আল হাসানাইন (আ.)

কোরআনের তাফসীর

সূরা আলে ইমরান;(পর্ব ৩১)

সূরা আলে ইমরান;(পর্ব ৩১)

সৃষ্টি জগতের সব সৃষ্টির প্রতি বিশেষ করে মানুষের প্রতি আল্লাহ বিশেষ দয়া বা অনুগ্রহ করেছেন। মানুষের প্রতি আল্লাহর বিশেষ রহমত বা অনুগ্রহের মধ্যে সবচেয়ে বড় নেয়ামত হলো জীবনের পথ নির্দেশনা। মূলত হেদায়াত তথা পথ নির্দেশনা ছাড়া মানুষের সমস্ত প্রতিভা,চিন্তা-ভাবনা,ত্যাগ,শ্রম এসবই পণ্ডশ্রম ও পথ ভ্রষ্টতার শিকার হতে বাধ্য।

বিস্তারিত

সূরা আলে ইমরান;(২৭তম পর্ব)

সূরা আলে ইমরান;(২৭তম পর্ব) অনেক মানুষই ঈমানদার হবার দাবী করেন। কিন্তু খুব কম মানুষই ঈমানের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত থাকেন বা বিপদের সময়ও ঈমানের ওপর অটল থাকেন।

বিস্তারিত

সূরা আলে ইমরান;(২৮তম পর্ব )

সূরা আলে ইমরান;(২৮তম পর্ব ) মুমিন ও মুসলিম সমাজের জন্য একটা বড় বিপদ হলো দুনিয়ার স্বার্থের জন্য ইসলামের নীতিমালা বিসর্জন দেয়া। বহু ব্যক্তি ও সমাজ প্রথমদিকে ঈমানের পথ অনুসরণ করেছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে অমুসলিম সমাজে কোন কোন বিষয়ে স্বাধীনতা এবং দুনিয়াবী কল্যাণের চাকচিক্য দেখে তারা ইসলাম থেকে দূরে সরে গিয়ে কুফরীর দিকে ঝুঁকে পড়ে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ এই শ্রেণীর মুসলমানদের উদ্দেশ্যে বলছেন,'আল্লাহর বিধান মেনে চলার বদলে যদি তোমরা কাফেরদের পথ অনুসরণ কর,তাহলে তারা তোমাদেরকে উন্নতির পরিবর্তে অধপতনের দিকে নিয়ে যাবে। ফলে তোমরাই মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

বিস্তারিত

সূরা আলে ইমরান;(২৬তম পর্ব)

সূরা আলে ইমরান;(২৬তম পর্ব) মানুষকে পথনির্দেশনা ও শিক্ষা দেয়ার জন্য অতীতের ইতিহাস তুলে ধরা কোরআনের অন্যতম রীতি। বিশ্ব শুধু বর্তমান সময়ের মধ্যেই সীমিত নয়। আমাদের আগেও পৃথিবীতে অনেক মানুষ এসেছে এবং তারা বিদায়ও নিয়েছে। তাদের ইতিহাস ও পরিণতি আজকের যুগের মানুষের জন্যে সবচেয়ে বড় শিক্ষা। কারণ,পৃথিবী খোদার রীতি ও স্থায়ী বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হয়। মানব জাতির ইতিহাস জানা ছাড়া খোদার এইসব বিধান জানা সম্ভব নয়। তাই কোরআন আমাদেরকে দেশ ভ্রমণের উপদেশ দিচ্ছে যাতে আমরা অতীতের সৎ ও পাপী মানুষের পরিণতি উপলব্ধি করি এবং সঠিক পথ বেছে নিয়ে অন্যদের তিক্ত অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি না করি।

বিস্তারিত

সূরা আলে ইমরান;(২৫তম পর্ব)

সূরা আলে ইমরান;(২৫তম পর্ব)  মুমিনদেরকে সব সময় সক্রিয় ও গতিশীল হতে হবে। জড়তার পরিবর্তে সব সময় উন্নতি ও অগ্রগতির চেষ্টা করতে হবে এবং সৎ কাজের ক্ষেত্রে অন্যদের তুলনায় এগিয়ে থাকার চেষ্টা চালাতে হবে।

বিস্তারিত

সূরা আলে ইমরান; (২৪তম পর্ব)

সূরা আলে ইমরান; (২৪তম পর্ব) কাফের ও জালেম শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রামের ক্ষেত্রে শয়তান সব সময়ই মুমিনদেরকে হতাশ করার চেষ্টা চালায়। অন্যদিকে ফেরেশতারা মুমিনদের অন্তরে প্রশান্তি সৃষ্টি করে যাতে তারা ক্লান্ত ও ভগ্ন হৃদয় না হয়ে বরং আরো দৃঢ় মনোবল নিয়ে শত্রুদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে নির্মূল করে দেয়,অথবা অন্তত শত্রুদেরকে পরাজিত করে যাতে শত্রুরা পরবর্তীকালে হামলা চালাবার সাহস না পায়।

বিস্তারিত

সূরা আলে ইমরান;(২৩তম পর্ব)

সূরা আলে ইমরান;(২৩তম পর্ব) শুধুমাত্র আল্লাহর বিধান প্রচার করাই রাসূলের দায়িত্ব ছিল না। আল্লাহর বিধানের বাস্তবায়ন এবং ধর্মের শত্রুদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করাও তাঁর দায়িত্ব ছিল। তাই,মুসলমানদেরকেও শুধু ব্যক্তিগত দায়িত্ব পালন করলেই চলবে না। ইসলাম ধর্ম ও মুসলিম সমাজকে রক্ষার জন্য প্রচেষ্টা চালানো সমস্ত মুসলমানেরই দায়িত্ব

বিস্তারিত

সূরা আলে ইমরান;(২১তম পর্ব)

সূরা আলে ইমরান;(২১তম পর্ব) ধর্মের দৃষ্টিতে নামায তখনই পরিপূর্ণ হয়,যখন তা অন্যান্য মুসলমানদের সাথে জামাতের মাধ্যমে আদায় করা হয়। ঘরে বসে পড়া নামায পূর্ণাঙ্গ নয়। মুসলিম সমাজকে সব ধরনের অপবিত্রতা থেকে দূরে রাখার জন্য ধর্মের সবচেয়ে প্রধান কর্মসূচি হলো,সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করার দায়িত্ব পালন

বিস্তারিত

সূরা আলে ইমরান;(২০তম পর্ব)

সূরা আলে ইমরান;(২০তম পর্ব) আল্লাহর ধর্মের অনুসারীদের জন্য একটা বড় বিপদ হলো অনৈক্য ও দলাদলির বিপদ। ভাষাগত ও জাতিগত পার্থক্য, কিংবা কোন পুরনো দ্বন্দ্ব বা শাসন বিষয়ক সমস্যা নিয়ে এইসব অনৈক্য ও দলাদলি শুরু হয়। এর আগে আমরা আলোচনা করেছিলাম, আল্লাহ মুমিনদেরকে ঐক্যবদ্ধ ও পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে বলেছেন এবং মুমিনদেরকে একে অপরের ভাই বলে উল্লেখ করেছেন। তাই আল্লাহর ধর্মের অনুসারীরা তথা মুমিন মুসলমানরা বিশ্বের যে কোন প্রান্তেই থাকুক না কেন তাদের মধ্যে এক ধরনের আন্তরিক বন্ধন সৃষ্টি হয়। কোন ভৌগোলিক সীমারেখা বা জাতিয়তার দেয়াল তাদের এই আত্মিক বন্ধনের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটাতে পারে না।

বিস্তারিত

সূরা আলে ইমরান;(১৯তম পর্ব)

সূরা আলে ইমরান;(১৯তম পর্ব) হানবী (সা.) মদীনায় আসার পর তাঁর নেতৃত্বে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর ফলে এই শহরের বিভিন্ন গোত্র ও সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তি ফিরে আসে। মদীনায় ‘আওস'ও ‘খাজরাজ'নামের দুই গোত্রের মধ্যে দীর্ঘকাল ধরে দ্বন্দ্ব-সংঘাত থাকলেও মহানবীর নেতৃত্বের ছায়াতলে তাদের মধ্যে শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কোন কোন ইহুদী নেতা মুসলমানদের মধ্যে ঐক্যকে নিজেদের জন্য বিপজ্জনক মনে করে মুসলিম ঐক্যে ভাঙ্গন সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চালাতে থাকে।

বিস্তারিত

সূরা আলে ইমরান;(১৮তম পর্ব)

সূরা আলে ইমরান;(১৮তম পর্ব) পূর্ববর্তী আয়াতে বলা হয়েছিল- ইহুদিরা নিজেদের পক্ষ থেকে কোন কোন খাবারকে হারাম ঘোষণা করে এবং আল্লাহই সেসব খাবার অবৈধ করেছেন বলে দাবি করে। এজন্যে ইসলামের নবী তাদেরকে ঐসব খাবার হারাম হবার ব্যাপারে তাওরাত থেকে প্রমাণ দেখাতে বলেন। আর এই আয়াতে ইহুদিদের উদ্দেশ্য করে আল্লাহ বলছেন,তোমরা যদি ইবরাহিমের ধর্ম মানার দাবি করে থাক,তাহলে বাস্তবেও ইবরাহীমের মত সত্য-সন্ধানী এবং সত্যের অনুসারী হও। আর কোরআনের বিধানই হল সত্য,নিজেদের খেয়ালিপনা অথবা পূর্বপুরুষদের প্রথা কিংবা কুসংস্কারের অনুসরণ আল্লাহর সাথে শিরকের সমান

বিস্তারিত

সূরা আলে ইমরান;(২২তম পর্ব)

সূরা আলে ইমরান;(২২তম পর্ব) আল্লাহকে অস্বীকার করার ব্যাপারে যেসব চিন্তাভাবনা বা অনুভূতি কাজ করে তার মধ্যে অন্যতম হলো, সম্পদ ও ক্ষমতার কারণে আল্লাহর ওপর নির্ভরশীলতা অনুভব না করা। অনেকে মনে করে, সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি থাকলে আল্লাহকে মানার কোন প্রয়োজন হয় না। এই আয়াতে এই বোকামীসুলভ ধারণা নাকচ করে দিয়ে বলা হয়েছে, পৃথিবীতে সন্তান ও সম্পদ তাদেরকে রক্ষা করবে বলে ধরে নেয়া হলেও কেয়ামতের দিন তারা কী করবে? কেয়ামত বা বিচার দিবসে তাদের প্রচ্ছন্ন কুফরী দোযখের আগুনের মাধ্যমে প্রকাশিত হবে এবং আল্লাহকে অস্বীকার করার কারণে তারা জাহান্নামী হবে। 

বিস্তারিত

সূরা আলে ইমরান;(১৭তম পর্ব)

সূরা আলে ইমরান;(১৭তম পর্ব) মানুষ তার পথ নির্বাচনের ব্যাপারে স্বাধীন। তারা বিশ্বাস ও কুফুরী বা অবিশ্বাসের মধ্যে যে কোন পথ বেছে নিতে পারে। কোন কোন মানুষ তাদের পূর্ব পুরুষদের অন্ধ অনুসরণ করতে গিয়ে অথবা খেয়ালীপনার বশে কিংবা পরিবেশের চাপে পড়ে ঈমান আনে। কিন্তু তাদের ঈমান সঠিক ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত নয় বলে তারা খুব সহজেই ঈমান হারিয়ে ফেলে পুনরায় অবাধ্যতা বা কুফরিতে লিপ্ত হয়।

বিস্তারিত

সূরা আলে ইমরান;(১৬তম পর্ব)

সূরা আলে ইমরান;(১৬তম পর্ব) আল্লাহ যেসব জীবন্ত অস্বিত্ব সৃষ্টি করেছেন সেসব দু'ধরনের। একদল তাদের পথ নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্বাধীন,যেমন মানুষ। অন্য একদলের স্বাধীন ইচ্ছা শক্তি নেই,তবে তারা বিবেকের অনুসারী এবং তাদের কোন কু-প্রবৃত্তি নেই,যেমন ফেরেশতা। এ আয়াতে বলা হয়েছে,সব ধরনের সৃষ্টি ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় আল্লাহর বিধান মেনে চলে। সৃষ্টির অস্তিস্ব লাভ ও সৃষ্টির সূচনা বা পটভূমি সবই আল্লাহর হাতে। সবকিছুর সৃষ্টি আল্লাহর ইচ্ছায় হয়ে থাকে। সৃষ্টির সময় যদি সব কিছু আল্লাহর ইচ্ছার অনুসারী হয় তাহলে পরবর্তীকালে কেন বিধি-বিধানের জন্য মানব রচিত মতাদর্শগুলোর শরণাপন্ন হতে হবে? এবং কেন খোদায়ী বিধি-বিধানকে ভুলে যেতে হবে? স্রষ্টা ছাড়া অন্য কেউ কি সৃষ্টির জন্য বিধান প্রণয়নের অধিকার রাখে? স্রষ্টার আইন বাদ দিয়ে অন্য কারো আইনের সন্ধানে যাওয়া সৃষ্টির জন্য কি শোভনীয় ?

বিস্তারিত

সূরা আলে ইমরান;(১৫তম পর্ব)

সূরা আলে ইমরান;(১৫তম পর্ব) আল্লাহ মানুষের মুক্তি ও সৌভাগ্যের লক্ষ্যে তাদেরকে দুই পদ্ধতিতে পথ প্রদর্শন করেন। এই দুই পদ্ধতির একটি হলো,ফিতরাত বা মানুষের অভ্যন্তরীণ বিবেক। বিবেকই মানুষকে বলে দেয় কোনটা খারাপ ও কোনটা ভাল। আর দ্বিতীয়টি হলো ওহী,যার উৎস আল্লাহর অসীম জ্ঞান। ধর্ম ও ধর্মীয় আইন হিসেবে ওহী মানুষকে ক্রমেই পূর্ণতার পথে পরিচালিত করে। খোদায়ী বা ঐশী প্রতিশ্রুতির মধ্যে ধর্মের ও বিবেকের উপদেশ রয়েছে। 

বিস্তারিত

সূরা আলে ইমরান; (১৪তম পর্ব)

সূরা আলে ইমরান; (১৪তম পর্ব) মুসলমানদের সরল বিশ্বাসী ও সরলমনা হওয়া উচিত নয়। বরং কপট বিশ্বাসীদের সম্পর্কে তাদের সব সময় সাবধান হওয়া উচিত। শত্রুরা চায় মুসলমানরা তাদের ধর্ম ত্যাগ করুক এবং এ জন্য তারা সব সময়ই ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তাই শত্রুদের সাংস্কৃতিক ষড়যন্ত্র মোকাবেলার জন্য মুসলমানদেরকে সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে।

বিস্তারিত

মহানবী (সা.)-এর আহলে বাইতের তাফসীর করার পদ্ধতি

মহানবী (সা.)-এর আহলে বাইতের তাফসীর করার পদ্ধতি রাসূল (সা.)-এর আহলে বাইত (আ.)-যাঁরা কুরআনের সঠিক ব্যাখ্যাকারী,তাঁদের নিজ নিজ যুগে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্র যতটা অনুকূলে ছিল শেষ আসমানী গ্রন্থ কুরআনের ততটাই তাফসীর করেছেন। কুরআনের ক্ষেত্রে তাঁদের দৃষ্টি সামগ্রিকতা ও পূর্ণতার দিক থেকে এবং বাহ্যিক ও আত্মিক দিক থেকে শক্তিশালী ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত।

বিস্তারিত

সূরা আলে ইমরান;(১১তম পর্ব)

সূরা আলে ইমরান;(১১তম পর্ব) ইহুদীরা হযরত ঈসা (আঃ)কে হত্যার ষড়যন্ত্র করায় আল্লাহ তাদেরকে কঠিন শাস্তি দিয়েছিলেন। ঐতিহাসিক বর্ণনা থেকে জানা যায় প্রায় চল্লিশ বছর ধরে রোমের একজন শাসক ইহুদীদের ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ঐ রাজা সে সময় কয়েক হাজার ইহুদীকে হত্যা অথবা বন্দী করেছিল এবং কোন কোন ইহুদীকে পশুর খাদ্য করা হয়েছিল। অবশ্য আল্লাহ কারো ওপর জুলুম করেন না এবং আল্লাহ মানুষের আচরণ অনুযায়ী শাস্তি দিয়ে থাকেন। নবীদের প্রতি অবিশ্বাস ও তাদের সাথে গোয়ার্তুমির পরিণাম অত্যাচারী শাসকদের হাতে বন্দী হওয়া এবং সৌভাগ্যের পথ থেকে বঞ্চিত হওয়া ছাড়া অন্য কিছু হতে পারে না। আর অন্যদিকে ঈমান ও সৎ কাজের পরিণতি হলো,দুনিয়া ও পরকালে বৈষয়িক এবং আত্মিক নেয়ামতের অধিকার হওয়া তথা সৌভাগ্যবান হওয়া।

বিস্তারিত

সূরা আলে ইমরান;(১০ম পর্ব)

সূরা আলে ইমরান;(১০ম পর্ব) হযরত ঈসা নবীর জন্মই ছিল এক মোজেজা। আল্লাহর ইচ্ছায় মারিয়াম (সাঃ) কোন স্বামী ছাড়াই ঈসা নবীকে জন্ম দেন এবং তিনি জন্মের পর পরই দোলনায় থেকে মানুষের সাথে কথা বলেছেন। কিন্তু এতসব মোজেজার পরও ঈসা (আঃ) নবী হিসেবে বনি ইসরাইল জাতির কাছে গিয়ে তাদেরকে আরো কিছু মোজেজা দেখিয়েছিলেন যাতে তারা তাঁর ওপর ঈমান আনে। তিনি কাদা ও মাটি দিয়ে জীবন্ত পাখী সৃষ্টি করা ছাড়াও কুষ্ঠ রোগীকে সুস্থ করেছেন,জীবিত করেছেন মৃতকে এবং জীবিতদের ঘরে কী ঘটছে তাও বলে দিতেন। এসবই হত আল্লাহর ইচ্ছায়। কারণ,কোন কিছু সৃষ্টি করা ও অদৃশ্যের খবর রাখা একমাত্র আল্লাহরই গুণ। কিন্তু আল্লাহ চাইলে যে কেউ এসব কাজ করতে পারে। হযরত ঈসা (আঃ)'র প্রতি যারা ঈমান এনেছে,তাঁদের অধিকাংশই এই নবীর বিশেষ ধরনের জন্ম ও তাঁর ঐসব মোজেজা দেখে তাঁকে অতিমানব বা আল্লাহর পুত্র বলে ভুল ধারণা করেছে। আসলে তিনি আল্লাহর পুত্র নন। তিনি মারিয়াম (সাঃ)'র পুত্র। তাঁর মাধ্যমে যা কিছু ঘটেছে সেসব তাঁর ক্ষমতা ছিল না,সেসব ছিল আল্লাহরই ক্ষমতা।

বিস্তারিত

সূরা আলে ইমরান;(১৩তম পর্ব)

সূরা আলে ইমরান;(১৩তম পর্ব) যুক্তি দিয়েই ধর্মের সত্যতা প্রমাণ করতে হবে। অমুক ব্যক্তি অমুক ধর্মের অনুসারী ছিলেন,অথবা অমুক ধর্ম অন্যান্য ধর্মের চেয়ে প্রাচীন এসব কথা ধর্মের সত্যতা প্রমাণের ক্ষেত্রে যুক্তি হতে পারে না।

বিস্তারিত

আপনার মতামত

মন্তব্য নেই
*
*

আল হাসানাইন (আ.)