রোহী জালেমদেরকে এই পার্থিব জগতেও নানা বিপদাপদের মাধ্যমে শাস্তি ভোগ করতে হবে। রাতের অন্ধকারে ঘুমন্ত অবস্থায় কিংবা দিনের বেলা কর্মমুখর সময়ে তাদের ওপর ঐশী শাস্তি নেমে আসতে পারে। এমনকি তাদের ওপর এমনভাবে শাস্তি নেমে আসতে পারে যা তারা কল্পনাও করতে পারবে না। আর তা যদি ঐশী শাস্তি হয় তাহলে কারো পক্ষে তা এড়ানো সম্ভব হবে না।

বিস্তারিত

সূরা নাহল;(৯ম পর্ব)

সূরা নাহল;(৯ম পর্ব) অবিশ্বাসী কাফের মুশরিকরা মৃত্যুকেই জীবনের সমাপ্তি বলে ধারণা করে,তারা বলে মৃত্যুর পর মানুষকে পুনরুজ্জীবিত করা হবে,মানুষের ভালো-মন্দ কাজের প্রতিদান দেয়া হবে-এসব কথার কোন ভিত্তি নেই। মজার ব্যাপার হচ্ছে,তারা এসব কথা বলতে গিয়ে সৃষ্টিকর্তার নামে শপথ করে কথা বলে।

বিস্তারিত

সূরা নাহল;(৮ম পর্ব)

সূরা নাহল;(৮ম পর্ব) আল্লাহ তায়ালা মানুষকে চিন্তার স্বাধীনতা দিয়েছেন। সত্য এবং মিথ্যা বুঝার জন্য তিনি মানুষকে বিবেক-বুদ্ধি দান করেছেন, মানুষকে সত্য পথ প্রদর্শনের জন্য যুগে যুগে নবী-রাসূলদেরকে পাঠিয়েছেন। তিনি মানুষকে বিবেক-বুদ্ধি এবং চিন্তার স্বাধীনতা এজন্যে দিয়েছেন যাতে মানুষ স্বাধীনভাবে সত্য পথ বেছে নিতে পারে। এজন্য আল্লাহ তায়ালা কোন মানুষকে সত্য পথ গ্রহণের জন্য বাধ্য করেন না তেমনি কাউকে তিনি নিজ থেকে বিভ্রান্তও করেন না। ঈমানের পথ কিংবা শিরকের পথ বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে মানুষ সম্পূর্ণ স্বাধী

বিস্তারিত

সূরা নাহল;(৭ম পর্ব)

সূরা নাহল;(৭ম পর্ব) ঐশী শাস্তির জন্য মহান আল্লাহকে দায়ী করা যায় না,কারণ কাফের-মুশরিকরা নিজ আত্মার ওপর যে জুলুম করে তার প্রেক্ষিতেই তারা ঐশী শাস্তির উপযুক্ত হয়ে যায়

বিস্তারিত

সূরা নাহল;(৬ষ্ঠ পর্ব)

সূরা নাহল;(৬ষ্ঠ পর্ব) যারা এই জগতে নিজেদেরকে খুব বড় পণ্ডিত মনে করছেন এবং ঈমানদারদেরকে অজ্ঞ-মূর্খ ভাবছেন, তারাই কেয়ামতের দিন যখন বুঝতে পারবে ঈমানদাররাই প্রকৃতপক্ষে বুদ্ধিমান ছিলেন, বরং তাদের নিজেদের জ্ঞানই ছিল অপরিপক্ক, তখন তাদের মধ্যে এক অসহনীয় মর্মবেদনার সৃষ্টি হবে। এটাই হবে তাদের অন্যতম একটি শাস্তি

বিস্তারিত

সূরা নাহল;(৫ম পর্ব)

সূরা নাহল;(৫ম পর্ব) পবিত্র কুরআনে পুরানো দিনের যে সব ঘটনা স্থান পেয়েছে, তা নিছক কোন গল্প নয় বরং সে সব ঘটনা অন্যান্য ধর্ম গ্রন্থেও উল্লেখ রয়েছে, প্রাচীন ইতিহাস গ্রন্থগুলোতেও সে সব ঘটনার বর্ণনা রয়েছে, তবে কালের পরিক্রমায় প্রাচীন গ্রন্থগুলোতে বর্ণিত অনেক ঘটনাই বিকৃত হয়ে গেছে বলেই পবিত্র কুরআনে মানুষের অবগতি এবং শিক্ষার জন্য তার প্রকৃত চিত্রটা পুনরায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে

বিস্তারিত

সূরা নাহল;(৪র্থ পর্ব)

সূরা নাহল;(৪র্থ পর্ব) ইসলাম প্রচারের ক্ষেত্রে সব সময় মানুষের বিবেককে জাগ্রত করার চেষ্টা করতে হবে, যাতে মানুষ তার জ্ঞান-বুদ্ধির ওপর নির্ভর করে স্বেচ্ছায় আল্লাহর ওপর বিশ্বাস স্থাপনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে

বিস্তারিত

সূরা নাহল;(৩য় পর্ব)

সূরা নাহল;(৩য় পর্ব) পৃথিবী এবং পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা নানা বস্তু যেমন মানুষের সেবার জন্য নিয়োজিত তেমনি চন্দ্র ও সূর্যও মানুষের সেবা ও কল্যাণের জন্য সৃষ্টি হয়েছে। নক্ষত্রমণ্ডলী এমনকি মহাবিশ্বে যা কিছু সৃষ্টি হয়েছে তার সবই আল্লাহ তায়ালা এমনভাবে সৃষ্টি করেছেন যাতে করে মানুষ তা থেকে উপকৃত হতে পারে।

বিস্তারিত

সূরা নাহল;(২য় পর্ব)

সূরা নাহল;(২য় পর্ব) আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানুষকে পথের দিশা দান করেন, তবে তা গ্রহণ করা বা না করার এখতিয়ার মানুষের। কাজেই জোর করে ধর্মান্তর করাকে ইসলাম সমর্থন করে না। 

বিস্তারিত

সূরা নাহল;(১ম পর্ব)

সূরা নাহল;(১ম পর্ব) সূরা নাহল হচ্ছে পবিত্র কুরআনের ষষ্ঠদশ সূরা। এই সূরায় মোট ১২৮টি আয়াত রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ৪০ আয়াত রাসূল (দ.) এর মক্কী জীবনের শেষ দিকে এবং বাকী ৮৮ আয়াত মদীনা শরীফে অবতীর্ণ হয়। এই সূরায় মৌমাছির সৃষ্টি সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে,ফলে নাহল বা মৌমাছি নামে নামকরণ হয়েছে

বিস্তারিত

সূরা হিজর; (১৩তম পর্ব)

সূরা হিজর; (১৩তম পর্ব) মানুষকে সত্য পথের আহ্বান জানাতে গিয়ে কখনো বিরুদ্ধবাদীদের উপহাসে ভ্রুক্ষেপ করতে নেই। তাদের হুমকি-ধমকিও তোয়াক্কা করার প্রয়োজন নেই। কারণ অবিশ্বাসীদের যে কোন অনিষ্ট থেকে আল্লাহ তায়ালা ঈমানদারদের রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন

বিস্তারিত

সূরা হিজর; (১২তম পর্ব)

সূরা হিজর; (১২তম পর্ব) যেই স্রষ্টা বিশ্বজগত সৃষ্টি করেছেন, তিনিই মানব জাতির জন্য উত্তম জীবণ বিধান প্রদান করতে পারেন।

বিস্তারিত

সূরা হিজর; (১১তম পর্ব)

সূরা হিজর; (১১তম পর্ব) পাপের সীমা অতিক্রম করার কারণে বহু জতি আল্লাহর গজবে ধ্বংস হয়ে গেছে, ইতিহাস সেই ভয়ংকর স্মৃতি বয়ে চলে যুগ থেকে যুগান্তরে, যাতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। পাপের পরিণতি স্বচক্ষে দেখে মানুষ যাতে সঠিক পথে ফিরে আসতে পারে, মানুষ যাতে সম্বিত ফিরে পায়

বিস্তারিত

সূরা হিজর; (১০ম পর্ব)

সূরা হিজর; (১০ম পর্ব) পাপ হচ্ছে এক ধরনের উন্মত্ততা। এর ফলে মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি অসার হয়ে পড়ে। মানুষ তখন আর সত্যকে উপলব্ধি করতে পারে না।

বিস্তারিত

সূরা হিজর; (৯ম পর্ব)

সূরা হিজর; (৯ম পর্ব) ঈমান এবং সৎকর্ম হলো আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের একমাত্র মানদণ্ড। নবী-রাসুলদের আত্মীয়রাও পাপের দায় থেকে মুক্তি পাবে না। যেমনটি হযরত লুত (আ.)এর স্ত্রীর ক্ষেত্রে ঘটেছে

বিস্তারিত

সূরা হিজর; (৮ম পর্ব)

সূরা হিজর; (৮ম পর্ব) বেহেশতে যারা প্রবেশ করবে তারা সব ধরনের ঈর্ষা বা হিংসা-বিদ্বেষ থেকে মুক্ত থাকবে। হিংসা-বিদ্বেষ থেকে মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত কেউ বেহেশতে প্রবেশ করবে না। কারণ বেহেশত অত্যন্ত পবিত্র জায়গা, সেখানে ঝগড়া-ঝাটি কিংবা রেষা-রেষির কোন সুযোগ নেই। সবাই সেখানে অত্যন্ত নিরাপত্তা ও প্রশান্তির সাথে বসবাস করবে

বিস্তারিত

সূরা হিজর; (৭ম পর্ব)

সূরা হিজর; (৭ম পর্ব) এই আয়াতে বলা হয়েছে- শয়তান মানুষের চিন্তা-চেতনায় প্রভাব বিস্তার করবে এবং পাপ ও মন্দ কাজ তাদের কাছে শোভন করে তুলবে। কারণ মানুষ যদি মন্দকে মন্দ হিসেবেই বুঝতে পারে তাহলে তো তারা তা করবে না, কাজেই মানুষকে পাপে লিপ্ত করার জন্য শয়তান তাদের চিন্তা-চেতনায় প্রভাব বিস্তার করে মন্দ কাজকে ভালো কাজ হিসেবে তাদের সামনে তুলে ধরবে। অর্থাৎ শয়তান মানুষকে পাপ কাজ করতে বাধ্য করবে না, বরং সে পাপ কাজ মানুষের সামনে শোভন করে তুলে মানুষকে তা করতে উদ্বুদ্ধ করবে।

বিস্তারিত

সূরা হিজর; (৬ষ্ঠ পর্ব)

সূরা হিজর; (৬ষ্ঠ পর্ব) ইবলিস ছিল জ্বিন প্রজাতির। অধিক এবাদত-বন্দেগীর ফলে আল্লাহ তাকে ফেরেশতাদের কাতারে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সৌভাগ্য দান করেছিলেন। ফলে যখন আদমকে সিজদার আদেশ প্রদান করা হয় তখন ইবলিস ফেরেশতাদের দলেই অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং ঐ আদেশ পালন করা তার জন্যও প্রযোজ্য ছিল। কিন্তু সে তা অমান্য করার কারণে বিতাড়িত হলো এবং অভিশপ্ত শয়তানে পরিণত হয়ে গেল

বিস্তারিত

সূরা হিজর; (৫ম পর্ব)

সূরা হিজর; (৫ম পর্ব) ফেরেশতারা মানুষের আগেই সৃষ্টি হয়েছে এবং আল্লাহ তায়ালা মানব সৃষ্টির আগে বিষয়টি ফেরেশতাদেরকে অবহিত করেছিলেন। এই আয়াত থেকে প্রতীয়মান হয় যে, মানুষকে সিজদা করার নির্দেশ দেয়ার কারণ এটা নয় যে তাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে, বরং সিজদা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল এজন্যে যে, তার মধ্যে খোদার রূহ সঞ্চার করা হয়েছে এবং মানুষকে বিশেষ ভাবে মর্যাদাবান করা হয়েছে

বিস্তারিত

সূরা হিজর; (৪র্থ পর্ব)

সূরা হিজর; (৪র্থ পর্ব) বিশ্বের সকল কিছুর স্রষ্টা মহান আল্লাহ প্রতিটি সৃষ্টিকে সুনির্দিষ্ট যোগ্যতা ও প্রতিভা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন এবং এসবের ভিত্তিতে তার রুজি নির্ধারণ করেছেন। এটি খোদায়ী বিধানের অংশ। প্রতিটি সৃষ্টির জন্য আল্লাহর করুণা নির্ধারিত রয়েছে এবং কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে এই করুণাকে তাক্বদির বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে তাক্বদির নির্ধারিত রয়েছে বলে মানুষের চেষ্টা ও পরিশ্রমের যে কোন দাম নেই, তা নয়। বরং, বলা হয়েছে, কঠোর প্রচেষ্টার মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর নেয়ামত প্রাপ্তির যোগ্য হতে পারবে। হাত পা গুটিয়ে বসে থাকলে আল্লাহর কোন করুণাই মানুষের হাতে পৌঁছবে না।

বিস্তারিত

আপনার মতামত

মন্তব্য নেই
*
*

আল হাসানাইন (আ.)