আল হাসানাইন (আ.)

কোরআনের তাফসীর

সূরা আল মায়েদা;(২৮তম পর্ব)

সূরা আল মায়েদা;(২৮তম পর্ব)

সব মানুষেরই বিবেক রয়েছে। কিন্তু তাদের অনেকেই বিবেক দিয়ে চলে না। তারা সমাজে প্রচলিত রীতি-নীতি ও সংস্কৃতির আলোকে জীবন যাপন করে। কোনো কিছু ভুল হলেও তারা তা অনুসরণ করে। কাজেই ভ্রান্ত পথের অনুসারীরা সংখ্যায় বেশি হলেও তাদের আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। 

বিস্তারিত

সূরা আল মায়েদা;(২৭তম পর্ব)

সূরা আল মায়েদা;(২৭তম পর্ব) ইসলামী শাস্তির বিধি-বিধানে সাধারণত আর্থিক জরিমানা করা হয় অসহায়-বঞ্চিত গরিবদের সহযোগিতার জন্যে। এটা মানব রচিত আইনের বিপরীত, কেননা মানবীয় আইনে আর্থিক জরিমানাগুলো সরকারী কোষাগারে চলে যায়।

বিস্তারিত

সূরা আল মায়েদা;(২৪তম পর্ব)

সূরা আল মায়েদা;(২৪তম পর্ব) ইসলামে সবধরনের উগ্রতা নিষিদ্ধ, এ দু'টি আচরণই ঐশী সীমা লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে- হালালকে হারাম করা যেমন জায়েজ নয় তেমনি হারামকে হালাল করা জায়েজ নয়। এইসব বিধান আল্লাহর হাতে, মানুষের হাতে নয়।

বিস্তারিত

সূরা আল মায়েদা;(২৩তম পর্ব)

সূরা আল মায়েদা;(২৩তম পর্ব) কাফেরদের কর্তৃত্ব থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য ও প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জনের জন্য আল্লাহর প্রতি ও তাঁর দেয়া ধর্মগ্রন্থের প্রতি ঈমান আনা অপরিহার্য। কাফেরদের কর্তৃত্ব মেনে নেয়া ও তাদের সাথে আপোস করা ধর্মহীনতা এবং দুরাচারের লক্ষণ।  

বিস্তারিত

সূরা আল মায়েদা;(২৬তম পর্ব)

সূরা আল মায়েদা;(২৬তম পর্ব) নবী-রাসূলদের কাজ হচ্ছে, আল্লাহর বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া; মানুষকে এ বার্তা মানতে বাধ্য করা নয়। তাঁরা মানুষকে সত্য উপলব্ধিতে সহায়তা করেছেন। তবে এ সত্য গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যানের ব্যাপারে মানুষকে স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। রাসূলকে অনুসরণের মাধ্যমেই আমরা আল্লাহর আনুগত্য করতে পারি। এ কারণে, পবিত্র কোরআনের দিক-নির্দেশনা মেনে চলার পাশাপাশি রাসূলের সুন্নতেরও অনুসরণ করতে হবে।  

বিস্তারিত

সূরা আল মায়েদা;(২৫তম পর্ব)

সূরা আল মায়েদা;(২৫তম পর্ব) মহান আল্লাহর নামের পবিত্রতা রক্ষা করতে হবে, তাই আল্লাহর নামে শপথ নেয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত। আর যদি আল্লাহর নাম নিয়ে কোনো শপথ কেউ করে তাহলে তাকে ওই শপথ রক্ষা করতে হবে, আর এ ধরনের শপথ ভাঙ্গলে অবশ্যই কাফফারা দিতে হবে।

বিস্তারিত

সূরা আল মায়েদা;(২১তম পর্ব)

সূরা আল মায়েদা;(২১তম পর্ব) বর্তমান যুগে প্রচলিত বাইবেলেও দেখা যায় মাসিহ বা হযরত ঈসা (আ.) তাঁর কোনো বক্তব্যেই এ দাবি করেননি যে তিনি আল্লাহর পুত্র বা অন্যতম খোদা। বরং মারকসের বাইবেলের ১২ তম অধ্যায়ের ২৯ তম বাক্যে তিনি বলেছেন: আমাদের আল্লাহ বা স্রস্টা মাত্র একজন।

বিস্তারিত

সূরা আল মায়েদা; (২২তম পর্ব)

সূরা আল মায়েদা; (২২তম পর্ব) খ্রিস্টানরা বিশ্বাস করতো হযরত ঈসা (আ.) ছিলেন খোদা। এ আয়াতে তারি ধারাবাহিকতায় বলা হচ্ছেঃ কীভাবে তোমরা ঈসাকে পূজা করছো। অথচ সে তোমাদের ভালো-মন্দ কোনোটারই মালিক নয়। যেখানে একজন নবী আল্লাহর অনুমতি ছাড়া মানুষের জীবনে কোনোরকম ভূমিকা রাখার যোগ্যতা রাখেন না, সেখানে এটা সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে ইবাদাত লাভের কোনোরকম যোগ্যতা তার নেই।

বিস্তারিত

সূরা আল মায়েদা;(১৭তম পর্ব)

সূরা আল মায়েদা;(১৭তম পর্ব) আসলে কেবল নিজেকে পাপ থেকে দূরে রাখাই যথেষ্ট নয়, পাপীদেরকেও পাপ থেকে দূরে রাখতে হবে। কারণ, অন্যদের পাপাচারের ব্যাপারে নীরব থাকার অর্থ এসব কাজে সন্তুষ্ট থাকা। আর এ ধরনের নিস্ক্রিয়তার জন্যও মানুষকে শাস্তি পেতে হবে।

বিস্তারিত

সূরা আল মায়েদা;(২০তম পর্ব)

সূরা আল মায়েদা;(২০তম পর্ব) ঐশী কোনো দ্বীনেরই অনুসারীদের আল্লাহর দরবারে স্থান নেই যদি না তারা নিজেদের ঐশী গ্রন্থের ওপর সুস্থির অটল থাকে এবং সমাজকে তারি ভিত্তিতে গড়ে তোলে। এ আয়াতে বলা হয়েছে- কোনো ঐশী ধর্মেরই অনুসারীদের মধ্যে কেউ কারো ওপরে শ্রেষ্ঠ নন। মুসলমান, ইহুদি, খ্রিস্টান এবং সাবেআন এমনকি প্রাচীন জনগোষ্ঠি বা জনসংখ্যার প্রাচুর্য, নবুয়্যতির ঐতিহ্য ইত্যাদি কোনো কিছুই তাদের শ্রেষ্ঠত্বের মানদণ্ড নয়।

বিস্তারিত

সূরা আল মায়েদা;(১৯তম পর্ব)

সূরা আল মায়েদা;(১৯তম পর্ব) হে রাসূল, পৌঁছে দিন আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে। আর যদি আপনি এরূপ না করেন, তবে আপনি তাঁর পয়গাম কিছুই পৌঁছালেন না। আল্লাহ আপনাকে মানুষের কাছ থেকে রক্ষা করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ কাফেরদেরকে পথ দেখান না।

বিস্তারিত

সূরা আল মায়েদা;(১৮তম পর্ব)

সূরা আল মায়েদা;(১৮তম পর্ব) এ সব আয়াতে ইহুদি ও খ্রিস্টানদের প্রতি ইঙ্গিত করা হলেও এটা স্পষ্ট যে, এ বিপদগুলো মুসলমানদের জন্যও প্রযোজ্য। তারাও যদি ইহুদি ও খ্রিস্টানদের এ ভুল পথ অনুসরণ করে তবে তাদের পরিণতিও হবে ভয়াবহ। তবে তারা যদি আল্লাহর অনুসৃত পথ অবলম্বন করে তাহলে দুনিয়া ও আখেরাতে আল্লাহর অনুগ্রহ লাভে ধন্য হবে।

বিস্তারিত

সূরা আল মায়েদা;(১৩তম পর্ব)

সূরা আল মায়েদা;(১৩তম পর্ব) কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড বা জরিমানা অবৈধ হত্যাকাণ্ড এবং ধর্ষণের মত অপরাধের চালিকাশক্তিগুলোকে প্রতিরোধের জন্য যথেষ্ট নয়। তাই হত্যার বিনিময়ে মৃত্যুদণ্ডের বিধান সমাজের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য জরুরি।

বিস্তারিত

সূরা আল মায়েদা;(১৬তম পর্ব)

সূরা আল মায়েদা;(১৬তম পর্ব) (হে মুমিনগণ!) তোমাদের পৃষ্ঠপোষক বা নেতাতো আল্লাহ তাঁর রাসূল এবং মুমিনগণ-যারা নামায কায়েম করে ও রুকু অবস্থায় যাকাত দেয়।

বিস্তারিত

সূরা আল মায়েদা;(১৫তম পর্ব)

সূরা আল মায়েদা;(১৫তম পর্ব) হে মুমিনরা! তোমরা ইহুদী ও খ্রিস্টানদেরকে বন্ধু এবং অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু, (তোমাদের বন্ধু নয়)। তোমাদের মধ্যে যে তাদেরকে বন্ধু বা অভিভাবক বানাবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেম সম্প্রদায়কে পথ দেখান না।

বিস্তারিত

সূরা আল মায়েদা;(১৪তম পর্ব)

সূরা আল মায়েদা;(১৪তম পর্ব) সকল ঐশী গ্রন্থের ওপর কোরআনের শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদা রয়েছে। মাধ্যমিক স্কুলের পাঠ্য বইয়ের চেয়ে ইউনিভার্সিটির বইয়ের যেমন উচ্চ মর্যাদা রয়েছে এবং ভার্সিটির বই যেভাবে নীচু ক্লাসের বইগুলোকে অনুমোদন করে।

বিস্তারিত

সূরা আল মায়েদা;(১২তম পর্ব)

সূরা আল মায়েদা;(১২তম পর্ব) ঈমান বিষয়টা অন্তর দিয়ে গ্রহণ করার ব্যাপার কেবল মুখে উচ্চারণের বিষয় নয়। আমাদেরকে অবশ্যই আল্লাহর আদেশ মেনে চলতে হবে। আল্লাহ আমাদের চাওয়ার কাছ সমর্পিত হবেন তা নয়।   

বিস্তারিত

সূরা আল মায়েদা;(১১তম পর্ব)

সূরা আল মায়েদা;(১১তম পর্ব) মহান আল্লাহর বিচারালয়ে দোযখ থেকে মুক্তির জন্য কোনো বিনিময়ই গ্রহণ করা হবে না। মানুষের মুক্তির চালিকা শক্তিগুলো নিয়্যাত বা মনের ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল, সৌভাগ্য বা মুক্তি বাহ্যিক ঈমান ও কাজকর্ম, কিংবা অর্থ-সম্পদ বা ক্ষমতার ওপরও নির্ভর করে না । ইসলাম ব্যক্তিকেন্দ্রীক ধর্ম নয়, বরং সমাজ সংস্কারের জন্য ইসলামের রয়েছে যথেষ্ট কর্মসূচি। ইসলামের বিধান কেবলই পরকালকেন্দ্রীক নয়, ইহকালেও মানুষের জীবনের সব দিকের জন্য বিধান দিয়েছে এ মহান ধর্ম।  

বিস্তারিত

সূরা আল মায়েদা;(১০ম পর্ব)

সূরা আল মায়েদা;(১০ম পর্ব) মানুষের সমাজটা হলো পরিপূর্ণ একটি দেহের মত। সমাজের প্রতিটি মানুষ হলো সেই দেহের একেকটি অঙ্গ। এই সমাজের একটি অঙ্গের কোনো রকমের ক্ষতি হয় তার প্রভাব অপর অঙ্গের ওপর সুস্পষ্ট হয়ে যায়।

বিস্তারিত

সূরা আল মায়েদা;(৯ম পর্ব)

সূরা আল মায়েদা;(৯ম পর্ব)  অতীতের ইতিহাস ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য শিক্ষার মাধ্যম। তাই ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো পর্যালোচনা করা জরুরি। ভাল কাজ করাই যথেষ্ট নয়, এর পেছনে সৎ উদ্দেশ্য ও আন্তরিকতা থাকা দরকার। তা না থাকলে ভাল কাজও মূল্যহীন।

বিস্তারিত

আপনার মতামত

মন্তব্য নেই
*
*

আল হাসানাইন (আ.)