আল হাসানাইন (আ.)

ইসলামী বিশ্বাস

কাযা ও কাদর

কাযা ও কাদর

কাযা ও কাদর ইসলামী আকায়েদের (মৌলিক বিশ্বাসের) এমন দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা নিয়ে প্রচুর বিতর্ক হয়েছে এবং প্রায়শই যার ভুল ব্যাখ্যা করা হয়। এ ভুল ব্যাখ্যার কারণ হলো বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানের অভাব অথবা ক্ষেত্রবিশেষে কোন অসদুদ্দেশ্য। এ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা লাভ করার জন্য এখানে আমরা বিষয়টি নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করব।

বিস্তারিত

সুখ এবং দুঃখ এ দুটোই আল্লাহর পরীক্ষা

সুখ এবং দুঃখ এ দুটোই আল্লাহর পরীক্ষা মানুষ সাধারণত সুখ ও স্বাচ্ছন্দের মধ্যে অনেকটা উদ্ধত ও বেপরোয়া হয়ে উঠে। তখন মানুষ ভুলে যায় এই সুখ-শান্তি স্থায়ী নাও তে পারে এবং যে কোন সময়, যে কোন উপায়ে এর উল্টো পরিণতি জীবনকে দুর্বিসহ করে তুলতে পারে। অপরদিকে দুঃখ ও দুর্দশায় নিপতিত হলে মানুষ অধৈর্য ও হতাশ হয়ে পড়ে। এ দুটোই আল্লাহর পরীক্ষা।    

বিস্তারিত

বিচারবুদ্ধির আলোকে জাবর্ ও এখতিয়ার

বিচারবুদ্ধির আলোকে জাবর্ ও এখতিয়ার বিচারবুদ্ধির দৃষ্টিতে জাবারীয়াহ্ মতবাদ একটি ভ্রান্ত মতবাদ যা আল্লাহ্ তা‘আলা সম্বন্ধে অত্যন্ত ঘৃণ্য ধরনের ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টি করে। এর বিপরীতে বিভিন্ন এখতিয়ারিয়্যাহ্ চিন্তাধারার মধ্যে যারা মানুষের ইচ্ছা ও কর্মশক্তির পরিপূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী তাদের চিন্তাধারাও ভারসাম্যহীন ও প্রান্তিক। যদিও মানুষের বিচারবুদ্ধি স্বীয় ইচ্ছা ও কর্মশক্তির স্বাধীনতা অনুভব করে ও প্রত্যক্ষ করে, অতএব, তার যে ইচ্ছা ও কর্মশক্তির স্বাধীনতা রয়েছে তাতে সন্দেহ নেই, কিন্তু এ স্বাধীনতা নিরঙ্কুশ ও নিয়ন্ত্রণহীন হওয়া সম্ভব নয়।

বিস্তারিত

অদৃষ্টবাদ: বিশ্বাস বনাম আচরণ

অদৃষ্টবাদ: বিশ্বাস বনাম আচরণ আমাদের সমাজে ইসলামী পরিভাষা “তাক্বদীর্”( تقدیر )-এর অর্থ গ্রহণ করা হয় ‘ভাগ্য’ বা ‘ভাগ্যলিপি’। সাধারণভাবে প্রচলিত ধারণা হচ্ছে এই যে,আমাদের ভালো-মন্দ সব কিছুই আল্লাহ্ তা‘আলার পক্ষ থেকে পূর্ব হতেই নির্ধারণ করে রাখা হয়েছে। এর ভিত্তি হচ্ছে “ঈমানে মুফাছ্বছ্বাল্” (বিস্তারিত ঈমান) নামে শৈশবে মুসলমানদেরকে যে বাক্যটি মুখস্ত করানো হয় তার অংশবিশেষ-যাতে বলা হয়: والقدر خيره و شره من الله تعالی (আর ভাগ্য; এর ভালো ও মন্দ আল্লাহ্ তা‘আলার পক্ষ থেকে নির্ধারিত), যদিও কোরআন মজীদের কোথাওই এ বাক্যাংশটি নেই।

বিস্তারিত

লাইলাতুল মিরাজ

লাইলাতুল মিরাজ বিশ্বমানবতার মুক্তিদূত মহানবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (স.) নবুওয়াত প্রাপ্তির পর তাঁর মক্কী জীবনের শেষ দিকে, মতান্তরে হিজরতের তিন বছর আগে রজব মাসের ২৭ তারিখের রাতে তিনি জাগ্রত অবস্থায় সশরীরে বোরাক নাম বাহনযোগে মক্কা মুকাররমা থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস এবং সেখান থেকে রফরফ যোগে ঊর্ধ্বালোকে পরিভ্রমণের মাধ্যমে সৃষ্টির অনন্ত রহস্য অবলোকন এবং আল্লাহপাকের পরম সান্নিধ্য অর্জন করেন। এর পর বায়তুল মুকাদ্দাস ফিরে এসে সব নবী-রাসূলের ইমাম হয়ে নামাজ আদায় করে মক্কায় ফিরে আসেন।

বিস্তারিত

আল্লাহ জীবিকা দানকারী

আল্লাহ জীবিকা দানকারী আল্লাহ জীবিকা দানকারী। এর অর্থ এ নয় যে,জীবিকা অন্বেষণের জন্য কোন চেষ্টার প্রয়োজন নেই বা ঘরের বাইরে বের হবার প্রয়োজন নেই;জীবিকা নিজের থেকেই অনুসন্ধানকারীর কাছে হাজির হবে। তিনি জীবিকা দানকারী,একথার অর্থ হলো,তিনি মাটিকে উৎপাদনের সকল গুণাগুণ দান করেছেন,অঙ্কুরিত হবার জন্য বৃষ্টি দিয়েছেন,শস্য-কণা,ফল-ফলাদি ও শাক-সবজি সৃষ্টি করেছেন। এসব কিছুই আল্লাহ প্রদত্ত কিন্তু এগুলো সংগ্রহ করা মানুষের চেষ্টার সাথে সম্পৃক্ত। যে কেউ সংগ্রহে চেষ্টা করবে। সে তার চেষ্টার ফল পাবে,আর যে চেষ্টা করা থেকে বিরত থাকবে সে তার অলসতার ফল ভোগ করবে। আল্লাহ বলেনঃ মানুষ চেষ্টা ছাড়া কিছুই পায় না (সূরা আন-নাজম, আয়াত নং-৩৯)  

বিস্তারিত

মানুষ তার কর্মের ব্যাপারে স্বাধীন না পরাধীন

মানুষ তার কর্মের ব্যাপারে স্বাধীন না পরাধীন আল্লাহর জ্ঞান মানব-স্বাধীনতার পরিপন্থী নয়। আমাদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে না তাঁর জ্ঞান ও উপলদ্ধি ক্ষমতা। কাল ও সময় তারই সৃষ্টি,তাই তাঁর জ্ঞান কোন কালের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তাঁর জ্ঞানে বৃহৎ ও ক্ষুদ্র বস্তু,প্রাণী,ঘটনা ও বিষয়ে কোন পার্থক্য নেই। আমাদের কর্ম-ক্রিয়ার সুক্ষ্মাতিসূক্ষ ব্যাপারও তাঁর গোচরীভূত। তাই বলে তার এ জ্ঞান মানুষের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার স্বাধীনতাকে সীমিত করে না। আমরা আমাদের কর্ম-ক্ষমতায় সম্পূর্ণ স্বাধীন। সুতরাং সর্ববিষয়ে আল্লাহর জ্ঞানের কারণে মানুষের ভাল-মন্দ বিবেচনা ও নির্বাচনের স্বাধীনতা কোন ক্রমে খর্ব হয়ে যায় নি।

বিস্তারিত

ভাগ্যে বিশ্বাস

ভাগ্যে বিশ্বাস তক্বদীরে বিশ্বাস স্থাপন করা আমাদের সকলের জন্যে অবশ্য কর্তব্য। বিবেক প্রসূত বিষয়াদির অন্যতম এটি। কিন্তু তক্বদীরের ব্যাপারে বিভ্রান্তমূলক ব্যাখ্যা আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত। তন্মধ্যে একটি হলো,“আমাদের কপালে যা লিখা আছে তাই হবে।” আবার অনেকে বলেন,“গরীব-ধনী,সৎ-অসৎ হওয়া ইত্যাদি সব কিছু প্রথম থেকেই তক্বদীরে লিপিবদ্ধ আছে,তাই আমাদের করার কিছু নেই।

বিস্তারিত

বস্তুবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে অবস্তুগত অস্তিত্ব

বস্তুবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে অবস্তুগত অস্তিত্ব বস্তুবিজ্ঞানের অভিজ্ঞতায়ও আমরা কতক অবস্তুগত সূক্ষ্ম অস্তিত্বের প্রমাণ পাই যার মধ্যে স্তর ও পর্যায়ভেদ রয়েছে ।সকল প্রকার বস্তু ও বস্তুসদৃশতার সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্ত অবস্তুগত অপরিহার্য সত্তা এক মহাজ্ঞানময় সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব অস্বীকার করার কোনোই উপায় নেই।

বিস্তারিত

কোরআন মজীদের দৃষ্টিতে ছ্বাহাবী ও রাসূলুল্লাহ্ র (ছ্বাঃ) যুগের মুনাফিক্ব্

কোরআন মজীদের দৃষ্টিতে ছ্বাহাবী ও রাসূলুল্লাহ্ র (ছ্বাঃ) যুগের মুনাফিক্ব্ আমরা দেখবো যে, কোরআন মজীদের দৃষ্টিতে ছ্বাহাবী সংক্রান্ত বহুলপ্রচলিত সংজ্ঞাটি সঠিক কিনা এবং বহুলপ্রচলিত সংজ্ঞাটি সঠিক হলে ছ্বাহাবীদের নক্ষত্রতুল্য বলে অভিহিতকারী হাদীছটি ও দশজন ছ্বাহাবীকে জীবদ্দশায় বেহেশতের সুসংবাদ প্রদানকারী হাদীছটি - যে দু’টি হাদীছের ভিত্তিতে বহুলপ্রচলিত সংজ্ঞার ছ্বাহাবীদের কারো সমালোচনাকারীকে কাফের বলে ফত্ ওয়া দেয়া হয় - ছ্বহীহ্ কিনা।

বিস্তারিত

বিদায় হজ্ব

বিদায় হজ্ব ইসলামের সামষ্টিক ইবাদতসমূহের মধ্যে হজ্ব বৃহত্তম এবং সবচেয়ে মহতী ও আড়ম্বরপূর্ণ ইবাদত, যা (প্রতি বছর) মুসলমানরা পালন করে থাকেন। কারণ মহতী এ অনুষ্ঠান, যা বছরে একবার পালন করা হয়, আসলে মুসলিম উম্মাহর জন্য ঐক্যের সর্ববৃহৎ বহিঃপ্রকাশ, ধন-সম্পদ ও পদমর্যাদার মোহ থেকে মুক্ত হবার পূর্ণাঙ্গ নিদর্শন, মানব জাতির সাম্যের বাস্তব নমুনা এবং মুসলমানদের মধ্যেকার আন্তঃসম্পর্ক দৃঢ়ীকরণের মাধ্যম...।

বিস্তারিত

শিয়াদের মৌলিক বিশ্বাস (পর্ব-৪):ইমামত

শিয়াদের মৌলিক বিশ্বাস (পর্ব-৪):ইমামত ইমামত হলো দ্বীনের মৌলিক বিষয়সমূহের একটি যার উপর বিশ্বাস ব্যতীত ঈমান পরিপূর্ণ হয় না। এক্ষেত্রে পূর্বপুরুষ,আত্মীয়-স্বজন ও শিক্ষক কাউকেই অনুসরণ করা বৈধ নয় যদিও তারা উচ্চতর মর্যাদার অধিকারী হয়ে থাকে। বরং এর উপর অনুসন্ধান এবং পরীক্ষা ও নিরীক্ষা চালানো জরুরী। যেমন- তা জরুরী হলো তাওহীদ ও নবুওয়াতের ক্ষেত্রে।

বিস্তারিত

শিয়াদের মৌলিক বিশ্বাস (পর্ব-৩):নবুওয়াত

শিয়াদের মৌলিক বিশ্বাস (পর্ব-৩):নবুওয়াত সর্বপ্রথম যে প্রশ্নটি একজন মুসলমান তার নিজেকে করতে পারে তা হলো- সে “আহলে বাইতের”পথ নির্বাচন করবে না অন্য কারো পথ? যদি আহলে বাইতের পথ বেছে নেয়,তবে তা কি দ্বাদশ ইমামীয়াদের পথটি সঠিক,না-কি এ ধরনের অন্য কোন ফেরকা? আর যদি আহলে বাইতের পথ ভিন্ন অন্য কোন পথ,যেমন- আহলে সুন্নতের পথ,বেছে নেয় তবে তাকে চার মাযহারের কোন একটিকে অনুসরণ করতে হবে,না কি অন্য কোন একটিকে? এ প্রশ্নগুলো সমস্ত মুক্ত চিন্তার অধিকারী মানুষের মধ্যেই জাগতে পারে,যতক্ষণ পর্যন্ত না সঠিক কোন পথ খুঁজে পায়।

বিস্তারিত

শিয়াদের মৌলিক বিশ্বাস (পর্ব-২):তাওহীদ

শিয়াদের মৌলিক বিশ্বাস (পর্ব-২):তাওহীদ মহান আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়,কোন কিছুই তার মত নয়,তিনি অনাদি ও অনন্ত,যার কোন শুরু বা শেষ নেই,তিনিই প্রথম এবং তিনিই শেষ,তিনি সর্বজ্ঞ,প্রজ্ঞাময়,ন্যায়-পরায়ণ,অস্তিত্বময়,সর্বদ্রষ্টা। সৃষ্টির কোন গুণ দিয়ে তাকে গুনান্বিত করা যায় না। তার কোন দেহ নেই,কোন অবয়ব নেই,তিনি বস্তুসত্তা (জাওহার) নন এবং উপজাত (আরাজ) নন,তিনি হাল্কা নন ও ভারী নন,তিনি স্থিতিশীল নন ও গতিশীল নন,তার কোন স্থান নেই,কোন কাল নেই,কেউই তার দিকে নির্দেশ করতে পারে না,যেহেতু কোন কিছুই তার মত নয়,কিছুই তার সমান নয়,তার কোন বিপরীত নেই,তার কোন স্ত্রী নেই,কোন কিছুই তার তুল্য নয়।

বিস্তারিত

শিয়াদের মৌলিক বিশ্বাস (পর্ব-১)

শিয়াদের মৌলিক বিশ্বাস (পর্ব-১) আমরা বিশ্বাস করি যে,মহান আল্লাহ আমাদেরকে চিন্তাশক্তি দিয়েছেন এবং দিয়েছেন বুদ্ধিবৃত্তি (আকল)। আর এ কারণেই তিনি আমাদেরকে তার সৃষ্টি সম্পর্কে চিন্তা করতে এবং গভীর অনুসন্ধান ও অনুধাবন করতে আদেশ দিয়েছেন। অনুধাবন করতে বলেছেন সমগ্র সৃষ্টি নিদর্শন এবং স্বয়ং আমাদের সৃষ্টিতেও তার প্রজ্ঞা ও পরাক্রমকে।

বিস্তারিত

মৃত্যু

মৃত্যু পবিত্র কোরান গুরুতের সাথে উপস্থপন করে যে,সকল মানুষেরই(বরং সমস্ত জীবনেরই) মৃত্যুর সাদ গ্রহণ করতে হবে এবং এ পৃথিবীতে কোন কিছুই চিরস্থায়ীভাবে থাকবে না ।

বিস্তারিত

নবী ও রাসূলের প্রয়োজনীয়তা

নবী ও রাসূলের প্রয়োজনীয়তা মহান আল্লাহ স্বীয় পয়গাম্বরগণকে উত্তর উত্তর প্রেরণ করেছেন যাতে ফিতরাতের বিনিময়ে মানুষকে সৃষ্টিকর্তার আনুগত্যের জন্য আহ্বান করতে পারেন,অজস্র বিস্মৃত নিয়ামতের কথা তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিতে পারেন এবং প্রচার ও সত্য বর্ণনা করে তাদের প্রতি দায়িত্ব সম্পাদন করতে পারেন।

বিস্তারিত

শাফায়াত

শাফায়াত সকল ধর্মবিশ্বাসী,বিশেষত সাধারণভাবে সকল মুসলমানই শাফায়াতে বিশ্বাসী অর্থাৎ কিয়ামতের দিন আল্লাহর ওলিগণ একদল গুনাহগার বান্দার জন্য সুপারিশ ও ক্ষমা প্রার্থনা (শাফায়াত) করবেন এবং এর মাধ্যমে তাদেরকে দোযখের আগুন হতে মুক্তি দিবেন। আবার কারো কারো মতে শাফায়াতের অর্থ আল্লাহর ওলিগণ সুপারিশের মাধ্যমে ব্যক্তির মর্যাদা ও অবস্থানের উত্তরণ ঘটাবেন। কিন্তু এই সুপারিশের বৈশিষ্ট্য ও পরিমাণ নিয়ে ধর্মবিশ্বাসীদের মধ্যে মতভেদ রযেছে।

বিস্তারিত

বারজাখের জীবন

বারজাখের জীবন সকল মুসলমানই বিশ্বাস রাখেন দুনিয়া ও আখেরাতের মধ্যবর্তী সময়ে অর্থাৎ বারজাখে মানুষের,বিশেষত আল্লাহর ওলীদের বিশেষ জীবন রয়েছে। কিন্তু ওহাবিগণ মানুষের মৃত্যু পরবর্তী জীবনে,এমনকি আল্লাহর ওলীদের ক্ষেত্রেও বিশ্বাসী নয়। এ কারণেই তাঁদের নিকট সাহায্য চাওয়া,তাঁদেরকে মাধ্যম বা উসিলা হিসেবে গ্রহণকে জায়েয মনে করে না,বরং এক প্রকার শিরক বলে বিশ্বাস করে।

বিস্তারিত

সুন্নাত ও বিদআত

সুন্নাত ও বিদআত ওয়াহাবীদের বহুল ব্যবহৃত একটি শব্দ হলো ‘বিদআত’। ওয়াহাবী আলেমদের ফতোয়াসমূহ থেকে বোঝা যায় এমন অনেক আমলই যা মুসলমানদের সর্ব সাধারণের কাছে সুন্নাত ও জায়েয বলে পরিগণিত ওয়াহাবীদের পক্ষ থেকে তা বিদআত বলে ঘোষিত হয়েছে। এর প্রধান কারণ হলো শরীয়তের বিধান বোঝার ক্ষেত্রে তাদের দৃষ্টিভঙ্গির সংকীর্ণতা ও স্থবিরতা। (তাদের গোঁড়ামী ও কূপমণ্ডূকতার কারণেই এক সময় তারা সাইকেলকেও শয়তানের বাহন বলে আখ্যায়িত করেছিল। অবশ্য এখন তাদের আলেমরা সৌদি সরকারের সর্বাধুনিক যানবাহনে আরোহণ করেন এবং তাকে বিদআত বলেন না) তাদের এরূপ চিন্তা-ভাবনার পিছনে বিশেষ কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও থাকতে পারে।

বিস্তারিত

আপনার মতামত

মন্তব্য নেই
*
*

আল হাসানাইন (আ.)