আল হাসানাইন (আ.)

কোরআনের তাফসীর

সূরা বাকারাহ;(৪০তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৪০তম পর্ব)

আল্লাহ মানুষকে এত নেয়মত ও কল্যাণ দান করেছেন যে তা হিসাব করে শেষ করা যাবে না। ফলে এসব নেয়ামত তিনি যেভাবে ব্যবহার করলে সন্তষ্ট হন সেভাবেই ব্যবহার করা উচিত। যদি মানুষ আল্লাহকে ভুলে যায়-তাহলে তার প্রতি আল্লাহর অসংখ্য অনুগ্রহের কথাও তার মনে থাকে না, এই অবস্থায় আল্লাহও তাকে তার নিজের অবস্থার ওপর ছেড়ে দেন। আল্লাহকে স্মরণ করা বলতে শুধু মুখে মুখে স্মরণ করা বোঝায় না বরং আন্তরিক চিত্তে বাস্তবে তাকে স্মরণ করা বোঝায়।

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ; ( ৩৯তম পর্ব )

সূরা বাকারাহ; ( ৩৯তম পর্ব ) ইসলাম হলো ভারসাম্যপূর্ণ ও মধ্যপন্থী ধর্ম। যদি মুসলমানরা আল্লাহর নির্দেশিত সঠিক পথে চলে তাহলে তারা অন্যান্য জাতির জন্য আদর্শ ও তাদের জন্য সাক্ষী হতে পারে। তিন. গোঁয়ার্তুমী ও বিদ্বেষ সব ধরনের যুক্তি, বিদ্বেষ ও সত্য অনুসন্ধানের বিরোধী। আর তাই ধর্ম এই দাম্ভিক মনোভাবের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে।

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(৩৮তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৩৮তম পর্ব) হে নবী,আপনি আহলে কিতাবদের বলুন,আল্লাহ সম্বন্ধে তোমরা কি আমাদের সঙ্গে বিতর্ক করতে চাও? অথচ তিনি আমাদের প্রতিপালক এবং তোমাদেরও প্রতিপালক। আমাদের কর্ম আমাদের জন্য এবং তোমাদের কর্ম তোমাদের জন্য,আমরা তাঁর প্রতি অকপট।

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(৩৭তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৩৭তম পর্ব) পূর্ব পুরুষদের নিয়ে গর্ব না করে নিজেদের কাজের ব্যাপারে চিন্তা করতে হবে৷ প্রত্যেককেই তার কর্মের ফল ভোগ করতে হবে৷ অন্যরা যখন তাদের পারলৌকিক মুক্তির জন্য আপ্রাণ সচেষ্ট, তখন আমরা নিজেদের বংশ নিয়ে গর্ব মত্ত না থাকি। আমাদেরকে সত্যপন্থী হতে হবে, দল পন্থী নয়৷ সত্যপন্থী হলে মানুষের চোখ ও কান সত্য উপলদ্ধির জন্য খোলা থাকে৷ কিন্তু যারা দলপন্থী তারা মানুষকে অন্যদের ভালো দিক ও পূর্ণতা এবং নিজেদের দূর্বলতা সম্পর্কে অজ্ঞ করে রাখে৷

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ; (৩৬তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ; (৩৬তম পর্ব) সমস্ত পূর্ণতা হলো আল্লাহর দাসত্বের মধ্যে এবং তাঁর একক সত্ত্বার এবাদতের মধ্যে। অবশ্য ইবাদত বা আরাধনা হতে হবে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে,সব ধরনের কুসংস্কার ও বেদআত বা কু-প্রথা থেকে মুক্ত হয়ে। আর এ জন্যেই হযরত ইব্রাহীম (আ.) আল্লাহর কাছে এই বলে প্রার্থনা করেছেন যে, হে খোদা! তোমার ইবাদতের পন্থা তুমি আমাদেরকে শিখিয়ে দাও, যাতে তুমি যেভাবে চাও সেভাবে তোমার ইবাদত করতে পারি ৷

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(৩৫তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৩৫তম পর্ব) ইমামত ও নেতৃত্ব খোদার দেয়া একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান, এটি দুনিয়াবী কোন পদমর্যাদা নয়। সুতরাং ইসলামী সমাজের ওপর যে কেউ শাসন চালাতে পারে না এবং যেকারো নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার নেই ৷

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(৩৪তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৩৪তম পর্ব) "সত্যকে অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে-তা অন্যদের কাছ থেকে হলেও। আমরা যেন এমন ধারণা না করি যে, যা কিছুই 'আমি' 'আমার দল' বা 'গোষ্ঠী' বলবে, শুধু তাই সত্য এবং অন্যরা যা-ই বলুক না কেন তা মিথ্যা বা পরিত্যাজ্য।

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(৩৩তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৩৩তম পর্ব) ইহুদীরা বলে খ্রিস্টানদের কোন ভিত্তি নেই অর্থাৎ তারা সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত নয় এবং খ্রিস্টানরা বলে ইহুদীরা সত্যের অনুসারী নয়,অথচ তারা (উভয় সম্প্রদায়ই) আল্লাহর গ্রন্থ পাঠ করে। একইভাবে মূর্তি পুজারী ও মুশরিকরা যারা (আল্লাহর গ্রন্থ সম্পর্কে) কিছুই জানে না তারাও অনুরূপ কথা বলে। সুতরাং যে বিষয়ে তাদের মতভেদ রয়েছে, আল্লাহ পুনরুত্থান দিবসে তার মীমাংসা করবেন

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(৩২তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৩২তম পর্ব) .মানুষ আল্লাহর অলী-আউলিয়াদের কাছ থেকে অনেক সময় যেসব অবাঞ্চিত আশা বা দাবি করে আসলে তা কুফরী বা অবিশ্বাসের ক্ষেত্র সৃষ্টি করে। কারণ আল্লাহর অলীগণ মানুষের অর্থহীন দাবি পূরণ করেন না। ফলে ওই ব্যক্তির বিশ্বাস দুর্বল হয়ে যায়

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(৩১তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৩১তম পর্ব) ইসলামের শত্রুরা চায় সব ধরনের উন্নতি ও অগ্রগতি তাদের মধ্যেই সীমিত থাকুক এবং তারা চায় না যে, মুসলমানদের কোন কল্যাণ হোক ও মুসলমানরা কোন বরকতের অধিকারী হোক। তাই তাদের দিকে তাকিয়ে না থেকে বা তাদের ওপর ভরসা না করে মুসলমানদের উচিত সম্পূর্ণ আল্লাহর ওপর নির্ভর করা।

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(৩০তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৩০তম পর্ব) জ্ঞান সব সময় মানুষের জন্য উপকারী নয়৷ বরং জ্ঞান হলো ধারালো চাকুর মতো৷ যদি তা অস্ত্রোপচারকারী ডাক্তারের হাতে পড়ে তাহলে তা দিয়ে তিনি রুগীকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেন। আর যদি খুনীর হাতে পড়ে তাহলে সে তা দিয়ে হত্যা করে নিরপরাধ মানুষকে ৷

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(২৯তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(২৯তম পর্ব) অতীতকাল থেকে ইহুদীরা নিজেদেরকে শ্রেষ্ঠ জাতি মনে করতো। তারা বিশ্বাস করতো বেহেশত তাদের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে এবং দোজখের আগুন তাদেরকে স্পর্শ করবে না। আর তারা আল্লাহর সন্তান ও তারই বন্ধু। এই মিথ্যা ধারণার বশবর্তী হয়ে তারা একদিকে তাদের খুশীমত জুলুম-অত্যাচার ও পাপ কাজ করতো

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(২৯তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(২৯তম পর্ব) প্রত্যেক মানুষকে এমনভাবে জীবন-যাপন করা উচিত ,যাতে সে যেকোন সময় মৃত্যুর জন্যে তৈরি থাকতে পারে।এই পৃথিবীতে কেউ যদি সঠিকভাবে তার দায়িত্ব পালন করে এবং অপরাধের জন্য তওবা করে তাহলে মৃত্যুকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই ।

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ; (২৮তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ; (২৮তম পর্ব) দিনা ও মদিনার আশেপাশে বসতিস্থাপনকারী ইহুদীরা মুশরিকদেরকে বলত, খুব শিগগিরই আবির্ভূত হবেন মুহাম্মদ নামের একজন নবী যিনি শত্রুদের ওপর বিজয় লাভ করবেন৷ ইহুদীরা ওই নবীর প্রতি ঈমান আনারও কথা বলত। কিন্তু সত্যিই যখন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আবির্ভূত হলেন এবং মদীনায় হিজরত করলেন, তখন দেখা গেল ইহুদীরা তাদের গোঁড়ামী ও বস্তুপূজার কারণে ঈমান আনতে অস্বীকার করল। অপরদিকে মদিনার মুশরিকরা দলে দলে ঈমান আনল এবং গ্রহণ করল ইসলাম।

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ; (২৭তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ; (২৭তম পর্ব) আমাদেরকে আল্লাহর সকল বিধান মেনে নিতে হবে। যেসব বিধান আমাদের পছন্দের বা মনপুত শুধু সেসব মানলেই হবে না। যদি আমরা আল্লাহর বিধান মানার ক্ষেত্রে শুধু পছন্দনীয় বিধানগুলো মানি আর অপছন্দনীয় বিধানগুলো না মানি তাহলে তা হবে আল্লাহর অনুগত্যের পরিবর্তে নিজেদের প্রবৃত্তির অনুসরণ।

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(২৬তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(২৬তম পর্ব) প্রকৃতপক্ষে বংশ ও গোত্রের ভিত্তিতে কোন রকম মর্যাদার দাবি করা কোন যুক্তিতেই গ্রহণযোগ্য নয়। শুধু মাত্র তাকওয়া ও সৎকাজ মানুষের মর্যাদার মাপকাঠি। পরকালেও আল্লাহ মানুষকে পুরস্কৃত বা সাজা দেবেন খোদাভীরুতা ও সৎ কাজের ভিত্তিতে।

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(২৫তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(২৫তম পর্ব) মন গড়া ধর্ম তৈরি ও ধর্ম বিক্রি করা হলো দুর্নীতি পরায়ণ পণ্ডিতদের কাজ। তাই কোন ব্ক্তব্য গ্রহণের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে সাবধান হতে হবে। এ ধরনের পণ্ডিতরা ধর্মের মুখোশ পরে থাকলেও জনগণকে সাবধান হতে হবে।

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(২৪তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(২৪তম পর্ব) আমাদের প্রকাশ্য-গোপন সব কাজের ব্যাপারেই আল্লাহ পূর্ণ অবগত। তিনি চাইলে আমাদের ঐসব কাজ প্রকাশ করে আমাদের অপদস্ত করতে পারেন। তাই পাপ করা উচিত নয় কিংবা নিজের পাপ অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া ঠিক নয়।

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ; (পর্ব ২৩)

সূরা বাকারাহ; (পর্ব ২৩) আল্লাহর নির্দেশ মান্য করার ক্ষেত্রে প্রতারণা বা ধোঁকাবাজির আশ্রয় নেয়া যাবে না। ধর্মের শুধু বাহ্যিক দিক রক্ষা করে আমরা যেন খোদার বিধানের মূল বিষয়কে পরিবর্তন না করি। কারণ বাহ্যিক দিক নয় বরং অন্তর্নিহিত তাৎপর্য বা লক্ষ্যই হল খোদার বিধানের মূল দিক। তাই মর্মার্থ হতে দূরে থেকে ধর্মের চেহারাকে বিকৃত করা হলে মানবতার মূল চেহারা বা প্রকৃতি বা চরিত্রেও বিকৃতি দেখা দেবে।

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ; (পর্ব ২২)

সূরা বাকারাহ; (পর্ব ২২) মহান আল্লাহ শুষ্ক মরুভূমিতে বনি ইসরাইল বংশের জন্য পানি ও খাবারের ব্যবস্থা করা সত্ত্বেও ইহুদীরা একদিকে অকৃতজ্ঞ এবং অন্যদিকে অতিরিক্ত সুবিধা প্রত্যাশী ও স্বার্থপর ছিল বলে হযরত মূসা (আঃ)-এর কাছে আরো বেশী খাবারের জন্য দাবি করল। মূসা (আঃ) তাদেরকে জবাবে বললেন, প্রথমত: তোমরা উত্তম স্বর্গীয় খাদ্যের পরিবর্তে নিকৃষ্ট খাদ্য চাচ্ছো। দ্বিতীয়ত: এ ধরনের খাবার পেতে হলে তোমাদেরকে শত্রুদের সাথে যুদ্ধ করতে হবে এবং এমন এক শহরে যেতে হবে যেখানে তোমরা ওইসব খাবার পেতে সক্ষম হবে। তোমরা যুদ্ধ ও জেহাদের জন্য প্রস্তুত নও অথচ সমস্ত নাগরিক সুবিধা ভোগ করতে চাও। তোমাদের এ ধরনের ভোগবাদী বা খাই-খাই মনোভাব তোমাদেরকে লাঞ্ছনা ও দূর্দশার মধ্যে ফেলেছে এবং তোমাদের ওপর আল্লাহর শাস্তি নেমে আসবে। তোমরা এ ধরনের অন্যায় দাবি জানিয়ে আল্লাহর নিদর্শন ও ক্ষমতাকে উপহাস করেছ। এমনকি তোমরা আল্লাহর নবীগণকে বৈষয়িক ও পার্থিব স্বার্থ অর্জনের পথে বাধা দেয়ার জন্য হত্যা করেছ।

বিস্তারিত

আপনার মতামত

মন্তব্য নেই
*
*

আল হাসানাইন (আ.)