আল হাসানাইন (আ.)

কোরআনের তাফসীর

সূরা বাকারাহ;(৬০তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৬০তম পর্ব)

মানুষের শারীরিক সুস্থতার জন্য উপযুক্ত ও নিয়মিত খাদ্য গ্রহণ জরুরী। যদি কেউ পুষ্টিকর খাবার থেকে বঞ্চিত হয়,তাহলে সে দুর্বল বা অসুস্থ হয়ে পড়বে। তেমনি আমাদের আত্মার উন্নতি ও পূর্ণতার জন্য স্রষ্টা অর্থাৎ মহান আল্লাহর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা দরকার। আর এজন্যেই আহার গ্রহণের মত নামাজও দিনে কয়েকবার আদায় করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে যাতে আমাদের শরীর ও আত্মা সমানতালে পূর্ণতা লাভ করে এবং আমাদের আত্মা অপবিত্রতা থেকে মুক্ত হয়ে সতেজ ও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(৫৯তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৫৯তম পর্ব) ইসলাম বাস্তব ও বিজ্ঞানসম্মত ধর্ম । আর প্রত্যেক মানুষই স্বভাবগতভাবে বিয়ে করতে আগ্রহী। ইসলাম এই চাহিদার বিরোধীতা করে না। বরং নারী ও পুরুষের জন্য এর বৈধ ক্ষেত্র সৃষ্টি করেছে

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(৫৮তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৫৮তম পর্ব) স্ত্রীর মানবিক অধিকার ছাড়াও তার অর্থনৈতিক অধিকারও রক্ষা করতে হবে এবং স্ত্রীর সম্পদ ও মোহরানা থেকে স্বামী কিছুই গ্রহণ করতে পারবে না। তালাক বা বিবাহ বিচ্ছেদ যদি একান্তই অপরিহার্য হয়ে পড়ে তাহলে সম্মান ও সদয়ভাবে তা করতে হবে এবং প্রতিশোধ ও বিদ্বেষের মনোভাব নিয়ে তা করা যাবে না।

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(৫৭তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৫৭তম পর্ব) বিয়ের অন্যতম লক্ষ্য হলো- সন্তানের অধিকারী হওয়া এবং বংশ টিকিয়ে রাখা। আর এক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ উভয়েরই ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু আল্লাহ তা'লা সন্তান প্রতিপালনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সন্তান জন্মের আগেই মায়ের ওপর অর্পণ করেছেন। পবিত্র কোরআন এক্ষেত্রে সুন্দর ও উপযুক্ত উপমা ব্যবহার করে স্ত্রীকে শস্য-ক্ষেত্রের সঙ্গে তুলনা করেছে। পুরুষের ঔরস থেকে মায়ের গর্ভে নয় মাস ধরে সন্তানের বীজ প্রতিপালিত হবার পর সন্তান মাটি থেকে চারাগাছের মত বেরিয়ে এসে মানব-সমাজের গুলবাগিচায় স্থান করে নেয়। কিন্তু বীজ গ্রহণ ও প্রতিপালনের জন্য শস্যক্ষেতের প্রস্তুতি থাকা দরকার।

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(৫৬তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৫৬তম পর্ব) সমাজের মুক্তি ও নিরাপত্তার জন্য কাজ করতে হবে। মদ পান মানুষের বিবেক ও চিন্তাশক্তিকে দুর্বল করে এবং জুয়া অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতা,হিংসা,বিদ্বেষ ও অপরাধের জন্ম দেয় বলে ইসলাম এসবকে নিষিদ্ধ করেছে।

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(৫৫তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৫৫তম পর্ব) বঞ্চিতদের সহায়তা করা ও তাদের দিকে লক্ষ্য রাখা মুমিনদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য যা কোরআনের বহু আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই ইসলামের প্রাথমিক যুগে মুসলমানরা রাসূল (সা.)'র কাছে প্রশ্ন করেছিল- কাকে ও কতটুকু দান করা যাবে? দানের পরিমাণ ও ধরণ স্পষ্ট ও স্থির নয় বলে এটা নির্ভর করে মানুষের ক্ষমতা ও অভাবগ্রস্তের চাহিদার পরিমাণের ওপর।

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(৫৪তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৫৪তম পর্ব) ইতিহাস,শিক্ষা বা অভিজ্ঞতালাভের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। আল্লাহ বনী ইসরাইল জাতিকে অনেক আধ্যাত্মিক ও বৈষয়িক নেয়ামত দিয়েছেন। ইহুদীদের জন্য মূসা ( আঃ) এর মত ত্রাণকর্তা পাঠিয়েছিলেন যিনি ইহুদিদেরকে ফেরাউনের উৎপীড়ন থেকে মুক্তি দেন। একইসঙ্গে ইহুদিরা পার্থিব জীবনযাপনের জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধা পেয়েছিল। কিন্তু আল্লাহর দেয়া সুযোগ সুবিধা ও অনুগ্রহকে তারা ভুল পথে ব্যয় করেছে। তারা আল্লাহর ইবাদতের পরিবর্তে বাছুর পুজা শুরু করেছিল এবং তারা মুসা (আ.)র কাছে না গিয়ে সামেরীর কাছে গিয়েছিল। আর তাই,আল্লাহ তাদের ওপর অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন এবং তারা এ পৃথিবীতেই বিপর্যস্ত হয়। বর্তমানেও শিল্প-সমৃদ্ধ বিশ্বে মানুষ অনেক সূযোগ-সুবিধার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও ধর্মীয় মূল্যবোধ থেকে দূরে থাকায় তারা পাপ,আত্মহনন ও বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে।

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(৫৩তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৫৩তম পর্ব) অপরাধ বা পাপের পুনরাবৃত্তির অন্যতম কারণ হল বিদ্বেষ,একগুঁয়েমী এবং অহংকার। ফলে মানুষ পাপের কারণে লজ্জিত ও ক্ষমাপ্রার্থী না হয়ে আরো বেশী পাপ করতে থাকে । মুমিন হল কাজে বিশ্বাসী। মুমিন আল্লাহর সাথে লেনদেন করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সচেষ্ট থাকে,কিন্তু মুনাফিকরা পার্থিব বিষয়ের সাথে লেনদেন করে এবং তারা মানুষের সন্তুষ্টির প্রত্যাশায় রয়েছে।

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(৫২তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৫২তম পর্ব) আমরা আল্লাহর কাছে যেন নিজেদের শান্তি,সৌভাগ্য ও কল্যাণ কামনা করি। সীমিত কোন কিছু যেন আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট না করি,কারণ আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ এবং কোন কোন বিষয় আমাদের জন্য কল্যাণকর তা জানি না।

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(৫১তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৫১তম পর্ব) হজ্ব অনুষ্ঠানের প্রচলনকারী হলেন হযরত ইব্রাহীম (আঃ)। তার যুগেই আরবদের মধ্যে হজ্ব প্রচলিত হয়। ইসলামও এই অনুষ্ঠানকে স্বীকৃতি দেয়। প্রত্যেক স্বচ্ছল মুসলমানের জন্য সামর্থ থাকলে জীবনে একবার হজ্ব করা ফরজ।

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(৫০তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৫০তম পর্ব) ইসলামের দৃষ্টিতে জিহাদের উদ্দেশ্য ধন-সম্পদ লাভ করা,জাতিগত প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা কিংবা রাষ্ট্রের সীমানা বৃদ্ধি করা নয় বরং জিহাদের উদ্দেশ্য এর সম্পূর্ণ বিপরীত। জুলুম,অত্যাচার,অবিচার,অসত্য,শির্ক,কুফরী ও কুসংস্কার নির্মূল করে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা এবং জনগণকে আল্লাহর ধর্মের দিকে পরিচালিত করাই হলো জিহাদ বা ধর্মযুদ্ধের উদ্দেশ্য।

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(৪৯তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৪৯তম পর্ব) ইসলাম বৈরাগ্যের ধর্ম নয়। তাই দিনের বেলা ইবাদতের পর ইসলাম রাতে বৈধ আরাম আয়েশের অনুমতি দেয়। এটা ইসলামের পূর্ণতার নিদর্শন এবং মানুষের সার্বিক কল্যাণই যে ইসলামের লক্ষ্য-তা এই বিধান থেকে বোঝা যায়।  

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(৪৮তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৪৮তম পর্ব) রোজা বা সিয়াম সাধনা আল্লাহর অন্যতম বিধান যা শুধু ইসলামের বিধান নয়, পূর্ববর্তী ধর্মগুলোতেও এই বিধান ছিল। রোজা হলো একটি অপ্রকাশ্য ইবাদত। আর নামাজ ও হজ্ব দৃশ্যমান ইবাদত। রোজা অপ্রকাশ্য ইবাদত বলে তা দিয়ে নিজকে জাহির করা বা লোক দেখানোর সম্ভাবনা কম। রোজা মানুষের ইচ্ছাকে শক্তিশালী করে। যারা একমাস ধরে দিনের বেলায় সব ধরনের খাদ্য-দ্রব্য ও ইন্দ্রিয় তৃপ্তি থেকে দূরে থাকে, তারা অন্যের ধন-সম্পত্তির ব্যাপারে নিজের লোভ-লালসাকে দমন করতে সক্ষমতা লাভ করে। রোজা মানুষকে উদার হতে শেখায়।

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(৪৭তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৪৭তম পর্ব) আমাদের প্রত্যেককেই একদিন না একদিন এই নশ্বর পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতেই হবে। আমরা যেমন খালি হাতে এ জগতে এসেছিলাম,ঠিক তেমনি যখন চলে যাব তখনও খালি হাতেই চলে যাব। বাড়ী-গাড়ী, অর্থ-সম্পদ,কল-কারখানা এসবই ছেড়ে চলে যেতে হবে।

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(৪৬তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৪৬তম পর্ব) ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ ধর্ম বা জীবন বিধান। ব্যক্তিগত ও সামাজিক বিষয়ের সকল ক্ষেত্রে ইসলাম বিশেষ পথনির্দেশনা ও বিধান দিয়েছে, যাতে মানব সমাজ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার অধিকারী হয়।

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(৪৪তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৪৪তম পর্ব) যারাই মানুষকে নোংরা ও অশ্লীল কাজের দিকে আহ্বান জানাবে তারাই শয়তান, যদিও বাহ্যিকভাবে তারা মানুষের মত।

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(৪৩তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৪৩তম পর্ব) খোদাবিমুখ নেতৃবৃন্দ ও তাগুতি শক্তি, কিয়ামতের দিন যে শুধু ক্ষমতাবিহীন থাকবে তা নয়-তারা এত দায়িত্বহীন হবে যে, নিজেদের অনুসারীদের সাথেও সম্পর্ক ছিন্ন করবে।

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(৪২তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৪২তম পর্ব) মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তওবা কার্যকরী হয়। মৃত্যুর পরের জগতে যাওয়ার পর তওবা বা ক্ষমা প্রার্থনা করে কোন লাভ হবে না। ফেরাউনও নিশ্চিত মৃত্যুর সম্মুখীন হওয়ার পর অর্থাৎ ডুবে যাবার সময় তাওবা করেছিল কিন্তু সে তাওবায় কোন কাজ হয়নি।

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(৪৫তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৪৫তম পর্ব) হে ঈমানদারগণ! তোমরা পবিত্র বস্তু সামগ্রী আহার কর, যেগুলো আমি তোমাদেরকে জীবিকা হিসাবে দান করেছি এবং শুকরিয়া আদায় কর আল্লাহর যদি তোমরা তাঁরই বন্দেগী কর।

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(৪১তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৪১তম পর্ব) এই পার্থিব জগত হলো একটি পরীক্ষার জায়গা। আল্লাহ তা'লা প্রত্যেক মানুষকেই পরীক্ষা করেন। তবে সবার পরীক্ষা একই স্তরের নয়। আল্লাহ যাকে যেমন জ্ঞান, মেধা এবং জীবনোপকরণ দিয়েছেন তাকে ঠিক তার অনুপাতেই পরীক্ষা করা হবে।

বিস্তারিত

আপনার মতামত

মন্তব্য নেই
*
*

আল হাসানাইন (আ.)