হযরত আলী (আ.)
আমীরুল মুমিনীন আলী (আ.)-এর কতিপয় বাণী ও সেগুলোর ব্যাখ্যা (শেষ আংশ)
- প্রকাশিত হয়েছে
সম্মানী লোক যখন ক্ষুধার্ত হয় এবং হীন লোকের যখন উদর পূর্ণ থাকে (তখন) তাদের আক্রমণকে ভয় কর।
আমীরুল মুমিনীন আলী (আ.)-এর কতিপয় বাণী ও সেগুলোর ব্যাখ্যা (১ম অংশ)
- প্রকাশিত হয়েছে
হে আমার পুত্র,মূর্খ লোকের বন্ধুত্ব থেকে দূরে থাক। কারণ,সে তোমার উপকার করতে গিয়ে অপকার করে ফেলবে। কৃপণ ব্যক্তির সঙ্গেও বন্ধুত্ব করো না। কারণ,যখন তোমার তার সাহায্যের তীব্র প্রয়োজন পড়বে সে তোমাকে সাহায্য করা থেকে বিরত থাকবে। পাপী (লম্পট ও প্রতারক) ব্যক্তির সঙ্গে বন্ধুত্ব (সম্পর্ক) করো না। কারণ,সে তোমাকে স্বল্পমূল্যে বিক্রি করে দেবে। মিথ্যাবাদীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করো না। কারণ,সে মরীচিকার মত। তাই দূরের জিনিসকে সে তোমার জন্য কাছের (ও সহজলভ্য) এবং কাছের জিনিসকে দূরের (ও দুর্লভ্য) হিসেবে তুলে ধরবে।’
পবিত্র কুরআন ও রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর হাদীসে হযরত আলী (আ.)
- প্রকাশিত হয়েছে
-
- লেখক:
- মিকদাদ আহমেদ
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর উত্তরাধিকারী,তাঁর নবুওয়াতের মিশনের প্রধান সাহায্যকারী এবং দুনিয়া ও আখেরাতে রাসূলের ভ্রাতা আলী (আ.)। তিনি মহানবীর প্রতি নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁকে অনুসরণ করতেন। তিনি বলেন : ‘উষ্ট্র শাবক যেমনভাবে উষ্ট্রীকে অনুসরণ করে ঠিক সেভাবে আমি তাঁকে অনুসরণ করতাম। তিনি প্রতিদিন তাঁর উন্নত চরিত্র থেকে একটি নিদর্শন আমাকে শিক্ষা দিতেন এবং আমাকে তা পালন করার নির্দেশ দিতেন।
সূর্যের প্রত্যাবর্তন
- প্রকাশিত হয়েছে
হে হযরত আলী আপনি কি আসরের নামাজ আদায় করেছেন ? জবাবে তিনি বললেন, না ! ঐ সময় হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দোয়া করলেন, ইয়া আল্লাহ পাক ! হযরত আলী আপনার এবং আপনার হাবীবের খিদমতে ছিলেন, আপনি উনার জন্যে সূর্যকে ফিরিয়ে দিন। সে সময় সূর্য পূনরায় ফিরে আসলো।
হযরত আলী (আ.)-এর শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়াতুল্লাহ্ আল উযমা সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী প্রদত্ত ভাষণ
- প্রকাশিত হয়েছে
-
- লেখক:
- মূল ফার্সী থেকে এ.কে.এম. আনোয়ারুল কবীর কর্তৃক অনূদিত
ফিলিস্তিনীদের প্রতিরোধ ও ধৈর্য যা ইতিহাসে চিরন্তন হয়ে থাকবে। চারিদিক হতে শত্রু পরিবেষ্টিত হয়ে এভাবে প্রতিরোধ ও আত্মরক্ষার চেষ্টা সত্যিই বিরল। প্রতিদিন ক্ষুধা-তৃষ্ণার কষ্ট সহ্য করে,সন্তানদের লাশ বহন করে (সন্তান হারানোর কষ্ট বুকে নিয়ে),ধ্বংসপ্রাপ্ত কৃষিক্ষেত্র ও গৃহের দৃশ্য দেখেও তারা দমেনি- প্রতিরোধ অব্যাহত রেখেছে। সাবাস এ জাতির নারী-পুরুষ,তরুণ-তরুণী,শিশু ও বৃদ্ধদের। তাদের প্রতিরোধের এ বিরল ঘটনা ইতিহাসে চিরন্তন নজীর হিসাবে থাকবে।
আলী (আ.)-এর গোপনে দাফন
- প্রকাশিত হয়েছে
হযরত আলী (আ.)-যেমন প্রচণ্ড আকর্ষণ ক্ষমতার অধিকারী তেমনি বিকর্ষণ ক্ষমতারও। তার মত মানুষের বন্ধুও যেমনি থাকে চরম অন্তরঙ্গ ও উচ্চ পর্যায়ের যারা যে কোন সময়ে তার জন্য প্রাণ দিতে অকুণ্ঠিত তেমনি শত্রুও থাকে যারা তার রক্তের জন্য পিপাসার্ত বিশেষত অভ্যন্তরীণ ও নিকটতম শত্রু।
হযরত আলী (আ.)-এর জীবনের শেষ দিনগুলো
- প্রকাশিত হয়েছে
আলী (আ.)-এর জীবনের শেষ রমযান মাস অন্য এক রকম রমযান যা ভিন্ন এক পবিত্রতা নিয়ে বিরাজ করছিল। আলীর পরিবারের জন্যও এ রমযান প্রথম দিক থেকেই অন্য রকম ছিল। ভয় ও শঙ্কার একটি মিশ্রিত অবস্থা বিরাজমান ছিল। (খাওয়ারেজ আলী (আ.)-কে হত্যার পরিকল্পনা নিয়েছিল) সেহেতু আলীর জীবনধারা এ রমযানে অন্য রমযানের থেকে অন্য রকম ছিল।
১৯ রমজান হযরত আলী (আ.) শত্রু কর্তৃক আঘাতপ্রাপ্ত হন
- প্রকাশিত হয়েছে
৪০ হিজরির ১৯ রমজানের ভোর বেলায় ইবনে মোলজেম নামের এক ধর্মান্ধ খারেজী ফজরের নামাজে সেজদারত আমীরুল মু'মিনিন হযরত আলী (আঃ)'র মাথায় বিষ-মাখানো তরবারি দিয়ে যখন তার কপালে আঘাত হানলো তখন তিনি দু’টিু বাক্য বলেছেন। একটি ‘এ ব্যক্তিকে ধর’,অপরটি فزت و ربّ الکعبة ‘কাবার প্রভুর শপথ! আমি সফলকাম হয়েছি- শাহাদাত আমার জন্য সফলতা’।
হযরত আলীর বীরত্ব ও সাহসিকতা
- প্রকাশিত হয়েছে
২য় হিজরীর ১৭ই রমজান বদর প্রন্তরে মক্কার মুশরিকদের সঙ্গে মুসলমানদের সংঘটিত যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে প্রথম সশস্ত্র যুদ্ধ। কুরাইশদের আক্রমণ ঠেকাতে যেয়েই এই যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। এটি ইসলামের ইতিহাসের প্রথম বড় ধরণের যুদ্ধ।
হযরত আলীর (আ.) জ্ঞান ও বিচক্ষণতা
- প্রকাশিত হয়েছে
হযরত আলী (আ.) এর পবিত্র জন্মবার্ষিকীতে আপনাদের সবার প্রতি রইলো প্রাণঢালা অভিনন্দন ও মোবারকবাদ। এ দিনটি ইরানে বাবা দিবস হিসেবে পালিত হয়। পৃথিবীতে যতো মহান মনীষীর জন্ম হয়েছে তাঁদের অন্যতম একজন হলেন ইমাম আলী (আ.)। তিনি এমন এক মহামানব ছিলেন,যাঁর সম্মান-মর্যাদা,জ্ঞান ও সাহসী ভূমিকা ইসলামের ইতিহাসে চির স্মরণীয় হয়ে আছে। ইসলামের ইতিহাসে রাসূলে খোদার পর ধর্মীয়,সাংস্কৃতিক এবং জ্ঞান-গবেষণার ক্ষেত্রে যাঁর চেষ্টা-প্রচেষ্টাকে যুগান্তকরী বলে মনে করা হয় তিনি হলেন হযরত আলীর (আ.)।
হযরত আলী (আ.)-এর জীবনের স্মরণীয় কিছু দিক (শেষ অংশ)
- প্রকাশিত হয়েছে
-
- লেখক:
- আল্লামা সাইয়্যেদ মোর্তজা আসকারী
ওহুদের যুদ্ধে নয় জন কুরাইশ যোদ্ধা একের পর পতাকা ধারণ করেছিল। তাদের সকলেই হযরত আলী(আ.)-এর তরবারির আঘাতে নিহত হয়েছিল। তাদের মৃত্যুর পর কুরাইশরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পলায়ন করছিল,কিন্তু মুসলমানরা মহানবী (সা.)-এর নির্দেশ অমান্য করে গণিমত (কাফেরদের ফেলে যাওয়া মালামাল) সংগ্রহে মগ্ন হলে পেছন থেকে মুশরিকদের এক দল তাদের আক্রমণ করে পর্যুদস্ত করে।
হযরত আলী (আ.)-এর জীবনের স্মরণীয় কিছু দিক (১ম অংশ)
- প্রকাশিত হয়েছে
-
- লেখক:
- আল্লামা সাইয়্যেদ মোর্তজা আসকারী
রাসূল (সা.) হযরত আলীর লালন-পালন ও প্রশিক্ষণের দায়িত্ব নেন। এ সম্পর্কে স্বয়ং আলী (আ.) বলেন : ‘অনেক সময় তিনি কিছু চিবিয়ে আমার মুখে দিতেন। তিনি আমার কথায় কখনও কোন মিথ্যা পাননি এবং আমার কোন কাজে দুর্বলতা পাননি। সে সময় থেকেই আমি তাঁকে অনুসরণ করে চলতাম যেভাবে একটি উষ্ট্রশাবক তার মাকে অনুসরণ করে।
হযরত আলী (আ.)এর ফযিলত ও মর্যাদা
- প্রকাশিত হয়েছে
হযরত আলী ইবন আবী তালিব (আ.) কোরায়েশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন আবু তালিব (আ.) আর মাতার ফাতিমা বিনতে আসাদ । শিশু বয়স থেকেই তিনি হযরত মুহাম্মদের কাছে লালিত-পালিত হন। ইসলামের ইতিহাসে তিনি পুরুষদের মধ্যে সর্বপ্রথম যিনি নবুয়তের ডাকে সাড়া দিয়ে মাত্র ১০ বছর বয়সে ইসলাম গ্রহণ করেন। তার ফযিলত ও মর্যাদা সম্পর্কে হযরত মুহাম্মদ (সা.)থেকে অসংখ্য হাদীস বর্ণিত হয়েছে নিম্নে তার কিছু আলোচনা করা হল।
হযরত আলী (আ.) এর বিচারকার্য
- প্রকাশিত হয়েছে
আল কাফি গ্রন্থে হযরত ইমাম সাদেক (আ.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, হযরত আলী (আ.)এর খেলাফত কালে এক ব্যক্তি জাবাল থেকে আল্লাহর ঘর যিয়ারাতের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন তাঁর সাথে তার গোলামও ছিলো
নাহজুল বালাগায় খিলাফত ও আহলে বাইত
- প্রকাশিত হয়েছে
চোখ কাঁটাবিদ্ধ ছিল আর ঐ অবস্থায় আমাকে চোখ বন্ধ করতে হয়েছে। গলায় হাঁড় আটকে গিয়েছিল আর ঐ অবস্থায়ও আমাকে পান করতে হয়েছে। আমাকে ক্রোধ সম্বরণ করতে হয়েছে এবং মাকাল ফলের চাইতেও অধিক কটু ও বিস্বাদ ফলও আমার মুখ পুরে দেয়া হয়েছিল যা আমি সহ্য করেছি
শিয়ারা হযরত আলীকে প্রধান্য দেন কেন?
- প্রকাশিত হয়েছে
মুসলমানদের কেউ যদি একে-অপরকে হত্যার জন্য যুদ্ধ করে তবে তারা উভয়ই জাহান্নামি। জামাল ও সিফফিন যুদ্ধে সাহাবিরা কি পরস্পরকে হত্যার উদ্দেশ্যে যুদ্ধ করেননি? যদি হাদিসটি সত্য হয়ে থাকে তাহলে তো আলী (আ.), তালহা ও যুবাইর-সবাইই জাহান্নামি (নাউজুবিল্লাহ)
জ্ঞান ও সম্পদের মধ্যে কোনটি উত্তম ?
- প্রকাশিত হয়েছে
জ্ঞান হচ্ছে উত্তম; কেননা জ্ঞান হচ্ছে নবীদের মি'রাসী সম্পদ আর ধন -সম্পদ হচ্ছে কারুন, ফেরাউন, হামান ও শাদ্দাদের মি'রাসী সম্পদ।
অসাধারণ মানুষ ইমাম আলী (আ.)
- প্রকাশিত হয়েছে
এমন সৌভাগ্যবান ব্যক্তি কে আছেন যিনি আল্লাহর ঘর কাবা শরীফের ভেতরে জন্মলাভ করেছেন,আবার আল্লাহর ঘরেই শত্রুর ঘায়ে আহত হয়ে শাহাদাত লাভ করেন ৷ তাঁর নৈতিক গুণাবলী ছিল নবী করিম (সা) এর মতোই ৷ নবুয়্যতির দায়িত্ব পাবার আগে নবীজী যেসব কিছু অপছন্দ করতেন আলী ( আ ) ও সেইসব বস্তু পরিহার করে চলতেন