আল হাসানাইন (আ.)

প্রশ্ন উত্তর

সূরা তওবার ৪৩ নং আয়াত ও মহানবী (সা.)-এর নিস্পাপত্ব প্রসঙ্গ

সূরা তওবার ৪৩ নং আয়াত ও মহানবী (সা.)-এর নিস্পাপত্ব প্রসঙ্গ

এ আয়াতটি ঐ সব মুনাফিকের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়েছিল যারা তাবুক যুদ্ধে যোগদান করতে চাচ্ছিল না। এ কারণেই তারা মহানবী (সা.)-এর কাছে এসে অজুহাত প্রদর্শন করে জিহাদে যোগদান না করার অনুমতি চায়। মহানবী (সা.)ও তাদেরকে ভালোভাবে চিনতেন এবং তাদের অবিশ্বাস এবং দুর্বল ঈমান সম্পর্কে অবহিত ছিলেন। এ কারণেই তিনি তাদেরকে মদীনা নগরীতে থাকার অনুমতি দেন। মহান আল্লাহ এ আয়াতে মহানবী (সা.)-কে ভর্ৎসনা করে বলেছেন...

বিস্তারিত

শাফায়াতের প্রতি বিশ্বাস কি শিরক?

শাফায়াতের প্রতি বিশ্বাস কি শিরক? পবিত্র কোরআনের যে সব আয়াতে শাফায়াত প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে সেগুলোয় আসলে মহান আল্লাহর অনুমতি ব্যতিরেকে স্বাধীনভাবে শাফায়াত করার বিষয়কেই কেবল প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। আর যে সব আয়াতে শাফায়াতকে নির্দিষ্টভাবে মহান আল্লাহর জন্য বলে ব্যক্ত করা হয়েছে তার অর্থ তিনিই শাফায়াতের চূড়ান্ত অধিকারী এবং কারো সুপারিশ গ্রহণ ও বর্জনের তাঁর শর্তহীন ক্ষমতা রয়েছে। তাই অন্যান্য আয়াতে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে যে, মহান আল্লাহ তাঁর এ নিজস্ব অধিকার (শাফায়াত) প্রকৃত শাফায়াতকারীদেরকেও দিয়েছেন যাতে তারাও তাঁর অনুমতি নিয়ে শাফায়াত করতে পারে...

বিস্তারিত

সংগীত ও বাদ্য (الموسيقى و الغناء)

সংগীত ও বাদ্য (الموسيقى و الغناء) আয়াতুল্লাহ্ আল উযমা সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ীর কাছে ইস্তিফতা (জিজ্ঞাসা) সমূহের উত্তর

বিস্তারিত

আল্লাহ্ ব্যতীত কেউ কি অদৃশ্যের জ্ঞান (ইলমে গায়েব) রাখেন ?

আল্লাহ্ ব্যতীত কেউ কি অদৃশ্যের জ্ঞান (ইলমে গায়েব) রাখেন ? এক ধরনের গায়েব মহান আল্লাহর জন্য নিদিষ্ট এবং অন্য কেউ সে সম্পর্কে জানে না,যেমন কখন কিয়ামত সংঘটিত হবে। অন্য প্রকার গায়েব আল্লাহ্ তাঁর নবী ও আউলিয়াদের জানিয়ে থাকেন।

বিস্তারিত

নবী (সা.) কিভাবে উম্মী ছিলেন বা কেন নবীকে ‘উম্মী নবী’বলা হয়?

নবী (সা.) কিভাবে উম্মী ছিলেন বা কেন নবীকে ‘উম্মী নবী’বলা হয়? তৎকালীন আরবে অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন লোকের সংখ্যা খুব কমই ছিল। তাই নবী যদি কোন শিক্ষকের কাছে লিখন ও পঠন শিক্ষা লাভ করতেন তাহলে সকলেই তা জানত। এ কারণেই এ বিষয়টি তাঁর ‘উম্মী’হবার পক্ষে প্রমাণ।  

বিস্তারিত

পবিত্র কোরআনের দৃষ্টিতে কি শাফাআত বৈধ?

পবিত্র কোরআনের দৃষ্টিতে কি শাফাআত বৈধ? হাশরের ময়দানে শাফাআত স্বাধীনভাবে করা হবে না, বরং তা মহান আল্লাহ‌্‌র অনুমতিক্রমেই হবে। অর্থাৎ শাফাআতের ক্ষেত্রে মৌলিক ধারণা হচ্ছে এই যে, এ বিষয়টি হচ্ছে একান্তভাবে মহান আল্লাহ‌্‌র। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মহান প্রভুর কৃপা ও অনুগ্রহে অন্যরাও (যেমন মহান আল্লাহ্‌র নবী ও ওয়ালিগণ) তাঁর অনুমতি নিয়ে শাফাআত করতে পারবেন।...  

বিস্তারিত

আল্লাহ্‌ কেন শয়তানকে সৃষ্টি করেছেন?

আল্লাহ্‌  কেন শয়তানকে সৃষ্টি করেছেন? আল্লাহ্‌ কেন শয়তান সৃষ্টি করেছেন- এটি অনেকেরই প্রশ্ন বটে। আল্লাহ্‌ তো জানতেন যে, শয়তানই সকল কুমন্ত্রণা, প্রলোভন, পথভ্রষ্টতা ও ধোঁকাবাজির উৎস। আর মানুষের সমস্ত দুর্ভাগ্য ও দুর্দশা তার থেকেই ঘটবে। তাহলে কেন আল্লাহ্‌ তাকে সৃষ্টি করলেন? আল্লাহ্‌ যদি মানুষকে ইবাদাত-বন্দেগীর মাধ্যমে পূর্ণতা ও সৌভাগ্যে পৌঁছানোর জন্য সৃষ্টি করে থাকেন, তাহলে ধ্বংসাত্মক ও পূর্ণতার বিরুদ্ধ অস্তিত্ব শয়তানকে সৃষ্টি করার কী যুক্তি থাকতে পারে?

বিস্তারিত

কা’বা ঘর কেন্দ্রিক ইবাদাতের বিধান কি প্রতিমা পূজার সাথে তুলনীয় ?

কা’বা ঘর কেন্দ্রিক ইবাদাতের বিধান কি প্রতিমা পূজার সাথে তুলনীয় ? ইসলামে কা’বা ঘর কেন্দ্রিক ইবাদাতের বিধান কি প্রতিমা পূজার সাথে তুলনীয় নয়? এ দুয়ের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?

বিস্তারিত

কেন শিয়ারা অধিকাংশ মুসলমানের মতাদর্শের অনুসরণ করে না ?

কেন শিয়ারা অধিকাংশ মুসলমানের মতাদর্শের অনুসরণ করে না ? দীনের মৌল বিশ্বাসের ক্ষেত্রে অ-আশা’ আরী এবং ফিকাহর ক্ষেত্রে চার মাজহাবের বাইরের একটি মতাদর্শকে গ্রহণ কোন দলবাজী,অন্ধবিশ্বাস বা দলীয় সংকীর্ণতার কারণে নয়। চার মাজহাবের ইমামগণের ইজতিহাদের বিষয়ে সন্দেহ বা তাঁদের ন্যায়পরায়ণতা,আমানতদারী,জ্ঞানগত যোগ্যতা ও আত্মিক পবিত্রতার প্রতি অবিশ্বাসের কারণেও ভিন্ন মতাদর্শ শিয়ারা গ্রহণ করে নি,বরং শরীয়তসম্মত দলিল-প্রমাণই নবী (সা.)-এর আহলে বাইতের অনুসরণের প্রতি আমাদের অপরিহার্যতা দান করেছে।

বিস্তারিত

আবু হানিফার সাথে ইমাম সাদিকের মুনাযিরা

আবু হানিফার সাথে ইমাম সাদিকের মুনাযিরা বিজ্ঞ ও অধিক জ্ঞানী ব্যক্তি কি সেই নয়, যে ব্যক্তি বিভিন্ন গোত্রের বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপারে অধিক জ্ঞান রাখেন

বিস্তারিত

সুন্নি মাজহাবের সম্মানিত ব্যক্তিত্বের অবমাননা হারাম: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা

সুন্নি মাজহাবের সম্মানিত ব্যক্তিত্বের অবমাননা হারাম: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা সাহাবিদের ব্যাপারে অশোভন উক্তি করা বা গালি দেয়াকে (শিয়া মুসলমানদের জন্য) নিষিদ্ধ করে গেছেন মূল ধারার শিয়া নেতৃবৃন্দ ও আলেম।

বিস্তারিত

কারবালায় ইমাম হোসাইন (আ.)-এর কতজন সাথি শহীদ হন

কারবালায় ইমাম হোসাইন (আ.)-এর কতজন সাথি শহীদ হন আমরা জানি ঐতিহাসিক কারবালার যুদ্ধে নবী-বংশের তৃতীয় ইমাম হযরত ইমাম হোসাইন (আ.) সপরিবারে অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে ইয়াযীদ বাহিনীর হাতে শাহাদাত বরণ করেন। এই যুদ্ধে ইমাম বাহিনীর কত জন শহীদ হয়েছিলেন? এই শহীদদের মাঝে আহলে বাইতের সদস্য কতজন ছিলেন?

বিস্তারিত

মহান আল্লাহ কেন সকল নবীকে এক বিশেষ ভৌগোলিক অবস্থানে প্রেরণ করেছেন ?

 মহান আল্লাহ কেন সকল নবীকে এক বিশেষ ভৌগোলিক অবস্থানে প্রেরণ করেছেন ? যদি মহান আল্লাহর প্রজ্ঞার দাবি এটাই হয় যে,নবীগণের নবুয়্যতের মাধ্যমে সকল মানুষ হিদায়াত প্রাপ্ত হবে,তবে কেন তাদের সকলেই এক বিশেষ ভৌগোলিক অবস্থানে প্রেরিত হয়েছে এবং পৃথিবীর অন্যান্য স্থান এ অনুগ্রহ থেকে বঞ্চিত হয়েছে? বিশেষ করে প্রাচীনকালে যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও সংবাদ আদান-প্রদানের মাত্রা ছিল খুবই সীমাবদ্ধ,ধীর গতির এবং সম্ভবতঃ এমন কোন জাতি বা গোষ্ঠী থাকতে পারে যারা নবীগণের আহ্বান সম্পর্কে কোনভাবেই অবগত ছিল না।

বিস্তারিত

কোন কাফেরকে কোরআন শরীফ দেয়া জায়েয হবে কি?

কোন কাফেরকে কোরআন শরীফ দেয়া জায়েয হবে কি? যদি কোন কাফেরের হাতে কোরআন শরীফ দেয়ার ফলে কোরআনের অসম্মান হয় তবে তা দেয়া জায়েয নয়,কিন্তু যদি জানি কোন অমুসলমান বাস্তবিকই ইসলাম সম্পর্কে চিন্তা ও গবেষণা করতে চায় এবং এ লক্ষ্যইে কোরআন অধ্যয়ন করতে আগ্রহী বলে মনে হয় তাহলে তাকে কোরআন দেয়া শুধু জায়েযই নয়,কোন কোন ক্ষেত্রে ওয়াজিবও।

বিস্তারিত

কোরআনের محكم (মুহকাম) বা সুস্পষ্ট ও متشابه (মুতাশাবিহ্) বা রূপক আয়াতের মধ্যে পার্থক্য কি?

কোরআনের محكم (মুহকাম) বা সুস্পষ্ট ও متشابه (মুতাশাবিহ্) বা রূপক আয়াতের মধ্যে পার্থক্য কি? ‘মুহ্কাম’ শব্দটি ‘ইহ্কাম’ শব্দ হতে নেয়া হয়েছে যার অর্থ নিষিদ্ধ করা। এজন্যই যে সকল বিষয় অটল ও দৃঢ় তাকে ‘মুহ্কাম’ বলা হয়। কারণ তাতে কোনরূপ পতনের আশংকা নেই। যে কথা বা বক্তব্য সুস্পষ্ট ও অকাট্য তাকেও এ কারণে ‘মুহ্কাম’ বলা  হয়ে থাকে। ‘মুতাশাবিহ্’ শব্দের অর্থ এমন কোন বস্তু যার বিভিন্ন অংশ পরস্পর সদৃশ। এ কারণেই যে সকল বাক্যের অর্থ জটিল এবং কয়েকটি সম্ভাব্য অর্থ থাকে সেগুলোকে ‘মুতাশাবিহ্’ বলা হয়। কোরআনের মুতাশাবিহ্-এর অর্থও তাই অর্থাৎ কোরআনের যে সকল আয়াতের অর্থ জটিল,কয়েক ধরনের অর্থ হতে পারে এবং যেগুলোকে মুহ্কাম আয়াতের সাহায্য নিয়ে ব্যাখ্যা করতে হয় সেগুলোই ‘মুতাশাবিহ’ আয়াত।

বিস্তারিত

আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কেউ কি অদৃশ্যের জ্ঞান (ইলমে গায়েব) রাখেন ?

আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কেউ কি অদৃশ্যের জ্ঞান (ইলমে গায়েব) রাখেন ? গায়েব’-এর রহস্য দু প্রকারের। এক ধরনের গায়েব মহান আল্লাহর জন্য নিদিষ্ট এবং অন্য কেউ সে সম্পর্কে জানে না,যেমন কখন কিয়ামত সংঘটিত হবে। অন্য প্রকার গায়েব আল্লাহ্ তাঁর নবী ও আউলিয়াদের জানিয়ে থাকেন। নাহজুল বালাগায় উপরোক্ত খুতবাতেই হযরত আলী (আ.) বলেছেন,‘ইলমে গায়েব’ হলো কিয়ামতের জ্ঞান এবং এই আয়াতে (সূরা লোকমানের ৩৪ নং আয়াত) যে বিষয়গুলোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো,যেমন কিয়ামতের সময় কেবল তিনিই জানেন।

বিস্তারিত

নবী (সা.) কিভাবে উম্মী ছিলেন বা কেন নবীকে ‘উম্মী নবী’ বলা হয়?

নবী (সা.) কিভাবে উম্মী ছিলেন বা কেন নবীকে ‘উম্মী নবী’ বলা হয়? উম্মী’ শব্দের তিনটি সম্ভাব্য অর্থ প্রসিদ্ধ। প্রথম অর্থ যে কারো নিকট পাঠ শিক্ষা করে নি,দ্বিতীয় অর্থ যে মক্কায় জন্মগ্রহণ করেছে এবং সেখান হতে উত্থিত হয়েছে। তৃতীয় অর্থ হলো যে সাধারণ এক জাতির মধ্য হতে কিয়াম করেছে। যদিও ‘উম্মী’ শব্দের উপরোক্ত তিন অর্থই গ্রহণীয় তদুপরি প্রথম অর্থটি অধিকতর মানানসই ও প্রসিদ্ধ।

বিস্তারিত

মহানবী (সা.) নবুওয়াতের পূর্বে কোন ধর্ম অনুসরণ করতেন?

মহানবী (সা.) নবুওয়াতের পূর্বে কোন ধর্ম অনুসরণ করতেন? নবী (সা.) নবুওয়াতের পূর্বে মহান আল্লাহর পক্ষ হতে বিশেষ দিক-নির্দেশনা লাভ করতেন এবং তদনুযায়ী আমল করতেন। ঐ বিধানসমূহ বিশেষভাবে তাঁর জন্যই প্রযোজ্য ছিল। এ কথার সপক্ষে দলিল হলো নাহজুল বালাগায় হযরত আলী (আ.)-এর একটি বাণী। তিনি বলেছেন,“রাসূলের মাতৃদুগ্ধ ছাড়ার সময় হতেই আল্লাহ্ তাঁর সবচেয়ে বড় ফেরেশতাকে তাঁর সহযোগী করে দিয়েছিলেন যিনি তাঁকে দিবারাত্রি সর্বোত্তম চরিত্র শিক্ষা ও নির্দেশনা দিতেন।”

বিস্তারিত

মহান আল্লাহ মানুষের কাছ থেকে কিরূপ প্রতিশ্রুতি নিয়েছিল ?

মহান আল্লাহ মানুষের কাছ থেকে কিরূপ প্রতিশ্রুতি নিয়েছিল ? সকল আদম সন্তানই প্রকৃতিগতভাবে একত্ববাদী হিসেবে সৃষ্ট সেহেতু তাদের নিকট হতে আল্লাহর সাক্ষ্য গ্রহণের অর্থও এটিই।

বিস্তারিত

আল্লাহকে কি চর্মচক্ষু দ্বারা দেখা সম্ভব?

আল্লাহকে কি চর্মচক্ষু দ্বারা দেখা সম্ভব? বুদ্ধিবৃত্তিক প্রমাণসমূহ হতে বোঝা যায়,মহান আল্লাহকে কখনও চর্মচক্ষু দ্বারা দেখা সম্ভব নয়। কারণ চক্ষু শুধু বস্তু বা বস্তুর কিছু প্রকৃতিকে অবলোকন করতে পারে। তাই যা বস্তু নয় এবং বস্তুর প্রকৃতিও ধারণ করে না তা কখনই চক্ষু দ্বারা দেখা যায় না। অন্যভাবে বলা যায় যে,যদি কোন কিছু দর্শনীয় হয় তাহলে অবশ্যই তার বস্তুপ্রকৃতি রয়েছে অর্থাৎ তা স্থান,কাল ও পাত্রের অধীন। কিন্তু মহান আল্লাহ্ এ সবের ঊর্ধ্বে। তিনি অসীম এক অস্তিত্ব। তিনি বস্তুর ঊর্ধ্বে। কারণ বস্তু জগতের সকল কিছু সীমিত।

বিস্তারিত

আপনার মতামত

মন্তব্য নেই
*
*

আল হাসানাইন (আ.)