আল হাসানাইন (আ.)

ইতিহাস বিষয়ক

কারবালার পর পবিত্র মক্কা ও মদীনায় ইয়াযিদী তাণ্ডবলীলা

কারবালার পর পবিত্র মক্কা ও মদীনায় ইয়াযিদী তাণ্ডবলীলা

ইয়াযীদ মুসলিম জাহানের ক্ষমতারোহণ করে মাত্র সাড়ে তিন বছর রাজত্ব করে । তার দ্বারা মুসলমানদের কোনো উপকার হয়নি;বরং যা হয়েছে তা হলো চরম দুঃখ,লাঞ্ছনা ও লোমহর্ষক গঞ্জনা। তার সৈন্যরা প্রথম বছর কারবালায় ইমাম হোসাইন (আ.) -কে বাহাত্তর জন সঙ্গী- সাথীসহ হত্যা করে,দ্বিতীয় বছর পবিত্র মদীনা শরীফে ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে এবং তৃতীয় বছর পবিত্র মক্কা নগরীকে দু’মাস ধরে অবরুদ্ধ রেখে পবিত্র কাবা গৃহে অগ্নি সংযোজন করে । এখানে আমরা কারবালার পর ইয়াযীদ বাহিনী কর্তৃক মদীনা ও মক্কায় যে হত্যালীলা ও লোমহর্ষক ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল তার কিয়দংশ বর্ণনার আশা রাখি।

বিস্তারিত

অত্যুজ্জ্বল শাহাদাত

অত্যুজ্জ্বল শাহাদাত ‘কতই না উত্তম ব্যক্তি –যার জন্য ইমাম হোসাইন কারবালার এ কঠিন মুসিবতের সময়ও কেঁদেছেন। তিনি ছিলেন ইমাম হোসাইনের ভাই, তার বাবা ছিলেন আলী, তিনি তা আর কেউ নন রক্তাক্ত বদন আবুল ফযল আব্বাস। তিনি ছিলেন ইমাম হোসাইনের সহমর্মী,কোনো কিছুই তাকে এপথ থেকে সরাতে পারেনি। প্রচণ্ড পিপাসা নিয়ে ফোরাতের তীরে পৗছেন ,কিন্তু ইমাম হোসাইন যেহেতু পান করেননি তিনিও তাই পানি মুখে নেননি।

বিস্তারিত

হুর ইবনে ইয়াযীদ

হুর ইবনে ইয়াযীদ হুর ইবনে ইয়াযীদ এক সম্ভান্ত্র গোত্রে গ্রহণ করেন। তার বীরত্ব ও উদারতা তার পূর্বপুরুষেরই উত্তরাধিকার। ইসলামপূর্ব ও পরবর্তীকালে তারা উদারতার জন্য প্রসিদ্ধ ছিলেন । হুর ইবনে ইয়াযীদ অত্যাচারীকে সাহায্য করা থেকে হাত গুটিয়ে নিয়ে এক সুন্দর-সৌভাগ্যময় পরিণতির মাধ্যমে ইহ ও পরকালীন কাল্যাণ লাভ করেছিলেন

বিস্তারিত

গাদিরে খুমের ঘটনা

গাদিরে খুমের ঘটনা দশম হিজরীতে বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)এর আহবানে সাড়া দিয়ে লাখো মুসলমান মক্কায় হজ্বব্রত পালন করতে যান। মদিনায় হিজরতের পর এটিই ছিল রাসূলের প্রথম হজ্ব। শুধু প্রথম নয়, তাঁর শেষ হজ্বও এটি। ওই হজ্বের কিছু দিন পরই বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হজরত মুহাম্মদ(সা.) ইন্তেকাল করেন। মক্কার পথে রাসূলেখোদা (সা.)-র সফরসঙ্গী হওয়ার জন্য বিপুল সংখ্যক মুসলমান মদিনায় জড়ো হন। রাসূলের এ হজ্বকে নানা নামে অভিহিত করা হয়। এর মধ্যে হুজ্জাতুল বিদা, হুজ্জাতুল ইসলাম, হুজ্জাতুল বালাগ, হুজ্জাতুল কামাল ও হুজ্জাতুত তামাম অন্যতম।

বিস্তারিত

গাদীরের আচার-অনুষ্ঠান

গাদীরের আচার-অনুষ্ঠান গাদীর দিবস অত্যন্ত খুশীর একটি দিন । কেননা মানুষের জীবনে সর্ববৃহৎ ঘটনা এই দিনেই সংঘটিত হয়েছে। হাদীসের ভাষ্যনুযায়ী এই দিনেই দ্বীন ইসলাম পরিপূর্ণতা লাভ করেছে। সকল ঐশী দ্বীন ছিল ইসলামের ভূমিকা স্বরূপ, আর ইসলাম গাদীর দিবসে পরিপূর্ণ হয়েছে এবং আল্লাহ তায়ালাও এ ধর্মকে মানুষের জন্য নির্বাচন করেছেন।

বিস্তারিত

বিদায় হজ্জ

বিদায় হজ্জ হিজরী দশম বছর সমস্ত আরব উপদ্বীপে ইসলাম বিস্তার লাভ করেছে। আরবের সকল গোত্রই মুসলিম আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, রাসূল (সা.)-এর রেসালাতকে স্বীকার করে নিয়েছেন। মূর্তি ও মূর্তি পূজার কোন চিহ্নই তাদের কোন গোত্রের মাঝে দেখতে পাওয়া যায় না। রেসালাতের কর্ণধারের পরিশ্রম আজ ফলদায়ক হয়েছে এবং তার সুস্বাদু ফলকে উৎপাদনশীল করেছে। উপাস্যের সিংহাসন থেকে মূর্তি গুলোর পতন ঘটেছে ও পবিত্র বাণী “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” বিস্তৃত আরব উপদ্বীপে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।

বিস্তারিত

ইবনে যিয়াদের প্রাসাদে যয়নাব (সা.আ.)

ইবনে যিয়াদের প্রাসাদে যয়নাব (সা.আ.) আমরা আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাই নি। আমার ভাই এবং তাঁর সঙ্গীরা সে পথেই গিয়েছেন আল্লাহ্ তাঁদের জন্য যে পথ পছন্দ করেছেন। তাঁরা গর্বের সাথে শাহাদাতকে বেছে নিয়েছেন এবং এ মহাসম্মানে ভূষিত হয়েছেন। কিন্তু হে ইবনে যিয়াদ! তুমি যে অপরাধ করেছ সে কারণে তোমাকে এক কঠিন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হতে হবে।

বিস্তারিত

হযরত আবু বকরের (রা.) খেলাফত লাভ

হযরত আবু বকরের (রা.) খেলাফত লাভ মুলতঃ বনি সক্বিফার নির্বাচনী সমাবেশেরই বা কি প্রয়োজন ছিল ? নবী (সা.) তো হযরত আবু বকরকে খলিফা মনোনীত করে গেছেন-ই ! আর যদি তিনি নবী (সা.) কর্তৃক খলিফা মনোনীত হয়েই থ্কবেন তাহলে সেখানে সেদিন কারো মনে ছিলো না কেন ?

বিস্তারিত

গাদীরে খুমের ঘটনা

গাদীরে খুমের ঘটনা হে লোকসকল! আল্লাহ আমার প্রভূ ও নেতা, আর আমি তোমাদের নেতা বা মওলা ।সুতরাং আমি যার মওলা বা অভিভাবক আলীও তার মওলা বা অভিভাবক । হে আল্লাহ যে আলীকে ভালবাসে তুমিও তাকে ভালবাস, যে আলীর সাথে শত্রুতা পোষণ করে তুমিও তাকে শত্রু গণ্য কর । আর যে তাকে সাহায্য করে তুমিও তাকে সহায়তা দান কর এবং যে তাকে ত্যাগ করে তুমিও তাকে পরিত্যাগ কর

বিস্তারিত

মদীনা সনদ - ইতিহাসের প্রথম লিখিত শাসনতন্ত্র

মদীনা সনদ - ইতিহাসের প্রথম লিখিত শাসনতন্ত্র মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করার পরপরই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। গোত্রীয় শাসনে অভ্যস্ত আরব গোত্রগুলোকে সুসভ্য নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলার জন্য সর্বপ্রথম তিনি একটি শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করেন। বিশ্বের ইতিহাসে এটিই ছিল সর্বপ্রথম লিখিত শাসনতন্ত্র যা পরবর্তীতে ‘মদীনা সনদ’ নামে পরিচিত হয়।

বিস্তারিত

মুয়াবিয়ার খেলাফত ও রাজতন্ত্রের উত্থান

মুয়াবিয়ার খেলাফত ও রাজতন্ত্রের উত্থান আমিরুল মু’মিনীন হযরত ইমাম আলী (আ.)-এর শাহাদতের পর তার ‘ওসিয়ত’ (উইল) এবং জনগণের ‘বাইয়াতের’ (আনুগত্য জ্ঞাপন) মাধ্যমে হযরত ইমাম হাসান (আ.) পরবর্তী খলিফা হিসেবে নির্বাচিত হন। বারজন ইমামের অনুসারী শীয়াদের মতে হযরত ইমাম হাসান (আ.) ছিলেন দ্বিতীয় ইমাম। 

বিস্তারিত

কারবালা ট্রাজেডির ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট

কারবালা ট্রাজেডির ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট শহীদদের নেতা হযরত ইমাম হোসাইন (আ) বলেন,‘‘যদি মুহাম্মাদ (সা) এর ধর্ম আমার নিহত হওয়া ছাড়া টিকে না থাকে তাহলে,এসো হে তরবারী! নাও আমাকে।’’ নিঃসন্দেহে কারবালার মর্ম বিদারী ঘটনা হলো মানব ইতিহাসের দীর্ঘ পরিক্রমায় ঘটে যাওয়া অজস্র ঘটনাবলীর মধ্যে সবেচেয় গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষণীয়। এটা এমন এক বিস্ময়কর ঘটনা,যার সামনে বিশ্বের মহান চিন্তাবিদরা থমকে দাড়াতে বাধ্য হয়েছেন,পরম বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে স্তুতি-বন্দনায় মুখিরত হয়েছেন এই নজিরবিহীন আত্মত্যাগের। কারণ,কারবালার কালজয়ী বিপ্লবের মহানায়করা ‘‘অপমান আমাদের সয়না”-এই স্লোগান ধ্বনিত করে ন্যায় ও সত্য  প্রতিষ্ঠার জন্য সংখ্যায় হাতে গোনা জনাকয়েকটি হওয়া সত্ত্বেও খোদায়ী প্রেম ও শৌর্য়ে পূর্ণ টগবেগ অন্তর নিয়ে জিহাদ ও শাহাদাতের ময়দানে আবির্ভূত হন এবং প্রতারণা ও প্রবঞ্চনার অধঃজগতেক পেছনে ফেলে উর্দ্ধজগতে মহান আল্লাহর সনে পাড়ি জমান। তারা স্বীয় কথা ও কাজের দ্বারা জগতবাসীকে জানিয়ে দিয়ে যান যে,‘‘যে মৃত্যু সত্যের পথে হয়,তা মধূর চেয়েও সুধাময়।’’

বিস্তারিত

কারবালার মহাবিপ্লব ইসলাম ও মানব-সভ্যতার শ্রেষ্ঠ গৌরব

কারবালার মহাবিপ্লব ইসলাম ও মানব-সভ্যতার শ্রেষ্ঠ গৌরব হযরত ইমাম হুসাইন (আ.) ছিলেন এমন একজন ব্যক্তিত্ব যাঁর সম্পর্কে বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন: হুসাইন আমার চোখের আলো,সে আমা হতে এবং আমি হুসাইন হতে। যা কিছু তাঁকে আনন্দিত করে তা আমাকেও আনন্দিত করে,যা কিছু তাঁকে কষ্ট দেয় তা আমাকেও কষ্ট দেয়। আর যা আমাকে কষ্ট দেয় তা আল্লাহকেও কষ্ট দেয়। 

বিস্তারিত

মুবাহালার সময়কাল

মুবাহালার সময়কাল মহানবী (সা.) নাজরানবাসীর সাথে যে শান্তিচুক্তি সম্পাদন করেছিলেন, তা যে হিজরতের দশম বর্ষে হয়েছিল এ ব্যাপারে ঐতিহাসিকদের মধ্যে কোন মতপার্থক্য নেই। আর স্বাভাবিকভাবে মুবাহালার সালও হিজরতের দশম বর্ষেই হবে। কারণ নাজরানের প্রতিনিধি দলের মুবাহালা থেকে বিরত হওয়ার পরপরই ঐ শান্তিচুক্তিটি লেখা হয়েছিল।

বিস্তারিত

গাদীরে খুমের ভাষণ

গাদীরে খুমের ভাষণ হে লোকসকল! আমি যার মাওলা, এই আলীও তার মাওলা। হে আল্লাহ! যে তাকে সমর্থন করবে তাকে তুমিও সমর্থন কর; যে তার সাথে শত্রুতা করবে, তার সাথে তুমিও শত্রুতা কর; যে তাকে ভালোবাসবে, তাকে তুমিও ভালোবাস; যে তাকে ঘৃণা করবে, তাকে তুমিও ঘৃণা কর; যে তাকে সাহায্য করবে, তাকে তুমিও সাহায্য কর এবং যে তাকে সাহায্য থেকে বিরত থাকবে, তাকে তুমিও সাহায্য থেকে বিরত থাক এবং সে যেদিকে ঘোরে, সত্যকেও তার সাথে সেদিকে ঘুরিয়ে দাও।”

বিস্তারিত

হজের সময় মুশরিকদের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা ও এর সুফল

হজের সময় মুশরিকদের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা ও এর সুফল প্রথম খলিফা আবূ বকর মহানবী (সা.)-এর নির্দেশে সফরের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেলেন এবং মক্কার উদ্দেশে যাত্রা করলেন। এর কিছুক্ষণ পরই ওহীর ফেরেশতা অবতীর্ণ হয়ে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে (বিশেষ নির্দেশ সম্বলিত) এক বাণী (মহানবীর ওপর) অর্পণ করলেন। তা ছিল এই যে, মুশরিকদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের বিষয়টি স্বয়ং মহানবী বা তাঁর আহলে বাইতভুক্ত কোন ব্যক্তিকে জনগণের কাছে ঘোষণা করতে হবে।

বিস্তারিত

ফাদাকের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

ফাদাকের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ফাদাক একটি আবাদ ও উর্বর অঞ্চলের নাম যা খাইবরের কাছে অবস্থিত (ছিল)। মদীনা থেকে এ অঞ্চলের দূরত্ব ছিল প্রায় ১৪০ কি.মি.। খাইবরের দুর্গগুলোর পরই এ অঞ্চলটি হিজাযের ইহুদীদের বসবাসকেন্দ্র বলে গণ্য হতো। এটি আল্লাহর রাসূল (সা.) তার মেয়ে ফাতেমাকে (সা.আ.) হেবা করেছিলেন ।

বিস্তারিত

মদিনা সনদ পৃথিবীর প্রথম লিখিত সংবিধান

মদিনা সনদ পৃথিবীর প্রথম লিখিত সংবিধান মহানবী (সা.) ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মক্কা থেকে তদানীন্তন ইয়াসরিবে (মদিনা) হিজরত করেন। তাঁর হিজরতের মাধ্যমে ইসলাম আধ্যাত্মিকতার জগতের পাশাপাশি রাজনীতির জগতে প্রবেশ করে।  প্রিয় নবী (সা.) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করার পর সমকালীন পরিস্থিতি বিবেচনা করে আনসার ও মুহাজিরদের মধ্যে একটি চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ নেন। এই চুক্তিটিতে তিনি ইহুদিদেরও অন্তর্ভুক্ত করেন। অর্থাৎ আনসার-মুহাজির-ইহুদিসহ গোটা ইয়াসরিবের জনগণের জন্য তিনি একটি সনদ প্রণয়ন করেন। মহানবী (সা.) কর্তৃক ইয়াসরিব উপত্যকার সব মানুষের জন্য লিখিত এই সনদই ইতিহাসে 'মদিনা সনদ' নামে পরিচিত। মদিনা সনদকে ঐতিহাসিকরা বিশ্বের ইতিহাসে সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধান বলে স্বীকৃতি প্রদান করেছেন।

বিস্তারিত

রিসালাতের সূচনালগ্নেই মহানবী (সা.) হযরত আলী (আ.)-কে নিজের স্থলাভিষিক্ত মনোনীত করেন

রিসালাতের সূচনালগ্নেই মহানবী (সা.) হযরত আলী (আ.)-কে নিজের স্থলাভিষিক্ত মনোনীত করেন আমি যা তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি তা আর কোন ব্যক্তি তার নিজ সম্প্রদায়ের জন্য কখনই আনয়ন করে নি। আমি তোমাদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ এনেছি। আমার প্রভু মহান আল্লাহ্ তোমাদেরকে তাঁর দিকে আহবান করতে আমাকে আদেশ করেছেন। অতএব,তোমাদের মধ্য থেকে কোন্ ব্যক্তি আমার ভাই,ওয়াসী (নির্বাহী) ও খলীফা হওয়ার শর্তে আমাকে এ ব্যাপারে সাহায্য করবে?

বিস্তারিত

ইসলামের প্রথম প্রকাশ্য দাওয়াত

ইসলামের প্রথম প্রকাশ্য দাওয়াত মহানবী (সা.)-নবুওয়াতের দায়িত্ব পাবার পর প্রথম তিন বছর গোপনে ইসলাম ধর্মে প্রচার করেন তিন বছর অতিবাহিত হবার পর মহান আল্লাহর আদেশক্রমে তিনি সর্বসাধারণের নিকট ইসলামের দাওয়াত প্রদান ও প্রচারের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সিদ্ধান্ত মোতাবেক তিনি মক্কার সমস্ত জনগনকে একত্রিত করে একত্ববাদী ধর্মের দিকে আহবান করেন। তিনি সাফা পাহাড়ের পাশে একটি উঁচু পাথরের ওপর দাঁড়িয়ে উচ্চকণ্ঠে বললেন, يا صباحاه “ইয়া সাবাহাহ্!” (আরবরা বিপদঘণ্টার স্থলে এ শব্দটি ব্যবহার করত এবং কোন ভয়ঙ্কর লোমহর্ষক সংবাদ তারা মূলত সর্বপ্রথম এ শব্দটি বলার মাধ্যমেই শুরু করত)

বিস্তারিত

আপনার মতামত

মন্তব্য নেই
*
*

আল হাসানাইন (আ.)