আল হাসানাইন (আ.)

এরফান

ইসলাম এবং আধ্যাত্মিকতা

ইসলাম এবং আধ্যাত্মিকতা

মহানবী (সা.)-এর সাহাবীদের মধ্যে (‘ইলমে রিজালে’র গ্রন্থসমূহে প্রায় বারো হাজার সাহাবীর পরিচিতি লিপিবদ্ধ হয়েছে) একমাত্র হযরত ইমাম আলী (আ.)-এর পাঞ্জল বর্ণনাই ‘ইরফানি’ বা আধ্যাত্মিক নিগূঢ়তত্ব সম্পন্ন এবং আধ্যাত্মিক জীবনের স্তরসমূহের সাথে সংশ্লিষ্ট,যা ইসলামের এক অমূল্য সম্পদ ভান্ডার ।  

বিস্তারিত

ইরফান ও তাসাউফ

ইরফান ও তাসাউফ আত্মসংশোধন,আত্মসংযম,আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সত্যের উদ্ঘাটন ও আত্মনিয়ন্ত্রণের ওপর নির্ভরশীলতা এ ক’টি ধারণার ওপর সুফীবাদ প্রতিষ্ঠিত। এ সবের মাধ্যমে সাধকের হৃদয় সকল প্রকার পঙ্কিলতা থেকে পরিশুদ্ধ হয় এবং তাজাল্লীর মাধ্যমে হৃদয়ে আল্লাহর নূরের প্রতিফলন ঘটে। এর ফলে অব্যবহিত যে আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা অর্জিত হয় তা হচ্ছে সাধকের কাছে অদৃশ্য দৃশ্যমান হয় এবং সকল পর্দা অপসারিত হয়।

বিস্তারিত

সুফীবাদ প্রসঙ্গে

সুফীবাদ প্রসঙ্গে ইসলামী মতে সুফী নিজেকে প্রেমিক এবং স্রষ্টাকে প্রেমময় মনে করেন এবং সেভাবে রূপকের ব্যবহারিক স্বরূপে তা অভিব্যক্ত করেন। ভারতীয় ভাবধারায় ভাগবতের অনুসারী বৈষ্ণব অনুরূপভাবেই ভগবানকে প্রেমময় প্রেমিক এবং নিজেকে প্রেমিকার আসনে বসিয়ে ধ্যান করেন। এ দু’ধারায় পার্থক্য বিস্তর।

বিস্তারিত

আদাবুস সুলূক (আধ্যাত্মিক পথ পরিক্রমার নিয়মাবলী)-৩য় পর্ব

আদাবুস সুলূক (আধ্যাত্মিক পথ পরিক্রমার নিয়মাবলী)-৩য় পর্ব ‘রেযা’ বা সন্তুষ্টি অর্থাৎ আল্লাহর পক্ষ থেকে যা কিছু নির্ধারিত হয় তা যতই তিক্ত হোক না কেন,তাকে বিনা বাক্যব্যয়ে মেনে নেয়া। সাধারণ মু’মিনগণ বিপদাপদ-বালা-মুসিবতের সময় ধৈর্যধারণ করে। অন্যদিকে একই অবস্থায় আল্লাহ তায়ালার নির্বাচিত বান্দাগণ যা করেন তা হচ্ছে রেযা। সবর ও রেযা-র মধ্যে পার্থক্য হলো ধৈর্যশীল ব্যক্তি তার ঈমানী শক্তির বদৌলতে ধৈর্যের সাথে বিপদাপদ মোকাবিলা করে,তার ঈমান এ অবস্থায়ও অটল থাকে এবং বিপদাপদের সময় সে বিচলিত হয়ে পড়ে না,

বিস্তারিত

আদাবুস সুলূক (আধ্যাত্মিক পথ পরিক্রমার নিয়মাবলী)-২য় পর্ব

আদাবুস সুলূক (আধ্যাত্মিক পথ পরিক্রমার নিয়মাবলী)-২য় পর্ব যিকর হচ্ছে আলমে গায়ব (গুপ্তজগত)-এর চাবি এবং অন্তর্লোকের আলোকবর্তিকা। চাবি ছাড়া কারো পক্ষে কোন তালাবদ্ধ গৃহে প্রবেশ করা সম্ভব নয় এবং বাতি ছাড়া কোন অন্ধকার গৃহকে আলোকিত করাও সম্ভব নয়। সুতরাং একজন প্রেমিক যেভাবে তার প্রিয়তমকে স্মরণ করে একজন সালেকের জন্য ঠিক সেভাবেই আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণ করা অপরিহার্য;সে যেন মুহূর্তের জন্যও তাঁর স্মরণ থেকে বিরত না থাকে। তাই তাকে এমনভাবে আল্লাহর স্মরণে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে হবে,আল্লাহর স্মরণ যেন তার সার্বক্ষণিক সঙ্গী হয় এবং তার অন্তর মুহূর্তের জন্যও আল্লাহর যিকিরশূন্য না হয়। সে যখন এ যিকর অব্যাহত রাখবে তখন এক পর্যায়ে গিয়ে তার মানবিক যিকর বেহেশতী ও পবিত্র যিকরে (যিকরে কুদসী) পরিণত হবে।

বিস্তারিত

আদাবুস সুলূক (আধ্যাত্মিক পথ পরিক্রমার নিয়মাবলী)-১ম পর্ব

 আদাবুস সুলূক (আধ্যাত্মিক পথ পরিক্রমার নিয়মাবলী)-১ম পর্ব যারা আল্লাহর সন্ধান করে তাদের জন্য জ্ঞানের আলোর সাহায্যে স্বীয় অন্তঃকরণের অজ্ঞতার অন্ধকারকে প্রোজ্জ্বলতায় রূপান্তরিত করা,সন্দেহের অন্ধকার দূরীভূত করে প্রত্যয়ের জ্যোতি অর্জন করা,শিরকের অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসে তাওহীদে উপণীত হওয়া এবং নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নিজেকে মুক্ত করে ঈমানের আলোর অধিকারী হওয়া অপরিহার্য। অন্যথায় তার শরীর ও আত্মা চিরন্তন অন্ধকারে এবং দোযখের নিম্নতম স্তরের দুর্ভাগ্যজনক অবস্থায় নিপতিত হবে যা আল্লাহ তায়ালা কাফের,নাস্তিক ও আল্লাহর দুশমনদের জন্য নির্ধারণ করে রেখেছেন।

বিস্তারিত

তাসাউফ : মুসলিম উম্মাহর সেতুবন্ধন

তাসাউফ : মুসলিম উম্মাহর সেতুবন্ধন কিছু সংখ্যক খ্যাতনামা সূফী ‘তাসাউফ’কে ইসলামী নৈতিকতার নির্যাস বলে অভিহিত করেছেন। ‘তাসাউফ’ পরিভাষার শব্দ প্রকরণগত ও মতাদর্শগত উৎপত্তি সম্পর্কে যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন মত ব্যক্ত করা হযেছে। ইতোপূর্বে সাধারণত ধরে নেয়া হত যে,‘তাসাউফ’ অ-ইসলামী উৎস থেকে ধার করা একটি মতাদর্শ। বর্তমানে প্রাচ্যবিদ্যা বিশারদদের খুব কম সংখ্যকই আছেন যারা মনে করেন যে,‘তাসাউফ’ ইসলামী শিক্ষার মর্মবাণী থেকে উৎসারিত হয়নি। নিকোলসন,মাসিনন ও হেনরি কোরবিন প্রমুখ খ্যাতনামা প্রাচ্যবিদ অবশ্য ‘তাসাউফ’-এর উৎস সংক্রান্ত ইতোপূর্বেকার ভ্রান্ত ধারণা অপনোদনের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছেন।

বিস্তারিত

আপনার মতামত

মন্তব্য নেই
*
*

আল হাসানাইন (আ.)