ধর্ম এবং মাযহাব
কে মু’তা বিবাহ নিষিদ্ধ করেছে? (২)
- প্রকাশিত হয়েছে
-
- লেখক:
- আয়াতুল্লাহ মাকারেম শিরাজি
- সূত্র:
- আল-বাসাইর
দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর তার খেলাফত কালে মিম্বারে বসে জনগণের উদ্দেশ্যে বক্তৃতার এক পর্যায়ে উল্লেখ করেন: “রাসূলের (সা.) যুগে দু’ধরনের মু’তার প্রচলন ছিল। কিন্তু আমি সে দু’টি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছি। তন্মধ্যে একটি হচ্ছে তামাত্তু হজ্ব এবং অপরটি মু’তাতুন্নেসা বা সাময়িক বিবাহ।
কে মু’তা বিবাহ নিষিদ্ধ করেছে? (১)
- প্রকাশিত হয়েছে
-
- লেখক:
- আয়াতুল্লাহ মাকারেম শিরাজি
- সূত্র:
- আল-বাসাইর
দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর তার খেলাফত কালে মিম্বারে বসে জনগণের উদ্দেশ্যে বক্তৃতার এক পর্যায়ে উল্লেখ করেন: “রাসূলের (সা.) যুগে দু’ধরনের মু’তার প্রচলন ছিল। কিন্তু আমি সে দু’টি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছি। একটি হচ্ছে তামাত্তু হজ্ব এবং অপরটি মু’তাতুন্নেসা বা সাময়িক বিবাহ
পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে সাময়িক বিবাহ
- প্রকাশিত হয়েছে
-
- লেখক:
- আয়াতুল্লাহ মাকারেম শিরাজি
- সূত্র:
- আল-বাসাইর
শিয়া ও সুন্নী উভয় মাযহাবের শীর্ষস্থানীয় আলেমবৃন্দ ঐকমত্যের ভিত্তিতে বিশ্বাস করেন যে, রাসূলুল্লাহর (সা.) যুগে সাময়িক বিবাহের প্রচলন ছিল। কিন্তু সুন্নী মাযহাবের অধিকাংশ ফিকাহবিদগণ মন্তব্য করেছেন যে, এ বিবাহের বিধানটি পরবর্তিতে রহিত করা হযেছে।
বিভিন্ন ফিকাহর দৃষ্টিতে খুম্স
- প্রকাশিত হয়েছে
ইমামী মাজহাবের ফকীহগণ ফিকাহর কিতাবসমূহে ‘খুম্স’ শিরোনামে একটি বিশেষ অধ্যায় সংযোজন করেছেন যা ‘যাকাত’ অধ্যায়ে স্থান পেয়েছে। এ অধ্যায়ের মূল কোরআন মজীদের সূরা আনফালের ৪১ নং আয়াতে নিহিত রয়েছে। এ আয়াতে বলা হয়েছে..
মুবাহালাহর দিবস
- প্রকাশিত হয়েছে
-
- লেখক:
- মুনীর হুসাইন খান
নাজরানের প্রধান ধর্মযাজক তখন বললেনঃ আমি এমন সব পবিত্র মুখমণ্ডল দেখতে পাচ্ছি যে, যখনই তাঁরা হাত তুলে দুআ করে মহান আল্লাহর দরবারে সবচেয়ে পাহাড়কে উপড়ে ফেলতে বলবেন, তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের দুআয় সাড়ায় দেয়া হবে। সুতরাং এ সব আলোকিত (নূরানী) মুখমণ্ডল এবং সুমহান মর্য্যাদার অধিকারী ব্যক্তির সাথে আমাদের মুবাহালা করা কখনই ঠিক হবে না। কারণ এতে করে আমাদের ধ্বংসা হয়ে যাওয়া বিচিত্র কিছু নয় এবং স্রষ্টার শাস্তি ব্যাপকতা লাভ করে বিশ্বের সকল খ্রীস্টানকে সমূলে ধ্বংস করে দিতে পারে। তখন পৃথিবীর বুকে একজন খ্রীষ্টানও অবশিষ্ট থাকবে না।
কুরআনের দৃষ্টিতে নবী-রাসূলগণ
- প্রকাশিত হয়েছে
প্রতিটি মানবগোষ্ঠীর মধ্যেই সত্য, ন্যায়, পবিত্রতা ও হক্-ইনসাফের যে অনুভূতিটুকু পাওয়া যায় সেসবই কোনো না কোনোভাবে নবী-রাসূলগণের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সাথে সম্পর্কিত। এই বিশাল সৃষ্টিজগতের পশ্চাতে একজন সৃষ্টিকর্তা ও নিয়ন্ত্রণকারীর সুনিপুণ হাত কার্যকর এ বাস্তব ধারণা এবং তৎসঙ্গে ভালো-মন্দ, সত্য-মিথ্যা, কল্যাণ-অকল্যাণ, হক-ইনসাফ প্রভৃতি অনুভূতি একান্তভাবেই নবী-রাসূলগণের প্রদত্ত শিক্ষারই উত্তরাধিকার।
দরিদ্রতার চেয়ে মৃত্যু ভাল
- প্রকাশিত হয়েছে
ধনসম্পদ থাকলেই মানুষ সুখী হতে পারে না। কারণ অতিরিক্ত ধন-সম্পদ মানুষকে আল্লাহর স্মরণ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারে। অপরদিকে অতিরিক্ত দারিদ্র্যও মানুষের ঈমানকে নষ্ট করে দিতে পারে। তাই ইসলাম সবসময় মানুষের দারিদ্র্য দূর করার চেষ্টা করে। অভাব মোকাবেলার ব্যাপারে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গী সম্পর্কে আমিরুল মোমেনীন হযরত আলী (আ.) বলেছেন, দরিদ্রতার জন্য চেয়ে মৃত্যু ভাল।
মহানবী (সাঃ)-এর আহলে বাইতকে ভালবাসা ফরজ
- প্রকাশিত হয়েছে
মহানবী (সাঃ) যে রেসালাতের দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন, আল্লাহ তার বান্দার কাছ থেকে তাঁর রেসালাতের পারিশ্রমিক বাবদ মহানবী (সাঃ) -এর আহলে বাইত-এর মুয়াদ্দাত (আনুগত্যপূর্ণ ভালোবাসা) ফরয করে দিয়েছেন। যদি আমরা আহলে বাইতকে প্রাণাধিক ভালো না বাসি, আনুগত্য না করি, তাহলে আল্লাহর হুকুম অকার্যকর থেকে যাবে বা মানা হবে না, তাই হুকুম হচ্ছে। “বলুন, আমি আমার রিসালাতের পারিশ্রমিক তোমাদের কাছে কিছুই চাই না, শুধু আমার কুরবা (আলী, ফাতেমা, হাসান ও হোসাইন)-এর মুয়াদ্দাত (আনুগত্যপূর্ণ ভালাবাসা) ব্যতিত।” (সূরা-শুরা, আয়াত-২৩) ।
সুন্নাত না ইতরাত
- প্রকাশিত হয়েছে
এই হাদীসটি “কোরআন ও হাদীস বা সুন্নাহ্” উম্মতকে কিন্তু বিভ্রান্তিতে ফেলে দিয়েছে। এই বিভ্রান্তি মুসলমানদের ফেরকাবন্দী বা দল বিভক্তির কারণ হয়েছে। এই সংক্ষিপ্ত লেখনীতে আমি মহানবী (সাঃ) তার উম্মতকে “কোরআন ও ইতরাত, আহলে বাইত” (আলী, ফাতেমা, হাসান ও হোসাইন (আঃ)-কেই অনুসরণ করতে হুকুম করে গিয়েছেন। তা কোরআন-হাদীস ও আহলে সুন্নাতের প্রসিদ্ধ আলেমগণের উক্তিও প্রমাণ স্বরূপ সুন্দরভাব তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
উলিল আমর
- প্রকাশিত হয়েছে
কেউ “উলিল আমর”-কে রাষ্ট্রনায়ক, কেউ আবার বিচারক হিসাবে মত প্রকাশ করেছেন, (তাফসীরে মারেফুল কোরআন); মূলতঃ এতে আহলে বাইতের মাসুম ইমামদের কথা বলা হয়েছে। কেননা আল্লাহ্ যেখানে নিজের সঙ্গে রাসূল (সাঃ)-এর আনুগত্যের হুকুম দিচ্ছেন; সেখানে উলিল আমরের আনুগত্যও সকল বান্দাদের উপর ওয়াজিব ঘোষণা করেছেন। এখান উলিল আমরকে আল্লাহ্ ও রাসূলের প্রতিনিধি ঘোষণা করেছেন। তাঁকে অবশ্যই মাসুম (নিষ্পাপ) হতে হবে।
ধর্মে কোন জোর-জুলুম নেই
- প্রকাশিত হয়েছে
ধর্মে জোর-জবরদস্তি করার কোন সুযোগ নেই –এ আয়াতটি বক্তব্যের দিক থেকে পবিত্র কোরআনের একটি স্পষ্ট আয়াত। পবিত্র কোরআন বলছে যে, ঈমানের ক্ষেত্রে যদি শক্তি প্রয়োগ করা সঙ্গত ও গ্রহণযোগ্য হতো তাহলে আল্লাহ্তায়ালা নিজেই তাঁর সৃষ্ট ক্ষমতা বলে সমস্ত মানুষকে ঈমানদার বানাতে পারতেন কিন্তু ঈমান এমন এক জিনিস যা মানুষ নিজেই বাছাই করবে। আর তাই কোরআনের অন্যত্র বলা হয়েছে “তোমার রবের পক্ষ থেকে সত্য এসেছে এখন যার ইচ্ছে তা গ্রহণ করুক, আর যার ইচ্ছে একে প্রত্যাখ্যান করুক।” (১৮:২৯)
গিবনের চোখে কুরআন, বিশ্বনবী, আলী ও হুসাইন (আ) এবং ইহুদি-নৃশংসতা
- প্রকাশিত হয়েছে
গিবনের লেখা ‘রোমান সাম্রাজ্যের উত্থান ও পতনের ইতিহাস’ শীর্ষক বইটি প্রামাণ্য তথ্য, নিরপেক্ষতা ও চমৎকার ভাষার জন্য ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে। এ বইয়ে তিনি প্রচলিত তথা বিকৃত হয়ে-পড়া খ্রিস্ট ও ইহুদি ধর্মের তীব্র সমালোচনা করেছেন। গিবন রোমান সভ্যতার উত্থান ও পতনের প্রেক্ষাপটে পশ্চিমা সভ্যতা, ইসলামের বিস্তার এবং মোঙ্গলদের হামলার গতিধারার এক আকর্ষণীয় চিত্রময় বর্ণনা তুলে ধরেছেন তার এ বইয়ে।
অস্থায়ী বিবাহ প্রসঙ্গে
- প্রকাশিত হয়েছে
-
- লেখক:
- Nur Hosain Majidi
মুত্‘আহ্ (অস্থায়ী বিবাহ) মুসলমানদের দু’টি প্রধান ধারা শিয়া ও সুন্নীর মধ্যকার বিতর্কের অন্যতম প্রধান বিষয় - যা এ দুই ধারার মধ্যকার দূরত্বকে ব্যাপক বিস্তৃত করেছে। শিয়া মায্হাব অস্থায়ী বিবাহকে বৈধ গণ্য করে এবং সুন্নী মায্হাবগুলো এটিকে অবৈধ, বরং ব্যভিচারের সমতুল্য বলে গণ্য করে থাকে। এ বিতর্কের মূল কারণ, দ্বীনী বিধিবিধানের তথা ফরয ও হারাম সংক্রান্ত বিধানের প্রকৃত উৎসের দিকে দৃষ্টিপাত না করে সংশয়মূলক ( ظنی ) দলীল, মনীষীদের মতামত ও ব্যক্তিগত পসন্দ-অপসন্দকে অগ্রাধিকার প্রদান করা।
'খ্রিস্টানরা চির-বিলুপ্ত হতো মুহাম্মাদের (সা.) সঙ্গে মুবাহিলা হলে '
- প্রকাশিত হয়েছে
‘মুবাহিলা’ বলতে মিথ্যাবাদী কে তা প্রমাণের লক্ষ্যে মিথ্যাবাদীর ওপর আল্লাহর অভিশাপ বর্ষণের জন্য দোয়া বা প্রার্থনা করাকে বোঝায়। পবিত্র কুরআনের সুরা আলে ইমরানের ৬১ নম্বর আয়াতে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে:
ইসলামে ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির গুরুত্ব
- প্রকাশিত হয়েছে
ইসলামে ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি সম্পর্কে স্বতন্ত্র সংক্ষিপ্ত কিন্তু গুরুত্ববহ নিবন্ধ প্রকাশ করাই আমাদের উদ্দেশ্য। প্রকৃতপক্ষে সমসাময়িক বিশ্বে ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যবস্থাপনার বিষয়টি গবেষকদের কাছে অপরিচিত। এমনকি শিক্ষিত মুসলমান, যারা আদর্শগতভাবে ইসলামে বিশ্বাস করে, তারা ইসলামী ব্যবস্থাপনা সম্বন্ধে সাধারণ ধারণা থাকা সত্ত্বেও বিস্তারিতভাবে এর ব্যাখ্যা কামনা করে।
কোরবানির তাৎপর্য ও শিক্ষা
- প্রকাশিত হয়েছে
মানবজাতির ইতিহাসে পিতা-মাতা-পুত্রের চরম আত্মোৎসর্গের এরূপ দৃষ্টান্ত আর কখনো দেখা যায় না। তাই আল্লাহ মানবজাতিকে অনুপ্রাণিত করার উদ্দেশ্যে এ চরম ও অত্যুজ্জ্বল আত্মোৎসর্গের স্মৃতিকে চিরস্মরণীয় করে রেখেছেন ঈদুল আজহা ও কোরবানির মাধ্যমে।
কোরবানির ইতিহাস
- প্রকাশিত হয়েছে
আজকে মুসলিম সমাজে কোরবানির যে প্রচলন তা মূলত মুসলিম মিল্লাতের বা জাতির পিতা হজরত ইব্রাহীম (আ.) এর দেখানো পথ বা সুন্নাত। হজরত ইব্রাহীম (আ.) এর শতবর্ষ বয়সের পর আল্লাহ তায়ালা তাঁকে যে সন্তান দান করেছিলেন, তিনি আল্লাহ তায়ালা কর্তৃক আদিষ্ট হয়ে তাঁর সে কলিজার টুকরা হজরত ইসমাইল (আ.) এর কোরবানির সূত্র ধরে আজও কোরবানি প্রচলিত আছে।
আহকাম বা বিধিবিধান জানার পথ
- প্রকাশিত হয়েছে
মুকাল্লিফ দ্বীনি বিধান সম্পর্কে জানার ও সে অনুযায়ী আমল করার জন্য তিনটি কাজ ও পন্থা অবলম্বন করতে পারে: ১. ইজতিহাদ করা ২. ইহতিয়াত ও সতর্কতা অবলম্বন ৩. তাকলিদ
তাকলিদ
- প্রকাশিত হয়েছে
যে কোন বুদ্ধিমান ও আকলসম্পন্ন মানুষ তার প্রাত্যহিক জীবনে যে সকল বিষয়ে নিজে অবগত নয় বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হয়ে থাকে; তেমনিভাবে ধর্মীয় বিষয়েও যেহেতু সে বিশেষজ্ঞ নয় সেহেতু তাকে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞের (মার্জায়ে তাকলিদ) শরণাপন্ন হতে হয়। এরূপ শরণাপন্ন হওয়াকেই ‘তাকলিদ’ বা অনুসরণ বলা হয়।
‘হুকম’ ও ‘ফতওয়া’ এ দুই পরিভাষার মধ্যে পার্থক্য
- প্রকাশিত হয়েছে
‘হুকম’ হল শরীয়তের বৈধ শাসক ও ফকিহ আলেম কর্তৃক কোন ধর্মীয় বা রাষ্ট্রীয় বিধানকে কার্য্ কর ও বাস্তবায়নের স্থান অথবা সময় অথবা তার বিষয়বস্তু ও দৃষ্টান্তকে নির্ধারণ করা এবং কল্যাণ চিন্তার ভিত্তিতে কোন কাজকে সম্পাদন অথবা পরিত্যাগের আবশ্যকতা ঘোষণা। আর ‘ফতওয়া’ ফকিহদের পরিভাষায় বিশেষজ্ঞ ফকিহ কর্তৃক আল্লাহর বিধান বর্ণিত হওয়া